তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক, প্রস্তুত হচ্ছে বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তা ও সাংগঠনিক কাঠামো

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১০:৫৭:৩১
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক, প্রস্তুত হচ্ছে বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তা ও সাংগঠনিক কাঠামো

দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ জুলাই লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে চলছে জোর প্রস্তুতি—নিরাপত্তার কড়া বলয়, বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এবং রাজধানীতে আবাস ও কার্যালয় পুনঃবিন্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, "তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন। প্রস্তুতি চলছে দেশের ভেতরেও, লন্ডনেও।" তিনি জানান, তার আগমনে সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স, পুলিশের বিশেষ প্রহরা ও একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

একজন শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারেক রহমান সিলেট হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (HSIA) পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তাঁকে সরাসরি নেওয়া হবে নবনির্মিত গুলশান রেসিডেন্সে, যেটি হবে তাঁর প্রাথমিক ঘাঁটি। পরবর্তীতে তিনি পার্শ্ববর্তী অফিসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সূত্র আরও জানায়, খালেদা জিয়ার সন্তান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

আইনগত জটিলতা নেই, পথে বাধাও নেই

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। আগস্ট ২০২৪-এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, গণজাগরণ এবং একাধিক মামলায় তাঁর মুক্তির রায় তাঁকে ফেরার পথ করে দিয়েছে।

২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমান ২০১৮ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। সে সময় থেকে তিনি বিদেশ থেকেই দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

রাজনৈতিক বার্তা ও সাংগঠনিক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে শুধু ব্যক্তিগত ফেরাই নয়, বরং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পুনঃস্থাপন ও মাঠে সক্রিয় হওয়ার সূচনা হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি হতে পারে একটি বড় মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

দলীয় সূত্রমতে, গুলশানের যে বাসায় তিনি থাকবেন তা সম্পূর্ণভাবে পুনঃসংস্কার ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সজ্জিত করা হয়েছে। সেখানে বসেই প্রাথমিকভাবে তিনি গঠনমূলক বৈঠক ও সাংগঠনিক পরিকল্পনা চালিয়ে যাবেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

প্রেস সচিবের বক্তব্যে বাকস্বাধীনতা, মব কালচার ও সাংবাদিকতার দ্বন্দ্ব: পাঠবিশ্লেষণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি এক দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের সাংবাদিকতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত... বিস্তারিত