তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক, প্রস্তুত হচ্ছে বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তা ও সাংগঠনিক কাঠামো

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ৩০ ১০:৫৭:৩১
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনক্ষণ ঠিক, প্রস্তুত হচ্ছে বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তা ও সাংগঠনিক কাঠামো

দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৮ জুলাই লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তিনি। এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে চলছে জোর প্রস্তুতি—নিরাপত্তার কড়া বলয়, বুলেটপ্রুফ গাড়ি, এবং রাজধানীতে আবাস ও কার্যালয় পুনঃবিন্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, "তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরছেন। প্রস্তুতি চলছে দেশের ভেতরেও, লন্ডনেও।" তিনি জানান, তার আগমনে সেন্ট্রাল সিকিউরিটি ফোর্স, পুলিশের বিশেষ প্রহরা ও একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।

একজন শীর্ষস্থানীয় বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারেক রহমান সিলেট হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (HSIA) পৌঁছাবেন। সেখান থেকে তাঁকে সরাসরি নেওয়া হবে নবনির্মিত গুলশান রেসিডেন্সে, যেটি হবে তাঁর প্রাথমিক ঘাঁটি। পরবর্তীতে তিনি পার্শ্ববর্তী অফিসে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সূত্র আরও জানায়, খালেদা জিয়ার সন্তান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

আইনগত জটিলতা নেই, পথে বাধাও নেই

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। আগস্ট ২০২৪-এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, গণজাগরণ এবং একাধিক মামলায় তাঁর মুক্তির রায় তাঁকে ফেরার পথ করে দিয়েছে।

২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করা তারেক রহমান ২০১৮ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। সে সময় থেকে তিনি বিদেশ থেকেই দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

রাজনৈতিক বার্তা ও সাংগঠনিক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে শুধু ব্যক্তিগত ফেরাই নয়, বরং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পুনঃস্থাপন ও মাঠে সক্রিয় হওয়ার সূচনা হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এটি হতে পারে একটি বড় মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

দলীয় সূত্রমতে, গুলশানের যে বাসায় তিনি থাকবেন তা সম্পূর্ণভাবে পুনঃসংস্কার ও আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সজ্জিত করা হয়েছে। সেখানে বসেই প্রাথমিকভাবে তিনি গঠনমূলক বৈঠক ও সাংগঠনিক পরিকল্পনা চালিয়ে যাবেন।


প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১২:২১:৩৯
প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় বড় এক পরিবর্তন আসছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে। প্রথমবারের মতো বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা লাখো প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) চালু করছে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই ডাক বিভাগের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।

ইসির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, প্রবাসী ভোটাররা যেখানেই থাকুন, তাদের ঠিকানায় ব্যালট পৌঁছানোর পর ভোট দিয়ে রিটার্ন খামের মাধ্যমে সেটি পাঠাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তবে ভোট দেওয়া থেকে ব্যালট ফেরত পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ৩০ দিন। এ জন্যই বিদেশে পাঠানো ব্যালটে থাকবে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ ১১৯টি প্রতীক, পাশাপাশি থাকবে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ। কোনো আসনে যদি মাত্র একজন প্রার্থী লড়াই করেন, সেই আসনের প্রবাসী ভোটাররাই শুধুমাত্র ‘না ভোট’ দিতে পারবেন।

ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানিয়েছেন, অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করলেই ভোটারের তথ্য যাবে সংশ্লিষ্ট আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর অ্যাপের মাধ্যমেই ভোটার নিজের আসনের প্রার্থীদের তালিকা দেখতে পাবেন এবং পছন্দের প্রতীকে টিক দিয়ে ব্যালট পাঠাতে পারবেন। ডাক বিভাগ প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পাঠানো থেকে শুরু করে রিটার্নিং অফিসে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০০ টাকা।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৮ নভেম্বর থেকে। অ্যাপে প্রবেশ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রয়োজন হবে একটি আন্তর্জাতিক মোবাইল সিমকার্ড, কারণ অ্যাপে জিও–লোকেশন সক্রিয় থাকবে। ফলে বাংলাদেশের ভেতর থেকে কোনভাবেই অ্যাপটি চালানো সম্ভব হবে না। অ্যাপে মোবাইল নম্বর প্রবেশ করালে আসবে একটি ওটিপি, এরপর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ও ফেসিয়াল রিকগনিশন মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। এনআইডির ছবির সঙ্গে ৭০ শতাংশ মিল থাকলেই নিবন্ধন সফল হবে। পাসপোর্ট থাকলে সেটির ছবিও আপলোড করতে বলা হবে, তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।

বিদেশে থাকা ঠিকানা নিশ্চিত করে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে ভোটারের তথ্য সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যায় এবং পৃথক প্রবাসী ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়। ইসির ধারণা, নিবন্ধন চলমান থাকতেই ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল, এরপর শুরু হবে ব্যালট পাঠানোর কাজ। খামে পৌঁছানো ব্যালট পেপার পেয়ে ভোটার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবেশ করবেন এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে নিজের আসনের প্রার্থী তালিকা দেখবেন। তখনই ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ভোট দেওয়ার পর ব্যালট রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে। ডাকমাশুল আগে থেকেই পরিশোধিত থাকবে। তবে ব্যালট পেপারের সঙ্গে থাকা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করতে ভুললে সেই ভোট বাতিল হবে। নির্ধারিত ভোটগ্রহণের দিন বিকেল ৪টার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পৌঁছাতে পারলে সেটি বৈধ ধরা হবে। এর পর পৌঁছানো ব্যালট গণনায় আসবে না।

ইসি জানায়, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সময়মতো ব্যালট পৌঁছানো, প্রার্থিতা বাতিল বা পুনর্বহাল হলে ব্যালট গণনা বিষয়ক জটিলতা, এবং বিদেশে ব্যালট ডেলিভারির সময় নির্ধারণ। কেউ যদি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পর তার প্রার্থিতা বাতিল হয়, কিংবা আদালতের রায়ে পুনর্বহাল হয় সেই আসনের প্রবাসী ভোট গণনা করা হবে না।

প্রবাসীদের পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো দেশের সরকারি কর্মচারী, ৭১টি কারাগারের বন্দি এবং কয়েদিরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এদের জন্যও আলাদা নিবন্ধন প্রক্রিয়া থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

-রফিক


সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৫৬:০১
সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় শনিবার ভোরে এক দম্পতির ঘরে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক এক ঘটনার রেশ এখনো স্থানীয়দের মনে প্রচণ্ড শোক ও উদ্বেগ তৈরি করে চলছে। ভাড়া বাসার একটি কক্ষে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩৫ বছর বয়সী রেহিমা খাতুনের নিথর দেহ। তাঁর পাশেই পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ইমরান হোসেন—জীবন-মৃত্যুর সীমানায় লড়াইরত। পারিবারিক ঝগড়া ও মানসিক টানাপোড়েনের জট খুলতে এখন তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

নিহত রেহিমা কোনাবাড়ির একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী ইমরান হোসেন পেশায় কসাই; তিনি ময়মনসিংহের সুরুজ আলীর ছেলে। স্থানীয়দের ভাষ্য ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—সম্পর্কের ভেতরে থাকা নানা অভিমান, আর্থিক চাপ ও পারিবারিক অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরেই দম্পতিকে ভারাক্রান্ত করে রেখেছিল। সেই অস্থিরতারই বিস্ফোরণ কি এমন ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনল?

কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, দম্পতি তাঁদের ছোট মেয়েকে নিয়ে ‘একতা ভিলা’ নামে একটি পাঁচতলা ভবনের ওপরতলার ভাড়া বাসায় থাকতেন। পুলিশ ধারণা করছে—পারিবারিক ঝগড়ার এক পর্যায়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় এবং তখনই ইমরান ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে একই অস্ত্র দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলেও প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

শনিবার সকালে ভবনের ভেতর থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রেহিমার দেহ উদ্ধার করে এবং গুরুতর আহত ইমরানকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। রেহিমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে প্রতিবেশী, স্বজন এবং ভাড়া বাসার মালিকের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তবে ইমরান সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনার পূর্ণ বিবরণ পাওয়া সম্ভব হবে না।

এই নির্মম ঘটনা শুধু একটি পরিবারের দুর্ভাগ্যজনক ভাগ্যকেই সামনে আনে না; বরং সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা দাম্পত্য উত্তেজনা, মানসিক অবসাদ, আর্থিক অস্থিরতা এবং যোগাযোগহীনতার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে নতুন করে সতর্ক করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কের ভেতর লুকিয়ে থাকা মানসিক চাপ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হলে তা কখনো কখনো ভয়ংকর রূপ নেয়।

গাজীপুরের কোনাবাড়ির এই ট্র্যাজেডি সেই কঠিন বাস্তবতার আরেক নির্মম উদাহরণ।

-আলমগীর হোসেন


ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৫৪:১১
ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস বিকৃত করে বা সত্য গোপন রেখে নতুন করে ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে, তা দেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। শুক্রবার ১৪ নভেম্বর রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করেন। জাতির মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকাকে বাদ দিয়ে অথবা সেগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে নতুন প্রজন্মের সামনে ভিন্ন ইতিহাস দাঁড় করানোর যে ঝুঁকিপূর্ণ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার কঠোর বিরোধিতা করেন তিনি।

পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা—এগুলো দেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব ও জাতীয় পরিচয়ের ভিত্তি। সুতরাং এগুলোকে আড়াল করে বা বিকৃত করে নতুন ইতিহাস নির্মাণের প্রচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ইতিহাসের বিপর্যস্ত রূপ প্রজন্মকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে এবং এটি স্বাধীনতার চেতনা ও জাতির পরিচয়কে দুর্বল করে।

এর আগে ১২ নভেম্বর বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটে তিনি কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর ৬৩৯ ফ্লাইটে করে দোহা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বিমানবন্দরে তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষ করে ইমিগ্রেশন প্রসিকিউশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যাচাই–বাছাই ও ক্লিয়ারেন্সের পর। ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রগামী যাত্রাপথে দোহা হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে সোহেল তাজ নিজের ফেসবুকে আরও একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ, দোহায় পৌঁছেছি। ৩ ঘণ্টার ট্রানজিট শেষে ১৫ ঘণ্টার দীর্ঘ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাবো। তিনি স্মরণ করেন গত ১৫ বছর ধরে এই বিমানবন্দরের সঙ্গে তার যাতায়াতের অভিজ্ঞতা। সেই সময়ে এই বিমানবন্দরটি ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়েও ছোট ছিল, আর এখন এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত, বৃহৎ এবং উন্নত বিমানবন্দরগুলোর একটি।

-রাফসান


'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৪২:৫১
'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন একটি ফেসবুক-নির্ভর প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে, যাদের মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুবই কম। শনিবার সকালে তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে। তিনি এমনও মনে করেন যে, এই নির্বাচন সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শফিকুল আলম তার প্রথম যুক্তি হিসেবে বিএনপির মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, বিএনপির সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও একটি ব্যাপক আশঙ্কা ছিল যে, তালিকা ঘোষণার পর দলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। অনেকের ধারণা ছিল, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না এবং তারা বিক্ষোভে নামতে পারেন। এমনকি, আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সাথে তাদের সংঘর্ষও হতে পারে।

কিন্তু প্রেস সচিবের মতে, এক-দুটি ছোট ঘটনা ছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি মনে করেন, এটি প্রমাণ করে যে বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে এবং পরিকল্পনা করেই এগিয়েছে। মনোনয়নের এই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ইঙ্গিত দেয় যে, নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনের সময় দলের ভেতরে বড় ধরনের সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।

দ্বিতীয় যুক্তিতে শফিকুল আলম আওয়ামী লীগের সক্ষমতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, তিনি আওয়ামী লীগের সক্ষমতার একটি স্পষ্ট সীমা দেখতে পাচ্ছেন, যা তার মতে 'বেশ ছোট'। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের একটি বিস্তৃত তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যেকোনো নির্বাচন ব্যাহত করার মতো শক্তিশালী। কিন্তু তার মতে, গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে যে দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি আসলে কতটা সীমিত।

শফিকুল আলম মনে করেন, দলটি এখন 'ভাড়াটে টোকাই-ধরনের' ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা শুধু ফাঁকা বাসে আগুন দেওয়া, ৩০ সেকেন্ডের 'ঝটিকা মিছিল' করা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'এআই শাটডাউন'-এর মতো প্রচারণা চালাতে পারে।

তিনি আরও যোগ করেন, "প্রকৃত অর্থে, যার (আওয়ামী লীগের) মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম।" শফিকুল আলম তার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, দলটির তৃণমূল কাঠামো হয় ভেঙে পড়েছে অথবা প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে, তিনি আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো অস্থিরতা বা বিঘ্ন সৃষ্টি করার সম্ভাবনা 'অত্যন্ত ক্ষীণ' বলে মনে করেন।

সবশেষে, তৃতীয় যুক্তি হিসেবে প্রেস সচিব পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, সাম্প্রতিক সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা দেখেই বোঝা যায় যে, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত।

শফিকুল আলম জানান, সবচেয়ে দক্ষ ও সক্ষম কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, "আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।"


অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:১৫:১৭
অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে ঢাকা আবারও শীর্ষের কাতারে
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের বিস্তার থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বহু বছর ধরেই মেগাসিটিটি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে চিহ্নিত।

সাম্প্রতিক সময়ে বায়ুমান কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও গত দুই দিন ধরে ঢাকার আকাশে আবারও ঘনিয়ে এসেছে দূষণের স্তর। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৭৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।

‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ এই মাত্রা নাগরিকদের শ্বাসতন্ত্র, চোখ ও হৃদ্‌যন্ত্রের ওপর তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। একই সময়ে ৫১১ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, যা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ মাত্রার বায়ুদূষণ নির্দেশ করে। দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর (২৭৪), তৃতীয় স্থানে ভারতের কলকাতা (১৯৯) এবং পঞ্চমে ইরাকের বাগদাদ (১৭৫)। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১–৩০০ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর ওপরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ যা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা শিশু, প্রবীণ, শ্বাসতন্ত্রের রোগী এবং দৈনিক বাইরে কাজ করা জনগোষ্ঠীকে এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। দ্রুত নগরায়ণ, যানবাহনের নির্গমন, নির্মাণকাজের ধুলা এবং শিল্পকারখানার অনিয়ন্ত্রিত কার্যক্রম এই বহুমুখী কারণগুলো প্রতিদিন ঢাকার বায়ুমানকে আরও সংকটগ্রস্ত করে তুলছে। ফলে দূষণ কমাতে সমন্বিত নীতিমালা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই নগর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ০৯:০৪:২৭
নির্বাচনী ট্রেন্ড শুরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিয়ে সব সংশয় কাটল
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের মাধ্যমে দেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদ্যমান সংশয় অনেকটা কেটে গেছে। জুলাই সনদের গেজেট প্রকাশিত হওয়া এবং নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠানের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো ধোঁয়াশা নেই। সবকিছু মিলে দেশবাসীর সামনে এখন শুধুই নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও একমত হয়েছেন যে দেশ ও জাতি এখন 'নির্বাচনি ট্রেনে' উঠেছে।

ধোঁয়াশা কাটল ঘোষণা চূড়ান্ত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের সব ধোঁয়াশা কেটে গেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে যাচ্ছে।

সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে জনমানুষের আগ্রহ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, "জাতি এখন নির্বাচনি ট্রেনে উঠে গেছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই।"

দলগুলোর নির্বাচনি প্রস্তুতি

প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে এখন জনগণের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। সারা দেশে নির্বাচনি ঢেউ শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘোষিত বিএনপির ২৩৭ জন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনি এলাকায় মাঠে নেমে গেছেন এবং ভোটারদের মন জয় করতে চষে বেড়াচ্ছেন। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জোটের শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়াও শেষের পথে।

জামায়াতে ইসলামী আগে থেকেই মাঠে আছে। নানা ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা করলেও ভিতরে ভিতরে নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছে এই ইসলামি দলটি।

জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) বিভিন্ন এলাকায় তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই দলীয় প্রধান নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও তাঁদের স্ব-স্ব জোট থেকে নিজেদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পথে এবং অনেকে নির্বাচনি মাঠে নেমে গেছেন।

নেতাদের প্রতিক্রিয়া

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) বলেন, "রাজনৈতিক দল এবং দেশের জনগণ এখন নির্বাচনমুখী। তারা এখন নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করছে না। বিগত আঠারোটি বছর মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। মানুষ এখন ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। তারা জাতীয় নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে।"

মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্যের সভাপতি) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মেঘ অনেকাংশেই কেটে গেছে। আমরা বিএনপির সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন করছি। জোট আমাকে বগুড়া-২ এলাকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। বগুড়ার উন্নয়নে এলাকার কৃতী সন্তান তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব।"

সাইফুল হক (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক) বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকাংশেই কেটে গেছে। তবে ষড়যন্ত্র এখনো থামেনি, এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হতে হবে। যারা নির্বাচন, সংস্কার, বিচারের পথরেখাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চান, তারা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবেন।"

নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি) বলেন, "জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট নিয়ে সব সংশয় কেটে গেছে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনই সঠিক সিদ্ধান্ত। তাই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে সব দলকে এক থাকা জরুরি।"


শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ০৮:৫০:১৬
শীতের তীব্রতা বাড়লেও উষ্ণ হলো মন পর্যটন আর অতিথি পাখির ভিড়ে মুখর এখন বাংলাদেশ
প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল, টের পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। বিশেষ করে গ্রামবাংলার এই শুষ্ক প্রকৃতি, ভোর ও সন্ধ্যায় নেমে আসা হালকা কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত আসছে। ছবিটি রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: আব্দুল গনি

বাতাসে এখন হিম হিম স্পর্শ। শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় মুক্তোর দানা। সন্ধ্যা-সকাল কুয়াশার চাদর মুড়ে দিচ্ছে চারপাশ। প্রকৃতির শীতল পরশ নিয়ে আসছে শীত। পৌষ-মাঘ শীতকাল হলেও অগ্রহায়ণ বা হেমন্ত হলো শীতের মোহনা। এই সময় রিক্ত প্রকৃতিকে আমরা নতুন করে আবিষ্কার করি। দিনের সূর্য ঢেলে দেয় মায়াবি রোদ, আর রাতের আকাশে থাকে বুকভরা রূপালি তারাখচিত শুভ্রতা।

শীতের আগমনী বার্তা ও গ্রামীণ উৎসব

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে শীত পঞ্চম ঋতু। শরতের স্নিগ্ধতা পেরিয়ে আসে হেমন্ত, আর এই নবান্নের ঋতুর হাত ধরেই আসে শীতকাল। খালবিল থেকে বর্ষার জল শুকাতে শুরু করেছে। গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব।

মাঠে মাঠে সোনালি ধান গোলায় ভরার উৎসবে মেতে থাকা মানুষের শরীরে লাগে শীতের কাঁপন। নতুন ধানের পিঠা-পায়েস, খেজুরের মিষ্টি রস আর পাটালি গুড় এই ঋতুর অনিবার্য অংশ। লেপ-কম্বলের উত্তাপ, কুয়াশাঢাকা ভোরে আনন্দ-কষ্টের মিশেল নিয়ে শীতকাল আমাদের জীবনে উপস্থিত হয়।

খেজুরের রসে পাটকাঠি ডুবিয়ে গ্রামের ছেলেমেয়েদের চুকচুক করে রস খাওয়ার সেই দৃশ্য আজও বদলায়নি।

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্ভোগ

সামপ্রতিক বছরগুলোতে পঞ্জিকার অনুশাসন মানছে না প্রকৃতি। গ্রিনহাউজ এফেক্টের কারণে শীত-গ্রীষ্মকে আলাদা করে চেনা কঠিন হয়ে উঠছে। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই বসন্ত এসে প্রকৃতিকে অধিকার করে নিচ্ছে। তবে শীতের প্রচণ্ড দাপট কখনো কখনো আমাদের জীবনকে আড়ষ্ট করে তুললেও বাড়িয়ে দেয় মনের সজিবতা।

শীতের সময় তুমুল শৈত্যপ্রবাহ মানুষের জীবনে বয়ে আনে দুর্ভোগ। মাঘ মাসের তীব্র শীতের দিনগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে কমে যায়। এ সময় উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা যায়, যার ফলে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ নেমে আসে।

শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য মানুষজন গরম পোশাক পরিধান করলেও দরিদ্র মানুষের জীবনে শীত আসে অভিশাপ হয়ে। শীত নিবারণের জন্য তাদের তেমন গরম পোশাক থাকে না।

সাহিত্যে শীতের প্রভাব

বাংলা কবিতায় শীত প্রবেশ করেছে মধ্যযুগে বিশেষ করে মঙ্গলকাব্যে নায়িকার কষ্টের বর্ণনায়। আধুনিক কবিরাও শীতকালের বন্দনা করেছেন।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন 'শীতের হাওয়া হঠাত্ ছুটে এলো...'। জসীম উদ্দীনের 'রাখাল ছেলে' কবিতায় শীতকে আমরা পাই আমাদের একান্ত নিজস্ব ঋতুরূপে।

প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরে ঘুরে আসে 'পউষের ভেজা ভোর', 'ঝরিছে শিশির' এবং 'পউষের শেষরাতে নিমপেঁচাটি'।

পিঠা-পুলি ও শাকসবজির প্রাচুর্য

বাঙালির শখের পিঠা-পুলি শুধু স্বাদে নয়, সংস্কৃতিরও ধারক। শীতকালে পাটিসাপটা, দুধকলি, ভাপা, চিতই, নকশীপিঠাসহ নানা ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। খেজুরের রস, পাটালি গুড়, মোয়া, মুড়কি ছিল এক সময়ের অনিবার্য পদ।

শীতকাল মানেই গ্রামের জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির প্রাচুর্য। এ সময় বাজার ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, টম্যাটো, পালং শাক, লাল শাকসহ নানা জাতের টাটকা শাকসবজিতে ভরপুর থাকে।

বেড়ানো ও পরিযায়ী পাখির ভিড়

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে দেশের পর্যটন এলাকাগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের মতো পর্যটনস্পটগুলো এই মৌসুমে মুখর থাকে।

এছাড়াও উত্তর গোলার্ধের বরফে আচ্ছাদিত দেশসমূহ থেকে অতিথি পাখির আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলার নদনদী, হাওর, ঝিল ও চরাঞ্চল। এদের মধ্যে নীলশির, লালশির, কালো হাঁসসহ প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে।

শীতে রোগ-বালাইয়ের প্রকোপ

শীতকাল উপভোগ্য হলেও এই মৌসুমটাতে নানা রোগব্যাধির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন সর্দি-কাশি, গলায় খুশখুশ ভাব, ভাইরাসজনিত জ্বরসহ ত্বকের রোগ একজিমা, চুলকানি ও স্ক্যাবিসের মতো চর্মরোগ দেখা দেয়।

সূত্র:ইত্তেফাক


আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৪:৪৩:৫৪
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা ড ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্রিটিশ মন্ত্রী জেনি চ্যাপম্যান। ছবি: ফেসবুক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে কার্যক্রম স্থগিত থাকার কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রসঙ্গ

প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস জানান, কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকেও বাদ দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগের ১৬ বছরের 'দুঃশাসনের' সময় যে তিনটি বিকৃত নির্বাচনে অসংখ্য তরুণ ভোট দিতে পারেননি, এবার ১০ লাখ নতুন ভোটার প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে ডক্টর ইউনূস বলেন, নির্বাচন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক; ভোটার উপস্থিতিও হবে ব্যাপক।

জুলাই সনদ ও রোহিঙ্গা সংকট

জুলাই সনদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য 'এক নতুন সূচনা', যা গত বছরের জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে।

রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গে ডক্টর ইউনূস জানান, 'শিবিরের যুবকেরা আশাহীন হয়ে বড় হচ্ছে—রাগান্বিত এবং হতাশ। তাদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।' তিনি বলেন, সরকার বৈধ চ্যানেলে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাজ্য মন্ত্রীর মন্তব্য ও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্রিটিশ মন্ত্রী জেনি চ্যাপম্যান প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি অবৈধ অভিবাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, রোহিঙ্গা সংকট এবং বিমান ও সামুদ্রিক খাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

ইউনূস জানান, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক গবেষণার জন্য বাংলাদেশ একটি ব্রিটিশ গবেষণা জাহাজ কিনছে। ব্রিটিশ মন্ত্রী জানান, এয়ারবাস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন।

বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর খলিলুর রহমান, এসডিজি কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোর্শেদ এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।


আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নতুন সমীকরণ? 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৯:০০:৩২
আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নতুন সমীকরণ? 
অধ্যাপক আলী রীয়াজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে, বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পালনকালে আলী রীয়াজ উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নিয়োগকে রাজনৈতিক মহল অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের বিশিষ্ট অধ্যাপক হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক রাজনীতি, গণতন্ত্র, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সুশাসন নিয়ে গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশন (National Reform Commission) এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অসংখ্য সংলাপ, সনদপ্রণয়ন প্রক্রিয়া এবং জটিল মতভেদ নিরসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। পরে তাঁকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি করা হয়, যেখানে তিনি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোট প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক আস্থা পুনর্গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, সংস্কার বাস্তবায়নের রোডম্যাপ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, চলমান রাজনৈতিক ধাঁধা, সংস্কারকেন্দ্রিক মতভেদ এবং জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অত্যন্ত কাছের একজন মস্তিষ্ক হিসেবে আলী রীয়াজকে এগিয়ে আনা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।

এ নিয়োগে স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোটের কাঠামো, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা একটি অভিজ্ঞ, গবেষণা-নির্ভর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি–বিশ্লেষকের ওপর নির্ভর করতে চাইছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সংলাপ-অভিজ্ঞতা প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন ভূমিকা অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি–চিন্তা কোন দিকে যাচ্ছে, জুলাই সনদের কোন অংশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, এবং গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের পরিকল্পনা কতটা বাস্তবসম্মত—এসব প্রশ্নের কেন্দ্রবিন্দুতেও তাঁকে নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া আরও বেগবান ও পদ্ধতিগত হতে পারে, এমন প্রত্যাশাও রয়েছে বিশ্লেষকদের একটি অংশের।

এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকেই নতুন এই নিয়োগকে সরকার–দল সম্পর্ক মেরামত, আস্থার সংকট কাটানো এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, রাজনৈতিক মেরুকরণের এই সময়টিতে সংলাপ-অভিজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন নীতি–বিশ্লেষককে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করা সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় ছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ এবং সার্বিক রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে এই নিয়োগ কী প্রভাব ফেলবে, এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত