অটোগ্রাফে চমক: বাফেটের বই লাখ ডলার!

সত্য নিউজ: গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ওমাহা শহরে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের বার্ষিক সভা যেন রূপ নেয় এক উৎসবে। বিশ্বের অন্যতম বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ও কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেটের উপস্থিতি, তাঁর স্মৃতিচিহ্ন, বিশেষ করে স্বাক্ষর করা বই ঘিরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাফেটের সই করা ২০টি বইয়ের নিলাম হয়েছে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে, অনলাইনে আটটি বই বিক্রি হয়, যেখানে একটি বইয়ের সর্বোচ্চ দর ওঠে ১ লাখ মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় ধাপে, বার্ষিক সভার সময়ে আরও ১০টি বই বিক্রি হয়, যেখানে সর্বোচ্চ দাম ওঠে ৬০ হাজার ডলার। দুই ধাপে ১৮টি বই বিক্রি হলেও, আরও ২টি বই সংরক্ষিত ছিল প্রয়াত ব্যবসায়িক অংশীদার চার্লি মাঙ্গারের বন্ধুদের জন্য।
এই নিলামের আয় এবং সমপরিমাণ অনুদান ওয়ারেন বাফেট দিয়েছেন স্টিফেন সেন্টার নামের একটি স্থানীয় সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে। প্রতিষ্ঠানটি আবাসন সেবা দেয়, পাশাপাশি এটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে। নিলাম থেকে মোট সংগ্রহ হয় প্রায় ১৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা ব্যয় করা হবে ওমাহা শহরের গৃহহীন ও অসহায় নারীদের জন্য নতুন কেন্দ্র নির্মাণ এবং পুরোনো অবকাঠামোর উন্নয়নে।
এই দানের প্রতিশ্রুতি শুধু এই আয় নয়; বাফেট আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিলামে যে পরিমাণ অর্থ উঠবে, তিনি নিজেও সেই পরিমাণ অর্থ ব্যক্তিগতভাবে দেবেন। তাঁর এই দ্বিগুণ অনুদানের নীতিই আরও বেশি অর্থ সংগ্রহে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নিলামে অংশ নেওয়া অনেকেই শুধু বই কিনতেই আসেননি, বরং বাফেটের দান ও মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজের জন্য কিছু করার মানসিকতা নিয়ে এসেছেন। উদাহরণ হিসেবে, ৪৩ বছর বয়সী বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক জে জি বলেন, “আমি নিজের দিক থেকে সামান্য কিছুই করেছি। ভবিষ্যতেও সাহায্য করব।”
বইটির নাম ‘সিক্সটি ইয়ার্স অব বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে’, যা বাফেটের দীর্ঘ ব্যবসায়িক জীবনের অভিজ্ঞতা, দর্শন ও প্রয়াত মাঙ্গারের সঙ্গে তাঁর অংশীদারিত্বের গল্প তুলে ধরে।
এদিকে, সভার শেষে ওয়ারেন বাফেট ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি এই বছরের শেষ নাগাদ বার্কশায়ারের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। ফলে তাঁর স্বাক্ষরিত বইয়ের গুরুত্ব এবং চাহিদা আরও বেড়েছে।
বই বিক্রির বাইরে সভায় বাফেট নিজেই জানান, প্রায় ৮ হাজার কপি স্বাক্ষরবিহীন বইও বিক্রি হয়েছে।
বাফেটের দানবৃত্তির ইতিহাস৯৪ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট শুধু বিনিয়োগ নয়, দানধ্যানেও বিশ্বজুড়ে খ্যাত। ২০০৬ সাল থেকে তিনি তাঁর বিপুল সম্পদ জনকল্যাণে দান করতে শুরু করেন। গেটস ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে ‘দ্য গিভিং প্লেজ’— সব জায়গাতেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন দানবৃত্তির সংস্কৃতিতে। ঘোষণা দিয়েছেন, নিজের সম্পদের ৯৯ শতাংশ তিনি দান করবেন।
মৃত্যুর পর তাঁর সম্পদ কীভাবে দান করা হবে, সে বিষয়েও তিনি বিস্তারিত পরিকল্পনা করে গেছেন। তাঁর সন্তানদের সম্মতিতে সম্পদ বণ্টনের কথা থাকলেও, তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারলে দায়িত্ব থাকবে তিনজন নির্ধারিত ট্রাস্টির ওপর।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ বিরতি: যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন কৌশল নিচ্ছে?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ