বাংলাদেশ অর্থনীতি

ঋণ ব্যবস্থাপনায় তথ্যের ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৮ ১১:০৩:৩৬
ঋণ ব্যবস্থাপনায় তথ্যের ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থ উপদেষ্টা

বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঋণ ব্যবস্থাপনায় সকল অংশীদারকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, "অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় বড় প্রকল্প অনুমোদন করলে দেশের ঋণ গ্রহণের সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।"

শুক্রবার গাজীপুরের একটি হোটেলে "Navigating Public Debt in Bangladesh" শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, "কোনো বড় প্রকল্প অনুমোদনের আগে দেখতে হবে প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা আসলেই আছে কি না, সেটি বাস্তবায়নযোগ্য কি না এবং সেটি দীর্ঘমেয়াদে দেশকে কী ধরনের সুফল দেবে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের এখন কৌশলগত পরিকল্পনাকে বাস্তব পদক্ষেপে রূপান্তর করার সময় এসেছে। শুধু সরকার নয়, ঋণ ব্যবস্থাপনায় করপোরেট খাত, বাংলাদেশ ব্যাংক, বন্ড বাজার ও বেসরকারি অংশীদারদেরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।"

বিশ্বের আর্থিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক চাপের মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয় ও বোঝাপড়ার সম্পর্ক স্থাপন জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে সময়োপযোগী, সমন্বিত ও বাস্তবমুখী তথ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, "রিয়েল-টাইম ডেটা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের সক্ষমতা তৈরি করা না গেলে ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্যকর হবে না—এটিই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।"

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মুজুমদার।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে অর্থ বিভাগ পরিচালিত Strengthening Public Financial Management Program to Enable Service Delivery (SPFMS)। অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি এবং বিশ্ব ব্যাংকের লিড গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট সুরাইয়া জান্নাত।

ড. আনিসুজ্জামান তার বক্তব্যে সরকারের ঋণ ব্যবস্থাপনায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি দ্রুত একটি যৌথ সভার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. খায়রুজ্জামান মুজুমদার বলেন, “বৈদেশিক ঋণের সুযোগ ক্রমেই সীমিত হচ্ছে, তাই এখন আমাদের ঘরোয়া ঋণের উৎস ব্যবস্থাপনার দিকে মনোযোগ দিতে হবে।” সেইসঙ্গে তিনি দক্ষ জনবলের ঘাটতি দূর করে পেশাদার ভিত্তি গড়ে তোলার উপর জোর দেন।

কর্মশালায় উপস্থাপনা দেন অর্থ বিভাগের কোষাগার ও ঋণ ব্যবস্থাপনা উইং-এর অতিরিক্ত সচিব হাসান খালেদ ফয়সাল, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন, উপসচিব ফরিদ আহমেদ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অর্থনীতিবিদ অরিন্দম রায়।

মডারেটর হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এবং ড. জিয়াউল আবেদীন।

কর্মশালায় অর্থ বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রায় ৭৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

-এস সরকার, নিজস্ব প্রতিবেদক


যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ঘিরে ইসলামী ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও ওএসডি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ২১:৪৯:১৮
যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ঘিরে ইসলামী ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও ওএসডি
ছবি: সংগৃহীত

কর্মস্থলের নিয়মনীতি লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে। একই সঙ্গে, প্রায় ৫ হাজার জনকে (৪,৯৭১ জন) ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) করা হয়েছে। এতে ব্যাংকের অভ্যন্তরে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ওএসডি হওয়া কর্মীরা আপাতত কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তবে বেতন-ভাতা পাবেন।

যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ও বিতর্ক

ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিপুলসংখ্যক কর্মীকে কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের বড় অংশই ছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, “এস আলম গ্রুপের সময়ে অযোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকটিকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা ব্যাংকের স্বার্থে সবাইকে যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫,৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে বলা হলেও মাত্র ৪১৪ জন অংশ নেন। যারা উপস্থিত হননি, সেই ৪,৯৭১ জনকে পরদিনই ওএসডি করা হয়। এছাড়া পরীক্ষার আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করায় ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

কর্মীদের অভিযোগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান

ওএসডি হওয়া কর্মীদের অভিযোগ, হাইকোর্ট নিয়মিত প্রমোশনাল পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ অমান্য করে আলাদা যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষার আয়োজন করে, যা বেআইনি। তারা পুনরায় আদালতের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ধরনের পরীক্ষা দেশে এই প্রথম। সাধারণত পদোন্নতির জন্য ভাইভা নেওয়া হয়, তবে এখানে কর্মীদের মান যাচাইয়ের বিষয়টি নতুন অভিজ্ঞতা।” তিনি যোগ করেন, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও, নিয়োগ বা কর্মী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের প্রভাব কমাতে পরিচালনা পর্ষদে রদবদল আনে।


রেকর্ড ভাঙা দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৭:২৭:৩৪
রেকর্ড ভাঙা দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এই নজিরবিহীন উত্থানের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের বাজারেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও যে কোনো সময় নতুন দামের ঘোষণা আসতে পারে।

দেশের বাজারে বর্তমান অবস্থা

গত জুলাই থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এবং শেষ এক মাসে সেই বৃদ্ধির গতি আরও বেড়েছে। শুধু আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসেই আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ ডলার।

এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও একাধিক দফায় স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বরের সমন্বয়ে বর্তমানে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা ছিল, যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

দাম বৃদ্ধির কারণ কী?

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক আন্তর্জাতিক কারণের কথা বলেছেন।

ডলারের প্রতি অনাস্থা: আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে টানাপোড়েন, চীন-রাশিয়া-ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-সংক্রান্ত উত্তেজনার কারণে ডলারের প্রতি আস্থা কমছে।

নিরাপদ বিনিয়োগ: এই পরিস্থিতিতে চীন ও ভারতসহ অনেক দেশ নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ মজুত করছে।

উৎপাদন হ্রাস: খনিতে উৎপাদন হ্রাস ও সরবরাহ কমে যাওয়াও দামের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।

বাজুসের এক সদস্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়তে থাকলে বাংলাদেশেও তা সমন্বয় করতে হবে। তার কথায়, "স্বর্ণের দামের ওপর দেশের ব্যবসায়ীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্ববাজারে যেমন দাম বাড়ে বা কমে, এখানেও তার প্রতিফলন ঘটে।" সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বাজারে শিগগিরই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।


৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ চট্টগ্রামে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৪:১৫:৫১
৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ চট্টগ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গমবাহী জাহাজ এমভি পার্থ (MV PERTH) চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ার বর্হিনোঙরে নোঙর করেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৭ জুলাই সম্পাদিত নগদ ক্রয় চুক্তির (প্যাকেজ-০১) আওতায় এই গম আমদানি করা হয়েছে। দ্রুত গম খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাহাজে থাকা মোট ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২১ হাজার মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।


হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ২১:২৬:২১
হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত

চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৩৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রবৃদ্ধি ও কারণ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ, রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬.২ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

গত বছরের রেকর্ড রেমিট্যান্স

গত আগস্ট মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার এসেছিল, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে এককালীন সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৩২৯ কোটি ডলার এসেছিল, যা ছিল সেই বছরের রেকর্ড।


স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৭:৩৫:১২
স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
ইলিশ মাছ। ফাইল ছবি

চলতি মৌসুমে ইলিশের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি ইলিশের আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। বাজারে ইলিশের অস্বাভাবিক দামের কারণে তৈরি হওয়া অস্থিরতার ভিত্তিতে সমীক্ষা শেষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ট্যারিফ কমিশন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

রপ্তানি মূল্য ও স্থানীয় মুনাফায় অসঙ্গতি

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে ইলিশের স্থানীয় বাজারমূল্য এবং রপ্তানি মূল্যের মধ্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম যেখানে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা, সেখানে চলতি মাসে ভারতে রপ্তানি করা প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে গড়ে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, ব্যবসায়ীরা উৎপাদন মূল্যের তুলনায় স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেশি মুনাফা করছেন।

ট্যারিফ কমিশন ইলিশের দাম বাড়ার পেছনে ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:

বাজারের ভারসাম্যহীনতা: চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা।

সিন্ডিকেট: মজুত ও সিন্ডিকেট।

পরিচালনা ব্যয়: জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মাছ ধরার খরচ বৃদ্ধি।

পরিবেশ ও পদ্ধতি: নদীর নাব্যতা সংকট, পরিবেশগত সমস্যা এবং অবৈধ জালের ব্যবহার।

ব্যবসায়িক সমস্যা: দাদন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং রপ্তানির চাপ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। গত চার মাসে ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি বেশ লক্ষণীয় ছিল। এই ধারাবাহিকতা রোধ করতে ট্যারিফ কমিশন এবার দাম বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করেছে।


নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:৩৫:৩২
নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবিঃ বি এস এস

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বক্তৃতা দেন। “Advancing Reform, Resilience and Growth” শিরোনামের এই আয়োজনটি করেছে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।

নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক বৈঠকে প্রফেসর ইউনুস মার্কিন কোম্পানি মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলারেট এনার্জির মতো শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের বাংলাদেশে নতুন ও সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ও উদীয়মান, যেখানে জ্বালানি, আর্থিক খাত, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনী শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের জানান, প্রফেসর ইউনুসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গী ছয়জন রাজনৈতিক নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বৈঠক বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারে বলে তারা মনে করেন।

-নাজমুল হোসেন


ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৬:৪৯:৫৫
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শেষ দিকে ক্রেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও, শেষ এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই কমেছে।

ডিএসই’র চিত্র

লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির।

ভালো কোম্পানি (১০% বা বেশি লভ্যাংশ): ১৬১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৭টির কমেছে।

মাঝারি মানের কোম্পানি (১০% এর কম লভ্যাংশ): ৭১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৪টির কমেছে।

জেড গ্রুপ: ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৯টির কমেছে।

মিউচুয়াল ফান্ড: ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে, ১টির কমেছে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুটি সূচক, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচকও যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে।

লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে মোট ৫৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি।

লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো

ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। এরপর রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ (১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) এবং সামিট এলায়েন্স পোর্ট (১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা)।

শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সোনালী পেপার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, ই-জেনারেশন এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

সিএসই’র চিত্র

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে, ৮৩টির কমেছে এবং ১১টির অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কম


বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১১:৪০:১৩
বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়

দেশের সড়কে বর্তমানে অন্তত আড়াই লাখ নিবন্ধনহীন গাড়ি চলাচল করছে। এতে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৬,২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কিউআর কোড সংবলিত ই-ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত সম্প্রতি হওয়া একটি সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোট যানবাহন সংখ্যা ৬৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৭৩টি। এতে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে।

বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, "এখনো আমাদের দেশে দুই থেকে আড়াই লাখ গাড়ির নিবন্ধন নেই। এই গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, ই-ট্যাক্স টোকেন ও আরএফআইডি ট্যাগ ব্যবহার করা গেলে গাড়ির যাবতীয় তথ্য সহজে সংগ্রহ করা যাবে।

কর ফাঁকি ও নতুন উদ্যোগ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সম্প্রতি ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির কর নথি যাচাই করে। এতে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩৩৯ জন মালিক তাদের গাড়ির তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনবিআরের ধারণা, এসব গাড়ি থেকে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য কর নথিতে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এটি না করলে জরিমানা ও ফৌজদারি বিধান প্রযোজ্য। বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক অগ্রিম কর নির্ধারিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নিবন্ধনহীন গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং ই-ট্যাক্স টোকেন চালু করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। এনবিআরের প্রতিনিধি জানান, এতে কর আদায় বাড়বে এবং নিবন্ধনহীন গাড়ি শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে মফস্বলে ট্যাক্স টোকেন জমা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করতে ব্যাংকিং ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলেও সভায় আলোচনা হয়েছে।


দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ২১:৫২:৩১
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
ছবি: সংগৃহীত

এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা হয়েছে। দেশের বাজারে এর আগে কখনো এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা হয়নি। এত দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা।

মঙ্গলবার থেকে কার্যকর নতুন দাম

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিভিন্ন ক্যারেটের নতুন দাম

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৭৯৬ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৫৪০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণে ১ হাজার ৩১৮ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৭ টাকা।

রুপার দাম অপরিবর্তিত

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ সোমবার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ২ হাজার ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: