খাবারে যে সকল উপাদান বাড়ালেই সুস্থ থাকবেন দীর্ঘদিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৭ ২০:১৮:১৭
খাবারে যে সকল উপাদান বাড়ালেই সুস্থ থাকবেন দীর্ঘদিন

সাম্প্রতিক সময়ে পুষ্টিবিদদের মধ্যে একটি শব্দ বেশ আলোচিত—‘ফাইবারম্যাক্সিং’। অর্থাৎ, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফাইবারের পরিমাণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চর্চা। এ চর্চার লক্ষ্য একটাই—পরিপাকতন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং সামগ্রিক দেহরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩৮ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা উচিত। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আমরা অনেকে এর মাত্র ৫-১০ শতাংশও গ্রহণ করছি না।

ফাইবারম্যাক্সিং আসলে কী?

প্রত্যেক মানুষের বয়স, শারীরিক অবস্থা ও ক্যালরির চাহিদা অনুযায়ী একটি ডায়েট প্ল্যান নির্ধারিত হয়। এই প্ল্যানে যারা ফাইবারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি রাখেন, তাদের এই অভ্যাসকে বলা হচ্ছে ‘ফাইবারম্যাক্সিং’।

শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শুধু হজমে সাহায্য করে না, বরং হরমোন নিঃসরণ থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার ওঠানামা নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।

ফাইবারের ধরন:

ফাইবার মূলত দুই ধরনের—দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়।

দ্রবণীয় ফাইবার পেটে গিয়ে একটি জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে, যা হজম প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে বলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

অন্যদিকে, অদ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রে বর্জ্য চলাচল সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুই ধরনের ফাইবারই রাখা উচিত। বিশেষ করে ফল, শাকসবজি, বাদাম, গোটা শস্যজাতীয় খাবার—এসব থেকেই সহজে ফাইবার গ্রহণ সম্ভব।

উপকারিতা:

হজমশক্তি বৃদ্ধি

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা

অতিরিক্ত ওজন কমানো

দীর্ঘ মেয়াদে অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ

সাবধানতা ও পরামর্শ:

যদিও ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে অতিরিক্ত গ্রহণ কিংবা হঠাৎ করেই মাত্রা বাড়িয়ে দিলে গ্যাস্ট্রিক, ফোলাভাব বা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেটের অসুখ বা হজমজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ফাইবার ক্ষতির কারণ হতে পারে।

তাই ধীরে ধীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ানো এবং প্রচুর পানি পান করাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। যেকোনো পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও জরুরি।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ