শিগগির মুক্তি পাচ্ছেন আলেক্সান্ডার: হামাস

সত্য নিউজ: গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরায়েলি-মার্কিন নাগরিক এডান আলেক্সান্ডারের শিগগির মুক্তি সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনা জোরালো হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। রবিবার (১১ মে) হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনার অংশ হিসেবে এই মুক্তি কার্যকর হতে পারে।
২১ বছর বয়সী ইসরায়েলি সেনা সদস্য এডান আলেক্সান্ডারকে বর্তমানে হামাসের কাছে থাকা শেষ জীবিত আমেরিকান জিম্মি বলে ধারণা করা হয়। হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে তার মুক্তির নির্দিষ্ট তারিখ জানায়নি, তবে রয়টার্সকে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই আলেক্সান্ডার মুক্তি পেতে পারেন।
হামাস জানিয়েছে, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাতার ও মিসরের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মুক্তির পদক্ষেপ গাজায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরু করার ক্ষেত্রে একটি উৎসাহব্যঞ্জক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
এই খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যালে' দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিসরের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি একটি সদিচ্ছাপূর্ণ প্রতিফলন।” ট্রাম্প আরও বলেন, “আমরা আশা করি এ পদক্ষেপের মাধ্যমে গাজায় চলমান নৃশংস যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।”
মার্কিন বিশেষ দূত অ্যাডাম বোয়েলার জানান, শুধু আলেক্সান্ডার নয়, হামাসের হেফাজতে নিহত আরও চারজন আমেরিকানের মরদেহ ফেরত দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।
যুদ্ধের পটভূমি
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো হামলায় প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। ইসরায়েলের ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরদিন থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৫২ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পুরো গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত এবং প্রায় ২৩ লাখ মানুষ আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মার্চে ইসরায়েল অবরোধ আরোপ করায় মানবিক সহায়তা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টা
হামাসের নির্বাসিত রাজনৈতিক প্রধান খলিল আল-হায়া বলেন, “এই মুক্তির উদ্যোগে কাতার, মিসর ও তুরস্ক যৌথভাবে ভূমিকা পালন করছে।” এদিকে কাতার ও মিসর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাবে।
এই উদ্যোগে আলেক্সান্ডারের মুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা হয়তো যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- কবে থামবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভেদের রাজনীতি?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- ২০২৬ সালের এপ্রিলেই জাতীয় নির্বাচন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা
- নির্বাচনের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া: বিএনপি অসন্তুষ্ট, জামায়াত সন্তুষ্ট, এনসিপি শর্তসাপেক্ষে সমর্থন
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- রোজা, পরীক্ষা ও বাজেটের মাঝে নির্বাচন অযৌক্তিক: বিএনপি
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?