আওয়ামী লীগের পথেই চলেছে অনেকে—নতুন হুঁশিয়ারি যুব শক্তির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৩ ২০:১১:৩০
আওয়ামী লীগের পথেই চলেছে অনেকে—নতুন হুঁশিয়ারি যুব শক্তির

‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিজেদের দুর্বল হিসেবে উপস্থাপন করে, তবে তা হবে অভ্যুত্থানের রক্তের সঙ্গে সবচেয়ে বড় প্রতারণা’—এই ভাষাতেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (উত্তরাঞ্চল)–এর মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার ভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব শক্তি পঞ্চগড়ের সমন্বয়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “মৌলিক সংস্কার ও খুনিদের বিচারের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই। জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা চাই, এতে কোনো আপস চলবে না। আমরা এমন একটি সরকার দেখতে চাই না, যারা দায় পালনে দুর্বলতা দেখায়।”

সারজিস আলম বলেন, “প্রথম সারির সাতটি দলের মধ্যে ছয়টি যখন মৌলিক সংস্কারে একমত, তখন একটি দলের ইচ্ছাই যদি সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আশাবাদী যে স্বচ্ছ নির্বাচনের পূর্বেই বাংলাদেশ পাবে একটি কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক জুলাই ঘোষণাপত্র, যার মধ্যে থাকবে নির্বাচনকালীন ও কাঠামোগত সংস্কারের দিকনির্দেশনা।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, “বিগত দিনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে চাঁদাবাজি, মাদক সিন্ডিকেট ও বিরোধী নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় এখনো কিছু সংগঠন একই পথ অনুসরণ করছে।” তিনি বলেন, “আমরা কারো বিরুদ্ধে নই, কিন্তু কেউ যদি অপকর্মে জড়ায়, সে আমাদের প্রতিপক্ষ—সে যেই দলেই থাকুক না কেন।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যেসব সংগঠন বা রাজনৈতিক দল নতুন বাংলাদেশে ধান্দাবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজির রাজনীতি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় যুব শক্তি রুখে দাঁড়াবে।”

এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন, সংগঠক ওয়াশীশ আলম এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।


এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৯:৩৭:০১
এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এনসিপির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।

মান্নার মন্তব্য ও অঙ্গীকার

ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে মাহমুদুর রহমান মান্না লেখেন, তিনি এনসিপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন,

“যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”

তবে মান্না এই শর্তও জুড়ে দেন যে, যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে তাকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে এই প্রতীক দিতে পারে না।

ইসি’র চিঠি ও জটিলতা

এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে চিঠি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এই চিঠি পাঠান।

প্রতীকের তালিকা: চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এনসিপির পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিকল্প বেছে নেওয়ার নির্দেশ: এই জটিলতা নিরসনে ইসি এনসিপিকে তাদের দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে, যা এখনও বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে পছন্দ করে নিতে অনুরোধ করেছে।


শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৮:৫৫:৪৪
শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) এবার তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টির বেশি প্রতীক থেকে নিজেদের মার্কা বাছাই করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সংস্থাটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

শাপলা প্রতীকে ইসির আপত্তি

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানায়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) মোতাবেক প্রার্থীর প্রতীক ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, শাপলা প্রতীক না পেলে তা আদায় করে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তাতে কর্ণপাত করেননি। সিইসি বলেন, “আমরা মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ তারা তো দেশদ্রোহী না, দেশপ্রেমিক।” তিনি বলেন, ইসি যথারীতি আইন মোতাবেক কাজ করেই যাবে।

৫০টি প্রতীক থেকে বাছাইয়ের নির্দেশ

চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে ইসি’তে বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে বাছাই করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, মোবাইল ফোন, হাঁস ও হেলিকপ্টার।

নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ও প্রতীক

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পর মোট ৫৬টি দল নিবন্ধন পেলেও, পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপাসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের বাইরের প্রতীকগুলো নতুন দল ও সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আরও ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে।


এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৬:০৪:০৭
এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান।

বেলা পৌনে ১০টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সফরসঙ্গীরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফেরেন। তাদের সফর নিয়ে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

যেভাবে ঘটল লাঞ্ছনার ঘটনা

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে যখন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ব্রিফিং করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতারা উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন একজন গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন।

এই অনুরোধের পর এনসিপি নেতাকর্মীরা উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সফরে ছিলেন যারা

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।


নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৯:২৪:৩৬
নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ ও দুর্নীতি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে যদি আবারও লুটপাট, জুলুমবাজি, ধর্ষণ ও ব্যভিচার হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় পটুয়াখালীর ঝাউবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতার নয়, নীতির পরিবর্তন দরকার

মুফতি ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে নিরপরাধ মানুষ খুন হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, কিন্তু সেই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জনগণ তা মানবে না।

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, যেখানে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। বৈষম্য দূর হবে, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। কেউ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে না, চিকিৎসার অভাবে মরবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না।” তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এজন্য শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন প্রয়োজন।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধাক্ষ্য মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৫:৪০:৫৯
তাসনিম জারাকে নিয়ে অনলাইন হয়রানির নেপথ্যে কারা?
তাসনিম জারা। ছবি: ডিসমিসল্যাব থেকে সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ছবি, ভিডিও এবং ফটোকার্ড তৈরি করে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ডিসমিসল্যাব-এর অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই অপপ্রচারের পেছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

ডিসমিসল্যাব চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৬২টি পোস্ট বিশ্লেষণ করেছে। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি পোস্ট আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজ থেকে করা হয়েছে।

যেভাবে চালানো হচ্ছে অপপ্রচার

ডিসমিসল্যাব বলছে, তাসনিম জারাকে টার্গেট করতে ভুয়া ছবি, মূলধারার গণমাধ্যমের আদলে বানানো বিভ্রান্তিকর ফটোকার্ড এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নির্মিত ভিডিও ও অডিও ব্যবহার করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক, অবমাননাকর ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ, যা ফেসবুকের নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। এমনকি কিছু পোস্টে জারার ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে যৌনবাহিত রোগের ওষুধের ভুয়া বিজ্ঞাপনও চালানো হয়েছে।

প্রচারণার ব্যাপ্তি: পোস্টগুলো মোট ২৯ হাজার ৬৯৩ বার শেয়ার হয়েছে এবং ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৯০০ বার দেখা হয়েছে। এগুলোতে মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৩৪টি প্রতিক্রিয়া এসেছে।

প্রধান পোস্টদাতা: মো. সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ‘জয় বাংলার সৈনিক’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন এবং কভার ফটোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রেখেছেন, তিনি তাসনিম জারার বিকৃত ছবি সবচেয়ে বেশি শেয়ার করেছেন।

কারা ছড়াচ্ছে এই কনটেন্ট?

মোট ৬২টি পেজ ও প্রোফাইলের মধ্যে যেগুলোতে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে:

নির্দিষ্ট পেজ: আওয়ামী লীগ ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুজিবাবাদী লীগ বা স্বঘোষিত ‘মুজিব সৈনিক’।

পরিচালনাকারী: মোট ১৩৩ জন অ্যাডমিনের মধ্যে ১০২ জনই বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। বাকিরা মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছিলেন।

এনসিপি নেত্রীর প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে তাসনিম জারা বলেন, “আমাকে কীভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, তা এই রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে এ অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত প্রায় সব নারীই এর মুখোমুখি হন। এটা রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম থাকার প্রধান একটি কারণ।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফেসবুক এখানে দায় এড়িয়ে চলে, কোনো পদক্ষেপ নেয় না। আমাদের সরকারের উচিত এই বিষয়ে টেক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা।” তিনি নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন সহিংসতা বন্ধে দলমত–নির্বিশেষে একটি সাধারণ আচরণবিধি এবং দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করার পদ্ধতি বের করার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।


ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন:  রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৭:৩৮:৩৫
ড. ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হতে পারেন:  রাশেদ খান
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৪ মাস ধরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম

রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, “আমি মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো একজন উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও চাইলে দায়িত্ব নিতে পারেন।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ মাসে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে তারা কাজ করেছেন, এখন পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিক।” তিনি প্রশ্ন করেন, “সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে বিপ্লবী জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে লাভ কী?”

রাশেদ খান একটি সংবাদপত্রের ফটোকার্ড যুক্ত করেন, যেখানে ড. ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বৈধ, তবে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং যেকোনো সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।


পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৭:১৬:৪২
পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে দেশের মানুষ: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ (Proportional Representation) পদ্ধতি দেশে সবসময় ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’ এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেছেন:

“পিআর পদ্ধতি হচ্ছে একটা পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস (Permanent Restlessness) পদ্ধতি। যার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকে সব সময়ের জন্য। কোনো স্থায়ী সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায়। এটি ঝুলন্ত পার্লামেন্ট থাকে, অস্থির অবস্থা থাকে।”

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন, যা জনসংযোগ। এখন সবাই জনসংযোগে আছে। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।”

ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নির্বাচন

এই বিএনপি নেতা বলেন, তার দল ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি দল এবং তাদের রাজনীতি সমন্বয়ের রাজনীতি। তিনি বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে কোনো বিভাজন চাইনি, চাইও না, করবও না।”

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের আমেজ চলছে। এই অবস্থায় কোনো দল যদি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করে, জনগণ তাদের চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করার সম্ভাবনা আছে।


বাংলাদেশকে কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না:  রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৪:৫২:৩৮
বাংলাদেশকে কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না:  রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে কখনো কারও উপনিবেশ বানাতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে এবারও নাশকতামূলক কাজ করার অপচেষ্টা চলছে। তবে ঐক্যবদ্ধ জনগণ সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, “ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অপশক্তিকে প্রতিহত করা হবে। এবারও দুর্গাপূজাকে ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল, তবে অতীতের মতো সেটি সফল হয়নি।”

পিআর পদ্ধতি নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দল নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশি-বিদেশি শক্তি যারাই ষড়যন্ত্র করবে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিপক্ষে। তিনি বলেন, “ধর্মে ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি। সব ধর্ম-বর্ণের সমন্বয়ে রাজনীতি করে বিএনপি।”

তিনি বলেন, “আমরা পিআর মানে মনে করি পাবলিক রিলেশন বা জনসংযোগ। সেই পিআরে আমরা বিশ্বাস করি।” তবে যারা ‘প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ মানে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা) প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি সব রাজনৈতিক দলকে বিভেদ দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।


২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকেছে: ব্যারিস্টার খোকন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ২১:৪৪:০৫
২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকেছে: ব্যারিস্টার খোকন
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। তা না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

রোববার নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত ও পিআর পদ্ধতি

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকে আন্দোলন করেছে। এখন আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ায় তারা নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে।”

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সংগঠনে মূল্যায়নের আশ্বাস

সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলা বিএনপির কমিটিতে অনেক ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি মন্তব্য করে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে ত্যাগীদের যথাস্থানে মূল্যায়ন করা হবে।

পাঠকের মতামত: