এক কেজি ইলিশের বাজারমূল্য যত এখন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৩ ১৪:২২:৪৭
এক কেজি ইলিশের বাজারমূল্য যত এখন

রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে বর্তমানে ইলিশের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। এক কেজি ওজনের একটি নদীর ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার টাকা, যা পোশাক শিল্পে নিযুক্ত একজন শ্রমিকের প্রায় ছয় দিনের নিম্নতম মজুরির সমান। এই একটিমাত্র মাছের মূল্যে মধ্যম আয়ের একটি পরিবারের গ্রীষ্মকালীন এক মাসের বিদ্যুৎ বিল বা দুই মাসের গ্যাস বিল পরিশোধ করা সম্ভব।

ছোট আকারের ইলিশও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ৫০০ গ্রাম ওজনের চাঁদপুর বা বরিশালের নদীর ইলিশের দাম প্রতি কেজিতে দেড় হাজার টাকা এবং মাঝারি আকারের (৮০০ গ্রাম) প্রতি কেজিতে প্রায় দুই হাজার টাকা। সমুদ্র থেকে আহরিত ইলিশ তুলনামূলক সস্তা হলেও সেটিও সাধারণ ভোক্তার সাধ্যের মধ্যে নেই।

বিক্রেতারা দাবি করছেন, ইলিশের মৌসুম এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। কিন্তু বাজারে থাকা অল্প ইলিশই ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ জুন ঢাকার বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম এক হাজার থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকার মধ্যে ছিল, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।

গবেষক ও মৎস্যজীবীরা বলছেন, এ বছর ইলিশের উৎপাদন কমেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন ছিল ৫ লাখ ৭১ হাজার টন, যা ২০২৩-২৪ সালে কমে দাঁড়ায় ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও এই হ্রাস অব্যাহত থাকবে।

জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মহাসচিব ইকবাল হোসেনের মতে, জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিগত দুই বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা কার্যকরভাবে প্রয়োগ হয়নি। ফলে ইলিশের প্রজনন ব্যাহত হয়েছে এবং উৎপাদন কমেছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ শাখার সহকারী পরিচালক এম ফারুক ময়েদুজ্জামান জানান, পর্যাপ্ত জনবল ও লজিস্টিক সুবিধা না থাকায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি সম্ভব হয় না। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে না পারাই ইলিশ সংকটের মূল কারণ। এছাড়া, ইলিশের মাইগ্রেশন রুট ও প্রজনন পরিবেশেও পরিবর্তন এসেছে।

বিশেষজ্ঞ আনিছুর রহমান জানান, মে-জুন থেকে ইলিশ ধরা শুরু হলেও প্রধান মৌসুম সেপ্টেম্বর-নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু জুনের দ্বিতীয় ভাগেই আড়াই হাজার টাকায় এক কেজি ইলিশ বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক। ইলিশের উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক। একই সময় চাষের পাঙাশ বা তেলাপিয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও ইলিশের দাম ১০ গুণ বেশি।

কারওয়ান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় কম দামে বিক্রি সম্ভব হয় না।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন বলেন, আড়তদারদের 'সিন্ডিকেটের' কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, তদন্তে দেখা গেছে, নিজেদের মধ্যে নিলাম ডেকে মাছের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে আড়তদারদের সংগঠন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, যেহেতু প্রতি ট্রিপে ৫-১০টি মাত্র ইলিশ ধরা পড়ে, তাই সেই পরিমাণ মাছ বিক্রয় করে খরচ উঠানোই কঠিন হয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য শুধু মূল্য নির্ধারণ যথেষ্ট নয়। উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে ভোক্তাবান্ধব দাম নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর না হলে মা ইলিশ ও জাটকা ধ্বংস অব্যাহত থাকবে, যা দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদন হ্রাস ও মূল্যবৃদ্ধি ঘটাবে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্যাগ: ইলিশের দাম

 ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতাতেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলার মহোৎসব

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৯:০১:২০
 ক্যালেন্ডারের প্রথম পাতাতেই শুরু হচ্ছে বাণিজ্য মেলার মহোৎসব
ছবি : সংগৃহীত

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ পূর্বাচলে বসছে দেশের সর্ববৃহৎ পণ্য প্রদর্শনী ‘৩০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৬’। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) নিশ্চিত করেছে যে আগামী ১ জানুয়ারি পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এবারের মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘বাংলাদেশ স্কয়ার’। ইপিবি জানিয়েছে যে এই বিশেষ প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পাবেন। মেলায় দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ৩৫০টিরও বেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন অংশ নেবে। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে যে ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সিঙ্গাপুর ও আফগানিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেলায় সরাসরি বা দেশীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দর্শনার্থীদের যাতায়াত ও প্রবেশের সুবিধার্থে মেলায় এবারও ই-টিকিটিং সুবিধা চালু থাকছে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেলায় আসা শিশুদের বিনোদনের জন্য আলাদাভাবে দুটি শিশুপার্ক স্থাপন করা হয়েছে যাতে সপরিবারে আসা দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতে পারেন। উল্লেখ্য যে ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের এই স্থায়ী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলা নিয়মিত আয়োজন করা হচ্ছে এবং এবারের আসরটিকে আরও সুশৃঙ্খল করতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

মাঝে মেলার নাম পরিবর্তনের প্রাথমিক কিছু আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাণিজ্য মেলার স্টিয়ারিং কমিটি আগের নাম অর্থাৎ ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা’ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে মেলার ‘আন্তর্জাতিক চরিত্র’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নাম থেকে আন্তর্জাতিক শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। ফলে বরাবরের মতোই ডিআইটিএফ নামেই এটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ছাড় দিল সরকার 

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১২:১০:৫৮
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ছাড় দিল সরকার 
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খেজুর আমদানির ওপর বড় অংকের শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে সামগ্রিক আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে রমজানে খেজুরের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বাজারমূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারের এই নতুন নির্দেশনা ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে এবং এটি ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গত ২৩ ডিসেম্বর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আমদানিকারকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে যা সরাসরি খুচরা বাজারের মূল্যে প্রভাব ফেলবে। এছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর সংক্রান্ত বিধিমালাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। খেজুরসহ সব ধরণের ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। এই কর ছাড়ের ফলে আমদানিকারকদের খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে যে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে এমন বড় ধরণের ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুরের মজুত থাকবে। ভোক্তারা তাদের পছন্দের উন্নত মানের খেজুর সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করার সুযোগ পাবেন। গত বছর অগ্রিম আয়করে যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল তা চলতি বছরেও বহাল রাখা হয়েছে যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের উঠানামা দেশের স্থানীয় বাজারে খুব একটা প্রভাব ফেলতে না পারে। সরকার আশা করছে যে ব্যবসায়ীরা এই সুবিধার সুফল সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন।

প্রতিবছর রমজান মাস ঘনিয়ে এলে খেজুরের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে আমদানি পর্যায়ে উচ্চ শুল্ক হারের কারণে বাজারে দাম চড়া থাকে এমন যুক্তি দেখান ব্যবসায়ীরা। সরকারের পক্ষ থেকে আগাম এই শুল্ক কমানোর উদ্যোগ মূলত অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামানোর একটি কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এনবিআরের এই পদক্ষেপের পর খুচরা বাজারে ঠিক কতটুকু দাম কমে তা এখন দেখার বিষয়। সাধারণ মানুষ মনে করছেন সঠিক তদারকি নিশ্চিত করা গেলে এবার ইফতারের থালায় খেজুরের অভাব হবে না।


এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১১:১৬:৩৭
এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান কারিগর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীর হওয়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মানে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে।

২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের হিসাব অনুযায়ী প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৮ টাকা ৬১ পয়সা।

ইউরোপীয় অঞ্চলের শক্তিশালী মুদ্রা ইউরো আজ ১৩৪ টাকা ১২ পয়সায় কেনাবেচা হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্রিটেনের পাউন্ডের মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ১৫৯ টাকা ২৪ পয়সায় পৌঁছেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুদ্রার মান অর্থাৎ প্রতি রুপি আজ বাংলাদেশি ১ টাকা ৪১ পয়সা দরে বিনিময় হচ্ছে।

প্রবাসীদের সুবিধার্থে এই রেটগুলো নিয়মিত আপডেট করা হলেও আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতার কারণে যেকোনো সময় এই মূল্যের পরিবর্তন হতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শ্রমবাজারের দিকে তাকালে দেখা যায় যে সৌদি রিয়ালের দাম আজ ৩১ টাকা ৮৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের মান আজ ২৭ টাকা ৮৯ পয়সা এবং সিঙ্গাপুর ডলার ৯১ টাকা ৭০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

কুয়েতি দিনার বরাবরের মতোই সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে যার বর্তমান মূল্য ৪১২ টাকা ৭০ পয়সা।

এছাড়া উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কানাডিয়ান ডলার ৯০ টাকা ৫০ পয়সা এবং অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ টাকা ২৫ পয়সা দরে লেনদেন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে এই বিনিময় হার প্রতিনিয়ত উঠানামা করে। ব্যাংকিং চ্যানেল বা মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় সর্বশেষ দরটি যাচাই করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বৈধ পথে টাকা পাঠালে প্রবাসীরা সরকারের দেওয়া প্রণোদনা লাভের সুযোগ পাবেন যা জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।


রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দাম এখন আকাশচুম্বী

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ০৯:০৩:১০
রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দাম এখন আকাশচুম্বী
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাসে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণ বা পিওর গোল্ডের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২৫ হাজার টাকার গণ্ডি অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নতুন দর নির্ধারণের কথা জানিয়েছে। সংগঠনের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বর্ধিত মূল্য বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে যা মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এক বড় দুঃসংবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাজুসের নতুন দর তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে উন্নত মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ১৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৬ টাকায় বিক্রি হবে। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৫ টাকায়। তবে বাজুস স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিক্রয়মূল্যের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং নূন্যতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে যা গ্রাহকের চূড়ান্ত খরচের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেবে।

পরিসংখ্যান বলছে যে চলতি বছরটি স্বর্ণের বাজারের জন্য ছিল অত্যন্ত অস্থির। এ নিয়ে ২০২৩ সালে মোট ৮৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৬২ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে এবং মাত্র ২৭ বার কমানো সম্ভব হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বরও স্বর্ণের দাম এক দফা বাড়ানো হয়েছিল তবে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বড় অংকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে কাঁচামালের সংকটকে এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

স্বর্ণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রূপার দামও। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম এখন ৫ হাজার ১৩২ টাকা যা আগের তুলনায় ভরিতে ১৭৫ টাকা বেশি। রূপার অন্যান্য মানের দামও একইভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১২ বার রূপার দাম পরিবর্তন করা হয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিয়ের মৌসুমের আগে স্বর্ণ ও রূপার এমন লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম হয়েছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকলে নিকট ভবিষ্যতে দাম কমার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।


ভারতের সাথে তিক্ততা চায় না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ১৮:২৮:৩২
ভারতের সাথে তিক্ততা চায় না সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে কোনো ধরনের তিক্ত সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নয় বরং বিদ্যমান টানাপড়েন কাটিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে বদ্ধপরিকর। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারের এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করেন। তিনি জানান যে বড় প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন সচল রাখতে সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

অর্থ উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে ভারতের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক শীতলতা বা টানাপড়েন দূর করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেও ব্যক্তিগতভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন যে একটি বিশাল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে যে ভারতবিরোধী বক্তব্য কিংবা প্রচারণার কথা শোনা যাচ্ছে তা নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন যে এগুলো নিছক রাজনৈতিক বিষয় এবং এখানে সরকারের সরাসরি কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সরকার সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দুই দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য বা অর্থনীতির ওপর না পড়ে সে বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। এর অংশ হিসেবে সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই আমদানির ফলে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে যেমন নতুন গতি সঞ্চার হবে তেমনি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে। উপদেষ্টা আরও জানান যে ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সৃষ্টি হয়নি এবং ভবিষ্যতে যাতে কোনো সংকট না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে যদি কোনো তৃতীয় দেশের উস্কানি বা অযাচিত হস্তক্ষেপ থাকে তবে অন্তর্বর্তী সরকার তাতে পা দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন যে সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে ও বুদ্ধিমত্তার সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। জাতীয় স্বার্থ এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখাকেই সরকার এখন সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক এই সুসম্পর্ক কেবল সরকার নয় বরং দুই দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আজকের টাকার রেট:২৩ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ১১:১৭:৫১
আজকের টাকার রেট:২৩ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে টাকার মান এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে নিয়মিত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) মুদ্রার নতুন বিনিময় হার নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ইউএস ডলারের বিনিময় হার বর্তমানে ১২১ টাকা ৩৮ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে যা আমদানিকারক ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করছেন তাদের জন্য এই বিনিময় হার পণ্যের বাজার মূল্য নির্ধারণে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের জন্য আজকের মুদ্রার রেট রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

সৌদি রিয়ালের আজকের বিনিময় হার ৩২ টাকা ৫১ পয়সা

দুবাই দেরহামের মান ৩৩ টাকা ২০ পয়সা।

কুয়েতি দিনারের মান বর্তমানে ৩৯৭ টাকা ২৩ পয়সা যা বাংলাদেশি মুদ্রার বিপরীতে অন্যতম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

ওমানি রিয়াল ৩১৬ টাকা ৬৯ পয়সা

কাতারি রিয়ালের বিনিময় হার ৩৩ টাকা ৪৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর সময় এই বিনিময় হার দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউরোপ ও অন্যান্য উন্নত দেশের মুদ্রার ক্ষেত্রেও আজ উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে।

ব্রিটিশ পাউন্ডের আজকের রেট ১৬০ টাকা ১৭ পয়সা

ইউরোর বিনিময় হার ১৪১ টাকা ০৭ পয়সা।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ান রিংগিত ২৮ টাকা ৮৭ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলারের মান ৯৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের রুপির মান আজ ১ টাকা ৩৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুদ্রার এই ওঠানামা মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে যা প্রতিদিন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হালনাগাদ করা হয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে টাকার মানের এই নিয়মিত পরিবর্তন দেশের সামগ্রিক বাণিজ্য ভারসাম্য এবং মূল্যস্ফীতির ওপর বড় ধরণের প্রভাব ফেলে। আমদানিকারকরা যেমন এই হারের ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সাজান তেমনি সাধারণ মানুষও প্রবাস থেকে আসা অর্থের সঠিক মূল্য পেতে এই তথ্যের ওপর নির্ভর করেন। প্রতিদিনের এই হালনাগাদ তথ্য কেবল অর্থনৈতিক লেনদেনই নয় বরং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের স্থিতিশীলতা সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ০৮:৫৭:৪৭
স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বর্ণের দাম এক লাফে প্রতি ভরিতে ৩ হাজার ৯৬৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩ টাকা। গত কয়েক বছরের মধ্যে দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতুর দামে এটিই এখন পর্যন্ত একক বৃহত্তম উল্লম্ফন এবং দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মূল্যের রেকর্ড।

বাজুসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতেই এই মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে স্বর্ণের দাম নজিরবিহীনভাবে বাড়ছে এবং প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৪০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বর্ণের ক্রমবর্ধমান চাহিদাই এই আকস্মিক দাম বাড়ার মূল কারণ বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী ২২ ক্যারেট ছাড়াও অন্যান্য মানের স্বর্ণের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন থেকে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ টাকায় বিক্রি হবে। একইভাবে ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৯ টাকা। স্বর্ণের এই আকাশচুম্বী দামের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিয়ে বা উৎসবের কেনাকাটায় বড় ধরণের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্বর্ণের পাশাপাশি বাজুস রুপার দামও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যা আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে। নতুন তালিকায় ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা। ২১ ক্যারেট রুপার ভরি ৪ হাজার ৭২৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৮২ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম এখন ৩ হাজার ৩৩ টাকা। বাজুস স্পষ্ট করেছে যে গয়না কেনার ক্ষেত্রে এই নির্ধারিত দামের সাথে সরকারি ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং নূন্যতম ৬ শতাংশ মজুরি বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের অস্থিরতা বজায় থাকলে নিকট ভবিষ্যতে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জুয়েলার্স সমিতি।


বড় বিনিয়োগে কম মুনাফা: সঞ্চয়পত্রে নতুন নীতি আনছে সরকার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:০১:৫৩
বড় বিনিয়োগে কম মুনাফা: সঞ্চয়পত্রে নতুন নীতি আনছে সরকার
ছবি : সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার আবারও কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করতে একটি বিশেষ প্রস্তাব তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এই প্রস্তাব সংবলিত সারসংক্ষেপ ইতোমধ্যে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের দপ্তরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। গত ৩০ জুন গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাজার পরিস্থিতির সাথে সমন্বয় করার যে নিয়ম চালু হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বর বর্তমান হারের মেয়াদ শেষ হতে চলায় নতুন এই প্রস্তাবনা সামনে এল।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে যে এবারের প্রস্তাবে গড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তবে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একটি বিশেষ কৌশল নেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাব অনুযায়ী ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা এর কম অঙ্কের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি রাখা হবে। এর বিপরীতে যারা বড় অঙ্কের অর্থাৎ সাড়ে ৭ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন, তাদের জন্য মুনাফার হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। মূলত বড় অঙ্কের সঞ্চয় যেন সরকারি তহবিলের পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলে ফিরে আসে এবং বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, সেই লক্ষ্যেই এই নীতি নেওয়া হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার স্বার্থে ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমানোর একটি জোরালো দাবি রয়েছে। তবে সরকার দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা বিবেচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমান বাজারে পরিবার সঞ্চয়পত্র সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও ১ জুলাই থেকে এর মুনাফার হার ১২ শতাংশের নিচ নেমে এসেছিল। নতুন প্রস্তাব কার্যকর হলে পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফা আরও কিছুটা হ্রাস পাবে। তবে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ হিসাবের মুনাফার হারে আপাতত কোনো পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যায়নি।

ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও তারা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঋণের চাহিদা কম থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। গত বছর এই হার ঋণাত্মক থাকলেও এ বছর সঞ্চয়পত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় মুনাফার হার কমানোর এই সিদ্ধান্ত সাধারণ সঞ্চয়কারীদের আয়ের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে এবং তা মুদ্রাস্ফীতির এই সময়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে কতটা চাপে ফেলবে, তা নিয়ে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টার অনুমোদনের পর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ বিষয়ে চূড়ান্ত পরিপত্র জারি করবে।


আজকের টাকার রেট: সোমবার ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১০:৫৯:২২
আজকের টাকার রেট: সোমবার ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিদিনের মুদ্রার দর জানা অপরিহার্য। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার মান সরকারি ও বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন রূপ নিয়েছে।

আজকের বাজারে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার ১২২ দশমিক ২২ টাকায় অবস্থান করছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

সৌদি রিয়াল আজ ৩২ দশমিক ৫৯ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেরহাম ৩৩ দশমিক ২৮ টাকা

ওমানি রিয়াল ৩১৭ দশমিক ৪৮ টাকায় স্থির হয়েছে।

মুদ্রার বাজারে বরাবরের মতো সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে কুয়েতি দিনার যার আজকের বিনিময় হার ৩৯৭ দশমিক ৯৩ টাকা।

বাহরাইন দিনারের মানও বেশ উঁচুতে রয়েছে যার বর্তমান দর ৩২৫ দশমিক ০৮ টাকা।

কাতারি রিয়াল আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৩ দশমিক ৫৮ টাকায়।

ইউরোপীয় ও পশ্চিমা দেশগুলোর মুদ্রার দিকে তাকালে দেখা যায় যে

ব্রিটিশ পাউন্ড আজ ১৬৩ দশমিক ৫৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরোর মান আজ ১৪৩ দশমিক ১৬ টাকা।

কানাডিয়ান ডলার ৮৮ দশমিক ৫৯ টাকা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ দশমিক ৮৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ান রিংগিত ২৯ দশমিক ৯৬ টাকা,

সিঙ্গাপুর ডলার ৯৪ দশমিক ৫১ টাকা

জাপানি ইয়েন শূন্য দশমিক ৭৯ টাকায় অবস্থান করছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ১ রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি ১ দশমিক ৩৫ টাকা বিনিময় করা হচ্ছে।

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব মুদ্রার বিনিময় হার সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের এই ঊর্ধ্বগতি দেশের বাজারে পণ্যমূল্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীরা এই নির্ধারিত হারের কাছাকাছি সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে মনে রাখা প্রয়োজন যে ব্যাংক ও স্থানভেদে এই হারের সামান্য তারতম্য হতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত