রাজশাহীতে উঠল ভোক্তা অধিকার সচেতনতার ঝড়!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২১ ২১:৩৭:৫০
রাজশাহীতে উঠল ভোক্তা অধিকার সচেতনতার ঝড়!

রাজশাহীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও অনিয়ম প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)-এর আয়োজিত এক পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের ফোকলোর গ্যালারিতে আয়োজিত এই সভায় অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের স্বেচ্ছাসেবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিএস রাজশাহী জেলার কো-অর্ডিনেটর ও দৈনিক কালবেলার রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান আমজাদ হোসেন শিমুল। সঞ্চালনায় ছিলেন সিসিএস রাজশাহী মহানগরীর সদস্য রায়হান রোহান।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন।

ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “ভোক্তা অধিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতারণার শিকার ভোক্তাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা এবং অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভোক্তাদের শুধু আইন জানলেই হবে না, বরং নিজেদের সচেতন করে অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।”

অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম বলেন, “ভোক্তা অধিকার আসলে একটি মানবাধিকার। আজ আমরা একটি দুর্নীতিপূর্ণ পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছি—খাদ্যে ভেজাল, কম ওজন, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিবেশন—সবই এখন স্বাভাবিক দৃশ্য। এ অবস্থা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ হুমকি।”

তিনি আরও বলেন, “অধিকার কেউ স্বেচ্ছায় দেয় না, অধিকার আদায় করতে হয়। আর এ জন্য দরকার সচেতনতা ও নৈতিকতার বিকাশ।”

সভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর আওতাধীন ২১টি থানা ও উপজেলার সিসিএস প্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন, যাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তরুণ সমাজের প্রতিনিধি।

উল্লেখ্য, কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) গত ১৩ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত সংগঠনটি ৩০০টিরও বেশি সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, ওয়ার্কশপ ও ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে।

বর্তমানে সিসিএস-এর প্রায় ৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক কার্যক্রম চলছে এবং ৫২টিতে রয়েছে সংগঠনের স্বতন্ত্র কমিটি। দেশব্যাপী লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে সিসিএস, যা ভোক্তা সুরক্ষা আন্দোলনে একটি শক্তিশালী ভরসা হয়ে উঠেছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

প্রেস সচিবের বক্তব্যে বাকস্বাধীনতা, মব কালচার ও সাংবাদিকতার দ্বন্দ্ব: পাঠবিশ্লেষণ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি এক দীর্ঘ বক্তব্যে দেশের সাংবাদিকতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত... বিস্তারিত