জাতিকে একত্রিত নয়, ঝগড়া ফাটাচ্ছেন ড. ইউনুস!’—অবিশ্বাস্য টকশো বক্তব্য

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২১ ১৫:১৭:৫৮
জাতিকে একত্রিত নয়, ঝগড়া ফাটাচ্ছেন ড. ইউনুস!’—অবিশ্বাস্য টকশো বক্তব্য

জাতীয় ঐক্যমত গঠনের নামে দেশে বিভাজনের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল। সম্প্রতি একটি আলোচিত টকশোতে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন—"ড. ইউনুস জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে আসেননি, বরং তিনি ঘরে ঘরে বিভক্তি ও মতানৈক্যের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছেন।"

মাসুদ কামাল দাবি করেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এখন রাজনৈতিক মেরুকরণ এমনভাবে প্রবেশ করেছে যে, পরিবারেও রীতিমতো সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “ড. ইউনুস সাফল্যের সঙ্গে যা করতে পেরেছেন, তা হলো বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়া। আর এই অবস্থা সৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় দায় বর্তায় মেরুদণ্ডহীন, নীরব রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর—যারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।”

জাতীয় ঐক্যমত বিষয়ক আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ও সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজকে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে মাসুদ কামাল বলেন, “জাতীয় ঐক্যমতের সংজ্ঞা কী? এখানে কি পুরো জাতি ইনভলব হয়েছে? কে ঠিক করলো কারা স্বৈরাচারের দোসর, কারা নয়?” তিনি আরও বলেন, “আপনারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন যে একটি রাজনৈতিক দল বা তার ভোটারদের কণ্ঠ রোধ করা যাবে?”

আলোচনায় মাসুদ কামাল একটি সামাজিক ঘটনার উদাহরণ টেনে বলেন, “ফেসবুকে একজন বৃদ্ধকে বলতে শুনলাম—‘আমার দাদা আওয়ামী লীগ করতো, বাবা করতো, আমি করছি, আমার নাতিও করছে। আর আপনারা বলেন আওয়ামী লীগ নাই?’ এই মানুষদের কোথায় রাখলেন আপনারা ঐক্যমতের কাঠামোয়?”

ড. ইউনুসের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে মাসুদ কামাল বলেন, “উনি এসেছেন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার নামে মব-মেন্টালিটি তৈরি করতে। কেউ মুখ খুললেই তাকে ‘দোসর’ বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোও এতটাই দুর্বল ও আত্মবিশ্বাসহীন যে কেউ প্রতিবাদ করে না।”

তিনি বলেন, “এখন আমরা এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে মত প্রকাশ মানেই বিপদ। কে আপনাকে ‘দোসর’ বলবে? আপনার নিজের কি কোনো অবস্থান নেই? মুখ নেই?”

এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন, জাতীয় ঐক্যমতের নামে যেন এক ধরনের দমননীতি কার্যকর হচ্ছে, যেখানে সমালোচনাকে শত্রুতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।


আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:৩৮:০৩
আর্থিক স্বচ্ছতা বাড়াতে বাংলাদেশকে ৮ পরামর্শ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা আনতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট’ বা আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এই পরামর্শগুলো তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারের বাজেট কাঠামোই অনুসরণ করলেও, স্বচ্ছতা বাড়াতে কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া পরামর্শগুলো হলো:

১. বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা।

২. বাজেট নথি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি করা।

৩. নির্বাহী কার্যালয়ের ব্যয় আলাদা করে প্রকাশ করা।

৪. বাজেটে সরকারের রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরা।

৫. আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

৬. নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মতো প্রকাশ করা, যেখানে বিস্তারিত তথ্য ও প্রস্তাবনা থাকবে।

৭. প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ–সংক্রান্ত চুক্তির মূল তথ্য প্রকাশ করা।

৮. সরকারি ক্রয়ের তথ্য প্রকাশ করা।

প্রতিবেদনে আরও যা বলা হয়েছে

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগের সরকার বাজেট অনলাইনে প্রকাশ করলেও, বছরের শেষ হিসাব প্রতিবেদন সময়মতো দেয়নি। যদিও বাজেটের তথ্য সাধারণত নির্ভরযোগ্য, এটি আন্তর্জাতিক মান অনুসারে ছিল না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি ঋণের পরিমাণ প্রকাশ করা হলেও বাজেট নথিতে অনেক তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল। বিশেষ করে, নির্বাহী বিভাগের ব্যয় আলাদা করে দেখানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বরাদ্দ ও আয় প্রকাশ করা হলেও রাজস্ব ও ব্যয়ের সম্পূর্ণ হিসাব পাওয়া যায়নি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মনে করে, সরকারি নিরীক্ষক সংস্থা আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্বতন্ত্র নয়। তবে তারা স্বীকার করেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের প্রক্রিয়াকে উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করেছে এবং আগের সরকারের নেওয়া সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি স্থগিত করেছে।


প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৬:১২:১৮
প্রবাসীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ, আরব আমিরাত থেকে এলো অপ্রত্যাশিত খবর
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দেশে ভিসা জটিলতার মধ্যে এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশের জন্য পর্যটন ও কর্ম ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। সম্প্রতি দেশটির অভিবাসন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও আটটি দেশ রয়েছে।

বাংলাদেশসহ যে ৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, সেগুলো হলো:

আফগানিস্তান,লিবিয়া,ইয়েমেন,সোমালিয়া,লেবানন,ক্যামেরুন,সুদান,উগান্ডা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। শুধু পর্যটন বা কর্ম ভিসাই নয়, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইউএইতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন। বিজ্ঞপ্তিতে নিরাপত্তার উদ্বেগ, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯-এর মতো মহামারীকে এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দেশটির সরকার এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা এখনো দেয়নি।

এইচ-১বি ভিসার ফি বছরে এক লাখ ডলার, মার্কিন প্রযুক্তি খাতে বড় ধাক্কা

এদিকে, অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় এবার এইচ-১বি ভিসার ওপর নজর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসার বার্ষিক ফি ১,৫০০ ডলার থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার সমান।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি নিশ্চিতভাবেই ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির অংশ হিসেবে অভিবাসীদের আগমন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

এইচ-১বি ভিসা কী ও কাদের ওপর প্রভাব পড়বে?

এইচ-১বি ভিসা হলো একটি বিশেষ কর্মসূচি, যার মাধ্যমে মার্কিন কোম্পানিগুলো অস্থায়ীভাবে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করে। ২০০৪ সাল থেকে চালু এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর প্রায় ৮৫ হাজার বিদেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সুযোগ পান। প্রধানত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীরা এই ভিসার সুবিধা পান। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল এবং গুগলের মতো বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এই নতুন সিদ্ধান্তের কারণে এসব কোম্পানি এবং তাদের বিদেশি কর্মীদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।


যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১১:২৩:৫০
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় এক পরিবারের চারজন সদস্য এয়ার-কন্ডিশনার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে, প্রায় রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্তা, তার স্ত্রী এবং তাদের দুই শিশু সন্তান।

দগ্ধদের নাম জানা গেছে—মো. তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০) এবং তাদের দুই ছেলে তানভির (৯) ও তাওহিদ (৭)। স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের দ্রুত রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চারজনেরই শরীরে বিভিন্ন মাত্রার দগ্ধের চিহ্ন রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। বিস্ফোরণের কারণ প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট বা এসির কম্প্রেসর বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরোনো বা ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত পরীক্ষা না করলে এ ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। তারা বলেন, এসি ব্যবহার করলে সময়মতো সার্ভিসিং করা, বিদ্যুতের তার পরীক্ষা করা এবং অতিরিক্ত লোড এড়ানো জরুরি।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে।

-হাসানুজ্জামান


“গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১১:০৪:২১
“গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
ছবিঃ সত্য নিউজ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের হঠাৎ পরিদর্শনে থানা কার্যক্রমে শিথিলতা ও টহল ডিউটিতে অনিয়ম ধরা পড়ে।

ডিএমপির একটি অভ্যন্তরীণ নির্দেশনায় জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের আকস্মিক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এজন্য সব থানা ও টহল দলকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালাতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।

এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজে তদারকি করেন। বিকেল ৩টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন মো. নাজরুল ইসলাম সাধারণ পোশাকে মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, টহল দেওয়ার কথা থাকলেও থানার পাঁচটি গাড়ি—এর মধ্যে দুটি পেট্রোল কার—গ্যারেজে পার্ক করা অবস্থায় রয়েছে।

থানার ভেতরে প্রবেশ করে তিনি দেখেন, তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর আবদুল আলীম ও সহকারী কমিশনার একেএম মেহেদি হাসান স্বাভাবিকভাবে খাবার খাচ্ছেন এবং ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর মাসুদুর রহমান ছিলেন সম্পূর্ণ নিরুদ্বিগ্ন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তাদের রিজার্ভ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, পুলিশের মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ও সতর্কতা নিশ্চিত করতে এ ধরনের পরিদর্শন চলমান থাকবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি বা গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরেও কোনো কর্মকর্তা গাফিলতি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-হাসানুজ্জামান


 ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১০:৫১:২৩
 ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস কন্টিনজেন্ট গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক যৌথ কৌশলগত মহড়া ‘ওয়েস্ট-২০২৫’-এ সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

মহড়ার বিস্তারিত

পোস্টে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত যৌথ অভিযানিক সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যৌথ ও বহুজাতিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মোট ৩৭ জন সদস্য রাশিয়ার নিঝনি নভগোরোদ অঞ্চলের মুলিনো মিলিটারি ট্রেইনিং গ্রাউন্ডে এই মহড়ায় যোগ দেন।

মহড়ার প্রতিটি ধাপে সমন্বয়, প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নানা কৌশলগত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই মহড়ায় বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।


‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৯:০৫:৫২
‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
ছবি: সংগৃহীত

‘ব্লাড মুন’-এর পর এবার আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

গ্রহণের সময় ও দৃশ্যমান স্থান

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণের মোট ব্যাপ্তিকাল হবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। এটি বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে শুরু হবে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। গ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।

এই সূর্যগ্রহণ নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া এবং পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা থেকে দৃশ্যমান হবে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, এটি যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে শুরু হয়ে অ্যান্টার্কটিকার আলেকজেন্ডার দ্বীপে শেষ হবে।

আরও দেখুন

শুরু: বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১১টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।

সর্বোচ্চ গ্রহণ: বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে।

শেষ: বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে।


সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:৪৮:৫০
সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
ছবি: সংগৃহীত

নিজেকে সিআইএ এজেন্ট দাবি করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রহস্যময় মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী আমলা ও পদস্থ কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি একজন সচিবকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে বাঁচাতে দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি করেছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে, এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে দুজন উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এছাড়া একজন প্রভাবশালী আমলার নামে দুদকের বেশ কিছু মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার জন্য দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। রিমান্ডে থাকা কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তি সংক্রান্ত নানা ধরনের কথোপকথন, যোগাযোগ ও বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে টাকা লেনদেনের কোনো প্রমাণ এখনো হাতে আসেনি।

সহযোগী ও অর্থ লেনদেন

এনায়েত করিমের সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একাত্তর টিভিতে জিএম অপারেশন হিসেবে কাজ করতেন এবং ৫ আগস্টের পর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে ইস্তফা নেন। তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ জানান, এনায়েত তাকে মাসিক ২ লাখ টাকা বেতনে নিজের সহকারী হিসেবে রেখেছিলেন। মোস্তফা আজাদের মাধ্যমে এনায়েত বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠাতেন। গুলশানে এনায়েতের যে বাড়িতে থাকার কথা ছিল, সেখানে মোস্তফা আজাদ থাকতেন এবং সেই বাড়ির ভাড়া বাবদও মাসে ২ লাখ টাকা দিতেন এনায়েত।

বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট

রাজধানীর মিন্টো রোডে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় এনায়েত করিমকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪৮ ঘণ্টার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আরও পাঁচ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তার সহযোগী মোস্তফা আজাদকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জানান, এনায়েতের জব্দ করা আইফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা থেকে জানা যায় তিনি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে এসেছেন। তিনি ভারতকে নতুন সরকার গঠন করে দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।

এক কর্মকর্তা জানান, এনায়েত বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের মিশন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর তিনি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করেন এবং পরে গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। এই সময়ে তিনি সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। তার কাজ ছিল বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তথ্য সংগ্রহ করে তার গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠানো।


সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:৩৪:৪৪
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইনে জুয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণায় জড়িত ব্যক্তিদের ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫-এর ২০ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) একটি সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

এদিকে ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিলে (সিএ) বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নবম স্থান অর্জন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।

আগের মেয়াদে বাংলাদেশ সীমিত পরিসরে অংশ নিয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, বাকিগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, সীমিত অংশগ্রহণের কারণে পুনর্নির্বাচনের পথে বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এই ফলাফলকে একটি ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।


প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৯ ১৫:২৩:১৫
প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন

ইউনিভার্সাল পোস্টাল ইউনিয়নের (ইউপিইউ) প্রশাসনিক কাউন্সিলে (সিএ) বাংলাদেশ পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সদস্যপদ

গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইউপিইউ কাউন্সিলের নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৫৭ ভোটের মধ্যে ৯৭ ভোট পেয়ে নবম স্থান অর্জন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চার বছরের জন্য কাউন্সিলের সদস্যপদ পেল বাংলাদেশ।

কূটনৈতিক সাফল্য

এর আগের মেয়াদে বাংলাদেশ এই কাউন্সিলে সীমিত ভূমিকা রেখেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বরে মাত্র একটি সরাসরি বৈঠকে অংশ নেয়, আর বাকি কার্যক্রমগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিল। তাই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার সুযোগ কম ছিল। সীমিত অংশগ্রহণের কারণে অনেকের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, পুনর্নির্বাচনের পথে এটি বাধা হতে পারে। তবে সমন্বিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এই ফলাফলকে একটি বড় ‘কূটনৈতিক সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

সূত্র : বাসস

পাঠকের মতামত: