জলাবদ্ধতায় অচল দেশের লাইফলাইন, বছর ঘুরে আবারও সোনাপাহাড় ডুবে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৯:৫৩:১৩
জলাবদ্ধতায় অচল দেশের লাইফলাইন, বছর ঘুরে আবারও সোনাপাহাড় ডুবে

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী অংশে সোনাপাহাড় এলাকায় প্রায় ৩০০ মিটার অংশ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পানির নিচে ছিল। এতে করে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা, অপরিকল্পিত শিল্প স্থাপনা ও জলাধার দখল এই সংকটের জন্য দায়ী।

মহাসড়কে ২৯ কিলোমিটারজুড়ে নানা স্থানে গর্ত ও খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সোনাপাহাড় এলাকায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের অধীনে দীপন গ্যাস কোম্পানির পাইপলাইন স্থাপনের পর মাটি সরিয়ে না নেওয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা নাসির উদ্দিন দিদার কর্তৃক সওজের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা ‘আরশিরনগর ফিউচার পার্ক’-এর কারণে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এর ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটির ওই অংশে পানি জমে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “অপরিকল্পিত শিল্প স্থাপনা ও কৃষিজমি ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল এসে সেই সংকট আরও প্রকট করেছে।”

এক যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, “সোনাপাহাড় এলাকায় পানি আর গর্তে গাড়ি চলছিল খুবই ধীরে। এতে করে যানজটও হয়।”

চয়েস পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, “বারইয়ারহাট থেকে মিরসরাই পৌঁছাতে যেখানে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট, সেখানে বৃহস্পতিবার আমাদের লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা।”

প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্যজোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সড়কে পানি ওঠায় গাড়ি ধীরগতিতে চলছে। পানি সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান জানান, “সোনাপাহাড় এলাকায় পানি অপসারণ ও পানি চলাচলের পথ উন্মুক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে। মহাসড়কে তৈরি হওয়া গর্তে সাময়িকভাবে ইট বিছানো হয়েছে। বৃষ্টি কমলে স্থায়ী সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু তাৎক্ষণিক সমাধানে নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও জলাধার রক্ষা ছাড়া এই সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত