জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নস্যাৎ, প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড নিশ্চিত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ২৩:২১:০৮
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুযোগ নস্যাৎ, প্রতারণায় দুই বছর কারাদণ্ড নিশ্চিত

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সরকার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। এই নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রমের আইনি ভিত্তি সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে অথবা তথ্য গোপন করে নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি করে সরকারি চিকিৎসা, আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসনের সুযোগ নেন, তাহলে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ নেওয়া সুবিধার দ্বিগুণ অর্থ জরিমানা করা হবে।

এর মাধ্যমে সরকার পুরনো-নতুন নানা কৌশলে সুবিধা নেওয়ার প্রতারণা রোধ করতে চায় এবং প্রকৃত শহীদ পরিবারের সঠিক সুরক্ষা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।

পুনর্বাসনের ব্যাপারে কার্যক্রমসমূহঅধ্যাদেশে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যাপক সহায়তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি,দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক উপার্জনমুখী প্রশিক্ষণ, যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থান, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনএই অধ্যাদেশের আওতায় গঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকা প্রকাশ করবে, যা এই আইনের অধীনে বৈধ স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হবে।

তবে, আহতদের শ্রেণীবিভাজন ও স্বীকৃতির ক্ষেত্রে তিনটি বিভাগ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও তার পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষিতে তাদের প্রয়োজন ও অবস্থার সঙ্গে খাপ খায়।

আইনি প্রতিরোধ ও স্বচ্ছতাঅধ্যাদেশের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো প্রতারণামূলক দাবির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে প্রকৃত শহীদ পরিবারের প্রতি সরকারি সাহায্য পৌঁছানো যায় এবং এই মহান গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও যোদ্ধাদের প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা পূর্ণতা পায়।

গত ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়ার পর এটি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গতি আনা হয়েছে, যা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মানবিক ও ন্যায়সংগত পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত