মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে তুরস্ক-রাশিয়ার ঐক্য, সংঘাত বন্ধের তাগিদ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ১৮:২০:১১
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে তুরস্ক-রাশিয়ার ঐক্য, সংঘাত বন্ধের তাগিদ

তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি একটি উচ্চপর্যায়ের ফোনালাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তুরস্কের আংকারা প্রেসিডেন্সির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরাজমান সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ করার ওপর একমত পোষণ করেছেন এবং এ সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

এরদোগান তাঁর বক্তব্যে আবারও জোর দিয়েছেন যে, ইরান ও বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে পারমাণবিক আলোচনাকে পুনরায় শুরু করাই এই সংকটের একমাত্র কার্যকর সমাধান। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মাধ্যমেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সব বিতর্ক নিষ্পত্তি করা উচিত।” এরদোগানের এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চেষ্টাকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।

অন্যদিকে, রাশিয়ার ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, পুতিন ও এরদোগান ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ‘বলপ্রয়োগ’কে কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা উভয়ই এই সংঘাতের দ্রুত বৃদ্ধি ও তীব্রতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা ইতিমধ্যে প্রচুর প্রাণহানিসহ ব্যাপক মানবিক ও নিরাপত্তাগত সংকট তৈরি করেছে। এই সংঘাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত সকল দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পথেই নিষ্পত্তি করা উচিত, যাতে সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা কমানো যায় এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, দুই রাষ্ট্রনেতা মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরদোগান ও পুতিন উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সময়মতো সঠিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সংঘাতের তীব্রতা কমানো সম্ভব হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভবপর হবে।

এই আলোচনাটি আন্তর্জাতিক মহলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্ববহ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে দুই শক্তিধর দেশের নেতৃত্ব কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে জোর দিয়ে সামরিক উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্ব শান্তি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত