মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির পথে তুরস্ক-রাশিয়ার ঐক্য, সংঘাত বন্ধের তাগিদ

তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি একটি উচ্চপর্যায়ের ফোনালাপে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তুরস্কের আংকারা প্রেসিডেন্সির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিরাজমান সংঘাত অবিলম্বে বন্ধ করার ওপর একমত পোষণ করেছেন এবং এ সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
এরদোগান তাঁর বক্তব্যে আবারও জোর দিয়েছেন যে, ইরান ও বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে পারমাণবিক আলোচনাকে পুনরায় শুরু করাই এই সংকটের একমাত্র কার্যকর সমাধান। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মাধ্যমেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সব বিতর্ক নিষ্পত্তি করা উচিত।” এরদোগানের এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক চেষ্টাকে প্রাধান্য দেওয়ার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
অন্যদিকে, রাশিয়ার ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, পুতিন ও এরদোগান ইসরায়েলের ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ‘বলপ্রয়োগ’কে কড়া সমালোচনা করেছেন। তারা উভয়ই এই সংঘাতের দ্রুত বৃদ্ধি ও তীব্রতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যা ইতিমধ্যে প্রচুর প্রাণহানিসহ ব্যাপক মানবিক ও নিরাপত্তাগত সংকট তৈরি করেছে। এই সংঘাতের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা শত্রুতা অবিলম্বে বন্ধ করার ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত সকল দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক পথেই নিষ্পত্তি করা উচিত, যাতে সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা কমানো যায় এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, দুই রাষ্ট্রনেতা মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরদোগান ও পুতিন উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সময়মতো সঠিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সংঘাতের তীব্রতা কমানো সম্ভব হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভবপর হবে।
এই আলোচনাটি আন্তর্জাতিক মহলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে এক গুরুত্ববহ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে দুই শক্তিধর দেশের নেতৃত্ব কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে জোর দিয়ে সামরিক উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা বিশ্ব শান্তি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছেন।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?