গণতন্ত্রের পথে অটল বিএনপি: আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ১৫:৫৩:০৪
গণতন্ত্রের পথে অটল বিএনপি: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই থেকেই সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার (১৬ জুন) লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, সেই পথেই দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে।”

তিনি অভিযোগ করেন, “গত দুই দশকে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়নি। এই গণতান্ত্রিক শূন্যতা কাটিয়ে জনগণ এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকানার অধিকার ফিরে পেতে চায়।”

নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক উত্তরণই বিএনপির মূল লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, “নির্বাচনই একমাত্র পথ এ বিষয়ে এখন সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।”

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রমজানের আগে বিচার ও কাঠামোগত সংস্কারে অগ্রগতি চায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “সংস্কার একটি ঐকমত্যনির্ভর প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান ও দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। আমরা মনে করি, এই ঐকমত্যে পৌঁছাতে বড়জোর এক থেকে দেড় মাস লাগতে পারে।”

বিচার ব্যবস্থাকে একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যাদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব, তা আগামী ছয় মাসের মধ্যেই করা যাবে। আর কেউ যদি এই সময়ের মধ্যে না আসে, তাহলে পরবর্তী সরকার সেই দায়িত্ব পালন করবে।”

“নির্বাচন ছাড়া সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই,” বলেই সরকারকে দ্রুত নির্বাচনমুখী কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি বলেন, “যদি সব রাজনৈতিক শক্তি গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখে, তাহলে তাদের মতামতের স্বীকৃতি এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই হবে গণতন্ত্রের প্রকৃত চর্চা।”

বিএনপির নির্বাচনের সময়সীমা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব, এমনটি আমরা সবসময় বলে এসেছি। তবে ফেব্রুয়ারিও খুব বেশি দূরে নয়। সময়ের সদ্ব্যবহার করে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।”

তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কেয়ারটেকার সরকারের ধারণা মূলত নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্যই। সেই নিরপেক্ষতা আসন্ন নির্বাচনেও বজায় থাকবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি।”

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত