ঈদের পর বাজারে কমেছে যেসব পণ্যের দাম!

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ১১:৪৯:১০
ঈদের পর বাজারে কমেছে যেসব পণ্যের দাম!

কোরবানি ঈদের দীর্ঘ ছুটির রেশ এখনও কাটেনি। তবে আসন্ন কর্মদিবসের প্রস্তুতিতে ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে রাজধানী। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়ছে রাজধানীর কাঁচাবাজারেও।শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর পল্লবী, মিরপুর ১২ নাম্বার ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ দোকান খোলেনি, ক্রেতার চাপও তুলনামূলকভাবে কম। তবে পণ্যের দামে দেখা গেছে স্বস্তির ছোঁয়া।

ঈদের আগে দাম বেড়ে যাওয়া ব্রয়লার ও কক মুরগির বাজার এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে।বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি জাতের কক মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩০০-৩২০ টাকা পর্যন্ত।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন বলেন, “ঈদের আগে প্রচুর চাপ থাকায় দাম বেড়েছিল। এখন ক্রেতা কম, যারা ঈদের জন্য আগেই কিনে রেখেছেন। ফলে দাম কমেছে, কিন্তু বিক্রি তুলনামূলকভাবে ধীর।”

সবজির বাজারেও ঈদের পর কমতি দেখা যাচ্ছে। পেঁপে, পটোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, করলা, লাউ, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, লতি—এসব সবজি এখন ৪০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল অনেক বেশি।তবে শীতকালীন টমেটো এখনো আগের মতই ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের অধিকাংশ গরু ও খাসির মাংসের দোকান বন্ধ। হাতে গোনা কিছু দোকানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির পর সাধারণত মাংসের চাহিদা হঠাৎ কমে যায়, এজন্য এখন তেমন বিক্রি নেই।

বাজারে ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৩০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল (ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর ব্র্যান্ড) প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকা।সয়াবিন তেল (বোতলজাত) প্রতি লিটার ১৮৯ টাকাতেই স্থির রয়েছে। পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা ও আলু ২০-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের দরের মতোই।

চিংড়ির দাম এখনো নাগালের বাইরে। বড় গলদা চিংড়ি ১৪০০-১৫০০ টাকা, বাগদা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই ও কাতলা ৩৫০-৩৮০ টাকায়, কই মাছ ২৫০-৪০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ ও পাঙাশ ২০০-২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগের রাতে বাড়তি চাহিদার কারণে হঠাৎ করে বেড়ে যায় সালাদ জাতীয় পণ্যের দাম। এখনও সেই ধাক্কা পুরোপুরি কাটেনি।লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা, শসা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরে বাজারে ক্রেতা কিছুটা কম থাকাই স্বাভাবিক। রবিবার (১৫ জুন) অফিস ও কর্মস্থল খুললে বাজারে ফের ক্রয়চাপ বাড়বে। তখন আবার চাহিদা অনুযায়ী কিছু পণ্যের দামে সামান্য ওঠানামা হতে পারে।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত