ইউনূস-তারেক বৈঠক! নির্বাচন কি এগোবে? লন্ডনে সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে জাতীয় নির্বাচন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ২০:০৪:৫৪
ইউনূস-তারেক বৈঠক! নির্বাচন কি এগোবে? লন্ডনে সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে জাতীয় নির্বাচন

দেশের রাজনীতির মাঠ ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচিকে ঘিরে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা, জল্পনা এবং সম্ভাব্য সমঝোতার নানা হিসাব-নিকাশ।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি দাবি করে আসছে যে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা সেই প্রস্তাবনার চেয়ে খানিকটা আগেভাগেই নির্ধারিত হওয়ায় দলটি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে পরিস্থিতি এবার ভিন্ন মাত্রা পাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে।

লন্ডনে ঐতিহাসিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের অপেক্ষা

আগামী শুক্রবার (স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টা), লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠক। বৈঠকটিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন "টার্নিং পয়েন্ট"। বৈঠকের স্থান, সময় ও ধর সব কিছুতেই এই বৈঠকটির গুরুত্ব ও সংবেদনশীলতা স্পষ্ট।

দুই পক্ষের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আনার বিষয়টি হবে প্রধান আলোচ্য। বিএনপির পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধকে সম্ভাব্য গ্রহণযোগ্য সময়সীমা হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে, যদি সরকার এপ্রিল থেকে পিছু হটে। আলোচনায় আরও উঠে আসবে—চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা, নির্বাচন-পরবর্তী শাসন কাঠামো এবং ‘জুলাই সনদ’ ইস্যু।

বিশ্লেষকদের মতে, বৈঠকে যদি পরস্পরের অবস্থান কাছাকাছি আনা যায়, তবে তা দেশের রাজনীতিতে নতুন এক ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে। তবে ব্যর্থতা এলে রাজনীতিতে আরও অস্থিরতা, অসন্তোষ ও সংঘাত দেখা দিতে পারে, যা জনজীবন ও অর্থনীতির জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।

এ ধরনের বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত কি না, তা নিয়েও রয়েছে মতভেদ। অনেকেই মনে করছেন, প্রাথমিক সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা গোপন রাখা শ্রেয়। অন্যদিকে কেউ কেউ মনে করছেন, এই আলোচনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। সে লক্ষ্যে আমরা দায়িত্বশীলভাবে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে চুপ থাকা এবং আলোচনার ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা-ই হবে দেশের ও জনগণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত।”

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত