বঙ্গোপসাগরে বিরল অতিথি! কুয়াকাটায় ধরা পড়ল রঙিন ‘টিয়া মাছ’

পটুয়াখালীর কুয়াকাটার উপকূলীয় জেলে আবু সালেকের (৪০) জালে ধরা পড়েছে চারটি বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, যা স্থানীয়ভাবে ‘টিয়া মাছ’ বা ‘প্যারট ফিশ’ নামে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Scaridae cetoscarus, এ মাছগুলো সাধারণত ভারত মহাসাগরে বিচরণ করে এবং বাংলাদেশের জলসীমায় এর উপস্থিতি অত্যন্ত বিরল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের খান ফিস আড়তে নিয়ে আসা হয়। এর আগে বুধবার রাতে (১১ জুন) বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে মাছগুলো ধরা পড়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে আসা ট্রলার ‘এফবি আল্লাহর দোয়া-৪’–এর জালে। আবু সালেক সহ ১৭ জন জেলে ওই ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।
জেলে আবু সালেক বলেন, "প্রথমে বুঝতে পারিনি যে এই মাছগুলো এত বিরল। অনেক ইলিশ ও পোয়ার সঙ্গে এগুলোও ধরা পড়ে। আমাদের জালে আগে কখনও এমন মাছ আসেনি। এবারই প্রথম পেলাম। পরে পোয়ার সাথেই এগুলো নিলামে বিক্রি করেছি।"
এই চারটি মাছের ওজন মিলে প্রায় ৫ কেজি। নিলামে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি দরে মাছগুলো ২৫০০ টাকায় কিনে নেন স্থানীয় পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ। মাছগুলো চট্টগ্রামে পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছগুলো ‘Scaridae’ পরিবারের অন্তর্গত, যা সামুদ্রিক প্যারট ফিশ নামে পরিচিত। স্কারাস জুফার বা ধোফার প্যারটফিশ সাধারণত শৈবাল ও পাথুরে স্তর থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা শেওলা খাওয়ার পাশাপাশি ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে বলে তাদের আঁশ পুরু ও মজবুত হয়।
এই মাছের গড় দৈর্ঘ্য ১২ থেকে ২০ ইঞ্চি হলেও কিছু কিছু প্রজাতি ১.৩ মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। চোখে পড়ার মতো রঙিন গঠনই এর নামের উৎস: দেহজুড়ে তোতা পাখির মতো নীল ছোপ ছোপ দাগ ও উজ্জ্বল সোনালি লেজ এই মাছকে সহজেই আলাদা করে চেনা যায়।
অপু সাহা আরও বলেন, "বাংলাদেশে মাছটি দেখা যায় না বললেই চলে। সাধারণত এটি ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর, বিশেষ করে ফিলিপাইনের উপকূলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। বঙ্গোপসাগরে এই মাছের উপস্থিতি জলবায়ু ও সামুদ্রিক পরিবেশ পরিবর্তনের একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত হতে পারে।"
খান ফিস আড়তের মালিক রহিম খান বলেন, "এই প্রজাতির মাছ সচরাচর আমাদের আড়তে আসে না। তবে অনেক আগে একবার ছোট সাইজের প্যারট ফিশ এসেছিল। মাছগুলো সুস্বাদু বলে পরিচিত। চট্টগ্রামে ভালো দামে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
সমুদ্রবিজ্ঞানী ও মৎস্য গবেষকদের মতে, বঙ্গোপসাগরে বিরল প্রজাতির মাছের উপস্থিতি দেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে। প্যারট ফিশ শুধু রঙিন ও সুস্বাদু হওয়ায় নয়, বরং সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমে ভূমিকা রাখার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এসব মাছ প্রবালপ্রাচীর পরিষ্কারে অবদান রাখে এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত
পাসপোর্ট এবং ভিসা ছাড়াই ৩০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে বসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং ভারত তাদের ‘ট্রেনিং’ দিচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ এলাকায় এক উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি এবং সীমান্ত হত্যা নিয়েও কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “খুনি হাসিনাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে ভারতের হাই কমিশনারকে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া দরকার ছিল।”
তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, যারা দেশের ‘ফ্যাসিস্ট’ এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোনো দায়বদ্ধতা বা ‘ঠেকা’ বাংলাদেশের নেই।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেবল ন্যায্যতার ভিত্তিতেই হতে পারে উল্লেখ করে এনসিপি নেতা বলেন, “আপনারা যদি সীমান্তে আমাদের দেখামাত্রই গুলি করেন, তাহলে আমরা আপনাদের সালাম দেওয়ার নীতিতে থাকব না। আমাদের গুলি করার সামর্থ্য না থাকলেও অন্তত ঢিল মেরে হলেও এর প্রতিবাদ করব।”
তিনি ভারতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, তবেই বাংলাদেশ ভারতের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে। সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়েও তিনি পারস্পরিক নীতির কথা উল্লেখ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, টেলিভিশন ও সিনেমার মাধ্যমে দেশে ভারতীয় সংস্কৃতি বা ‘কালচার’ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি দেশবাসীকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রেখে তিনি বলেন, “লড়াই এই তরুণ প্রজন্মকেই করতে হবে। আমাদের আগের প্রজন্ম লড়াই করবে না। তারা গোপনে যোগাযোগ রাখে, প্রকাশ্যে রাখে না।”
জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা এবং জোটের শরিকদের সন্তুষ্ট রাখা নিয়ে বড় দলগুলো শেষ মুহূর্তের জটিল সমীকরণে পড়েছে।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের বাইরে থাকায় ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক দল সংসদে জায়গা করে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আসন ভাগাভাগি, ক্ষমতার সমীকরণ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিরোধী জোটগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ ও অভিমান।
বিএনপির শরিকদের ক্ষোভ ও ভাঙন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিএনপি। দলটি ইতিমধ্যে ২৭২টি আসনে নিজস্ব বা দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তবে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সঙ্গী শরিক দলগুলোর জন্য আসন ছাড় দিতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে তারা। মাত্র ২৮টি আসন শরিকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হলেও তা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় মিত্ররা।
সম্প্রতি গুলশানে অনুষ্ঠিত বিএনপি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকটি অস্বস্তিকর পরিবেশে শেষ হয়। আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ক্ষুব্ধ হয়ে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, কাঙ্ক্ষিত আসন না পেয়ে বিএনপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লেবার পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান অভিযোগ করেছেন, ‘বিএনপি বেইমানি করেছে।’
গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরও আসন সমঝোতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ২৯টি সমমনা দল বিএনপিকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করে ভুল বোঝাবুঝি অবসানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে বিএনপির ভেতরেও ঘোষিত ২৭২ আসনের মধ্যে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন চেয়ে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ ও নতুন জোট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল মিলে রাজনীতিতে একটি ‘বিকল্প শক্তি’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে। তারা ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ বা প্রতি আসনে জোটের একজন একক প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জামায়াত বেশি আসন নিজেদের দখলে রাখতে চাওয়ায় ছোট দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। একাধিক বৈঠক হলেও আসন বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সুরাহা এখনো হয়নি।
তরুণ ও বামদের নতুন মেরুকরণ জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত নতুন দলগুলোও পিছিয়ে নেই। এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে গঠন করেছে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’। এনসিপি ইতিমধ্যে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির একটি অংশ এবং বাম দলগুলো আলাদা আলাদা জোট গঠন করে ভোটের মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নিবন্ধিত দলগুলোকে এবার নিজস্ব প্রতীকেই ভোট করতে হবে। নিরাপত্তাসহ নানা শঙ্কা থাকলেও দেশজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া বইছে জোরেশোরে।
তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর সকালে তিনি ঢাকায় পা রাখবেন। মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওই নির্দিষ্ট ফ্লাইটের টিকিট কাটার জন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অনেক নেতা তাদের প্রিয় নেতার সফরসঙ্গী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ওই ফ্লাইটের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। লন্ডন সময় ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। তার সঙ্গে অন্তত ৫০ জন নেতাকর্মী থাকতে পারেন।
এদিকে দেশে ফেরার সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে ভিড় না করার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ভিড় করলে হট্টগোল সৃষ্টি হতে পারে, যাতে দেশের ও দলের সুনাম নষ্ট হবে। তাই কাউকে বিমানবন্দরে না যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমানের আগেই তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানও বাবার সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুলশান এভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসভবনটি তারেক রহমানের বসবাসের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বাড়ির সংস্কারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পুলিশ বক্স। দেয়াল রং করা হয়েছে এবং গেট বড় করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল জানিয়েছে, কোনো কারণে গুলশানের বাসা পুরোপুরি প্রস্তুত না হলে তিনি মা বেগম খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। দেশে ফিরে তিনি গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অফিস করবেন।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারেক রহমান। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ দেড় যুগ তাকে দেশের বাইরে অবস্থান করতে হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে গত সোমবার তাকে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বুধবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার প্রয়োজন রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এই ধাপটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে পরবর্তী চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের বরাতে শরিফ ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিকিৎসা সিঙ্গাপুর কিংবা প্রয়োজনে ইংল্যান্ডে সম্পন্ন হতে পারে। ব্রেনের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। বর্তমানে চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো শরীর ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সংযোগ পুনঃস্থাপন করা। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মস্তিষ্ক ছাড়া শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সক্রিয় রয়েছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডের বিজয়নগর এলাকায় হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। তিনি একটি রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় গুলিতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
হামলার পরপরই তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান, যাকে প্রধান সন্দেহভাজন শ্যুটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরজন আলমগীর হোসেন, যিনি মোটরসাইকেল চালকের ভূমিকায় ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এই দুই মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
-রফিক
ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিএনপির এক স্থানীয় নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তি লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক বিরু মোল্লা, বয়স প্রায় ৬০ বছর। অভিযোগ উঠেছে, তার আপন চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলাম মোল্লাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর সকালে আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের জমিতে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরু মোল্লা ও তার চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলাম মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বুধবার সকালে ওই বিরোধ মীমাংসার উদ্দেশ্যে বিরু মোল্লা জহুরুল ইসলাম মোল্লার বাড়িতে যান। এ সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলাম মোল্লা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে বিরু মোল্লাকে গুলি করেন।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিরু মোল্লাকে দ্রুত ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। অভিযুক্তকে আটক ও ঘটনার পেছনের বিস্তারিত কারণ উদঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
-শরিফুল
বিমানবন্দর থেকে গুলশান: তারেককে বরণ করতে বিশাল শোডাউনের ছক
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় পা রাখবেন—এমন খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতাকে বরণ করে নিতে রাজধানীতে চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত রাজপথ দখলে রাখার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে গঠিত হচ্ছে একাধিক বিশেষ অভ্যর্থনা কমিটি।
তারেক রহমানের বসবাসের জন্য গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাড়িটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই বাড়ির দলিল সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে দেশে ফেরার পর শুরুতে তিনি মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ‘ফিরোজা’ বাসভবনে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
বাসভবনের পাশাপাশি তারেক রহমানের দাপ্তরিক কাজের জন্য গুলশান ও নয়াপল্টনের কার্যালয়ে ব্যাপক সংস্কারকাজ চলছে। গুলশানে চেয়ারপারসনের কক্ষের পাশেই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য তৈরি হচ্ছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন চেম্বার।
সেখানে ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, ল্যাপটপ এবং বৈঠকের জন্য লাউঞ্জের ব্যবস্থা থাকছে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দোতলায়ও তার জন্য একটি সাদামাটা কিন্তু কর্মমুখী কক্ষ প্রস্তুত করা হচ্ছে, যেন তিনি তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারেন।
দেশে ফিরেই নির্বাচনী প্রচারণায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারেক রহমান। গত সোমবার বিজয় দিবসের এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে গ্রামে-গঞ্জে ও রাজপথে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গেই মিছিলে থাকবেন।
নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে ১০/সি বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কৌশল ও প্রচারণামূলক কাজ মনিটরিং করা হবে। সেখানে গবেষণা সেল ও ব্রিফিং রুম চালু করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিমানবন্দর এলাকায় লাখো নেতাকর্মী সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে তাদের প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিজয় দিবসে বড় ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে।
মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। বক্তব্যে তারেক রহমান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও গৌরবের দিন। একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করেন যে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে এখানকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সম্পর্ক গভীরভাবে গড়ে উঠেছে। তবে আসন্ন ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তারেক রহমান বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, সামনে যে সময় আসছে তা সহজ হবে না এবং নানা ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলাই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে বিএনপির রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।
-রাফসান
এয়ারপোর্টে আসবেন না: লন্ডন ছাড়ার আগে তারেক রহমানের বার্তা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে আয়োজিত বিজয় দিবসের এক বিশাল সমাবেশে নিজের দেশে ফেরার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দীর্ঘ প্রবাস জীবনের ইতি টেনে বাংলাদেশে ফিরছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এই সভায় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে একটি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন যে দেশে ফেরার দিন তাকে বিদায় জানাতে যেন কেউ লন্ডন বিমানবন্দরে ভিড় না করেন। তারেক রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত জনসমাগম অপ্রীতিকর হট্টগোল সৃষ্টি করতে পারে এবং বিদেশিরা যখন দেখবে যে ভিড় করা সবাই বাংলাদেশি তখন এতে বিদেশের মাটিতে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং বলেন যে এই দীর্ঘ সময়ে প্রবাসে বহু মানুষের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে এবং তিনি তাদের সঙ্গে নিজের অনেক সুখ-দুঃখ ও কষ্ট ভাগ করে নিয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন যে সবার সঙ্গে তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বিদায়বেলায় শৃঙ্খলা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে যারা তার এই অনুরোধ রক্ষা করে বিমানবন্দরে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন তিনি ধরে নেবেন তারাই প্রকৃত অর্থে দল ও দেশের সম্মানের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তারেক রহমান নিজের এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য উপস্থিত সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং ২৫ ডিসেম্বর তার এই প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজয় দিবসেই লন্ডনের মঞ্চে শেষবারের মতো তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরার চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজ মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবসের দিনে লন্ডনে নিজের শেষ দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিদায় ও দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। লন্ডনের স্থানীয় বিএনপি নেতারা নিশ্চিত করেছেন যে সময়ের স্বল্পতার কারণে কমিউনিটি ও সুধীজনদের সঙ্গে আলাদা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি তাই আজকের এই সমাবেশটিই কার্যত তারেক রহমানের আনুষ্ঠানিক বিদায়ী অনুষ্ঠান হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান খসরু জানিয়েছেন যে প্রিয় নেতার দেশে ফেরার আগে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্ভাব্য শেষ জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং অনুষ্ঠানটি সফল করতে দলের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজকের এই হাইভোল্টেজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক এবং সভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ। দলীয় সূত্রমতে জানা গেছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর তারেক রহমান যখন লন্ডনের কিংস্টনের বাসভবন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন তখন রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজারো নেতাকর্মী তাকে বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। উল্লেখ্য ২০০৭ সালের এক-এগারোর পটপরিবর্তনের পর কারাবরণ এবং পরবর্তীতে ২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর থেকে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন এবং আজকের এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার দীর্ঘ লন্ডন অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ভারত বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের ট্রেনিং দিচ্ছে: হাসনাত
- ১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে বরফ গলছে না: টানাপোড়েন এখন প্রকাশ্যে
- হাদির ওপর হামলা চালিয়ে মহারাষ্ট্রে আয়েশে ফয়সাল
- রাস্তায় নামার আগে দেখুন রাজধানীর আজকের কর্মসূচি
- ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
- জোটের জট আর আসনের অংক: ভোটের মাঠে শেষ মুহূর্তের নাটক
- ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
- বৃহস্পতিবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- তারেক রহমানের ফ্লাইটে টিকিট নিয়ে হুলুস্থুল: সব ‘সোল্ড আউট’!
- পারফিউমের গন্ধ সারাদিন ধরে রাখার জাদুকরী কৌশল
- চুল পড়া বন্ধের ৬টি সহজ ও কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
- নতুন অপারেশনের ঝুঁকি: হাদির চিকিৎসায় জটিলতা
- মামলা দেখার দরকার নেই, আ.লীগ হলেই অ্যাকশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলা: উত্তেজনা চরমে
- হাসনাতের প্রচারণায় আটক ২ ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তি
- ঋণের নামে লুটপাট: এস আলমের সাম্রাজ্যে দুদকের হানা
- অবশেষে কাটল জটিলতা: বইমেলার নতুন তারিখ ঘোষণা
- পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা: শরীরে বাসা বাঁধছে যে গোপন রোগ
- নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, সবাই নিরাপদে চলছে: উপদেষ্টা
- ইহুদি উৎসবে হামলাকারী বাবা-ছেলের পরিচয় মিলল
- নির্বাচন নিয়ে ভারতের ‘নসিহত’ অগ্রহণযোগ্য: তৌহিদ হোসেন
- ১৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১৭ ডিসেম্বরের বাজারে লুজার শেয়ারের তালিকা
- আজকের বাজারে শীর্ষ দশ লাভজনক শেয়ার
- বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের স্পট ট্রেডিং সূচি ঘোষণা
- খালি পেটে পাকা কলা খাওয়া: উপকার, ঝুঁকি ও সঠিক নিয়ম
- কূটনৈতিক উত্তেজনায় দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার তলব
- চার সরকারি বন্ডের কুপন রেকর্ড তারিখ ঘোষণা
- ডিএসইএক্স, ডিএসইএস ও ডিএস৩০-সবই লাল
- ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির চিকিৎসা নিয়ে নতুন তথ্য
- ঈশ্বরদীতে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
- আমিরাতে ব্যাংকিংয়ে আর লাগবে না ‘ওটিপি’
- IPL 2026 নিলামে কে কোথায়, জানুন বিস্তারিত
- মানুষকে ‘ভিন্ন জগতে’ নেওয়া ৬টি প্রাণী
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন: নেতানিয়াহুর ওপর চটলেন ট্রাম্প প্রশাসন
- বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন? জানুন আজকের বিনিময় হার
- আজ ঢাকার যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে: জেনে নিন তালিকা
- ভিডিও এডিটিং এখন আরও সহজ: অ্যাডোবির ফায়ারফ্লাই নতুন রূপে
- আইপিএলে রেকর্ড গড়েও ব্যাটে শূন্য গ্রিন
- রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সুদের হারে শেয়ারবাজারের করুণ দশা
- বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিএসইর গুরুত্বপূর্ণ বার্তা
- বিমানবন্দর থেকে গুলশান: তারেককে বরণ করতে বিশাল শোডাউনের ছক
- প্রথম প্রান্তিকে জেনেক্সের আর্থিক চিত্র প্রকাশ
- ব্যাংক এশিয়া বন্ডের কুপন রেকর্ড তারিখ ঘোষণা
- আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- তিন কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- এনএভি: কোন ফান্ড কোথায় দাঁড়াল
- বিজয় দিবসে বড় ঘোষণা দিলেন তারেক রহমান
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা








