গভীর সমুদ্রে রুপালি ইলিশের খোঁজে ছুটছে হাজারো জেলে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ০৯:২৫:১৯
গভীর সমুদ্রে রুপালি ইলিশের খোঁজে ছুটছে হাজারো জেলে

৫৮ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ শিকারে নেমেছেন উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলে। বহু প্রতীক্ষার পর বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাত ও বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে পটুয়াখালীর মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর থেকে শত শত মাছ ধরার ট্রলার পাড়ি দিয়েছে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে।

জেলেদের চোখে এখন শুধুই স্বপ্ন—ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত রুপালি ইলিশ। তারা আশাবাদী, এ বছরের নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে কার্যকর হওয়ায় ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন হবে আগের তুলনায় ভালো।

জেলে রুহুল মাঝি বলেন, “সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে এখন সমুদ্রে যাচ্ছি। ভালো মাছ পাওয়ার আশা করছি।” একই প্রত্যাশা জেলে দিদার মাঝিরও, যিনি জানান, “নিষেধাজ্ঞা আমরা শতভাগ মেনে চলেছি। আশা করি, এবার সমুদ্রে মাছ পাওয়া যাবে ভালোভাবে।”

তবে বাস্তবতার চিত্র কিছুটা ভিন্ন বলছেন জেলে করিম দফাদার। “এই ৫৮ দিনে আমরা ধারদেনায় চলেছি। সরকার যে পরিমাণ চাল দিয়েছে তা দিয়ে সংসার চলেনি। এখন সমুদ্রে যদি মাছ না পাই, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে,”—বলেন তিনি।

অন্যদিকে মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা বলেন, “আমরা নিষেধাজ্ঞা শতভাগ মেনেছি, কিন্তু বরগুনা, ভোলা, রামগতি প্রভৃতি অঞ্চলে প্রকাশ্যে মাছ ধরা হয়েছে অবরোধকালীন সময়ে। এতে প্রকৃত নিষেধাজ্ঞা মানা জেলেরা লোকসানে পড়তে পারে।” তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, “৫-৬ লাখ টাকার বাজার দিয়ে যে বোট আমরা পাঠিয়েছি, আল্লাহ সহায় হলে তার ফল ভালোই হবে।”

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “এ বছর সরকারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে যথাযথভাবে। সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছ সুষ্ঠুভাবে প্রজনন করতে পেরেছে। ফলে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। উপকূলের জেলেরা এবার ভালো পরিমাণে ইলিশসহ মাছ পাবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এবার সময় পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন করা হয়। এই সময়ে সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ ধরা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ছিল। কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত