রাজশাহীতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর বিএনপি, বহিষ্কার দুই নেতার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ১৮:৪৪:২২
রাজশাহীতে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর বিএনপি, বহিষ্কার দুই নেতার

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা এবং বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকারের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে সরাসরি জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে বাধা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি সেনাবাহিনীর দৃষ্টিগোচর হলে আনোয়ারুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। যদিও তিনি তার জবাব দিয়েছেন, তবে তা দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে সন্তোষজনক বিবেচিত হয়নি।

অন্যদিকে, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও গুরুতর। গত সোমবার (৯ জুন) তিনি পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামে দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে নেতৃত্ব দেন বলে জানা গেছে। ভুক্তভোগী দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে। যদিও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ গণমাধ্যমকে জানান, “দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা রক্ষা করতে আমরা কোনো ধরনের ছাড় দিচ্ছি না। যেসব নেতা বা কর্মী দলীয় অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন বা আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়াবেন, তাদের বিরুদ্ধেও এভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত রাজশাহী জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি কড়া বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, দলের ভেতরে কোনো নেতাই নিয়মের ঊর্ধ্বে নন এবং দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় হাইকমান্ড প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এমন সময় বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ে দল পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে, তখন নেতাকর্মীদের আচরণ নিয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকা দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে ন্যায্যতা হারাতে পারে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত