কাশ্মীর ইস্যুতে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের, পাকিস্তানের কূটনীতিতে নতুন গতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ১২:২৭:৫০
কাশ্মীর ইস্যুতে বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত ট্রাম্পের, পাকিস্তানের কূটনীতিতে নতুন গতি

কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ নতুন মাত্রা পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, ট্রাম্প সবসময় দীর্ঘস্থায়ী বৈশ্বিক সংকট নিরসনে সক্রিয় থেকেছেন এবং কাশ্মীর ইস্যুতেও বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফর করেন। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিকাল অ্যাফেয়ার্স অ্যালিসন হুকারসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং যুদ্ধবিরতির স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

মুখপাত্র ব্রুস বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি জানান, পররাষ্ট্র দপ্তর পাকিস্তানের অনুরোধ বিবেচনা করছে, যাতে ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনতে যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত প্রভাব ব্যবহার করতে পারে।

একইসঙ্গে ব্রুস উল্লেখ করেন, ট্রাম্প তার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি বার্তায় কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে উভয় দেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও ভারত মধ্যস্থতার সম্ভাবনা নাকচ করে কাশ্মীরকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ট্রাম্পের প্রস্তাবের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্রুস বলেন, “আমি তার পরিকল্পনার নির্দিষ্টতা নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না, তবে ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি যিনি প্রথাবিরুদ্ধ পথে হেঁটে প্রায় অসম্ভব বিষয়গুলোও আলোচনার পর্যায়ে এনেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব জানে ট্রাম্পের কাজের ধরন কী। যদিও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সব পক্ষ এখনও নিরুত্তর, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রতিদিন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, এবং হয়তো তার মেয়াদকালেই কাশ্মীর সংকটের কিছু অগ্রগতি দেখা যেতে পারে।”

কাশ্মীর নিয়ে আবারও আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তবে দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনও অনুপস্থিত। এমন বাস্তবতায় ট্রাম্পের মধ্যস্থতা প্রস্তাব কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন গতিশীলতা তৈরি করেছে, যা আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

-ইসরাত, নিজসে প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত