সীমান্তে পাচার:মাদক-গরু আসছে, জ্বালানি-খাদ্য যাচ্ছে

সত্য নিউজ:মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা এখন সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (AA) নিয়ন্ত্রণে। সেখানে চলছে সংঘাত, রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়েছে AA। তবে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও থেমে নেই মাদক ও পশু চোরাচালান। বরং তা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, আরাকান আর্মি ও অন্যান্য গোষ্ঠী অর্থসংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশে ইয়াবা ও গরু পাচার করছে। বিনিময়ে রাখাইনে যাচ্ছে চাল, ডাল, তেল, জ্বালানি, ইউরিয়া সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে চোরাচালান প্রায় দশগুণ বেড়েছে।
ইয়াবার চালান থামছে না
গত ২ মে টেকনাফের হাবিরছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোস্টগার্ড উদ্ধার করে ৩ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা, যার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। পাচারকারীরা বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতে, মিয়ানমারে ইয়াবা কারখানাগুলো এখন আরও বেশি উৎপাদন করছে, এবং সব মাদকই বাংলাদেশে ঢুকছে।
চোরাই গরুর স্রোত অব্যাহত
শুধু মাদক নয়, সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত ঢুকছে চোরাই গরু ও মহিষ। ৬ মে কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটক হয় ১৫৫টি গরু ও মহিষ। পশুগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে এসব পাচার হচ্ছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানে স্থানীয়দের উদ্বেগ
জেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও পশু চোরাচালান পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বিজিবি বলছে, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় কিছু এলাকায় অনুপ্রবেশ ও পাচার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
কূটনৈতিক উদ্যোগে দীর্ঘ বিরতি
সর্বশেষ ২০১৪ সালে বিজিবি ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। ওই সময় মিয়ানমারে থাকা ইয়াবা কারখানাগুলো বন্ধের দাবি জানানো হলেও তারা তেমন উদ্যোগ নেয়নি। এরপর থেকে আর কোনো বড় আলোচনাও হয়নি।
চোরাচালান রোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, “আরাকান আর্মি মাদক ও পশু পাচার বন্ধ করছে না কারণ এটা তাদের টিকে থাকার মাধ্যম হয়ে উঠেছে।” সীমান্তে ২০টিরও বেশি পয়েন্ট দিয়ে রাতে এসব পণ্য প্রবেশ করছে।
বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান বলেন, “সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর দখলে থাকা রাখাইন এখন শুধু তাদের নিজস্ব সংকট নয়, তা বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। এখন সময়, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা স্তরে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার।
ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে
ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনঃচালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং আগামী মাস থেকেই এই বহুল প্রত্যাশিত পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ ভারতের প্রভাবশালী সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ভারতের সিভিল এভিয়েশন বিভাগ ইতিমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগোকে খুব স্বল্প নোটিশে রুটে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সামিটের সময় বা তার কাছাকাছি সময়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
এটি শুধু একটি পরিবহন সুবিধার পুনঃপ্রবর্তন নয়, বরং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের শীতল কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলানোর সূক্ষ্ম ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালের মে মাসে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা ও সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তার এক মাস পর পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় ছিল।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ভারত ও চীন নীতিগতভাবে বিমান যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে সম্মত হয় এবং একই বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রমণ ভিসা সহজীকরণ এবং কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালুর উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের আরেকটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-রফিক
টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়
শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, টিউলিপ প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন এবং ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। এই তথ্য টিউলিপের দীর্ঘদিনের দাবি তিনি বাংলাদেশি নাগরিক নন এর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ জানান, টিউলিপের একাধিক পাসপোর্ট, ভোটার আইডি এবং বাংলাদেশে নিবন্ধিত ঠিকানা পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, “এসব নথি আমরা আদালতে যথাসময়ে উপস্থাপন করব।” ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দপ্তর এই নথিগুলোর অনুলিপি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, টিউলিপ সিদ্দিক এসব অভিযোগ ও নথির সত্যতা অস্বীকার করেছেন। তার আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টিউলিপের কখনো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি ছিল না এবং শিশু বয়স থেকে তিনি কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেননি। তারা নথিগুলোকে ‘জাল’ আখ্যা দিয়েছে। টিউলিপ এই বিচার প্রক্রিয়াকে “হয়রানি ও প্রহসন” বলে উল্লেখ করেছেন এবং দাবি করেছেন, মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকত্বের প্রশ্নটি সরাসরি এই মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত নাও করতে পারে, তবে আদালতে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আগে এ ধরনের বিতর্ক আসা অভিযুক্তের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। বর্তমানে টিউলিপ অনুপস্থিতিতেই ঢাকার একটি আদালতে তার বিচার চলছে।
দুদকের মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা শেখ হাসিনা, মা এবং দুই ভাইবোনের সঙ্গে মিলে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে বেআইনিভাবে সরকারি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্লট পাওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ আদায় করেছেন।
এই মামলার পটভূমিতে রয়েছে শেখ হাসিনার পতনের পর দুর্নীতির নতুন তদন্তের প্রক্রিয়া। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে তার বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদ, নির্বাচন কারসাজি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ছিল। ছাত্রনেতৃত্বাধীন দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে তিনি গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। তার বিদায়ের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে।
টিউলিপ সিদ্দিক এর আগে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) দায়িত্বে ছিলেন, যেখানে তিনি আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর রাজনৈতিক চাপে পদত্যাগ করেন।
টিউলিপের দাবি, তিনি কোনো ধরনের অনিয়ম করেননি এবং এই মামলার মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনূসের সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছে, যার শিকার তিনি। তবে দুদক বলছে, তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে এবং নোটিশ যথাযথভাবে প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে যে, টিউলিপ সিদ্দিকের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, যদিও সেটি সরাসরি নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে না।
-রফিক
কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন ও ফসলের বৈচিত্র্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১০টি নতুন ফসলকে কৃষিঋণের আওতায় এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় খিরা, কচুর লতি, কাঁঠাল, বিটরুট, কালোজিরা, বস্তায় আদা, রসুন, হলুদ এবং খেজুরের গুড় চাষে ঋণসুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীতে নতুন অর্থবছরের নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এ সময় কৃষি ঋণ বিভাগের পরিচালকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, এসব নতুন ফসল চাষে ঋণ চালু হলে কৃষকের আয় বাড়বে, গ্রামীণ অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এর ফলে কিছু কৃষিপণ্যে আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে কৃষকদের সহায়তা বাড়ানো জরুরি। এজন্য তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করতে হবে, কারণ অনেক কৃষকের ব্যাংক ঋণে প্রবেশাধিকার নেই। প্রকৃত কৃষকের হাতে ঋণ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে দালালচক্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের ৩৮ হাজার কোটি টাকার তুলনায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো।
গভর্নরের মতে, কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা আরও উচ্চাভিলাষী হওয়া উচিত এবং বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করলে ঋণপ্রবাহ ও কৃষি খাতের প্রসার ছোট লক্ষ্য পূরণের তুলনায় বেশি কার্যকর হবে। তিনি ক্ষুদ্র কৃষি উদ্যোক্তাদের কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান এবং বড় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়তে ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনে মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
-রফিক
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশজুড়ে মোট ৩৩১টি স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করেছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ আবেদন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে করা হয়েছে। তবে সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে ১৩টি সংস্থা অতিরিক্ত আবেদন করলেও তাদের আবেদন নথিভুক্ত করা হলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের সহকারী জনসংযোগ পরিচালক মো. আশাদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়সীমা ১০ আগস্ট বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি আবেদন জমা পড়েছিল। পরে আরও ১৩টি সংস্থা আবেদন করলেও তা সময়সীমার বাইরে হওয়ায় গ্রহণযোগ্য নয় এবং শুধুমাত্র নথিভুক্ত করা হবে।
এ ছাড়াও, নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সতর্ক নজর রাখছে।
/আশিক
মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে
মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যৌথ প্রতিনিধিদল পাঠাবে। আজ মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই মিশন পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি তিন দিনের সফরে মালয়েশিয়ায় আছেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দমন-পীড়নের কারণে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বাস্তবতা তুলে ধরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি এবং দুর্যোগে থাকা শরণার্থী ও ভূমিকম্প-প্রভাবিতদের জন্য মানবিক সহায়তা দ্রুত করতে হবে।
মালয়েশিয়া বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংগঠন আসিয়ানের সভাপতিত্ব করছে। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার মিশনের সমন্বয় করবেন ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে। মালয়েশিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশের উপর রোহিঙ্গাদের ভার অনেক বেশি চাপাচ্ছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ১৮ মাসে পরিকল্পিত সহিংসতা ও সংঘাতের কারণে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া উচ্চশিক্ষা, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ও হালাল ইকোসিস্টেম নিয়ে তিনটি নোট অব এক্সচেঞ্জ স্বাক্ষরিত হয়।
গত সোমবার কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল বিমানবন্দরে অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়।
/আশিক
মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে ব্যবসাবান্ধব করতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। অতীতে বাংলাদেশের ব্যবসা পরিবেশ অনেকটাই বাধাগ্রস্ত ছিল, কিন্তু এখন নতুন বাংলাদেশে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্ভাব্য সব উপায়ে ব্যবসাবান্ধব হওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমি এখানে অসীম সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ফোরামে প্রফেসর ইউনূস বলেন, প্রবাসী তরুণ বাংলাদেশিরা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী এবং তারা সৃজনশীল। তিনি বিনিয়োগকারীদেরও তরুণদের এই সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা এবং শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কমানোর সরকারি প্রচেষ্টার উপর একটি উপস্থাপনা করেন।
রবির আজিয়াটা গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ বাংলাদেশের ২৮ বছরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অংশীদারিত্বমূলক সফলতা তুলে ধরেন। পেট্রোলিয়াম ন্যাশনাল বেরহাদের প্রেসিডেন্ট টেংকু মুহাম্মদ তৌফিক, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল খাজানাহ ন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল ফয়সাল ওয়ান জহিরসহ মালয়েশিয়ার বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রোটন, টপ গ্লোভ করপোরেশনসহ অন্যান্য কোম্পানির প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে পুত্রজায়ায় ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব মালয়েশিয়া (এনসিসিআইএম) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
/আশিক
তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে তরুণরাই নতুন বাংলাদেশের প্রধান চালিকাশক্তি হবেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশই ৩৫ বছরের নিচে। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই তাদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানে এগিয়ে এসে দেশের উন্নয়নের নেতৃত্ব নিতে হবে।
উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং ইন্টারনেট খরচ কমানোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি ই-স্পোর্টসকেও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৭৪ লাখের বেশি যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে ১১ লাখেরও বেশি যুবক ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণ পেয়েছেন। এছাড়া ২৪ লাখের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক আত্মকর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছেন।
তরুণদের যুব নীতি প্রণয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আগামী অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ইয়ুথ সামিটের আয়োজন করা হবে। একই সঙ্গে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিসি কম্পিটিশনের আয়োজনের কথা জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৬ জন কৃতিত্বপূর্ণ যুব ও যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘যেমন তরুণরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত করেছে, তেমনি তারা দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথপ্রদর্শকও হবেন।’
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. গাজী সাইফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
/আশিক
যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় করদাতাদের জন্য আসছে নতুন শাস্তিমূলক বিধান। এবার থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে শুধু আর্থিক জরিমানা নয়, বরং গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অপরিহার্য পরিষেবার সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে কর কর্মকর্তাদের হাতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মতে, দীর্ঘদিন ধরে রিটার্ন না দেওয়ার প্রবণতা রোধ এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে বা আইন অনুযায়ী রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক, অথচ তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দেননি, তাদের বাসাবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য পরিষেবার লাইন কেটে দেওয়া যেতে পারে।
রিটার্ন না দিলে সম্ভাব্য শাস্তি
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিল না করার ফলে করদাতাদের যে শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে
১. আয়কর আইনের ২৬৬ ধারা অনুযায়ী জরিমানা।২. ১৭৪ ধারা অনুসারে কর অব্যাহতির সুবিধা সীমিত হয়ে যাওয়া।৩. মাসিক ২ শতাংশ হারে অতিরিক্ত কর গুনতে হওয়া।৪. গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিষেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া।৫. বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে জটিলতা সৃষ্টি।
কারা রিটার্ন দাখিল করবেন
আইন অনুযায়ী, দুই শ্রেণির টিআইএনধারীদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। প্রথমত, যাদের বার্ষিক করযোগ্য আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি। দ্বিতীয়ত, যাদের জন্য আইনগতভাবে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক, যেমন নির্দিষ্ট পেশা বা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা।
বর্তমানে দেশে ১ কোটি ১২ লাখ টিআইএনধারী আছেন, কিন্তু বছরে প্রায় ৪০ লাখ রিটার্ন জমা দেন। গত অর্থবছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন প্রায় ১৭ লাখ করদাতা, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ কোনো কর পরিশোধ করেননি। এই পরিস্থিতিই এনবিআরকে কঠোর নীতি গ্রহণে প্রণোদিত করেছে।
-রফিক
ড. ইউনূস–আনোয়ার বৈঠকে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া নতুন চুক্তি
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে আন্তরিক কূটনৈতিক পরিবেশে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে সফরের দ্বিতীয় দিনে পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক ইউনূস পুত্রজায়ায় পৌঁছালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানান। পরে দুই নেতা একান্ত বৈঠকে মিলিত হন এবং পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অভিবাসন নীতি ও শিক্ষা খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি সই হয় তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’, যা নির্দিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন ও নীতিগত সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে কূটনীতিক এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিন দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে অধ্যাপক ইউনূস সোমবার (১১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর পৌঁছান। বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান এবং লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, এই সফরে অভিবাসন, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং একটি উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী সম্মেলনেও যোগ দেবেন।
সফরের শেষ দিন, বুধবার, মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) অধ্যাপক ইউনূসকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করবে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও উপস্থিত থাকতে পারেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- বিজয়ী–পরাজিত সবাইকে একসাথে কাজের আহ্বান ডা. রফিকের
- হুথিদের ড্রোন আঘাতে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত
- ভারত–চীনের সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালুর পথে
- দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ গড়ল মুক্তির আগে রেকর্ড
- "যারা এখনও হলে সিট পাননি, তারা যেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন"
- বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসকের ওপর হামলা
- টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বিতর্কে নতুন মোড়
- বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে বন্দর হস্তান্তর বন্ধের আহ্বান
- লুকিয়ে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র পরিবহন বিতর্কে সৌদি জাহাজ
- কৃষিঋণ নিয়ে সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- বিচার ও সংস্কারের পরেই পিআর ভিত্তিক নির্বাচন হতে হবে: চরমোনাইর পীর
- বিএনপি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে: মির্জা ফখরুল
- অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই মানহানি মামলা: সারজিস
- বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশের ৩৩১টি সংগঠন নিবন্ধিত
- আগামীকাল জানাজার ঘোষণা দিলেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম
- আইপিএলে দল কেনার ব্যাপারে মুখ খুললেন সালমান খান
- মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া দায় স্বীকার করলেন
- মালয়েশিয়া ও অন্যান্য আঞ্চলিক দেশ মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিশন ও রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাবে
- নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কড়া মন্তব্য
- ‘জনগণের মন জয় করতে পারলেই সফলতা’ — মির্জা ফখরুল
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ভিপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা
- ব্যক্তিগত আক্রমণ নিয়ে মুখ খুললেন দেব, রাজ-রুক্মিণীর কাছে ক্ষমা চাইলেন
- খাদের কিনারা থেকে এইচডিইউ: অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা জানালেন উপদেষ্টা
- আন্দোলনের ভাষণ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, তারপর যা ঘটল…
- কিশোরগঞ্জের নিকলীতে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবদলের সংঘর্ষ
- কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানদারের কান কামড়ে ছিঁড়ে দিলো যুবক
- মাত্র ৭ বছরে ৮৮ দিনে কোরআন হিফজ করলো নবীনগরের ফাহিম
- আদালতে আবেগঘন কান্নায় ভেঙে পড়লেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর
- বাণিজ্য উপদেষ্টার আশা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমবে দ্রুতই
- খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
- মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- গাজায় তুরস্কের সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন এরদোগান
- সম্মতি ছাড়া ৫ মিনিট ধরে চুমু, শুটিং সেটেই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা
- তরুণরা হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক: আসিফ মাহমুদ
- ড. ইউনূস সরকার চালাচ্ছেন শেখ হাসিনার পরামর্শে: রাশেদ খাঁন
- গোপন চুক্তিতে ২২শ কোটি টাকার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছিল আ.লীগ সরকার
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- যে শর্ত না মানলে কেটে যাবে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ
- মাইলস্টোনে কোচিং বন্ধ ও বিধ্বস্ত দিনের সিসি ফুটেজ দেখার দাবিতে মানববন্ধন
- পেঁয়াজ আমদানিতে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে দরপতন হওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- আজকের শেয়ারদামে এগিয়ে ১০টি কোম্পানির তালিকা বিশ্লেষণ
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নতুন জাহাজ
- আরাফাত রহমান কোকো ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ’ দাবি রিজভীর
- ‘ট্রেন ছাড়ার পর ওঠা সম্ভব নয়’—শেখ হাসিনা মামলা প্রসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল
- খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে ঢাকায় আইনজীবীদের মিছিল
- সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানি মামলা
- ৫০% শুল্কে বিপর্যস্ত ভারতীয় চিংড়ি শিল্প
- "Black Skin, White Masks": উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ ও মানসিক মুক্তির গভীর পাঠ
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- পলাতক হারুন, বিপ্লবসহ ৪০ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম ও পিপিএম পদক প্রত্যাহার
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- ১২০ বার পেছালো সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার শুনানি
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- অবাধ লুটপাটে পাথরশূন্য হয়ে যাচ্ছে সিলেটের সাদাপাথর
- অনলাইনে কলেজে আবেদন: জানুন কলেজ চয়েজ পরিবর্তনের ধাপ
- ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়
- ঘণ্টায় প্রায় ১০০ উল্কা পড়ার মহাজাগতিক দৃশ্য বাংলাদেশ থেকে দেখার সুযোগ
- ৪৭২ কোটি আয়ের ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়ক-নায়িকার পারিশ্রমিক যত