অভ্যুত্থানের পর যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম, তা শিগগির পূরণ করতে পারবো: অর্থ উপদেষ্টা

২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট বক্তৃতায় উঠে এসেছে পরিবর্তিত বাংলাদেশ এবং ভবিষ্যতের আশাবাদী রূপরেখা। দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব গ্রহণ করা এই সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোর যে অঙ্গীকার করেছিল, তা পূরণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।
বক্তৃতায় বলা হয়, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের এক ক্রান্তিকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। আমাদের কাঁধে বর্তায় বিগত সরকারের রেখে যাওয়া প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং নৈরাজ্য দূর করার কঠিন দায়িত্ব।”
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাত্র ১০ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, রাষ্ট্রীয় সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বক্তৃতায় আরও বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে আশায় আমরা বুক বেঁধেছিলাম, তা খুব শিগগির পূরণ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।”
অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবারের বাজেট চলতি অর্থবছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম, যা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাসের নজির স্থাপন করেছে।
নতুন বাস্তবতায়, এই বাজেট জাতীয় সংসদের বাইরে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা অভ্যুত্থানের পর পাল্টে যাওয়া প্রশাসনিক কাঠামোরই প্রতিফলন। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের বাজেট বক্তৃতায় শুধু রাজস্ব-ব্যয়ের খতিয়ান নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের প্রেক্ষাপট এবং দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণও তুলে ধরা হবে।
এই প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী প্রেক্ষাপটে তৈরি বাজেটের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আগামী দিনে এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন।
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য
বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন প্রায়ই সামনে আসে—ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে আমরা লভ্যাংশ বা মুনাফা খেতে পারব কিনা। এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ওলামায়ে কেরামের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ
আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে অন্যান্য সব ব্যাংকের মতোই দেশের ব্যাংকিং আইন, বিধি-বিধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা মেনে চলতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই একটি সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, তাই ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শতভাগ সুদমুক্ত রাখা বাস্তবে কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকে মনে করেন, ইসলামী ব্যাংককে পুরোপুরি শরিয়াহ–সম্মত বলা যায় না।
শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা
তবে প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র শরিয়াহ বোর্ড থাকে। এই বোর্ডের দায়িত্ব হলো ব্যাংকের সব কার্যক্রম ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা তদারকি করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া এবং শরিয়াহভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করা।সহজভাবে বললে, শরিয়াহ বোর্ডের মূল দায়িত্ব হলো—
- ব্যাংকের বিনিয়োগ ও লেনদেন সুদমুক্ত রাখা
- শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগপদ্ধতি অনুসরণ নিশ্চিত করা
- প্রয়োজনে গ্রাহকদের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা
যেহেতু শরিয়াহ বোর্ডে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমগণ থাকেন, তাই সাধারণ মানুষ তাদের নির্দেশনা অনুসারে ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকে বৈধ মনে করতে পারেন।
টাকা রাখা বনাম লভ্যাংশ গ্রহণ
ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং সেখান থেকে মুনাফা গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। টাকা জমা রাখা শুধু বৈধ নয়, বরং জরুরি। কারণ, যদি কেউ সুদী ব্যাংকে টাকা রাখে তবে তার অর্থ দিয়ে ব্যাংক সুদভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা পরোক্ষভাবে সুদের কারবারকে সমর্থন করার সমান অপরদিকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখলে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আপনার অর্থ সুদভিত্তিক লেনদেনে ব্যবহার করা হবে না।
লভ্যাংশ বা মুনাফা গ্রহণের বৈধতা
শরিয়াহ বোর্ড অনুমোদিত ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা গ্রহণ করা বৈধ, তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে।
- শরিয়াহ–সম্মত বিনিয়োগ পদ্ধতি:ইসলামী ব্যাংকগুলো সাধারণত মুদারাবা (লাভ-লোকসানের অংশীদারিত্ব) ও মুশারাকা (অংশীদারিত্ব) ভিত্তিক বিনিয়োগ করে থাকে। এ পদ্ধতিগুলো সুদমুক্ত এবং শরিয়াহ–সম্মত।
- সুদ নয়, বরং লাভ:প্রচলিত ব্যাংকের মতো নির্দিষ্ট সুদের হার এখানে নেই। বরং ব্যাংক যে ব্যবসা বা বিনিয়োগ থেকে লাভ করবে, সেই লাভের একটি অংশ গ্রাহককে প্রদান করবে। ফলে এটিকে সুদ বলা যাবে না।
- শরিয়াহ বোর্ডের তদারকি:ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এতে গ্রাহক নিশ্চিত হতে পারবেন যে প্রাপ্ত মুনাফা সুদের আওতাভুক্ত নয়।
গ্রাহকের করণীয়
- ব্যাংক যাচাই করুন: নিশ্চিত করুন যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা ব্যাংকিং উইন্ডো একটি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
- বিনিয়োগ পদ্ধতি জানুন: ব্যাংক কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে তা জানার চেষ্টা করুন এবং শরিয়াহ অনুমোদিত কিনা তা খোঁজ নিন।
- সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ করুন: যদি সন্দেহ থাকে তবে সরাসরি ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড বা কোনো ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সারকথা হলো, ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করা বৈধ, যদি সেই ব্যাংকটি সত্যিকার অর্থে শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং তাদের বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহসম্মত পথে পরিচালিত হয়। ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ আসলে সুদ নয়, বরং লাভ-লোকসানভিত্তিক অংশীদারিত্বের ফলাফল। তবে গ্রাহকের সচেতন থাকা জরুরি, যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন যে তাদের অর্থ সত্যিকার অর্থেই শরিয়াহ–সম্মত উপায়ে ব্যবহার হচ্ছে।
যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ঘিরে ইসলামী ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও ওএসডি
কর্মস্থলের নিয়মনীতি লঙ্ঘন এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড তাদের ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে। একই সঙ্গে, প্রায় ৫ হাজার জনকে (৪,৯৭১ জন) ওএসডি (অন সার্ভিস ডিউটি) করা হয়েছে। এতে ব্যাংকের অভ্যন্তরে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ওএসডি হওয়া কর্মীরা আপাতত কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তবে বেতন-ভাতা পাবেন।
যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ও বিতর্ক
ব্যাংক সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর বিপুলসংখ্যক কর্মীকে কোনো লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের বড় অংশই ছিলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, “এস আলম গ্রুপের সময়ে অযোগ্য লোকজনকে নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকটিকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা ব্যাংকের স্বার্থে সবাইকে যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।”
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৫,৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে বলা হলেও মাত্র ৪১৪ জন অংশ নেন। যারা উপস্থিত হননি, সেই ৪,৯৭১ জনকে পরদিনই ওএসডি করা হয়। এছাড়া পরীক্ষার আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও প্রকাশ্যে বিরোধিতা করায় ২০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
কর্মীদের অভিযোগ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান
ওএসডি হওয়া কর্মীদের অভিযোগ, হাইকোর্ট নিয়মিত প্রমোশনাল পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই আদেশ অমান্য করে আলাদা যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষার আয়োজন করে, যা বেআইনি। তারা পুনরায় আদালতের আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ধরনের পরীক্ষা দেশে এই প্রথম। সাধারণত পদোন্নতির জন্য ভাইভা নেওয়া হয়, তবে এখানে কর্মীদের মান যাচাইয়ের বিষয়টি নতুন অভিজ্ঞতা।” তিনি যোগ করেন, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও, নিয়োগ বা কর্মী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলমের প্রভাব কমাতে পরিচালনা পর্ষদে রদবদল আনে।
রেকর্ড ভাঙা দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এই নজিরবিহীন উত্থানের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের বাজারেও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ববাজারের পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারেও যে কোনো সময় নতুন দামের ঘোষণা আসতে পারে।
দেশের বাজারে বর্তমান অবস্থা
গত জুলাই থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এবং শেষ এক মাসে সেই বৃদ্ধির গতি আরও বেড়েছে। শুধু আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসেই আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ ডলার।
এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও একাধিক দফায় স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। সর্বশেষ ২৮ সেপ্টেম্বরের সমন্বয়ে বর্তমানে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা ছিল, যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
দাম বৃদ্ধির কারণ কী?
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক আন্তর্জাতিক কারণের কথা বলেছেন।
ডলারের প্রতি অনাস্থা: আমেরিকার শুল্কনীতি নিয়ে টানাপোড়েন, চীন-রাশিয়া-ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-সংক্রান্ত উত্তেজনার কারণে ডলারের প্রতি আস্থা কমছে।
নিরাপদ বিনিয়োগ: এই পরিস্থিতিতে চীন ও ভারতসহ অনেক দেশ নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ মজুত করছে।
উৎপাদন হ্রাস: খনিতে উৎপাদন হ্রাস ও সরবরাহ কমে যাওয়াও দামের ঊর্ধ্বগতির অন্যতম কারণ।
বাজুসের এক সদস্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও বাড়তে থাকলে বাংলাদেশেও তা সমন্বয় করতে হবে। তার কথায়, "স্বর্ণের দামের ওপর দেশের ব্যবসায়ীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্ববাজারে যেমন দাম বাড়ে বা কমে, এখানেও তার প্রতিফলন ঘটে।" সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বাজারে শিগগিরই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ চট্টগ্রামে
রাশিয়া থেকে আমদানি করা ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গমবাহী জাহাজ এমভি পার্থ (MV PERTH) চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ার বর্হিনোঙরে নোঙর করেছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৭ জুলাই সম্পাদিত নগদ ক্রয় চুক্তির (প্যাকেজ-০১) আওতায় এই গম আমদানি করা হয়েছে। দ্রুত গম খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে। জাহাজে থাকা গমের নমুনা পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, জাহাজে থাকা মোট ৫২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চট্টগ্রামে এবং অবশিষ্ট ২১ হাজার মেট্রিক টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৩৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রবৃদ্ধি ও কারণ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ, রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬.২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরেছে। তাদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের নানা উদ্যোগ, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্স প্রবাহে এ ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গত বছরের রেকর্ড রেমিট্যান্স
গত আগস্ট মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২৪২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। পুরো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয় মোট ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার এসেছিল, যা আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে এককালীন সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৩২৯ কোটি ডলার এসেছিল, যা ছিল সেই বছরের রেকর্ড।
স্থানীয় বাজার ও রপ্তানি মূল্যে বড় ফারাক, ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে নতুন উদ্যোগ
চলতি মৌসুমে ইলিশের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটি ইলিশের আকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। বাজারে ইলিশের অস্বাভাবিক দামের কারণে তৈরি হওয়া অস্থিরতার ভিত্তিতে সমীক্ষা শেষে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) ট্যারিফ কমিশন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
রপ্তানি মূল্য ও স্থানীয় মুনাফায় অসঙ্গতি
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে ইলিশের স্থানীয় বাজারমূল্য এবং রপ্তানি মূল্যের মধ্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে স্থানীয় বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম যেখানে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকা, সেখানে চলতি মাসে ভারতে রপ্তানি করা প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে গড়ে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, ব্যবসায়ীরা উৎপাদন মূল্যের তুলনায় স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেশি মুনাফা করছেন।
ট্যারিফ কমিশন ইলিশের দাম বাড়ার পেছনে ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এগুলোর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো:
বাজারের ভারসাম্যহীনতা: চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা।
সিন্ডিকেট: মজুত ও সিন্ডিকেট।
পরিচালনা ব্যয়: জ্বালানি তেল ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মাছ ধরার খরচ বৃদ্ধি।
পরিবেশ ও পদ্ধতি: নদীর নাব্যতা সংকট, পরিবেশগত সমস্যা এবং অবৈধ জালের ব্যবহার।
ব্যবসায়িক সমস্যা: দাদন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং রপ্তানির চাপ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। গত চার মাসে ইলিশের দামের ঊর্ধ্বগতি বেশ লক্ষণীয় ছিল। এই ধারাবাহিকতা রোধ করতে ট্যারিফ কমিশন এবার দাম বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বক্তৃতা দেন। “Advancing Reform, Resilience and Growth” শিরোনামের এই আয়োজনটি করেছে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।
নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক বৈঠকে প্রফেসর ইউনুস মার্কিন কোম্পানি মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলারেট এনার্জির মতো শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের বাংলাদেশে নতুন ও সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ও উদীয়মান, যেখানে জ্বালানি, আর্থিক খাত, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনী শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের জানান, প্রফেসর ইউনুসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গী ছয়জন রাজনৈতিক নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বৈঠক বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারে বলে তারা মনে করেন।
-নাজমুল হোসেন
ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শেষ দিকে ক্রেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই বেড়েছে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও, শেষ এক ঘণ্টায় পরিস্থিতি পাল্টে যায় এবং বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার কারণে সূচক এবং লেনদেন উভয়ই কমেছে।
ডিএসই’র চিত্র
লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির।
ভালো কোম্পানি (১০% বা বেশি লভ্যাংশ): ১৬১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৭টির কমেছে।
মাঝারি মানের কোম্পানি (১০% এর কম লভ্যাংশ): ৭১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে, ৪টির কমেছে।
জেড গ্রুপ: ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, ২৯টির কমেছে।
মিউচুয়াল ফান্ড: ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে ১৩টির দাম বেড়েছে, ১টির কমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুটি সূচক, ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচকও যথাক্রমে ১৮ ও ১৩ পয়েন্ট বেড়েছে।
লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ডিএসইতে মোট ৫৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১০৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বেশি।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো
ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ওরিয়ন ইনফিউশন, যার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার। এরপর রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ (১৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা) এবং সামিট এলায়েন্স পোর্ট (১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা)।
শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সোনালী পেপার, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, ই-জেনারেশন এবং ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সিএসই’র চিত্র
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টির দাম বেড়েছে, ৮৩টির কমেছে এবং ১১টির অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় কম
বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়
দেশের সড়কে বর্তমানে অন্তত আড়াই লাখ নিবন্ধনহীন গাড়ি চলাচল করছে। এতে সরকার প্রতিবছর প্রায় ৬,২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। কিউআর কোড সংবলিত ই-ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত সম্প্রতি হওয়া একটি সভার কার্যবিবরণী থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোট যানবাহন সংখ্যা ৬৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৭৩টি। এতে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে।
বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, "এখনো আমাদের দেশে দুই থেকে আড়াই লাখ গাড়ির নিবন্ধন নেই। এই গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, ই-ট্যাক্স টোকেন ও আরএফআইডি ট্যাগ ব্যবহার করা গেলে গাড়ির যাবতীয় তথ্য সহজে সংগ্রহ করা যাবে।
কর ফাঁকি ও নতুন উদ্যোগ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল সম্প্রতি ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির কর নথি যাচাই করে। এতে দেখা গেছে, ১ হাজার ৩৩৯ জন মালিক তাদের গাড়ির তথ্য লুকিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন। এনবিআরের ধারণা, এসব গাড়ি থেকে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য কর নথিতে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। এটি না করলে জরিমানা ও ফৌজদারি বিধান প্রযোজ্য। বর্তমান কর কাঠামো অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক অগ্রিম কর নির্ধারিত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, নিবন্ধনহীন গাড়িগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং ই-ট্যাক্স টোকেন চালু করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা হবে। এনবিআরের প্রতিনিধি জানান, এতে কর আদায় বাড়বে এবং নিবন্ধনহীন গাড়ি শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে মফস্বলে ট্যাক্স টোকেন জমা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ করতে ব্যাংকিং ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকারিতা বাড়ানোর প্রয়োজন বলেও সভায় আলোচনা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- গাজায় শান্তির নকশা না নতুন জটিলতা? ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর ২০ দফা পরিকল্পনা
- রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিসের আগামী ৪ দিনের পূর্বাভাস
- রহস্যময় চিকুনগুনিয়া: হঠাৎ জ্বর-ব্যথায় কাঁপছে দেশ
- ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য
- যোগ্যতা যাচাই পরীক্ষা ঘিরে ইসলামী ব্যাংকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ও ওএসডি
- ২২ বছর জামায়াত বিএনপির ছায়াতলে থেকেছে: ব্যারিস্টার খোকন
- এশিয়া কাপ শেষে গৌতম গম্ভীর: বাংলাদেশের শক্তি-দুর্বলতা নিয়ে স্পষ্ট মতামত
- ঘুম ভাঙলেই অসহ্য মাথা ব্যথা? হতে পারে ৫টি গুরুতর কারণ
- পাকিস্তানে টিটিপি’র হয়ে যুদ্ধে নিহত বাংলাদেশি তরুণ, জানতেন না পরিবারও
- সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন নুরের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
- জুলাই আন্দোলন দমনে পুলিশ সারাদেশে ৩ লাখের বেশি গুলি ছুড়েছিল
- ফাঁস হলো ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা: চুক্তি হলে হামাস নেতাদের নিরাপদ প্রস্থান!
- ভারত শুধু বড় দাদা না হয়ে বন্ধু হোক: মির্জা ফখরুল
- চট্টগ্রামে যানজট নিরসনে মনোরেল প্রকল্প, ফিল্ড সার্ভে শুরু
- ‘দুর্নীতিবাজ’ হারুনের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ঠিকাদারদের মানববন্ধন
- আমি শুধু নির্বাচনটাই করেছিলাম, রাজনীতিতে জড়াইনি
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর ২১ চিকিৎসকের মনোনয়ন স্থগিত
- রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য এডিবি’র ৮৬.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
- খুঁজে খুঁজে জামায়াত-শিবির মতাদর্শের কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বসানো হয়েছে: রিজভী
- সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাস্টার ধসে শ্রমিকের মৃত্যু
- ২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
- ভুয়া ধর্ষণ’ মন্তব্য করে বিপাকে এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
- রেকর্ড ভাঙা দামে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন আমিনুল বুলবুল ও নাজমুল ফাহিম
- সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএস-এর ১১৪ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ
- টিসিবির তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৫ পণ্য
- সাকিবের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিজয় সমাবেশে পদদলন: শোকে মুষড়ে পড়েছেন অভিনেতা, ছেড়ে দিলেন খাওয়াদাওয়া
- স্থায়ী বসবাসের নিয়মে কঠোরতা আনছে যুক্তরাজ্য, থাকতে হবে কঠোর শর্ত
- বিশ্বের কাছে আবেদন জানানো ছেড়ে দিয়েছি: গাজাবাসীি
- সাকিবের পোস্টের পর ইলিয়াস হোসাইনের পরামর্শ: ‘সম্পত্তি ক্রোক করেন’
- এগুলো কীসের লক্ষণ?: খাগড়াছড়ির ঘটনায় জামায়াত আমিরের উদ্বেগ
- ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে রাশিয়ার জাহাজ চট্টগ্রামে
- নেতানিয়াহুর টার্গেট এবার ইরাক
- সাবেক দুই এমপিসহ ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- খাগড়াছড়ির ঘটনায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাজ্য সহায়তা দেবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
- বলিউডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর: নারী অধিকার ও পরিবেশ রক্ষায় সোচ্চার তারকারা
- কারাগার থেকে হাসপাতালে, পরদিনই মৃত্যু—শেষ হলো নুরুল মজিদ হুমায়ুনের অধ্যায়
- ইউরোপের পরিবেশ সংকট: অগ্রগতি সত্ত্বেও সতর্কবার্তা ইইএ’র
- মার্কিন মাটিতে সহিংসতার মহামারী: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা
- ফাইনালের পর মাঠে নাটক: ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠান বাতিল, দর্শকদের স্লোগানে গর্জে উঠল স্টেডিয়াম
- চীন-উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশলগত চিন্তা
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ভারত আমাদের পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়: হান্নান মাসউদ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা
- হুন্ডি প্রতিরোধে সুফল: রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: দক্ষিণ এশিয়া ও উপসাগরের ভূরাজনীতিতে নতুন অক্ষ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল
- বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত