Banner

অভ্যুত্থানের পর যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম, তা শিগগির পূরণ করতে পারবো: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০২ ১৬:১৭:২৯
অভ্যুত্থানের পর যে আশায় বুক বেঁধেছিলাম, তা শিগগির পূরণ করতে পারবো: অর্থ উপদেষ্টা

২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট বক্তৃতায় উঠে এসেছে পরিবর্তিত বাংলাদেশ এবং ভবিষ্যতের আশাবাদী রূপরেখা। দেশের এক ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব গ্রহণ করা এই সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোর যে অঙ্গীকার করেছিল, তা পূরণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বাজেট বক্তৃতায়।

বক্তৃতায় বলা হয়, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের এক ক্রান্তিকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। আমাদের কাঁধে বর্তায় বিগত সরকারের রেখে যাওয়া প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং নৈরাজ্য দূর করার কঠিন দায়িত্ব।”

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মাত্র ১০ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, রাষ্ট্রীয় সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বক্তৃতায় আরও বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে আশায় আমরা বুক বেঁধেছিলাম, তা খুব শিগগির পূরণ করতে পারবো ইনশাল্লাহ।”

অন্যদিকে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবারের বাজেট চলতি অর্থবছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম, যা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাসের নজির স্থাপন করেছে।

নতুন বাস্তবতায়, এই বাজেট জাতীয় সংসদের বাইরে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা অভ্যুত্থানের পর পাল্টে যাওয়া প্রশাসনিক কাঠামোরই প্রতিফলন। অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের বাজেট বক্তৃতায় শুধু রাজস্ব-ব্যয়ের খতিয়ান নয়, বরং অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনের প্রেক্ষাপট এবং দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির একটি সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণও তুলে ধরা হবে।

এই প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রমী প্রেক্ষাপটে তৈরি বাজেটের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার কীভাবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আগামী দিনে এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ হবে, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন।


বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:৪২:১৯
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বা টাকার রেট প্রবাসীদের জীবনযাত্রা এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গভীর প্রভাব ফেলে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং রিজার্ভ শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বাজার থেকে ডলার ক্রয় করছে। গত কয়েক মাসে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকায় ব্যাংকগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ পরিস্থিতি এখন বেশ সন্তোষজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টারব্যাংক রেট এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আজকের (৩০ ডিসেম্বর) মুদ্রার গড় বিনিময় হার নিচে তুলে ধরা হলো:

বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার (গড়)
ইউএস ডলার ১২২.৩০ ৳
সৌদি রিয়াল ৩২.৫৯ ৳
ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৫.১৮ ৳
ইউরোপীয় ইউরো ১৪৪.০১ ৳
সংযুক্ত আরব আমিরাত দেরহাম ৩৩.২৯ ৳
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০.১২ ৳
সিঙ্গাপুর ডলার ৯৫.৩০ ৳
কুয়েতি দিনার ৩৯৭.৬৪ ৳
কাতারি রিয়াল ৩৩.৫৮ ৳
ওমানি রিয়াল ৩১৭.৬৫ ৳
বাহরাইনি দিনার ৩২৫.১১ ৳
ভারতীয় রুপি ১.৩৬ ৳

(বি.দ্র.: ব্যাংক এবং মানি এক্সচেঞ্জ ভেদে এই রেট সামান্য কম-বেশি হতে পারে। লেনদেনের আগে আপনার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের রেট যাচাই করে নিন।)

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের বড় অঙ্কের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ কমে আসায় এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি কমে যাওয়ায় মুদ্রাবাজারে এখন আগের মতো অস্থিরতা নেই। বিশেষ করে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারের বিপরীতে টাকার মান এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। প্রবাসীদের প্রতি হুন্ডি বা অবৈধ পথ পরিহার করে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে, কারণ এতে একদিকে যেমন সরকার ঘোষিত আড়াই শতাংশ (২.৫%) নগদ প্রণোদনা পাওয়া যায়, অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়।


আট দফা বাড়ার পর অবশেষে কমল স্বর্ণের দাম: আজ থেকে কার্যকর হবে নতুন মূল্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১১:২২:৪০
আট দফা বাড়ার পর অবশেষে কমল স্বর্ণের দাম: আজ থেকে কার্যকর হবে নতুন মূল্য
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে টানা আট দফা মূল্যবৃদ্ধির পর অবশেষে স্বর্ণের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) স্বর্ণের দাম কমানোর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যা মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশে কার্যকর হয়েছে। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

নতুন নির্ধারিত দর অনুযায়ী, এখন থেকে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ টাকায়। সোমবার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের দাম ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ ভরিতে স্বর্ণের দাম কমেছে ২ হাজার ৫০৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ টাকা।

তবে স্বর্ণের দাম কমলেও রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজুস জানিয়েছে, ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম আগের মতোই ৬ হাজার ৬৫ টাকা নির্ধারণ করা আছে। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের এই দাম কমা ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে। উল্লেখ্য, স্বর্ণের এই বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকারি ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত সর্বনিম্ন ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার নকশা ও মান ভেদে এই মজুরি ভিন্ন হতে পারে।


একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ১২:৫০:৪১
একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। সব পূর্ববর্তী রেকর্ড ভেঙে এবার প্রথমবারের মতো প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার সীমা অতিক্রম করেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন এই দর ঘোষণা করেছে, যা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

বাজুসের পক্ষ থেকে রোববার রাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক দফায় ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা। দেশের ইতিহাসে এটিই এখন পর্যন্ত স্বর্ণের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য হিসেবে নথিভুক্ত হলো।

নতুন দামের তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হবে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকায়। একই সঙ্গে ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩২ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের প্রতি ভরি মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা।

তবে ক্রেতাদের জন্য এই দামে এখানেই ব্যয় শেষ নয়। ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত হবে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি। ফলে সব মিলিয়ে এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে সাধারণ ক্রেতার মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকারও বেশি।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মাত্র এক দিন আগেই অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যা কার্যকর হয় ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এর ঠিক পরদিন আবারও নতুন করে মূল্য সমন্বয় বাজারে চমক তৈরি করেছে। এত অল্প সময়ের ব্যবধানে টানা মূল্যবৃদ্ধিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে বিস্ময় ও উদ্বেগ দুটোই বাড়ছে।

বাজুস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এবং দেশের অভ্যন্তরে তেজাবি স্বর্ণের সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে এই মূল্য সমন্বয় অনিবার্য হয়ে পড়েছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ডলারের গতিবিধিও এই মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে।

স্বর্ণের দামে এমন উল্লম্ফনের বিপরীতে রুপার বাজারে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম আগের মতোই ৬ হাজার ৬৫ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে বাজুস।

-শরিফুল


সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৯:৫৫:২৬
সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ল এবং এবার তা সব রেকর্ড ভেঙে ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার ঘর ছাড়িয়ে গেছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর করার জন্য নতুন এই দাম ঘোষণা করেছে। রোববার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাজুস জানায়, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য।

নতুন নির্ধারিত দরের তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ এখন থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার ৯৯২ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়াও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩১ টাকা। উল্লেখ্য যে, এই নির্ধারিত মূল্যের সাথে ক্রেতাকে বাধ্যতামূলকভাবে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি প্রদান করতে হবে। ফলে মজুরি ও ভ্যাটসহ এক ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কিনতে সাধারণ ক্রেতার খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার বেশি।

সবশেষ গত ২৭ ডিসেম্বরও স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যা ২৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর ছিল। কিন্তু মাত্র একদিনের ব্যবধানে আবারও দামের এই ঊর্ধ্বমুখী উল্লম্ফন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিস্ময় তৈরি করেছে। বাজুস জানিয়েছে, বিশ্ববাজার ও স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের সরবরাহ পরিস্থিতির কারণে এই সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। তবে স্বর্ণের দামের এই মাতামাতির বিপরীতে রুপার দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা বর্তমানে ৬ হাজার ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের এই নজিরবিহীন মূল্য বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও গভীর করে তুলেছে।


রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৯ ০৯:১৩:০৮
রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস
ছবি : সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতি এখন এক জটিল ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, স্থবির মজুরি প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের ভয়াবহ খেলাপি ঋণের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। যদিও সরকারি তথ্যে ২০২৫ সালের নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে চাল, তেল ও সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। একই সময়ে মজুরি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ০৪ শতাংশে স্থবির হয়ে পড়ায় মানুষের প্রকৃত আয় গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতির সবচেয়ে ক্ষতবিক্ষত অংশটি হলো ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৬ দশমিক ৪৪ লাখ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের প্রায় ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ সুদের হার এবং ভ্যাট-ট্যাক্সের চাপে নতুন কোনো ব্যবসা বা শিল্প স্থাপনের সাহস পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। এর ফলে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিনিয়োগ স্থবিরতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি জানান, বেসরকারি বিনিয়োগ জিডিপির তুলনায় দীর্ঘকাল ধরে ২২-২৩ শতাংশে আটকে আছে। বিনিয়োগ না বাড়লে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান ব্যাহত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে বড় ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে। বর্তমানে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণদের ২০ শতাংশই কোনো ধরণের শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের বাইরে রয়েছে, যা এক সামাজিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যদিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ ডিসেম্বর নাগাদ ২৭৮৮ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে কিছুটা বাহ্যিক স্বস্তি মিলেছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারের অব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং খাতের আস্থার সংকট অর্থনীতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেবল পরিসংখ্যানের জাদুকরী উন্নতিতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হবে না; এজন্য প্রয়োজন দ্রুত ও কঠোর সংস্কার, সুশাসন এবং বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।


প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ২০:১৩:২৪
প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এক শক্তিশালী ভিত্তির স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে ঊর্ধ্বমুখী ধারা শুরু হয়েছিল, তা চলতি ডিসেম্বর মাসে এক বিশাল রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রবাসীরা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। গত বছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে এই ইতিবাচক পরিসংখ্যান নিশ্চিত করেছেন। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মাসের বাকি দিনগুলোতেও যদি এই গতি বজায় থাকে, তবে ডিসেম্বর শেষে প্রবাসী আয় প্রথমবারের মতো ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারে। এর আগে গত নভেম্বরে প্রবাসীরা রেকর্ড ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৭৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৩৫৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থান, ডলারের বিনিময় হারে নমনীয়তা এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা এই উল্লম্ফনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।

এই বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। রেমিট্যান্সের এই জোয়ারের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তৈরি হয়েছে স্বস্তি। ডলারের সংকট কাটিয়ে দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আস্থাও ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং ডলারের বাজারে অস্থিরতা চিরতরে দূর হবে।


বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১২:০৪:১৯
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় রেট
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রবাসী আয়ের প্রবাহ সচল রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার সঠিক বিনিময় হার জানা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার নতুন দর নির্ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিদিন এই হার নির্ধারিত হয়। আজকের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান ১২২ টাকা ৩৬ পয়সা হিসেবে স্থিতিশীল রয়েছে।

ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরোর মান আজ দাঁড়িয়েছে ১৪৪ টাকা ৬ পয়সা। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের বিনিময় হার ১৬৫ টাকা ২৩ পয়সা। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সৌদি রিয়ালের দর আজ ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা এবং মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০ টাকা ১৯ পয়সা। তবে বরাবরের মতো আকাশচুম্বী মান ধরে রেখেছে কুয়েতি দিনার, যার আজকের বিনিময় হার ৩৯৭ টাকা ৭২ পয়সা।

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (এক নজরে):

বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা (বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র)
ইউএস ডলার ১২২ টাকা ৩৬ পয়সা
ইউরোপীয় ইউরো ১৪৪ টাকা ০৬ পয়সা
ব্রিটিশ পাউন্ড ১৬৫ টাকা ২৩ পয়সা
অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮২ টাকা ১৭ পয়সা
জাপানি ইয়েন ০.৭৮ পয়সা
কানাডিয়ান ডলার ৮৯ টাকা ৫০ পয়সা
সিঙ্গাপুর ডলার ৯৫ টাকা ২২ পয়সা - ৯৫ টাকা ৩৪ পয়সা
মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ৩০ টাকা ১৯ পয়সা
সৌদি রিয়াল ৩২ টাকা ৫৯ পয়সা
কুয়েতি দিনার ৩৯৭ টাকা ৭২ পয়সা
ভারতীয় রুপি ১ টাকা ৩৬ পয়সা

উল্লেখ্য, ব্যাংকভেদে এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর ক্ষেত্রে এই বিনিময় হার সামান্য কম-বেশি হতে পারে। প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সব সময় বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে বা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে আয়ের সুরক্ষা এবং বোনাস সুবিধা পাওয়া নিশ্চিত হয়।

(সূত্র : গুগল)


ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ১১:৩৫:০০
ই-রিটার্ন দাখিলে আর বাধা নেই: বড় সুখবর দিল রাজস্ব বোর্ড আজ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন সাধারণ নির্বাচন এবং করদাতাদের প্রযুক্তিগত প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে দ্বিতীয় দফায় অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বর এই সুযোগ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, নতুন নির্দেশনায় তা এক মাস বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনেক করদাতার জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা হওয়ায় এবং যান্ত্রিক কিছু জটিলতা এড়াতে এই সময় বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় করদাতারা যাতে নির্বিঘ্নে তাঁদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ জানিয়েছেন, জনস্বার্থ বিবেচনা করেই চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এই নমনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আয়কর আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর রিটার্ন দাখিলের নিয়মিত সময় শেষ হয়। তবে এবার অনলাইন প্রক্রিয়ার কারণে প্রথম দফায় তা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। আজকের নতুন ঘোষণার ফলে করদাতারা আরও ৩০ দিন অতিরিক্ত সময় পেলেন। এনবিআর জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ করবর্ষে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। সময় বাড়ানোর ফলে এই সংখ্যা আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে এবং নির্ভুলভাবে তথ্য প্রদান করতে করদাতারা এখন যথেষ্ট সময় পাবেন। তবে ৩১ জানুয়ারির পর আর সময় বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে এনবিআর এখনো কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করদাতাদের তাঁদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৮ ০৯:৪০:৪৩
আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম অতীতের সকল রেকর্ড চুরমার করে দিয়ে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হওয়া নতুন মূল্যে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছে। গতকাল শনিবার রাতে বাজুসের ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং’ কমিটির এক বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৪ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৯ টাকা। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৩ টাকা। স্বর্ণের পাশাপাশি রুপার দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম এখন ৬ হাজার ৬৫ টাকা। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল, যেখানে ২২ ক্যারেটের ভরি ছিল ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকা। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল।

চলতি বছর বাজুস মোট ৯০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে, যার মধ্যে ৬২ বার দাম বাড়ানো হয়েছে এবং ২৮ বার কমানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৬০০ ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করায় স্থানীয় বাজারেও এই অস্থিরতা কাটছে না। বাজুস স্পষ্ট করেছে যে, গয়না কেনার সময় নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে বাধ্যতামূলক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে, যা ক্রেতাদের ওপর আরও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্ব রাজনীতি ও ডলারের অস্থিরতার কারণে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছে, ফলে বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়ছে। তবে বিয়ে ও উৎসবের এই মৌসুমে দেশের বাজারে স্বর্ণের এমন অস্বাভাবিক দাম সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের বাজেট কাটছাঁট করতে হচ্ছে এবং জুয়েলারি ব্যবসায়ীরাও কাঙ্ক্ষিত বিক্রির অভাবে শঙ্কা প্রকাশ করছেন।

পাঠকের মতামত:

ব্যক্তিগত দায় বনাম প্রাতিষ্ঠানিক দায়: দায়মুক্তির এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের ঘটনা কাগজে পড়লে প্রথমে মনে হয় এটা যেন কোনো যুদ্ধের খবর। এক তরুণকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হাত–পা প্রায়... বিস্তারিত