ট্রাইব্যুনালে হাসিনা: ক্ষমতার চূড়া থেকে কাঠগড়ায়!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সময় গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ব্যাপক সহিংসতা ও গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গতকাল এক মানবাধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠানে জানান, মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পর্বে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, “আমরা এই বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ডিসেম্বরের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বিচার হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ। তদন্তে উঠে এসেছে যে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অভিযানে ১,৪০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারায়।
সাবেক আইজিপি মামুন বর্তমানে কারাগারে আটক থাকলেও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে পলাতক। গ্রেফতারে কিছু আইনি ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রসিকিউশন নিশ্চিত করেছে যে, তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
চিফ প্রসিকিউটর শেখ হাসিনাকে ‘গুম ও আয়নাঘরের নিউক্লিয়াস’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “গণহত্যা ও গুমের ঘটনায় তার প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।” তিনি আরও জানান, ১০-১৫টি উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং জুন মাসের মধ্যেই এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, আজকের অভিযোগ দাখিলের পুরো কার্যক্রম বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, যা এ ধরনের বিচারিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ।
এর আগে, ১২ মে তদন্ত সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করতে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। একই সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলার তদন্তও দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আশ্বস্ত করেছেন, বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, স্বচ্ছতা ও মানবাধিকারের প্রতি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। অতীতে বিচারের নামে যেসব অবিচার ঘটেছে, সে ধরনের কোনো পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে বিষয়েও তারা সচেতন।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা