ট্রাম্প প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেনইলন মাস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার অংশ হিসেবে সরকারি দায়িত্বে থাকা ধনকুবের ইলন মাস্ক এবার নিজ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারি দক্ষতা বিভাগ (Department of Government Efficiency – DOE)-এর দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছিলেন মাস্ক।
মাস্ককে ‘বিশেষ সরকার কর্মচারী’ (Special Government Employee) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যার অধীনে তিনি বছরে ১৩০ দিন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারতেন। এই নিয়োগ ছিল সীমিত সময়ের জন্য এবং তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মে মাসেই। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই হিসেবে মাস্কের দায়িত্ব পালনের সময়সীমা এই সপ্তাহেই শেষ হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন—
“আমি বিশ্বাস করি, ব্যয় সংকোচন সংস্থাটি একসময় সরকারের সর্বত্র কার্যকরভাবে কাজ করবে।”“সরকারের বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। এজন্য আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, যিনি আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী যে সংস্থাটি সময়ের সঙ্গে আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।”
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সেমাফোর-কে জানিয়েছেন, মাস্কের সরকারি দায়িত্ব পালনের সময়কাল বুধবার রাতেই শেষ হচ্ছে। তবে মাস্ক ভবিষ্যতে পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত থাকতে পারেন কিনা—সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি।
ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (DOE) ট্রাম্প প্রশাসনের একটি নতুন উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি ব্যয় হ্রাস, অপ্রয়োজনীয় আমলাতন্ত্র দূর করা এবং প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বাড়ানো।মাস্কের নেতৃত্বে সংস্থাটি কিছু প্রযুক্তিনির্ভর পরামর্শ দিয়েছে যেমন:
- ফেডারেল ডেটা সেন্টার কনসোলিডেশন
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বাজেট বিশ্লেষণ
- সরকারি কেনাকাটায় ব্লকচেইনের ব্যবহার
- তবে এই উদ্যোগ এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের পথে যেতে পারেনি।
ইলন মাস্কের বিদায় ডিওই-র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। তিনি একজন প্রযুক্তি দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন উদ্যোক্তা হিসেবে সরকারি ব্যয় সংকোচন প্রচেষ্টায় নতুন মাত্রা এনেছিলেন। এখন দেখা যাক—এই সংস্থা তাঁর দেখানো পথে অগ্রসর হতে পারে কি না, নাকি মাস্কের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে তা থেমে যাবে।
সূত্র: বিবিসি, সেমাফোর
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক