এক দিনেই বিকাশের সীমা পার, তাসনিম জারার তহবিলে টাকার হিড়িক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ০৯:২৪:০১
এক দিনেই বিকাশের সীমা পার, তাসনিম জারার তহবিলে টাকার হিড়িক
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের নির্বাচনী ময়দানে যখন কোটি কোটি টাকার ঝনঝনানি আর পেশিশক্তির দাপট নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব নিজের নির্বাচনী প্রচারণার খরচ জোগাতে বেছে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চাওয়ার পথ। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন ও তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টের মাধ্যমে তিনি নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিকাশ নম্বর শেয়ার করে তহবিল বা ফান্ডরেইজিংয়ের ডাক দেন। তার এই আবেদনে মানুষ কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন তার প্রমাণ মেলে মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে। এই অল্প সময়েই তার তহবিলে জমা পড়েছে ১২ লাখ টাকারও বেশি অনুদান।

ডা. তাসনিম জারা তার পোস্টে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছেন। তিনি লিখেছেন যে নির্বাচনে একজন প্রার্থীর ব্যয় করার আইনি সীমা সর্বোচ্চ ৪৬ লাখ টাকা হলেও বাস্তবে অনেকে ২০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করেন। বিপুল অংকের এই বিনিয়োগ পরে সুদে-আসলে তুলতে গিয়েই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মতো অনৈতিক পথে পা বাড়ান। এই সিন্ডিকেট সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে জারা ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি এক পয়সাও কালো টাকা বা অবৈধ উৎস থেকে নেবেন না। তার এই সৎ ও সাহসী অবস্থান সাধারণ ভোটারদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে তার তহবিলের দ্রুত বৃদ্ধিতে।

তাসনিম জারা জানান যে মানুষের প্রবল আগ্রহের কারণে তার বিকাশ পার্সোনাল নম্বরের দৈনিক লেনদেনের সীমা মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই পার হয়ে গেছে। প্রথম ৪ ঘণ্টায় ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা পাওয়ার পর পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় তা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। জারা তার মোট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা যা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত সর্বোচ্চ সীমা। তবে তিনি জানিয়েছেন যে ৩৪ লাখ টাকা সংগ্রহ হয়ে গেলেই তিনি ফান্ডরেইজিং বন্ধ করে দেবেন। মানুষের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিটি টাকার হিসাব তিনি জনসম্মুখে প্রমাণসহ প্রকাশ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।

এনসিপির এই প্রার্থীর এমন উদ্যোগ বাংলাদেশে নতুন ধরণের এক রাজনৈতিক সংস্কৃতির সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। শাপলা কলি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকা ডা. জারা প্রমাণ করছেন যে জনগণের আস্থা থাকলে বড় কোনো ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের সমর্থন ছাড়াই নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা সম্ভব। অনেকেই একে 'অসম্ভব' বললেও তাসনিম জারা মনে করেন যে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনীতির যাত্রাটা হতে হবে সত্য ও স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে। তার এই অভিনব প্রচারণা এখন ফেসবুক ও ইউটিউব জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।


অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে এনসিপি: রিফাত রশিদের ৫টি কড়া যুক্তি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ২০:২৮:৪৭
অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে পারে এনসিপি: রিফাত রশিদের ৫টি কড়া যুক্তি
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বর্তমান রাজনৈতিক গতিপথ এবং জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন সমঝোতার গুঞ্জন নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন যে মাত্র ৩০টি আসনের লোভে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোটে যাওয়া এনসিপির অস্তিত্বের জন্য চরম হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। রিফাত রশিদের মতে এই ধরণের জোটবদ্ধতা এনসিপিকে একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ধ্বংস করে দিতে পারে এবং দলটিকে জামায়াতের ‘বি-টিম’ হিসেবে মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত করবে।

রিফাত রশিদ তাঁর দীর্ঘ স্ট্যাটাসে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট পয়েন্টের মাধ্যমে এনসিপির সম্ভাব্য সংকটের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এনসিপি ইতিমধ্যে ১২৫টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে যারা মাঠ পর্যায়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এখন মাত্র ৩০টি আসন নিয়ে জোট করলে বাকি ৯৫ জন প্রার্থী বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারেন যা দলটিকে ভাঙনের মুখে ঠেলে দেবে। দ্বিতীয়ত তিনি মনে করেন যে এই জোটের ফলে জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব পুরোপুরি জামায়াতের কাছে চলে যাবে এবং এনসিপি আর কখনো স্বতন্ত্রভাবে এই বিপ্লব দাবি করতে পারবে না।

রিফাত রশিদের তৃতীয় ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হলো এনসিপির অভ্যন্তরে একটি বড় গোষ্ঠী জামায়াত-বিরোধী মানসিকতার এবং তারা রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পদত্যাগ করতে পারেন। বিশেষ করে এনসিপির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রশক্তির কর্মীরা যারা ক্যাম্পাসে শিবিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করে তারা চরম হতাশ ও অকার্যকর হয়ে পড়বে। এছাড়া একাত্তরের দায় এবং সাম্প্রতিক মবোক্রেসি নিয়ে জামায়াতের যে অবস্থান তা এনসিপির ওপরও বর্তাবে যা দলটির ‘ইনক্লুসিভ পলিটিক্স’ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির বয়ানকে শেষ করে দেবে।

সবশেষে রিফাত রশিদ পরামর্শ দেন যে এনসিপির উচিত স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করা অথবা তিন দলীয় জোটের পরিধি বাড়ানো। তিনি গাণিতিক ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে সারা দেশে ৫ শতাংশ ভোট পেলেও এনসিপি রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকবে কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া মানে দলটিকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা। ক্ষমতার অতিরিক্ত খায়েশ মেটাতে গিয়ে এনসিপি যেন নিজের দীর্ঘমেয়াদী রাজনীতি শেষ না করে সেই আহ্বান জানিয়ে তিনি দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের শুভবুদ্ধির উদয় কামনা করেন। রিফাত রশিদের এই বিশ্লেষণ ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।


রাজনৈতিক মাঠে তারেক রহমানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:৫০:২৫
রাজনৈতিক মাঠে তারেক রহমানের ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করবে জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে ফিরে আসার ঘটনাকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে একসময়ের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন যে তাঁর একজন রাজনৈতিক সহকর্মী দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি রাজনীতির মাঠে ফিরছেন, এটিকে তিনি বড় ধরণের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন। তবে এই ফিরে আসার পর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখেন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, সে বিষয়ে জামায়াত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

শফিকুর রহমান তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে কেবল দেশে ফেরাই বড় কথা নয় বরং বর্তমান সংকটকালীন সময়ে তারেক রহমানের পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের কৌশলের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিশেষ করে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের প্রশ্নে বিএনপির শীর্ষ এই নেতার অবস্থান কী হবে, সেদিকেই এখন সবার নজর। জামায়াতের আমির স্পষ্ট করেছেন যে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই আগামীর রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ধারিত হতে পারে।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন যে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের ফিরে আসা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে তিনিও আমিরের সুরেই মনে করেন যে জাতীয় রাজনীতিতে তারেক রহমান কীভাবে নিজের অবস্থান তৈরি করবেন এবং অন্যান্য দলের সাথে সহাবস্থান করবেন, তার ওপরই তাঁর রাজনৈতিক সাফল্যের মূল্যায়ন হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই নতুন বাংলাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন কিংবা ঐক্যের বিষয়টি তারেক রহমানের এই ফিরে আসার মাধ্যমেই একটি চূড়ান্ত রূপ পেতে পারে। আজ সকালে তারেক রহমান সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে। জামায়াতের এই ‘নজর রাখা’র ঘোষণা মূলত আগামীর নির্বাচনী জোট কিংবা রাজনৈতিক ঐক্যের একটি সতর্ক সংকেত হিসেবেও দেখছেন অনেকে।


মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়ব: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:৩৫:১৭
মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ গড়ব: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বীরের বেশে স্বদেশের মাটিতে ফিরে জনতার উদ্দেশ্যে নিজের রাজনৈতিক স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি এই ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে লাল-সবুজ রঙে সজ্জিত একটি বাসে চড়ে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে লক্ষ লক্ষ জনতা তাঁকে গগণবিদারী স্লোগানে স্বাগত জানান। ঠিক ৩টা ৫৭ মিনিটে ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ সম্বোধনের মাধ্যমে তিনি তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত বক্তৃতা শুরু করেন।

তারেক রহমান তাঁর ভাষণে ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ন্যায়বিচারের আদর্শকে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আসুন আমরা সকলে মিলে প্রতিজ্ঞা করি, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবে, আমরা সকলে নবী করিম (সা.)-এর যে ন্যায়পরায়ণতা, সেই ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ১৯৭১-এর স্বাধীনতা, ৯০-এর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান—সবই এদেশের মানুষের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই ছিল।

বিখ্যাত নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ারের সেই কালজয়ী উক্তির অনুকরণে তারেক রহমান বলেন, “আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি।” তিনি স্পষ্ট করেন যে তাঁর এই পরিকল্পনা কেবল ব্যক্তিগত নয় বরং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন। তিনি এমন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন যেখানে একজন মা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন এবং প্রতিটি নাগরিক ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরে আসার নিশ্চয়তা পাবেন।

ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন যে এখন সময় এসেছে প্রতিহিংসা ভুলে দেশ গড়ার। তিনি প্রতিটি মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী ন্যায্য অধিকার এবং কথা বলার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি মহান আল্লাহর কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করেন যাতে পরম করুণাময় এদেশের মানুষের পরিশ্রমের ওপর রহমত দান করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই বিশাল সংবর্ধনা সভায় তারেক রহমানের এই আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক ভাষণ কর্মীদের মাঝে এক অভূতপূর্ব উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।


পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:১৭:১৫
পদত্যাগের গুঞ্জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তাঁর পক্ষে সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মূলত বিএনপি এই আসনটি তাদের জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে ছেড়ে দেওয়ায় এবং সেখানে মাওলানা জোনায়েদ আল হাবিবকে প্রার্থী করায় রুমিন ফারহানা এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় নিজের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রুমিন ফারহানা। বিএনপি থেকে পদত্যাগের গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, “এখনো আমি এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমি আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। তারা যদি বলে তাহলে আমি সেই পথে (পদত্যাগ) যাব। তবে নির্বাচন আমি করবই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা থাকলেও এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা জানান যে তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই আসনে দলের জন্য কাজ করেছেন এবং এলাকার মানুষের ব্যাপক সমর্থন তাঁর সাথে রয়েছে। তিনি বলেন, “এত বড় দল (বিএনপি) তাদের ভালো-মন্দ দেখতে হয়। যেহেতু জমিয়তে উলামায়ের সঙ্গে তারা জোট করেছে আসন না দিলে কেমন করে জোট হবে! দল বাধ্য হয়ে তাদের আসন দিয়েছে।” দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বহিষ্কারের যে হুমকি রয়েছে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে দল ব্যবস্থা নিতে চাইলে নিতে পারে, তবে তিনি মনোনয়ন কেনার আগেই সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন।

উল্লেখ্য যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রুমিন ফারহানার এই স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা জোটের প্রার্থীর জন্য বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রুমিন ফারহানা নিজেকে এলাকার মানুষের ‘শক্তি ও সাহসের উৎস’ হিসেবে দাবি করেছেন এবং নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই তাঁর পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় যে বিএনপি হাই কমান্ড তাঁর এই বিদ্রোহী প্রার্থিতার বিষয়ে শেষ পর্যন্ত কী ধরণের সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।


তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:১০:৫৪
তারেক রহমানের ফেরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের চূড়ান্ত বিজয়: নাহিদ ইসলাম
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে ফিরে আসাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে আন্তরিক স্বাগতম জানান। নাহিদ ইসলাম তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নিজের দেশে ফেরার এই অধিকার পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি অত্যন্ত ইতিবাচক ও শক্তিশালী প্রতিফলন।

নাহিদ ইসলাম তাঁর ফেসবুক বার্তায় তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের ওপর বিগত বছরগুলোতে হওয়া রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরে লেখেন, “তারেক রহমান এবং তাঁর পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাঁকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং হাজারো শহীদের রক্তদানের মাধ্যমে আজ এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে যেখানে রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে তিনি স্বদেশে ফিরতে পেরেছেন। নাহিদ ইসলাম এমন এক বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে আর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের শিকার হতে হবে না।

এনসিপি আহ্বায়কের মতে বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে দেশ আজ এক মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছে। এই নতুন বাস্তবতায় প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইনের শাসন এবং সমান রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই এখন মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস প্রকাশ করেন। তবে একই সাথে তিনি সতর্ক করে বলেন যে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হবে এই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পোস্টের শেষ অংশে নাহিদ ইসলাম তারেক রহমানকে স্বদেশে পুনরায় স্বাগত জানিয়ে তাঁর আগামীর রাজনৈতিক পথচলা ফলপ্রসূ হওয়ার কামনা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তারেক রহমানের এই অংশগ্রহণ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর আগে সকালে এনসিপির আরেক শীর্ষ নেতা সারজিস আলমও তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে এক ধরণের ইতিবাচক সহাবস্থানের আবহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে যা সাধারণ মানুষের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।


আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৮:০১:২৯
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যার থেকে ইচ্ছা কেড়ে নেন: তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবন শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার এই মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ বার্তার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পোস্টে তিনি পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেন যে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ এবং তিনিই যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন আবার যাঁর থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

তারেক রহমান তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ্! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ তাঁর এই বার্তার মাধ্যমে একদিকে যেমন বিনয় প্রকাশ পেয়েছে, অন্যদিকে গত দেড় দশকের রাজনৈতিক নিপীড়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আল্লাহর ওপর অটুট বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন তাঁর অনুসারীরা।

এর আগে বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দেওয়ার সময় এবং যাত্রাপথেও তিনি একাধিক পোস্ট দিয়ে দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছিলেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তাঁর বিমান প্রথমে সিলেটে অবতরণ করে এবং পরবর্তীতে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি রাজধানী ঢাকায় পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁকে বরণ করতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ক্ষমতার পালাবদল এবং দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের এই আধ্যাত্মিক ও বিনয়ী বার্তা দেশের মানুষের মাঝে এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যখন দেশের রাজনীতি এক নতুন মোড় নিয়েছে, তখন তাঁর এই ‘ক্ষমতা আল্লাহ দেন এবং কেড়ে নেন’ এমন উক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিকেলে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং পরবর্তীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৪:১৯:১৮
ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঐতিহাসিক এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক ও জনআবেগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট হয়ে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এ অবতরণ করে। বিমানবন্দর এলাকায় অপেক্ষমাণ লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমান।

এই অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চারটি ছবি প্রকাশ করেন। ছবির ক্যাপশনে সংক্ষিপ্ত অথচ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় তিনি লেখেন “সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।” এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

এর আগে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছালে তারেক রহমানকে প্রথমে বরণ করে নেন তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। পরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে একে তাকে অভ্যর্থনা জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা। এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে গুলশানের ঐতিহাসিক ১৯৬ নম্বর বাড়ি, যা বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান সেখানে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা ও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শেষে তারেক রহমান বর্তমানে তার জন্য নির্মিত প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া-কে দেখতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় পর মা-ছেলের এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিশেষ আবেগের জন্ম দিয়েছে।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।

-রফিক


তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৩:২৩:৫৮
তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–এর প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপি ছাড়ার বিষয়টি জানান। ‘একটি বিশেষ ঘোষণা’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি আর এনসিপির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখছেন না এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

ফেসবুক পোস্টে মীর আরশাদুল হক উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করেই তিনি এই ঘোষণা দিচ্ছেন। তার ভাষায়, এই দিনটি তার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনি মনে করেন বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের নেতৃত্বই দেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প।

উল্লেখ্য, এনসিপিতে মীর আরশাদুল হক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিবের পাশাপাশি নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য, মিডিয়া সেল ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, পরিবেশ সেলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী। একই সঙ্গে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

এনসিপি নিয়ে নিজের হতাশার কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে তিনি লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, বাস্তবে গত ১০ মাসে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তার মতে, দলীয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দিক থেকে এনসিপি সেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি সেই ভুল পথে আর এগোতে চান না।

তিনি আরও বলেন, দল ছাড়লেও এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং তিনি তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মীর আরশাদুল হক মন্তব্য করেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও জোট সরকার গঠন করতে পারলেই দেশ একটি কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পথে এগোতে পারবে। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য, কর্মকৌশল ও রাজনৈতিক অবস্থান তাকে গভীরভাবে আশাবাদী করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল ধর্মীয় আবেগ ও পপুলিজমকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, সেখানে তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, কর্মসংস্থান ও সংস্কৃতির মতো সাধারণ মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলোতে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক রূপরেখা তুলে ধরছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।

শেষাংশে তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হুজুগ বা আবেগ নয়, বরং দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করা প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সেই সমর্থন প্রকাশ করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

-রাফসান


ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৩:১৬:৪৭
ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পরপরই তারেক রহমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে নেমেই তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমান–এর বিজি ২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ।

বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানে এক আবেগঘন মুহূর্তে অপেক্ষারত তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তাকে গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

ভিআইপি লাউঞ্জেই অবস্থানকালে তারেক রহমান মোবাইল ফোনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপকালে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার পুরো প্রক্রিয়ায় গৃহীত নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ ও আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপি সূত্রের মতে, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। পরিবারসহ তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত