হোয়াইট হাউস না ‘র‍্যাগিং হাউস’?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২২ ২০:০২:৩১
হোয়াইট হাউস না ‘র‍্যাগিং হাউস’?

সত্য নিউজ: হোয়াইট হাউস, যা এক সময় ছিল বৈশ্বিক রাজনীতির মর্যাদাপূর্ণ সৌজন্যবোধ ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের প্রতীক, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে তা যেন এক ব্যতিক্রমী নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছিল। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়ে হোয়াইট হাউসের ভিতরে যেভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, তা অনেকটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ওপর র‍্যাগিং দেওয়ার ঘটনার মতোই মনে হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কাছে।

সাম্প্রতিক একটি আলোচিত ঘটনার কেন্দ্রে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে শুল্ক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য ওভাল অফিসে উপস্থিত হন তিনি। আলোচনার শুরুতে পরিবেশ ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রাম্প আলোচনা ঘুরিয়ে দেন দক্ষিণ আফ্রিকায় তথাকথিত 'শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা' প্রসঙ্গে। তিনি সেই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে একটি ভিডিও চালান, যেটি পরবর্তীতে ভুয়া প্রমাণিত হয়। এমনকি তিনি সংবাদপত্রের কাটিং দেখিয়ে তাঁর বক্তব্য সমর্থন করার চেষ্টা করেন। রামাফোসা শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দিলেও, কাতার থেকে ট্রাম্পের প্রাপ্ত বিলাসবহুল বিমানের উপহারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি কৌশলে কটাক্ষ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

এই তালিকায় শুধু রামাফোসাই নন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও একবার হোয়াইট হাউসের ‘অভ্যর্থনা’ ভুলতে পারেননি। ২০২০ সালের একটি বৈঠকে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের রূঢ় আচরণে তিনি এতটাই অপমানিত হন যে, খাবার না খেয়ে ওভাল অফিস ত্যাগ করেন।

একই ধরনের ঘটনা ঘটে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে। হোয়াইট হাউসে প্রথম সফরে গিয়ে তিনি বিস্মিত হন যখন ট্রাম্প প্রকাশ্যে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের “৫১তম রাজ্য” বানানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে একপ্রকার বিদ্রূপে পরিণত করে। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও রেহাই পাননি। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত ও ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক মন্তব্য পুরো আলোচনার পরিবেশকে জটিল করে তোলে।

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হোয়াইট হাউসের অতিথি হতে গিয়ে অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকেই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কূটনীতির মঞ্চ যেখানে সৌজন্য, সংযম ও রাষ্ট্রীয় ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি- সেখানে ট্রাম্পের ‘র‍্যাগিংসুলভ’ আচরণ যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক মানদণ্ডের জন্য এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন অনেক রাষ্ট্রপ্রধানের কাছেই হোয়াইট হাউসের নিমন্ত্রণ মানেই এক অজানা অনিশ্চয়তা ও সম্ভাব্য অপমানের প্রস্তুতি।


ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৬:৪৫:৪৩
ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশের আসল শত্রু অন্য কোনো জাতি নয়, বরং বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা। গুজরাটে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামুদ্রিক প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারত ‘বিশ্বব্যাপী বন্ধু হওয়ার অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে চলছে’ এবং দেশের কোনো বড় প্রতিপক্ষ নেই।

‘স্বনির্ভর হতে হবে ভারতকে’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, “প্রকৃত অর্থে যদি আমাদের কোনো শত্রু থাকে, তা হলো অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরতা।” সমৃদ্ধি অর্জন এবং ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে বলে তিনি জোর দেন। তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ‘বহিরাগতদের’ ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার আহ্বান জানান।

মোদি বলেন, “আমরা যদি অন্যের করুণার ওপর নির্ভরশীল থাকি, তাহলে আমাদের আত্মসম্মানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যদের ওপর (নির্ভরশীল করে) ঝুঁকি নিতে পারি না।”

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির এসব মন্তব্য এলো। গত মাসে ওয়াশিংটন রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করে।

হোয়াইট হাউস এইচ-১বি ভিসা আবেদনের ওপর নতুন করে ১০০০০০ ডলার বার্ষিক ফি ঘোষণা করেছে। আইটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ন্যাসকম জানিয়েছে, এটি দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ক্ষতি করবে।


লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১২:২০:৩৪
লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি
পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ/ ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে জেন-জি (Generation Z) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী লিমায় শত শত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভের কারণ

পেরুতে বেড়ে চলা সামাজিক অস্থিরতা, সংগঠিত অপরাধ, ব্যাপক সরকারি দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা লিমায় প্রেসিডেন্ট ভবন এবং কংগ্রেস ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারী গ্লাডিস বলেন, “আজকের দিনে আগের তুলনায় গণতন্ত্র কমে গেছে। ভয় আর চাঁদাবাজির কারণে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।” সেলেন আমাসিফুয়েন নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “কংগ্রেসের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাদের প্রতি জনগণের কোনো বিশ্বাসও নেই… তারা দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।”

হতাহতের খবর

স্থানীয় রেডিও স্টেশন এক্সিতোসা জানিয়েছে, তাদের একজন প্রতিবেদক এবং একজন ক্যামেরাম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্যালেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা কমেছে

দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। আগামী বছর তার মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে দেশে চাঁদাবাজি ও সংগঠিত অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, সরকার ও রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস উভয়কেই অনেক নাগরিক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখে। সম্প্রতি আইনসভা একটি আইন পাস করেছে, যেখানে তরুণদের বেসরকারি পেনশন ফান্ডে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ অনেক তরুণ এখনো অনিশ্চিত কর্মপরিবেশের মধ্যে রয়েছে।

ট্যাগ: পেরু জেন-জি

ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১২:০৬:১৮
ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার জন্য নতুন করে ১ লাখ ডলারের এককালীন ফি কার্যকর হচ্ছে রবিবার থেকে। হোয়াইট হাউস শনিবার জানিয়েছে, এই ফি প্রতি পিটিশনের (আবেদনের) জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে যাদের ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা রয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসার সময় এই ফি দিতে হবে না।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এক্সে (পূর্বতন টুইটার) লিখেছেন, “এটি বার্ষিক ফি নয়। কেবলমাত্র নতুন আবেদন জমা দেওয়ার সময় এটি একবার দিতে হবে।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত এইচ-১বি ভিসাধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করবেন না।

এই ঘোষণার আগে শুক্রবার বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছিলেন, এই ফি প্রতিবছর দিতে হবে, যদিও তখন তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তার মন্তব্যের পর মাইক্রোসফট, জেপি মরগান এবং অ্যামাজনের মতো শীর্ষ কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ ইমেইলে কর্মীদের সতর্ক করে বলেছিল, আপাতত দেশ ছেড়ে না যাওয়াই ভালো। গোল্ডম্যান স্যাকসও এক মেমোতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সতর্ক থাকতে কর্মীদের পরামর্শ দেয়।

লেভিট শনিবার স্পষ্ট করে বলেন, ভিসাধারীরা স্বাভাবিক নিয়মে দেশ ছেড়ে যেতে এবং ফেরত আসতে পারবেন। নতুন ফি কেবল আগামী লটারির রাউন্ডে প্রযোজ্য হবে এবং বর্তমান ভিসাধারীদের নবায়ন বা পুনঃপ্রবেশে এটি নেওয়া হবে না।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমেরিকান শ্রমিকদের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, কম বেতনের বিদেশি শ্রমিকদের কারণে আমেরিকান শ্রমিকদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়ছে।

শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশে এই নতুন ফি কার্যকর করেন, তা নিয়ে ভারতীয় আইটি খাতের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আইটি শিল্পের সংগঠন ন্যাসকম বলেছে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত হাজার হাজার ভারতীয় পেশাদারের কর্মপরিকল্পনা ও গ্লোবাল অপারেশন ব্যাহত করতে পারে।

হোয়াইট হাউসের শনিবার প্রকাশিত তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কিছু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এই ফি মওকুফ করা হতে পারে। এছাড়াও, শ্রম দফতর ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যৌথভাবে যাচাই, তদারকি, অডিট এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করবে। শ্রম সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি এইচ-১বি কর্মীদের মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং উচ্চ দক্ষতা ও উচ্চ বেতনের কর্মীদের অগ্রাধিকার দেন।

শুক্রবারের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কর্পোরেট কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জনপ্রিয় চীনা সামাজিক মাধ্যম রেডনোটে অনেক এইচ-১বি ভিসাধারী তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন—কেউ কেউ বিদেশে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরে আসছেন এই আশঙ্কায় যে নতুন ফি তাদেরও দিতে হতে পারে।

-নাজমুল হাসান


ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:৪১:৩৯
ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রিটেন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার রোববার এই ঘোষণা দেবেন।

এতদিন যুক্তরাজ্য সবসময় ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক অভিযান, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং দুর্ভিক্ষের মতো মানবিক সংকট দেশটির অবস্থান পাল্টে দিয়েছে।

স্টার্মার জুলাইয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতিতে গুরুতর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ব্রিটেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তাঁর মতে, এই স্বীকৃতি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এতে সন্ত্রাসবাদ পুরস্কৃত হবে এবং উগ্রবাদকে উৎসাহ দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় বার্তা দেবে। আশা করা হচ্ছে, ফ্রান্সসহ আরও অন্তত ১০টি দেশ শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

-সুত্রঃ এ এফ পি


ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এরদোগান: টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্কের পর কেন এই বৈঠক?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১০:৫৭:৩৫
ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এরদোগান: টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্কের পর কেন এই বৈঠক?
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প নিজেই এই ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্প লেখেন, “আমরা এরদোগানের সঙ্গে বাণিজ্য ও সামরিক খাতে অনেক চুক্তি নিয়ে কাজ করছি। এর মধ্যে রয়েছে বোয়িং বিমান কেনার একটি বড় চুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ এফ-১৬ চুক্তি এবং এফ-৩৫ নিয়ে চলমান আলোচনা, যা আমরা ইতিবাচকভাবে শেষ করতে পারব বলে আশা করছি।” তিনি আরও লেখেন, “প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং আমার সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক। আমি ২৫ তারিখে তার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় আছি।”

অতীতের টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্ক

এরদোগান সর্বশেষ ২০১৯ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের শাসনামলে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থাকলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছিল বেশ টানাপোড়েনপূর্ণ। এর প্রধান কারণ ছিল সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এবং মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারার ঘনিষ্ঠতা।

২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনায় তুরস্ক ট্রাম্প প্রশাসনকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি বাতিল করে এবং বিমানটির যৌথ উৎপাদন কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দেয়। পরবর্তীতে তুরস্ক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়।


আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’: ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১০:৪৬:২২
আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’: ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের এমন কঠোর অবস্থানের কারণে আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্পের হুমকি ও বাগরামের গুরুত্ব

ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, আফগানিস্তান যদি বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে না দেয়, তাহলে ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে পারে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “আমরা এখন আফগানিস্তানের সঙ্গে কথা বলছি এবং আমরা এটি ফিরে চাই—এখনই চাই। আর যদি তারা না দেয়, তাহলে আমি কী করব, তা আপনি শিগগিরই জানতে পারবেন।”

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সময় বাগরাম ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। এই বিশাল ঘাঁটিতে ফাস্টফুড চেইন থেকে শুরু করে বড় শপিং স্টোর পর্যন্ত ছিল। এছাড়া, এখানে একটি বড় কারাগার কমপ্লেক্সও ছিল। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার পর তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং বাগরামসহ অন্যান্য সামরিক ঘাঁটি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

সামরিক অভিযান ও নিরাপত্তা ঝুঁকি

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করতে গেলে এটি একটি পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানে রূপ নিতে পারে, যার জন্য ১০ হাজারের বেশি সেনা ও উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে, ঘাঁটিটি তালেবান, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া ইরান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা রয়েছে, যেমনটি ২০২৫ সালের জুন মাসে কাতারের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ঘটেছিল।

রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, তবে তার মন্তব্য পরিস্থিতিকে নতুন দিকে মোড় দিয়েছে।


ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ২১:১৮:৪০
ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সই হওয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে সৌদি আরব প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে। তার মতে, এই চুক্তি ন্যাটো জোটের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মতো, যেখানে এক সদস্যের ওপর আক্রমণ মানেই সবার ওপর আক্রমণ।

‘পারমাণবিক সক্ষমতা চুক্তির অন্তর্ভুক্ত’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই চুক্তিতে পারস্পরিক কৌশলগত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব অবশ্যই পাকিস্তানের পাশে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।” রয়টার্সকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রও এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তার ভাষায়, “আমাদের সক্ষমতাগুলো অবশ্যই এই চুক্তির আওতায় ব্যবহারযোগ্য থাকবে।”

অন্যদিকে, সৌদি আরবের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যাতে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত।

চুক্তির পেছনের কারণ ও প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াদ সফরের সময় এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মূল শর্ত অনুযায়ী, যেকোনো এক দেশের ওপর আগ্রাসন মানেই উভয়ের ওপর আগ্রাসন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এতে পাকিস্তান শক্তিশালী আর্থিক সহায়তা এবং একটি ‘আরব জোট’-এর সুবিধা পেতে পারে, আর সৌদি আরব পাবে একটি ‘পারমাণবিক ঢাল’।

এই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, তারা এর প্রভাব তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।

‘দরজা বন্ধ নয়’

খাজা আসিফকে ‘আরব জোট’ গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দরজা বন্ধ নয়। তবে আগেভাগে কিছু বলা যাবে না।” তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীসহ সব দেশের নিজেদের একত্রে প্রতিরক্ষা করার অধিকার আছে।


মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৯:৫৯:৩৪
মণিপুরে জাতিগত সংঘাতের পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর প্রথম হামলা
আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে আনা হয়। ছবি: সমকাল

ভারতের মণিপুর রাজ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর জেলায় আসাম রাইফেলসের (এআর) সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলায় দুই সেনা নিহত হয়েছেন। এই হামলায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। এই হামলার জন্য ইম্ফল উপত্যকাভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে।

হামলার বিস্তারিত

ঘটনাটি নম্বল পুলিশ স্টেশনের আওতাধীন নম্বল সাবল লেইকাই এলাকায় ঘটেছে। আসাম রাইফেলসের একটি গাড়ি ইম্ফলের দিক থেকে বিষ্ণুপুরের দিকে যাচ্ছিল, তখন অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং গাড়িটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, একজন সেনাসদস্য ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আহত অন্যদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। নিহতরা হলেন নায়েব সুবেদার শ্যাম গুরুং এবং রাইফেলম্যান রঞ্জিত সিং কাশ্যপ।

হামলাকারী কারা?

এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ‘দ্য ওয়্যার’ পত্রিকাকে জানিয়েছেন, এই হামলার পেছনে উপত্যকাভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো জড়িত। তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত পিএলএ (পিপলস লিবারেশন আর্মি) এই হামলা চালিয়েছে।” তবে, এই দাবির সত্যতা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

আসাম রাইফেলসের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আশুতোষ কুমার সিনহা এক বিবৃতিতে বলেন, “সব নিরাপত্তা বাহিনীর শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এই হামলা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৬ দিন আগেই আসামে প্রায় ৬,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর ছয় দিন পরই এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

সংঘাত ও সহিংসতা

২০২৩ সালের মে মাসে কুকি-জো এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত শুরুর পর মণিপুরে মোতায়েন করা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটিই প্রথম বড় হামলা। ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন এবং ৬০ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের ফলে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ এবং অস্ত্র লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।

বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।


‘নান্দো’ এবার সুপার টাইফুনে পরিণত হচ্ছে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১৯:৩০:৩৫
‘নান্দো’ এবার সুপার টাইফুনে পরিণত হচ্ছে
প্রতীকী ছবি

ফিলিপাইন সাগরে সৃষ্ট সামুদ্রিক ঝড় ‘নান্দো’ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘সুপার টাইফুনে’ পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো। এমন আশঙ্কায় দেশটির অভ্যন্তরীণ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (ডিআইএলজি) একটি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইন নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

জনগণকে নিরাপদ রাখতে জরুরি নির্দেশনা

প্রেসিডেন্ট মার্কোসের নির্দেশে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই জরুরি নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

সমুদ্রে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা।

আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ছোট নৌকা বা মাছ ধরার ট্রলার সমুদ্রে যেতে পারবে না।

ঝড়ের সময় মদ্যপান করা যাবে না।

স্থানীয় প্রশাসনকে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী, বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং মানবিক সহায়তা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র ঝড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং যারা নৌযান চালাতে পারেন না, তাদের জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়া, স্বাস্থ্য বিভাগ ও উদ্ধারকারী দলগুলোকে প্রস্তুত রাখা এবং সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে জলপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

যেসব এলাকায় সতর্কতা জারি

ঝড়টি সুপার টাইফুনে পরিণত হলে বাতাঁনেস-বাবুয়ান দ্বীপপুঞ্জের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে। এ অবস্থায় বাতাঁনেস, কাগায়ান, ইলোকোস নর্তে, ইলোকোস সুর এবং কাগায়ানের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: