ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর চীনের পুরস্কার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২২ ০৯:৫৩:১৮
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর চীনের পুরস্কার

সত্য নিউজ:সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার পরপরই চীন পাকিস্তানের কাছে তাদের অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট J-35A হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করেছে। নিউজ১৮-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক মহল পাকিস্তানের “সংঘাতে ভূমিকার পুরস্কার” হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। চুক্তিটি শুধু চীন-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সম্পর্ককেই জোরদার করছে না, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের কৌশলগত আগ্রহ ও উপস্থিতিকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করছে।

সূত্র অনুযায়ী, আগামী আগস্টের মধ্যেই পাকিস্তান প্রথম দফায় ৩০টি J-35A ফাইটার জেট পাবে, যা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচির তুলনায় অনেক দ্রুত অগ্রগতি। বর্তমানে চীনে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার চীনা রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তির আর্থিক ও লজিস্টিক বিষয় চূড়ান্ত করেছেন।

বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হলো, চীন এই চুক্তিতে ৫০% ছাড় এবং সহজ শর্তে অর্থপ্রদান নিশ্চিত করেছে। চীনের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তানের "সফল আকাশ প্রতিরক্ষা পারফরম্যান্স" এর স্বীকৃতিস্বরূপ এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি দল বেইজিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স সদর দফতরে।

চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিকীকরণ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং চীনের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তির আওতায় চীন পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামোয় আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যা চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC)-এর দ্বিতীয় ধাপের অংশ।

এর বিনিময়ে ইসলামাবাদ চীনের স্বার্থে গওয়াদর বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার এবং কার্যকর অপারেশনাল অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর “অপারেশন সিন্ধুর” পরিচালনার পর চীন প্রকাশ্যে এর সমালোচনা করেছিল এবং ইসলামাবাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিল।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানকে “আয়রনক্ল্যাড বন্ধু” আখ্যা দিয়ে বলেন, “সব আবহাওয়ার কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব” আরও গভীর করা হবে।

ট্যাগ: পুরস্কার J-35A

বিদেশি ‘সরকার পরিবর্তন বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২০:৫৩:৩৩
বিদেশি ‘সরকার পরিবর্তন বা জাতি গঠনের’ মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড
তুলসী গ্যাবার্ড মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে টানছে ওই নীতি। সংগৃহীত ছবি

অন্য দেশের সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি মেনে আসছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে এসে তা শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি দাবি করেন, অন্য দেশে অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রব্যবস্থা চাপানোর নীতির কারণে মিত্রের চেয়ে শত্রুই বেশি তৈরি হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা এপি এই তথ্য জানিয়েছে। বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ‘মানামা ডায়ালগ’ নিরাপত্তা সামিটের আগে তুলসী গ্যাবার্ড এই মন্তব্য করেন।

পুরোনো বৈদেশিক নীতির ব্যর্থতা

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি—যা রিজিম চেইঞ্জ বা রাষ্ট্র গঠনের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়েছে—তা এক ধরনের ব্যর্থ চক্রে আটকে ছিল। তিনি এই নীতিকে ‘একমাত্রিক ও একরূপ’ বলেও অভিহিত করেন।

তিনি মনে করেন, শাসক পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা চাপানো এবং নানা সংঘাতে অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে মিত্রের চেয়ে অধিক শত্রু তৈরি হয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ডের মতে, এমন নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অগণিত প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে বৃহত্তর নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্পের অবস্থান ও মধ্যপ্রাচ্যের চ্যালেঞ্জ

তুলসী গ্যাবার্ডের এই মূল্যায়ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়, যা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে প্রতিফলিত হয়েছিল।

আফগানিস্তান: ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি করেছিলেন, যা বাইডেন প্রশাসনের সময়ে ২০২১ সালে বিশৃঙ্খলভাবে শেষ হয়।

সিরিয়া: এছাড়া তিনি সিরিয়ার সাময়িক প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারাকে গ্রহণ করেছেন।

তবে তুলসী গ্যাবার্ড মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের নীতি এখনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তিনি বলেন, সামনের পথ সহজ বা সরল হবে না, তবে ট্রাম্প এই পথে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তুলসী গ্যাবার্ডের এই বক্তব্য ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরকালের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি। যদিও তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ আমেরিকায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন, মাদকবহনের অভিযোগ তুলে জাহাজে হামলা এবং ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।


ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৮:৪৪:৪৬
ইসরায়েলের হামলা ও সীমিত হিউম্যানিটেরিয়ান সাহায্য: গাজা-লেবাননে নতুন উত্তেজনা
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজা-রক্ষাকারী আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ইসরায়েল এখনও প্রতিশ্রুত সহায়তার মাত্র অংশই পৌঁছে দিয়েছে। গাজা উপত্যকায় পৌঁছানোর কথা ছিল দৈনিক ৬০০ ট্রাকের ত্রাণ সামগ্রী, কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল অনুমোদন দিয়েছে মাত্র ১৪৫টি ট্রাকের। এই পরিস্থিতি ত্রাণ কার্যক্রমকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে এবং সাধারণ মানুষ এখনও খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবায় প্রবল সংকটে রয়েছে।

উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ হামলা পূর্বে দীর্ঘকাল ধরে স্থায়ী শান্তি বজায় রাখা গাজা-লেবাননের সীমান্তের পরিস্থিতিতে নতুন ধাক্কা দিয়েছে। বিশেষত, গত বছর হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছরের যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছিল, যা এই হামলার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আরব ও মুসলিম দেশের মন্ত্রীরা আগামী সোমবার ইস্তানবুলে বৈঠক করবেন। বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতি কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক শান্তি-স্থাপনা বাহিনী মোতায়েনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে ত্রাণ পরিবেশন, নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থাপনা অন্যতম আলোচ্যসূচি।

ইসরায়েলের গাজা অভিযান অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়ার পর কমপক্ষে ৬৮,৮৫৮ জন নিহত এবং ১,৭০,৬৬৪ জন আহত হয়েছে। একই সময়ে, ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের হামলার কারণে ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছে।

-আল জাজিরা


গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৬:১০:১৩
গিজার পিরামিডের পাশেই নতুন স্থাপনা বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরে কী আছে
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে মিসরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর চালু হয়েছে। গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম নামের এই বিশাল জাদুঘরটি মিসরের গিজার বিখ্যাত পিরামিডের পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে হোসনি মোবারকের আমলে; তবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৫ সালে। নানা প্রতিবন্ধকতা, আর্থিক সংকট, আরব বসন্ত এবং করোনা মহামারির মতো দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে অবশেষে মিসরীয়দের স্বপ্নের এই জাদুঘরটি বাস্তব রূপ পেল। এতে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।

গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামকে প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার স্থায়িত্ব ও মহিমার প্রতীক বলা হচ্ছে। জাদুঘরটি ২.৫৮ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে তৈরি; যা প্রায় ৭০টি ফুটবল খেলার মাঠের সমান।

এই জাদুঘরে মিসরের প্রাক-রাজবংশীয় যুগ থেকে কপটিক যুগ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ প্রত্নবস্তু সংরক্ষিত আছে। যার মধ্যে ৩ হাজার দুশ বছরের পুরোনো রামেসিস দ্বিতীয়ের ৮৩ টন ওজনের বিশাল মূর্তি এবং গিজার বিখ্যাত পিরামিড নির্মাণের জন্য পরিচিত খুফু ফেরাউনের ৪ হাজার পাঁচশ বছরের পুরোনো রাজকীয় নৌকাও রয়েছে।

জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী আহমেদ ঘোনেইম জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন ঐতিহ্যকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে মিক্সড রিয়েলিটি ও মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর ব্যবস্থা।


চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৪:২৪:৩৪
চীন সরকারের নজিরবিহীন সফলতা ৩০০ মিলিয়ন ভিজিটরের চোখে অন্য শিনচিয়াং
শিনচিয়াং/ Getty Images

উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের মধ্যেও শিনচিয়াং (Xinjiang) এখন দেশটির ভেতরে এবং বাইরে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা ও বিতর্কের কারণে অঞ্চলটি পর্যটকদের কাছে অপ্রিয় ছিল; কিন্তু এখন বেইজিং সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করে এই বিতর্কিত অঞ্চলের ভাবমূর্তি নতুন করে সাজাচ্ছে।

চীন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে শিনচিয়াং প্রায় ৩০ কোটি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে; যা ২০১৮ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। এই সময়ে পর্যটন থেকে রাজস্ব আয়ও প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে ৩৬০ বিলিয়ন ইউয়ান-এ পৌঁছেছে। চীন ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৪১ কোটির বেশি পর্যটক আকর্ষণ করার লক্ষ্য নিয়েছে।

পর্যটকদের মতে, শিনচিয়াং-এর দৃশ্যপট 'অপ্রত্যাশিতভাবে সুন্দর'—কেউ কেউ একে 'নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং মঙ্গোলিয়ার মিশ্রণ' বলে বর্ণনা করছেন। সরকার এই অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্থানীয় 'জাতিগত' অভিজ্ঞতা দেখিয়ে প্রচার করছে। বর্তমানে হিলটন ও ম্যারিয়টের মতো প্রায় ২০০টি আন্তর্জাতিক হোটেল এখানে চালু হয়েছে বা চালু হওয়ার পরিকল্পনা করছে।

তবে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার এই অঞ্চলে অত্যন্ত সীমিত; উইঘুর প্রবাসীরা এখনো নিখোঁজ স্বজনদের গল্প শোনাচ্ছেন। অনেক পর্যটকই এই এলাকায় পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি ও নিরাপত্তা ক্যামেরা লক্ষ্য করেছেন; বিদেশিদের নির্দিষ্ট হোটেলে থাকার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।

সিংগাপুরের এক পর্যটক জানিয়েছেন, স্থানীয় উইঘুর খাদ্য বিক্রেতারা তাদের হিজাব পরা দেখে বলেছিলেন যে, তারা প্রকাশ্যে হিজাব পরতে পারায় 'ঈর্ষান্বিত'; কারণ স্থানীয় মসজিদগুলোতেও তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, সরকারের সমালোচকরা বলছেন, চীন সরকার উইঘুর সংস্কৃতিকে কেবল নৃত্য ও রঙিন লোকজ উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে 'পর্যটন আকর্ষণ' হিসেবে ব্যবহার করছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, উইঘুরদের ধর্ম, ইতিহাস বা সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত শত শত গ্রামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে; মসজিদ ধ্বংস বা অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বেইজিং সকল অভিযোগই অস্বীকার করে।

সূত্র: বিবিসি


ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৩:১২:৩৪
ইউএই ভ্রমণ সহজ হবে, যদি জানেন এই ৭টি ভিসা চেকলিস্ট
ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? ভ্রমণ বা ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার আবেদন সম্পূর্ণ, সঠিক ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্যসহ প্রস্তুত। সামান্য ত্রুটিও ভিসা বিলম্ব বা প্রত্যাখ্যানের কারণ হতে পারে। দেশটিতে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা কিছু সাধারণ ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ ও নতুন শর্তাবলীর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে সতর্ক করেছেন।

ভিসা প্রত্যাখ্যানের সাধারণ কারণসমূহের মধ্যে প্রথম হলো শিশুর পিতামাতার তথ্য অনুপস্থিতি। ১৮ বছরের নিচের কোনো শিশু ভিসার জন্য আবেদন করলে পিতামাতার পূর্ণ তথ্য, লিখিত অনুমতি ও স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক। এই তথ্য না থাকলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ভিসা অনুমোদন করতে দ্বিধা করে।

দ্বিতীয় কারণ হলো একাধিক আবেদন জমা দেওয়া বা ডুপ্লিকেট আবেদন। একই ব্যক্তির নামে একাধিক আবেদন প্রক্রিয়ায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই আবেদন করার আগে নিশ্চিত করতে হবে যে আগের কোনো চলমান বা অপেক্ষমাণ আবেদন নেই।

তৃতীয় কারণ হলো দ্রুত পুনরায় আবেদন করা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ হুশাম কাটিঙ্গেরি বলেছেন, ইউএই ত্যাগের পর অন্তত এক মাস বিরতি নেওয়ার পর পুনরায় ভিজিট ভিসার আবেদন করা উত্তম। এক্সিটের সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করলে প্রায়ই জটিলতা দেখা দেয়।

ভিসা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মেনে চলাও জরুরি। প্রথমে, রিটার্ন টিকিট নিশ্চিত করতে হবে। এটি দেখায় যে আবেদনকারী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশে ফিরে যাবেন।

দ্বিতীয়ত, থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে। হোটেল বুকিং বা ইউএই-ভিত্তিক আতিথেয়তার ঠিকানা দিতে হবে। যদি পরিবার বা বন্ধুদের বাসায় থাকেন, তবে তাদের এমিরেটস আইডি ও ভাড়ার চুক্তিপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

তৃতীয়ত, পর্যাপ্ত আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ থাকা আবশ্যক। ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ২৫০০ থেকে ৩০০০ দিরহামের নগদ অর্থ প্রদর্শন প্রয়োজন হতে পারে।

চতুর্থত, আবেদনকারীকে সমস্ত কাগজপত্রের প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখতে হবে, যাতে বোঝানো যায় যে ভ্রমণকারী প্রকৃত উদ্দেশ্যে দেশে যাচ্ছেন।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সম্পর্কেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। মুসাফির.কমের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট রিকিন শেঠের মতে, অসম্পূর্ণ বা অস্পষ্ট কাগজপত্রই ভিসা প্রত্যাখ্যানের প্রধান কারণ। সাধারণত প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদযুক্ত বৈধ পাসপোর্ট, সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিশ্চিত ফ্লাইট এবং থাকার বুকিং, ইউএই-ভিত্তিক গ্যারান্টরের এমিরেটস আইডি ও ভাড়ার চুক্তিপত্র এবং প্রয়োজনে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ।

তাছাড়া, যারা ইউএই-তে ৩০ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়েছেন, তারা পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন শুধুমাত্র ৩০ দিনের বিরতি নেওয়ার পর। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এখন স্বল্পমেয়াদি ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান নিয়েছে, তাই আবেদনকারীদের নিয়ম ও শর্তাবলী কঠোরভাবে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:০৬:২০
ডলারের যুগের অবসান? পাঁচ শতাব্দীর আর্থিক ইতিহাসে পুনরাবৃত্ত পতনের ছন্দ

কল্পনা করুন, সময়টা ১৯৪৪ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখনও শেষ হয়নি। ৪৪টি মিত্র দেশের প্রতিনিধিরা সমবেত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের পাহাড়ি শহর ব্রেটন উডসের মনোরম মাউন্ট ওয়াশিংটন হোটেলে। সেই বৈঠকে তাঁরা এমন এক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, যা পরবর্তী আশি বছরের জন্য পৃথিবীর অর্থনীতির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। সভাকক্ষের ভেতরে ইতিহাস যেন থমকে আছে। ব্রিটেন, যে দেশ একসময় পৃথিবীর আর্থিক হৃদস্পন্দন ছিল, এখন প্রায় নিঃস্ব। তার জাতীয় ঋণ জিডিপির ২৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে। পরপর দুটি বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় সাম্রাজ্যটির অর্থনীতি প্রায় মুমূর্ষু অবস্থায়। যে দেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী সমুদ্রপথ শাসন করেছিল, তার রিজার্ভ শেষ, ব্যাংক শূন্য এবং জনগণ ক্লান্ত। সেই মুহূর্তে উপস্থিত সবাই বুঝেছিল, এক যুগের অবসান ঘনিয়ে এসেছে।

তখন ঘটে ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা। বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রার মুকুট এক সাম্রাজ্য থেকে অন্য সাম্রাজ্যের হাতে হস্তান্তরিত হয়। ব্রিটিশ পাউন্ড, যা দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের মেরুদণ্ড ছিল, হারায় তার মর্যাদা। সেই শূন্যস্থান পূরণ করে মার্কিন ডলার। তবে এটি কেবল আর্থিক হস্তান্তর নয়। এটি ছিল মানবসভ্যতার আর্থিক ইতিহাসে বারবার পুনরাবৃত্ত এক চক্রের ধারাবাহিকতা। এই চক্রের চারটি ধাপ উত্থান, শিখর, অতিবিস্তার এবং পতন যুগে যুগে সাম্রাজ্য থেকে সাম্রাজ্যে পুনরাবৃত্ত হয়েছে। ইতিহাসে পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেন সবাই এই একই ধাপের মধ্য দিয়ে গেছে। আজ মার্কিন ডলার সেইসব পূর্বসূরির মতোই একই সতর্ক সংকেত দেখাতে শুরু করেছে।

এই চক্রটি বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে অতীতে, প্রায় ছয় শতাব্দী পেছনে, ইউরোপের পশ্চিম উপকূলে, পর্তুগালের উত্থানের কাহিনিতে।

পর্তুগালের রিয়াল ও আবিষ্কারের যুগ

১৪৫০ সালের দিকে পর্তুগিজ রিয়াল হয়ে ওঠে বিশ্বের প্রথম প্রকৃত রিজার্ভ মুদ্রা। পরবর্তী আশি বছর পর্তুগাল ছিল বৈশ্বিক বাণিজ্যের অবিসংবাদিত নেতা। তাদের সাফল্যের রহস্য ছিল নৌচালনা ও বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্ভাবন। ১৪৫৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের হাতে কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর প্রাচীন মশলার বাণিজ্যপথ বন্ধ হয়ে যায়। ইউরোপীয় বণিকদের জন্য এটি ছিল এক বিশাল ধাক্কা, কিন্তু পর্তুগাল খুঁজে পেল নতুন পথ। তারা আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত ঘুরে সমুদ্রপথে এশিয়ায় পৌঁছে দেয় বাণিজ্যের নতুন দ্বার, শুরু হয় আবিষ্কারের যুগ।

লিসবন তখন হয়ে ওঠে বিশ্বের বাণিজ্যকেন্দ্র। পর্তুগিজ রিয়াল ইউরোপ থেকে এশিয়া পর্যন্ত গৃহীত হতে শুরু করে। সাম্রাজ্য ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, জাপান এবং চীনের ম্যাকাও পর্যন্ত। কিন্তু ইতিহাসের চিরন্তন নিয়ম অনুযায়ী সাফল্যই হয়ে ওঠে পতনের সূচনা। চারটি মহাদেশে সামরিক ঘাঁটি রক্ষা করতে করতে তাদের ভাণ্ডার ফুরিয়ে যায়। প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি ডাচ, ফরাসি ও ব্রিটিশরা ক্রমে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ১৫৩০-এর দশকে রাজপরিবারে উত্তরাধিকার সংকট সৃষ্টি হলে দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৫৮০ সালে স্পেনের হাতে পর্তুগাল আত্মসমর্পণ করে, গঠিত হয় আইবেরিয়ান ইউনিয়ন। প্রায় আশি বছরের আধিপত্যের পর ইতিহাসের মঞ্চ থেকে হারিয়ে যায় পর্তুগালের রিয়াল। তার জায়গা নেয় স্প্যানিশ রূপা।

স্প্যানিশ রূপার সাম্রাজ্য

স্পেনের উত্থান শুরু হয় আন্দিজ পর্বতমালার কোলে বলিভিয়ার পোটোসি নামের এক পাহাড়ে বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রূপার খনি আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। ১৫৪৫ সালে আবিষ্কৃত এই খনি ১৫৭৫ থেকে ১৬৩৫ সালের মধ্যে উৎপাদন করেছিল বিশ্বের প্রায় অর্ধেক রূপা। এই রূপা দিয়ে তৈরি হয় বিখ্যাত “পিস অফ এইট”, যা বিশ্বের প্রথম বৈশ্বিক মুদ্রা হিসেবে পরিচিত হয়। এই স্প্যানিশ ডলার এতটাই নির্ভরযোগ্য ছিল যে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল।

স্পেনের আধিপত্য স্থায়ী হয় প্রায় ১১০ বছর। কিন্তু অতিবিস্তার ও ঋণের বোঝা তাদের পতন ডেকে আনে। রাজা চার্লস প্রথম রেখে যান ৩৬ মিলিয়ন ডুকাট ঋণ এবং প্রতি বছর এক মিলিয়ন ডুকাটের ঘাটতি। তাঁর পুত্র ফিলিপ দ্বিতীয় এই বোঝা সামলাতে গিয়ে চারবার দেউলিয়া ঘোষণা করেন ১৫৫৭, ১৫৬০, ১৫৭৫ এবং ১৫৯৬ সালে। রূপার অবিরাম প্রবাহ দেশে সৃষ্টি করে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি। ফিলিপ দ্বিতীয়ের রাজত্বকালে পণ্যের দাম চারগুণ বেড়ে যায়। ফিলিপ তৃতীয়ের আমলে রূপার সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসতেই অর্থনীতি ধসে পড়ে এবং ১৬০৭ সালে আবার দেউলিয়াত্ব ঘোষণা করতে হয়। ১৬৪১ সালে আইবেরিয়ান ইউনিয়ন ভেঙে যায়। স্পেনের রূপার রাজত্বের অবসান ঘটে এবং আর্থিক শক্তির মঞ্চে উঠে আসে ডাচ প্রজাতন্ত্র।

নেদারল্যান্ডসের সোনালি যুগ

১৭ শতকে নেদারল্যান্ডস হয়ে ওঠে বিশ্বের আর্থিক রাজধানী। আমস্টারডাম তখন বাণিজ্যের নতুন কেন্দ্র এবং ডাচ গিল্ডার ইউরোপের কার্যত রিজার্ভ মুদ্রা। আমস্টারডাম ব্যাংক প্রবর্তন করে আন্তর্জাতিক অর্থপ্রদানের আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা। ডাচ বণিকেরা প্রথম গঠন করে শেয়ারবাজার, সামুদ্রিক বীমা এবং শেয়ার কোম্পানির ধারণা।

১৬৪২ থেকে ১৭২০ পর্যন্ত, প্রায় আট দশক ধরে, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ বাণিজ্য সম্পন্ন হতো ডাচ মুদ্রায়। কিন্তু একই চক্র পুনরায় দেখা দেয়। চতুর্থ ইংরেজ-ডাচ যুদ্ধের (১৭৮০ থেকে ১৭৮৪) ফলে দেশটি দেউলিয়া হয়ে পড়ে। বিশাল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভেঙে যায়। এই শূন্যস্থান পূরণ করে ব্রিটেন, যে তখন শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল।

ব্রিটিশ পাউন্ড ও শিল্পবিপ্লবের শতাব্দী

দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ পাউন্ড ছিল বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রধান মুদ্রা। শিল্পবিপ্লব, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উপনিবেশ সাম্রাজ্যের শক্তিতে ব্রিটেন গড়ে তোলে পৃথিবীর বৃহত্তম অর্থনীতি। ১৮১৬ সালের গ্রেট রিকয়েনেজের পর স্বর্ণমান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পাউন্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে স্থিতিশীল মুদ্রায় পরিণত করে। ১৯২২ সালের মধ্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শাসন করত বিশ্বের এক চতুর্থাংশ ভূমি ও এক পঞ্চমাংশ জনসংখ্যা, প্রায় ৪৫৮ মিলিয়ন মানুষ।

তবে দীর্ঘস্থায়ী এই আধিপত্যের অবসান ঘটাতে শুরু করে দুটি বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ঋণ বেড়ে যায় ৬৫০ মিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৭ বিলিয়নে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে সরকারি ঋণ দাঁড়ায় জিডিপির ২৭০ শতাংশে। ব্রিটেন যুদ্ধ জিতলেও হারায় তার আর্থিক নেতৃত্ব।

ব্রেটন উডস ও ডলারের যুগ

১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে ৭০০ প্রতিনিধি জড়ো হন ব্রেটন উডসে। লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত বিশ্ব অর্থনীতির পুনর্গঠন। সেই সম্মেলন থেকেই জন্ম নেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্বব্যাংক (World Bank)। চুক্তি অনুযায়ী সব বড় মুদ্রা বাঁধা হয় মার্কিন ডলারের সঙ্গে, আর ডলার বাঁধা হয় স্বর্ণে প্রতি আউন্স ৩৫ ডলার দরে। এই মুহূর্তেই ব্রিটিশ পাউন্ডের যুগের সমাপ্তি ঘটে এবং সূচনা হয় আমেরিকান যুগের।

এরপরের পঁচিশ বছর ডলার রাজত্ব করে নিরঙ্কুশভাবে। ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ডলারের স্বর্ণ-রূপান্তরযোগ্যতা স্থগিত করেন এবং স্বর্ণমান বিলুপ্ত হয়। তবু ডলার ধসে পড়েনি। বরং খুঁজে নেয় নতুন ভিত্তি, তেল।

১৯৭৩ সালের ওপেক তেল সংকটের পর যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের সঙ্গে এক কৌশলগত চুক্তি করে। মার্কিন সামরিক সুরক্ষার বিনিময়ে সৌদি তেল বিক্রি হবে কেবল ডলারে। ১৯৭৫ সালের মধ্যে সব ওপেক সদস্য এই চুক্তি মেনে নেয়। জন্ম নেয় পেট্রো-ডলার ব্যবস্থা। তেল ছিল সবার প্রয়োজন, তাই ডলারও হয়ে ওঠে সবার প্রয়োজন। এই কৃত্রিম চাহিদা যুক্তরাষ্ট্রকে এমন বিশাল ঘাটতি বহনের সুযোগ দেয় যা অন্য কোনো দেশের পক্ষে অসম্ভব ছিল।

২০০০ সালের দিকে বিশ্বের বৈদেশিক রিজার্ভের ৭০ শতাংশ ছিল ডলারে। কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ট্রেজারির অর্ধেকেরও বেশি ধারণ করত, অথচ ২০২৫ সালে তা নেমে আসে মাত্র ৩০ শতাংশে।

ডি-ডলারাইজেশনের দ্রুত অগ্রযাত্রা

একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী জোট ব্রিকস, যার সদস্য ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা, সম্প্রতি যুক্ত করেছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। তারা গড়ে তুলছে ব্রিকস ব্রিজ, একটি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক যা সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডিজিটাল মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করবে, ডলার ছাড়াই। ২০২৫ সাল নাগাদ এই জোট ও তাদের ১৩টি অংশীদার দেশ এই উদ্যোগে যুক্ত হচ্ছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিজেই ঋণে ডুবে আছে। ২০২৫ সালের মার্চে মার্কিন সরকারের মোট ঋণ দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে, যা জিডিপির ১২৪ শতাংশ। এটি সেই একই সূচক যা ইতিহাসে প্রতিটি সাম্রাজ্যের পতনের আগে দেখা গেছে, অতিরিক্ত ঋণ, সামরিক অতিবিস্তার এবং উৎপাদনশীলতার পতন।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

পর্তুগাল, স্পেন, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেন সবাই একই পথে হেঁটেছে। তাদের রিজার্ভ মুদ্রার আয়ু ছিল ৭৮ থেকে ২২০ বছর পর্যন্ত, গড়ে প্রায় ৯৫। মার্কিন ডলার এখন ৮১ বছরে পা দিয়েছে। ইতিহাসের চক্র আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।

প্রত্যেক রিজার্ভ মুদ্রার চারটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপ উত্থান, যখন একটি দেশ বাণিজ্য, অর্থনীতি বা সামরিক শক্তিতে উদ্ভাবনের মাধ্যমে নেতৃত্ব গড়ে তোলে। পর্তুগাল নৌচালনায় বিপ্লব ঘটায়, স্পেন রূপার জোগান নিয়ন্ত্রণ করে, ডাচরা আধুনিক অর্থব্যবস্থা তৈরি করে, ব্রিটেন শিল্পবিপ্লব ঘটায় এবং যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ-পরবর্তী শিল্পশক্তিতে উত্থান ঘটায়। দ্বিতীয় ধাপ শিখর, যখন সেই মুদ্রা হয়ে ওঠে বৈশ্বিক মানদণ্ড এবং বিশ্বের ৬০ শতাংশ বাণিজ্য এতে পরিচালিত হয়। তৃতীয় ধাপ অতিবিস্তার, যেখানে সামরিক ব্যয়, ঋণ এবং উৎপাদনশীলতার পতন দেখা দেয়। পর্তুগাল চার মহাদেশে সামরিক বোঝা বইতে পারেনি, স্পেন বারবার দেউলিয়া হয়েছে, ডাচরা ব্রিটেনের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিঃশেষ হয়েছে, ব্রিটেনের ঋণ পৌঁছেছিল জিডিপির ২৭০ শতাংশে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ১২৪ শতাংশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ব্যয় আট ট্রিলিয়ন ডলার। শেষ ধাপ পতন, যখন আস্থা হারিয়ে যায় এবং বৈশ্বিক ক্ষমতার কেন্দ্র সরে যায় অন্যত্র।

পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা: একমেরু না বহুমেরু

স্পেনের হাতে পতনের পর পর্তুগাল আর কখনো মাথা তুলতে পারেনি। স্পেন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধুঁকেছে, নেদারল্যান্ডস ধনী থেকেও আঞ্চলিক শক্তিতে সীমিত হয়েছে, আর ব্রিটেনের সাম্রাজ্য ১৯৪৫-এর পর গলে গেছে। ১৯৫০-এর দশকে এখনও বিশ্বের ৫৫ শতাংশ রিজার্ভ ছিল স্টার্লিংয়ে, কিন্তু দুই দশকের মধ্যেই তা অর্ধেকে নেমে আসে। ব্রিটিশ শতাব্দী শেষ, শুরু হয় আমেরিকান শতাব্দী।

তবে এমন পরিবর্তন একদিনে ঘটে না। ব্রিটেনের পতন ছিল ধীর, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল বহু আগেই, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ডলার পাউন্ডকে প্রতিস্থাপন করে পরে। আজ একই ধীর রূপান্তর সম্ভবত আবার ঘটছে, এইবার চীনের দিকে, কিংবা একাধিক শক্তির সম্মিলিত নেতৃত্বে নতুন এক বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থার দিকে।

ইতিহাসে রিজার্ভ মুদ্রার গড় আয়ু প্রায় ৯৫ বছর। মার্কিন ডলার সেই সীমার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। বৈশ্বিক রিজার্ভে ডলারের অংশীদারিত্ব কমছে, বিদেশি ট্রেজারি বিনিয়োগ হ্রাস পাচ্ছে, ব্রিকস বিকল্প গড়ে তুলছে, পেট্রো-ডলার ব্যবস্থা দুর্বল হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ১৩০ দেশে ৯০০ সামরিক ঘাঁটি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। এই চিত্র যেন ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি, একই ছন্দে, নতুন মুখে।

তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে, এই পরিবর্তন কত দ্রুত ঘটবে এবং পরবর্তী আর্থিক যুগের নেতৃত্ব নেবে কে। এটি কি হবে ব্রিটেনের মতো ধীর অবসান, নাকি নেদারল্যান্ডসের মতো আকস্মিক পতন। একটি একক শক্তি কি আবার বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষে উঠবে, নাকি ভবিষ্যৎ হবে বহুমেরু, যেখানে কয়েকটি রিজার্ভ মুদ্রা ভাগাভাগি করবে বৈশ্বিক প্রভাব।

ইতিহাস কখনো ঠিক একরকম পুনরাবৃত্তি হয় না, কিন্তু তার ছন্দ ফিরে আসে। আর যদি সেই ছন্দ এবারও সত্য প্রমাণিত হয়, তবে পৃথিবী এখন দাঁড়িয়ে আছে এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে, ডলারের আধিপত্যের শেষ অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে।


সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:৫৫:২৪
সুদানের গৃহযুদ্ধ: সেনা ও আরএসএফ সংঘাত ও তীব্র মানবিক সংকট
ছবি: সংগৃহীত

সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:৪৬:৫৯
সাত মিনিটে কোটি টাকার জুয়েল চুরি, আরও দুইজন আটক
ছবিঃ সংগৃহীত

ফ্রান্সের বিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘরে কোটি টাকার জুয়েল ডাকাতির ঘটনায় আরও দুইজনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন নারী এবং একজন পুরুষ। এর ফলে এ মামলায় এখন মোট চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো।

প্যারিসের প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, ৩৮ বছর বয়সী ওই নারী এবং ৩৭ বছর বয়সী পুরুষকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও তিনজনকে আটক করা হলেও তারা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তি পেয়েছেন।

আদালতে হাজিরার সময় নারী অভিযুক্ত কেঁদে ফেলেন এবং সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে সংগঠিত চুরি এবং অপরাধ পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচারক বলেন, তাকে মুক্তি দেওয়া হলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি প্যারিসের উপকণ্ঠ লা কুরনভ এলাকায় থাকেন।

পুরুষ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চুরি ও অপরাধ চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগে চুরির ঘটনায় তার নামে মামলা ছিল বলে জানা গেছে। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তিনি কারাগারে থাকবেন। তবে দু’জনই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

নারীর আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল কোনো অপরাধ করেননি এবং এই সিদ্ধান্ত তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছে। আরেক আইনজীবী অভিযোগ তুলেছেন যে, পুলিশ সন্দেহভাজনদের যেন জালের মাছের মতো ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

গত মাসে দিনের বেলায় ল্যুভরে এই ডাকাতি ঘটে। মাত্র সাত মিনিটে চোরেরা পাওয়ার টুল ব্যবহার করে জাদুঘরের প্রদর্শনী থেকে প্রায় ১০২ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের জুয়েল চুরি করে। প্রথমে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা আংশিকভাবে অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিমানবন্দরে দেশ ছাড়ার সময়, আরেকজনকে ধরা হয় তার বাসার কাছে।

চোরেরা পালানোর সময় নেপোলিয়ন তৃতীয়ের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি হীরক-ও-পান্নাখচিত মুকুট ফেলে যায়। তবে সম্রাট নেপোলিয়ন প্রথমের উপহার হিসেবে পরিচিত মূল্যবান নেকলেসসহ আটটি জুয়েল এখনো নিখোঁজ।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ নিউনেজ বলেন, “আমরা নিশ্চিত—এই মূল্যবান জুয়েলগুলো উদ্ধার করতে পারব।”

-আলমগীর হোসেন


কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১০:২৭:৪৫
কেনিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধস: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ অন্তত ৩০
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিম কেনিয়ায় টানা ভারি বর্ষণের কারণে ভয়াবহ ভূমিধসে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে এ হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও রাতে তা স্থগিত রাখা হয়েছে; ভোর থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।

ভূমিধসটি ঘটে রাতের অন্ধকারে, কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় মারাকওয়েট ইস্ট এলাকায়। বর্তমানে অঞ্চলটি বর্ষার মৌসুমে থাকায় পাহাড়ি ঢাল দুর্বল হয়ে পড়েছিল, যা ব্যাপক ধসের কারণ হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা উদ্ধারকর্মীদের। মাটির বিশাল অংশ ভেসে গিয়ে বহু গ্রামাঞ্চল তলিয়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি, রাস্তা ও কৃষিজমি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কেনিয়া রেড ক্রস দুর্গত এলাকা থেকে আকাশপথে ধারণ করা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় কাদার স্রোত, ধ্বংসস্তূপ এবং হঠাৎ সৃষ্ট বন্যার চিত্র দেখা গেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারি জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং আহতদের বিমানযোগে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

রেড ক্রসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বন্যা ও ধসের কারণে বহু সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে এবং দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে তীব্র চ্যালেঞ্জের মুখে উদ্ধারকর্মীরা। ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে অনেক এলাকা এখনো উদ্ধার দলের নাগালের বাইরে, ফলে নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সকল বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জরুরি সতর্কতা জারি করেছে।

স্থানীয়দের মতে, ভূমিধস শুরু হলে অনেকেই ঘুমের মধ্যে ছিলেন। হঠাৎ মাটিধসে ঘরবাড়ি ধসে পড়ে এবং অনেক পরিবার মুহূর্তের মধ্যে মাটিচাপা পড়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই ধাক্কা সামাল দিতে স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে উদ্ধার প্রচেষ্টায় অংশ নিচ্ছেন।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আফ্রিকার এই অঞ্চলে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের হার স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি। ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঝুঁকি এখনও প্রবল রয়েছে।

-নাজমুল হাসান

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত