ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর চীনের পুরস্কার

সত্য নিউজ:সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনার পরপরই চীন পাকিস্তানের কাছে তাদের অত্যাধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট J-35A হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করেছে। নিউজ১৮-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক মহল পাকিস্তানের “সংঘাতে ভূমিকার পুরস্কার” হিসেবে ব্যাখ্যা করছে। চুক্তিটি শুধু চীন-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সম্পর্ককেই জোরদার করছে না, দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের কৌশলগত আগ্রহ ও উপস্থিতিকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করছে।
সূত্র অনুযায়ী, আগামী আগস্টের মধ্যেই পাকিস্তান প্রথম দফায় ৩০টি J-35A ফাইটার জেট পাবে, যা পূর্বনির্ধারিত সময়সূচির তুলনায় অনেক দ্রুত অগ্রগতি। বর্তমানে চীনে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার চীনা রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তির আর্থিক ও লজিস্টিক বিষয় চূড়ান্ত করেছেন।
বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হলো, চীন এই চুক্তিতে ৫০% ছাড় এবং সহজ শর্তে অর্থপ্রদান নিশ্চিত করেছে। চীনের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে পাকিস্তানের "সফল আকাশ প্রতিরক্ষা পারফরম্যান্স" এর স্বীকৃতিস্বরূপ এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি দল বেইজিংয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স সদর দফতরে।
চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিকীকরণ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং চীনের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চুক্তির আওতায় চীন পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক অবকাঠামোয় আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে, যা চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (CPEC)-এর দ্বিতীয় ধাপের অংশ।
এর বিনিময়ে ইসলামাবাদ চীনের স্বার্থে গওয়াদর বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার এবং কার্যকর অপারেশনাল অ্যাক্সেস নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর “অপারেশন সিন্ধুর” পরিচালনার পর চীন প্রকাশ্যে এর সমালোচনা করেছিল এবং ইসলামাবাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছিল।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানকে “আয়রনক্ল্যাড বন্ধু” আখ্যা দিয়ে বলেন, “সব আবহাওয়ার কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব” আরও গভীর করা হবে।
নেতানিয়াহুকে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল কাতার
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দোহায় বিমান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন এবং এজন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে—এমন কঠোর মন্তব্য করেছে কাতার।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, দোহায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলা বৃথা যায়নি; বরং এর মাধ্যমে কাতারকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দোহায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তার বেপরোয়া নীতির কারণে প্রতিটি ব্যর্থতার পর সেটিকে ঢাকার চেষ্টা করেন। আজ তিনি যে বার্তা দিয়েছেন, তার জবাবে আমরা বলতে চাই— দোহায় হামলার নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের ভয়াবহ লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য কোনোভাবেই তিনি শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন না।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কাতারে বসবাস করছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতারা। গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতা করা তিন দেশের একটি হলো কাতার, বাকি দুটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।
এর আগে ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই ইরানে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। পরে ১৬ অক্টোবর গাজায় নিহত হন তার উত্তরসূরী ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এরপর খলিল আল হায়া হামাসের নতুন শীর্ষ নেতার দায়িত্ব নেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দোহায় একটি ভবনে বোমা বর্ষণ করে হামাস নেতাদের হত্যা করার চেষ্টা চালায়। মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়া ওই হামলায় ছয়জন নিহত হলেও খলিল আল হায়া ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী প্রায় সব দেশ ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাতারের কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে মাজেদ আল আনসারি জানান, “বর্তমানে আমাদের সর্বোচ্চ মনোযোগ জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন এমন হামলা আর না ঘটে, সে জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে। পাশাপাশি আমরা দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাজনৈতিক বিবেচনা এখন আমাদের কাছে গৌণ।”
“গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান: জাতিসংঘের অভিযোগ ‘গণহত্যা’”
গাজা সিটিতে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। মঙ্গলবার রাতভর ব্যাপক বোমাবর্ষণের পর ইসরায়েলি বাহিনী শহরের ভেতরে আরও গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ২৪ ঘণ্টায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর গাজা সিটিতে অভিযান উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। আমরা স্থলসেনা, নির্ভুল হামলা ও গোয়েন্দা তথ্য মিলিয়ে অভিযান চালাচ্ছি, যতক্ষণ না হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা যায়।”
জাতিসংঘের কড়া ভাষা: ‘গণহত্যা চলছে’
জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান কমিশন (COI) মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে এবং তা চলমান। কমিশনের প্রধান নাভি পিল্লাই জানান, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ট গাজায় গণহত্যার উসকানি দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর কর্মকাণ্ড ও সরকারি বিবৃতিগুলো প্রমাণ করে যে এই সহিংসতা ফিলিস্তিনিদের একটি জনগোষ্ঠী হিসেবে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েল এই অভিযোগকে “বিকৃত ও মিথ্যা” আখ্যা দিয়ে কমিশনটি বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছে। এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজা সিটির পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ” আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ভয়াবহ মানবিক সংকট
গাজা সিটির বহু এলাকা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সামনে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষকে রাত কাটাতে দেখা গেছে। শরণার্থী ইউসুফ শানাআ জানান, “মানুষের কাছে দক্ষিণে যাওয়ার কিংবা শহরের ভেতরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়ার অর্থও নেই।”
হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবারই অন্তত ৪৪ জন ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকারে সীমাবদ্ধতার কারণে এসব তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই অভিযানের সমালোচনা করে জানিয়েছে, এটি গাজার ইতিমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। ব্রিটেন সতর্ক করেছে, এই অভিযান কেবল আরও রক্তপাত ও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি বাড়াবে এবং জিম্মিদের জীবন আরও বিপন্ন করবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি ইসরায়েল সফরে গিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং অভিযানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানান। তিনি বলেন, “কূটনৈতিক সমাধানই আমাদের পছন্দ, তবে কখনও কখনও হামাসের মতো গোষ্ঠীর সঙ্গে তা সম্ভব হয় না।”
এদিকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি শিগগিরই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন এবং পরবর্তীতে হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রেক্ষাপট
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৪,৯৬৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
ভয়াবহ হামলায় গাজা সিটি ছাড়ছে হাজারো ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াল হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটি ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজারো বাসিন্দা। জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন চলমান এই যুদ্ধকে ইতোমধ্যেই “গণহত্যা” হিসেবে অভিহিত করেছে, আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় আরও তীব্রতর হচ্ছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই বছরের মধ্যে গাজা সিটির ওপর ইসরায়েলি সেনাদের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। বোমা ও গোলার আঘাতে বহু মানুষ শহর ছেড়ে আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন। তাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, হয়তো আর কখনো নিজ ঘরে ফিরে যেতে পারবেন না। জাতিসংঘ মহাসচিব এই হামলাকে “ভয়ঙ্কর” আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “গাজা জ্বলছে”। শহর ছেড়ে পালাতে থাকা মানুষের ভিড়ে চোখে পড়েছে আসবাবপত্র বোঝাই ভ্যান, গাধার গাড়ি আর হাতে সামান্য মালপত্র নিয়ে ধ্বংসস্তূপ ও কালো ধোঁয়ার ভেতর দিয়ে দক্ষিণমুখী মানুষের অন্তহীন মিছিল। উপকূলীয় আল-রাশিদ সড়ক এখন হয়ে উঠেছে এক মানবস্রোতের করিডর।
প্রথম দিকে বহু ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের দখল পরিকল্পনার মুখেও শহর না ছাড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু অতি ভয়াবহ বোমাবর্ষণে বহুতল ভবন, আবাসিক এলাকা ও অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় সামর্থ্যবান পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে দক্ষিণে সরে যাচ্ছেন। তবে সেখানেও কোনো নিরাপদ আশ্রয়ের নিশ্চয়তা নেই।
শুধু মঙ্গলবারের হামলাতেই অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় সড়ক ধরে দক্ষিণে পালিয়ে যাওয়ার সময়ও বেসামরিক মানুষের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। একই দিনে কমপক্ষে ১৭টি আবাসিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। পূর্ব গাজার তুফফাহ এলাকার ঐতিহাসিক আইবাকি মসজিদও বিমান হামলার টার্গেট হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে ইসরায়েলি সেনারা বিস্ফোরক বোঝাই রোবট ব্যবহার করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ইউরোমেড মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের শুরুতে অন্তত ১৫টি বিস্ফোরক রোবট মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি রোবট দিয়ে প্রায় ২০টি করে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
যুদ্ধের প্রথম ধাপ শেষে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি গাজা সিটিতে ফিরে এসেছিলেন। তবে এখন কতজন এখনও শহরে আছেন, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাদের এক কর্মকর্তার দাবি, প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ইতোমধ্যেই শহর ছেড়েছেন। অন্যদিকে গাজার সরকারি গণমাধ্যম বলছে, সমানসংখ্যক মানুষ শহরের কেন্দ্র ও পশ্চিম অংশে আশ্রয় নিয়েছেন, আর ১ লাখ ৯০ হাজার পুরোপুরি শহর ছেড়েছেন।
পালিয়ে যাওয়া মানুষদের জন্য দক্ষিণেও কোনো শান্তি নেই। রাফাহ ও খান ইউনিস থেকে বিতাড়িত জনগণের কারণে দক্ষিণের অতিরিক্ত ভিড়ভাট্টার আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে ইসরায়েল আবারও বোমা বর্ষণ করেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ আবার গাজা সিটিতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এই সময় ইসরায়েলি সেনারা আকাশ থেকে তোলা ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে গাজা সিটির ভেতরে প্রবেশ করতে থাকা বিপুলসংখ্যক ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানবাহনের দৃশ্য দেখা গেছে। সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে তাদের “কয়েক মাস সময়” লেগে যাবে।
-শরিফুল
মোদি–ট্রাম্পের ফোনালাপ, বাণিজ্য আলোচনায় আশার ইঙ্গিত
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্মদিনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুভেচ্ছা ও প্রশংসা পেয়েছেন। ফোনালাপে ট্রাম্প মোদির রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ভারতের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। মোদির সঙ্গে দুর্দান্ত কথা হয়েছে, তিনি অসাধারণ কাজ করছেন।” মোদি এক্স-এ প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান এবং শান্তি উদ্যোগে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।
তবে শুভেচ্ছা বার্তার মধ্যেও দুই দেশের বাণিজ্য উত্তেজনা রয়ে গেছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছে, ভারত রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল কিনে বিক্রি করে মস্কোর যুদ্ধ তহবিল বাড়াচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেনডন লিঞ্চ উপস্থিত ছিলেন। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলোচনা ছিল “ইতিবাচক ও ভবিষ্যতপন্থী” এবং দ্রুত একটি পারস্পরিক সুবিধাজনক চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য প্রচেষ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ভারতের রপ্তানিকারকরা সতর্ক করেছেন, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক অর্ডার বাতিল হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার না করলে বড় ধরনের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
-আকাশ
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের অভিযান: নিহত ৩১ তালেবান
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় দুইটি পৃথক অভিযানে তারা ৩১ জন স্থানীয় তালেবান সদস্যকে হত্যা করেছে। ওই অঞ্চলে তালেবানদের উপস্থিতি সম্প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সোমবার রাতের দিকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, শেষ সপ্তাহান্তে ৩১ জন “খোয়ারিজ” নিহত হয়েছেন। এটি সাম্প্রতিক সময়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহৃত একটি পদ, যা পাকিস্তানি তালেবান (TTP) সদস্যদের বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এর আগের শনিবার, প্রতিবেশী জেলায় একটি ওঁঠানো হামলায় ১২ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছে TTP।
সেনাবাহিনী তার বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে যে ভারত—যার সঙ্গে পাকিস্তানের মে মাসে চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষ হয়েছিল—এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে। পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ব্যবহার করে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ করে আসছে। “এলাকায় ভারত-সমর্থিত অন্যান্য সশস্ত্রদের নির্মূল করার জন্য স্যানিটাইজেশন অভিযান চলছে,” বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০২১ সালে কাবুলে আফগান তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর আফগান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বেড়ে গেছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত দুই মাসে TTP সদস্যদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আফগান তালেবান ও TTP আলাদা সংগঠন, তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
ইসলামাবাদ আফগান সরকারের উপর অভিযোগ করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানে হামলা চালানো সন্ত্রাসীদের বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এই বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৬০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় বালুচিস্তান প্রদেশে। গত বছর ছিল পাকিস্তানের প্রায় এক দশক ধরে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর, যেখানে ১,৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন, ইসলামাবাদ ভিত্তিক ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’-এর তথ্য অনুযায়ী।
-সুত্রঃ এ এফ পি
গাজায় ইসরায়েলি তীব্র হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা
গাজা সিটি আবারও ভয়াবহ বিমান হামলার মুখে। মঙ্গলবার দিনভর অব্যাহত ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বহু ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং অসংখ্য মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ২৫ বছর বয়সী বাসিন্দা আহমেদ গাজাল বলেন, “আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি।”
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর ইসরায়েল সফর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বেড়েছে। সোমবার জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুবিও ঘোষণা দেন, গাজায় নতুন সামরিক অভিযানে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের ‘অটল সমর্থন’ পাবে। তিনি বলেন, “হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গাজার মানুষের জন্য কোনো ভালো ভবিষ্যৎ শুরু হতে পারে না।”
এই সফরের আগে মাত্র এক সপ্তাহ আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছিলেন, মার্কিন মিত্র কাতারে হামাস নেতাদের ওপর বিমান হামলা বন্ধ রাখতে। কিন্তু রুবিও কাতারের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে গুরুত্ব না দিয়ে হামাসকে আখ্যা দেন “বর্বর প্রাণী” হিসেবে। আজ মঙ্গলবার তিনি কাতার সফরে যাচ্ছেন, যাতে দোহাকে আশ্বস্ত করা যায়—যে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটির স্বাগতিক।
মানবিক বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক চাপ
গাজা সিটির পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গাজা সিভিল ডিফেন্স সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল জানিয়েছেন, গত সোমবারের হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন এবং মঙ্গলবারও নির্বিচারে বোমাবর্ষণ চলছে। জাতিসংঘ গত মাসেই সতর্ক করেছিল—গাজায় এক মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও ইসরায়েল এই দাবি অস্বীকার করে।
এদিকে, ফ্রান্স আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের নেতৃত্ব দেবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি ইউরোপীয় মিত্র দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। রুবিও এই স্বীকৃতিকে “প্রতীকী পদক্ষেপ” হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এমন সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েল একতরফা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। তার মন্ত্রিসভার চরম ডানপন্থী সদস্যরা এরই মধ্যে পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার দাবি তুলেছেন, যা সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কিছু আরব দেশের প্রতিবাদ সৃষ্টি করেছে।
মানবাধিকার বনাম কৌশলগত সমীকরণ
রুবিওর সফর শুধু কূটনৈতিক নয়, ছিল উচ্চমাত্রার প্রতীকীও। তিনি পূর্ব জেরুজালেমে বিতর্কিত সিলওয়ান এলাকায় ধর্মীয় পর্যটনের জন্য নির্মিত একটি সুড়ঙ্গ উদ্বোধনে অংশ নেন। স্থানীয় ফিলিস্তিনি মুখপাত্র ফাখরি আবু দিয়াব বলেন, “আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হচ্ছে, অথচ মার্কিন নেতৃত্ব চরমপন্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ইতিহাস মুছে দিতে চাইছে।”
হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। পাল্টা ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় ইতিমধ্যে ৬৪ হাজার ৯০০-এর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যার বড় অংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ এই পরিসংখ্যানকে বিশ্বাসযোগ্য বলছে।
রুবিও সফরের সময় হামাসের হাতে বন্দি থাকা ২৫১ জন ইসরায়েলির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় বন্দি, যাদের ২৫ জন ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে।
রুবিওর এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আরও স্পষ্ট করেছে। একদিকে ইসরায়েলের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন, অন্যদিকে কাতারকে আশ্বস্ত করা—সব মিলিয়ে ওয়াশিংটন দেখাতে চাইছে, তারা একযোগে মিত্রদের আস্থা ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা দুটোই ধরে রাখতে চায়।
-এ এফ এপ
নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার ও তাদের সমর্থকেরা। তারা অভিযোগ করেছেন, গাজায় চলমান স্থল অভিযানের কারণে তাদের প্রিয়জনদের জীবনের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। এ খবর প্রকাশ করেছে আল জাজিরা।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বর্তমানে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে অবস্থান করছেন বন্দি মাতান জানগাউকার, মাতান আংরিয়েস্ট এবং রম ব্রাসলাভস্কির পরিবার। তাদের সংগঠন হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বড় ধরনের সামরিক অভিযানের খবর তারা গভীর দুশ্চিন্তার সঙ্গে গ্রহণ করেছেন।
পরিবারগুলোর দাবি, গাজা সিটিতে এখনো জীবিত বহু বন্দি অবস্থান করছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে চাইছেন। তারা অভিযোগ করেন, সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বাস্তব মূল্যায়ন নেতানিয়াহু সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করছেন।
এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেরুজালেমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “হামাস যেখানেই থাকবে, ইসরায়েল সেখানেই আঘাত হানবে।” তার ভাষায়, এ লড়াইয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
রুবিওর সঙ্গে বৈঠকটি দুই ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়েছিল। এতে তিনি কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রুবিও স্পষ্ট করে জানান, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে চিন্তিত।
তবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু ভিন্ন সুরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল একসঙ্গে কাজ করবে এবং একে অপরকে সন্ত্রাস থেকে রক্ষা করবে। তিনি আরও জানান, রুবিওর সফর একটি শক্ত বার্তা বহন করছে—সন্ত্রাসের মুখে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে।
সমালোচকদের উদ্দেশে নেতানিয়াহু কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে যারা, তাদের অনেকের মধ্যেই দ্বিচারিতা রয়েছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, নিন্দা আসুক বা সমালোচনা উঠুক, হামাস যেখানে অবস্থান করবে, সেখানেই ইসরায়েলের আক্রমণ চলবে।
-রাফসান
কাতারকে সাবধান হতে বললেন ট্রাম্প
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে কাতারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলকেও ভবিষ্যতে আক্রমণ পরিচালনায় আরও সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেছেন। দোহায় হামলার পর কাতারকে “মহান মিত্র” আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে কাতার অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উপসাগরীয় এ দেশটি আঞ্চলিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায় তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে রাজনৈতিকভাবে সতর্ক থাকতে হয়। ট্রাম্পের ভাষায়, “কাতার আমাদের বড় মিত্র। তারা ভৌগোলিকভাবে সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায় জটিল পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। এজন্য তাদের শব্দচয়নেও কিছুটা সতর্ক থাকতে হয়। তবে নিঃসন্দেহে তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও মহান মিত্র।”
রোববার নিউ জার্সির মরিসটাউন থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও দোহায় হামলার প্রসঙ্গে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আমরা যখন আক্রমণ চালাই, তখন খুব সতর্ক থাকা জরুরি। তাই ইসরায়েলসহ সবাইকে এ বিষয়ে সাবধান হতে হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার নিউইয়র্কে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে এক নৈশভোজ বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। বৈঠক সম্পর্কে কাতারি দূতাবাসের উপপ্রধান জানিয়েছেন, এটি ছিল অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ।
-রফিক
“গো ব্যাক মোদি” স্লোগানে মুখরিত মণিপুর
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অস্থির রাজ্য মণিপুরে প্রায় আড়াই শতাধিক প্রাণহানির দুই বছর পর অবশেষে সফর করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে তাঁর এই বহুল আলোচিত সফরের মধ্যেই ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যে। শনিবার বিকেলে মোদির সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সড়কে নেমে আসে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং স্লোগানে মুখরিত হয়—“গো ব্যাক মোদি।” শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। এতে বহু মানুষ আহত হন এবং পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
মোদি তিন দিনের এক সরকারি সফরে আছেন, যার অন্তর্ভুক্ত আসাম, মণিপুর এবং বিহার। বিশেষ করে বিহার সফরকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। ভারতের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল এই রাজ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ বাস করে। হিন্দিভাষী উত্তরাঞ্চলের একমাত্র রাজ্য এটি, যেখানে এখনও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে নির্ধারিত রাজ্য নির্বাচনের আগে তাই এই সফরকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সফরের অংশ হিসেবে মোদি বিহারে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজে কৃষি প্রকল্প, রেলপথ উন্নয়ন, সড়ক অবকাঠামো এবং বিমানবন্দর সম্প্রসারণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা নির্বাচনের আগে উন্নয়ন বার্তা জোরালো করার একটি প্রচেষ্টা।
মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হয়েছিল ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সংঘাত। মূলত হিন্দু মেইতেই সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জমি, সরকারি চাকরি এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন একসময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এই সহিংসতায় এখনো পর্যন্ত অন্তত ২৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে সরকারের তৈরি অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
মোদি শনিবার কুকি অধ্যুষিত চুরাচান্দপুর জেলায় জনসমক্ষে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, “মণিপুরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আমি আপনাদের পাশে আছি, ভারত সরকার আপনাদের পাশে আছে।” তিনি উভয় সম্প্রদায়কে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে, যেখানে মেইতেই সম্প্রদায় ঘনবসতিপূর্ণ, একটি জনসভায় বক্তব্য রাখারও কথা রয়েছে।
মোদি সর্বশেষ মণিপুর সফর করেছিলেন ২০২২ সালে। সে সময় তিনি প্রায় ৯৬০ মিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্যে পাঁচটি নতুন হাইওয়ে এবং একটি আধুনিক পুলিশ সদর দফতর অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সেই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর পরই ২০২৩ সালের মে মাসে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করে, যা রাজ্যের সামাজিক শান্তি ভেঙে দেয়।
রাজনীতির ক্ষেত্রেও মণিপুর অস্থির সময় পার করছে। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং, যিনি বিজেপির প্রতিনিধি ছিলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি সংঘাতকবলিত সময়ে রক্তপাত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর পদত্যাগের পর থেকে মণিপুর সরাসরি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে, মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জমি ও সরকারি চাকরি নিয়ে বিরোধকে রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থে আরও উসকে দিচ্ছেন। এতে বিভাজন গভীরতর হচ্ছে এবং স্থিতিশীলতার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে আসছে। মোদির এই সফর তাই শুধু উন্নয়ন ঘোষণা নয়, বরং জটিল সামাজিক সংঘাতের মধ্যে সরকারের ভূমিকা ও সংকট ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা কতটা তা পরীক্ষা করার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- ১৭ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- মোদির ৭৫তম জন্মদিনে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার তারকাদের শুভেচ্ছা
- ১৭ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত ঐকমত্য চান ড. আলী রীয়াজ
- চীনের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ঘুষ প্রস্তাবে বরখাস্ত ডিএনসিসি কর্মকর্তা
- ২১ ক্যারেট বনাম ২২ ক্যারেট: কোন সোনার গয়না বেশি টেকসই
- লেনদেনে চাঙ্গা বাজার, শীর্ষে যেসব কোম্পানি
- সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
- সংবাদে বিভ্রান্তি, ডিএসইকে ব্যাখ্যা দিল ইউনিয়ন ব্যাংক
- নেতানিয়াহুকে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল কাতার
- বাংলা সিনেমায় প্রথম সারভাইভাল স্টোরি ‘দম’
- “গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান: জাতিসংঘের অভিযোগ ‘গণহত্যা’”
- কেন জামাই শাহিনের উপর অসন্তুষ্ট শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি
- ভয়াবহ হামলায় গাজা সিটি ছাড়ছে হাজারো ফিলিস্তিনি
- মোদি–ট্রাম্পের ফোনালাপ, বাণিজ্য আলোচনায় আশার ইঙ্গিত
- দুর্গাপূজায় মিলছে দীর্ঘ ছুটি!
- দুর্গোৎসব ঘিরে প্রথম চালানে ৩৭ টনের বেশি ইলিশ গেল ভারতে
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশের সুপার ফোরের সম্ভাবনা: আফগানিস্তান–শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোন ফল দরকার?
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৬ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৬ সেপ্টেম্বর দর হারাল শীর্ষ দশ কোম্পানি
- ১৬ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- দেবো কে দেব মহাদেবের পার্বতী সোনারিকা ভাদোরিয়া মা হতে চলেছেন
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের অভিযান: নিহত ৩১ তালেবান
- চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বিপিএল এর নাম বদলে যে নাম রাখা হচ্ছে
- যত টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো এলএনজি আসছে
- নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিক সংঘর্ষ
- ‘এটি শিকড়, আবেগ আর অস্তিত্বের প্রশ্ন’
- ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ-কমিশনের সতর্ক বার্তা, দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে
- দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ইসিতে পৌঁছাতে শুরু করেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- গাজায় ইসরায়েলি তীব্র হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা
- ইইউ-বাংলাদেশ কূটনীতি: গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জলবায়ু মোকাবিলায় যৌথ অঙ্গীকার
- হারলেই শেষ! বিদায়ের মুখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
- ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের নামাজের সময়সূচি প্রকাশিত
- ক্যারিয়ার গড়ুন বিকাশে
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ