রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ২০:৩২:০৪
রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
ছবিঃ সংগৃহীত

এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব থেকে আগেই ছিটকে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দলের জন্যই পয়েন্টের হিসাবে এই ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে ঢাকার মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের এই লড়াইটি আদতে রূপ নিয়েছে মর্যাদার দ্বৈরথে। সেই লড়াইয়ে শুরুতেই চমক দেখাল স্বাগতিকরা। খেলা শুরুর মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন।

ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য ভারতের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে তারা বাংলাদেশের পোস্ট লক্ষ্য করে চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ১২তম মিনিটে এক দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ভারতের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাকিব হোসেন। পথে তিনি দারুণ দক্ষতায় কাটিয়ে যান ভারতের তিনজন ডিফেন্ডারকে।

বক্সের ভেতর থেকে রাকিবের মাপা ক্রসে সঠিক সময়ে পা ছুঁইয়ে গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। ভারতীয় গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গ্যালারিভরা দর্শকের উল্লাসের মধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

দলে হামজা চৌধুরী এবং শামিত সোমের মতো তারকা ফুটবলারদের উপস্থিতির কারণে শুরু থেকেই দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। ভারতকে হারাতে পারলে তা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি বড় মাইলফলক হবে বলে মনে করছেন সমর্থকরা।

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে যারা খেলছেন তারা হলেন—মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, জায়ান আহমেদ, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা, শামিত সোম, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।


ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৫:৩১:১৪
ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই তা মাঠের লড়াই ছাপিয়ে দুই প্রতিবেশীর সম্মান ও আবেগের লড়াইয়ে পরিণত হয়। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে উভয় দল ছিটকে যাওয়ায় এই ম্যাচের ফলাফল হয়তো পয়েন্ট টেবিলের বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না, কিন্তু এর গুরুত্ব বা উত্তেজনার কমতি নেই। এই 'সাউথ এশিয়ান ক্লাসিকো' এখন দুই দলের জন্যই 'ব্র্যাগিং রাইটস' বা সম্মান ধরে রাখার লড়াই।

ইতিহাস ও পরিসংখ্যান কার পক্ষে?

কাগজে-কলমের পরিসংখ্যান এবং ঐতিহাসিক ফলাফল বিবেচনা করলে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। দুই দল এখন পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে।

ভারতের জয়: প্রায় ১৬টি ম্যাচে

বাংলাদেশের জয়: মাত্র ৩টি ম্যাচে

ড্র: ১১টি ম্যাচ

পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, এই দ্বৈরথে ভারতের আধিপত্যই একচেটিয়া। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক তথ্য হলো, ভারতের বিপক্ষে তাদের সবশেষ জয়টি এসেছিল ১৯৯৯ সালে, সাউথ এশিয়ান গেমসে (বর্তমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ)। এরপর কেটে গেছে প্রায় ২৫ বছর, বাংলাদেশ আর ভারতকে হারাতে পারেনি।

সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বদলে যাওয়া চিত্র

যদিও ইতিহাস ভারতের পক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে বেশ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে মাত্র একটিতে, আর তিনটি ম্যাচই ড্র হয়েছে।

২০১৯ সালে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত আদিল খানের গোলে ভারত কোনোমতে ড্র করে মাঠ ছাড়ে। এমনকি মার্চে শিলংয়ের ম্যাচেও বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো খেলে ড্র করেছিল। ভারতের সবশেষ জয়টিও (২-০) এসেছিল ২০২১ সালের জুনে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে। দুই দলের শেষ দেখাও (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১) ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, দুই দলের শক্তির ব্যবধান এখন অনেকটাই কমে এসেছে।

আজকের লড়াইয়ে কে বেশি শক্তিশালী?

ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান একপাশে রাখলে, আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। দুই দলেই এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।

ভারত: তারকাবিহীন নতুন দল এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় টালমাটাল ভারতীয় ফুটবলে নতুন কোচ হিসেবে এসেছেন খালিদ জামিল। দায়িত্ব নিয়েই তিনি কড়া সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফিফা উইন্ডোর আগে ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ায় দলের প্রধান তিন তারকা—লিস্টন কোলাসো, আপুইয়া এবং সুভাষিশ বসুকে তিনি দল থেকেই বাদ দিয়েছেন। এই তিনজনকে ছাড়া ভারতের শক্তি নিঃসন্দেহে কমেছে। তবে কোচ জামিল তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে একটি নতুন দল গড়ার চেষ্টা করছেন। তাদের মূল ভরসা মুম্বাই সিটির ফরোয়ার্ড লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, যিনি বাংলাদেশের রক্ষণভাগের জন্য বড় হুমকি হতে পারেন।

বাংলাদেশ: 'হামজা ইফেক্ট' ও শক্তিশালী মধ্যমাঠ অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলও সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা এখন তার মধ্যমাঠ। বিশেষ করে লেস্টার সিটির খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দলকে আমূল বদলে দিয়েছে।

ভারতীয় বিশ্লেষক অরুণাভ চৌধুরী তো হামজাকে "এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা খেলোয়াড়" হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা এরই মধ্যে ৬ ম্যাচে ৪টি গোল করেছেন, যার মধ্যে ফ্রি-কিক, ওভারহেড কিক এবং পানেকা পেনাল্টিও রয়েছে। হামজার সঙ্গে সৌমিত সোমের মতো খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের মধ্যমাঠকে করেছে ইস্পাতদৃঢ়।

বিশেষজ্ঞদের মত

পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতীয় বিশ্লেষকরাও এই ম্যাচে স্বস্তিতে নেই। অরুণাভ চৌধুরী টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, "প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত একটা সোজা দল না।" এমনকি তিনি শিলংয়ের ম্যাচেও বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন। তার ভবিষ্যদ্বাণী, ম্যাচটি ড্র হতে পারে।

সব মিলিয়ে, পরিসংখ্যানের খাতায় ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও, দল থেকে তিন তারকা বাদ পড়ায় এবং বাংলাদেশের মধ্যমাঠে হামজা-সৌমিত জুটির উপস্থিতিতে মাঠের লড়াইটি সম্পূর্ণ সমানে-সমান হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ২৫ বছরের জয়খরা কাটানোর এটাই হয়তো বাংলাদেশের জন্য সেরা সুযোগ।

/আশিকুজ্জামান


বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ০৯:৩০:১২
বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
ছবি: সংগৃহীত

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পঞ্চম রাউন্ডে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। যদিও দুই দলই আগেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে, তবুও ম্যাচটিকে ঘিরে চারদিকে উত্তেজনার আবহ। ২২ বছর পর ভারতের বাংলাদেশে খেলা—এই ম্যাচকে আরও বিশেষ এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। দুই দলেরই লক্ষ্য এখন আত্মসম্মান রক্ষা, গৌরব ফেরানো এবং আগামী টুর্নামেন্টগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার।

চার ম্যাচ শেষে সি গ্রুপে দুই দলেরই সমান চার পয়েন্ট। তবে গোলপার্থক্যে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ, আর তলানিতে ভারত। পয়েন্ট সমান হলেও মানসিক অবস্থা, চাপ ও প্রস্তুতিতে দুই দলের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে, অন্যদিকে ভারত ভুটানের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে বড় জয় পেলেও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ব্যর্থতায় ভুগছে।

এই ম্যাচটি হবে দুই দলের ৩০তম মুখোমুখি লড়াই। এর আগে ভারত ১৪ বার জয় পেয়েছে, বাংলাদেশ জিতেছে চারটি এবং ১১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল চলতি বছরের মার্চে, শিলংয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ০-০ ড্রতে। আর ভারতের বাংলাদেশ সফর সবশেষ হয়েছিল ২০০৩ সালে, যখন সাফ গোল্ড কাপে স্বাগতিকরা ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল। ২২ বছর পর আবারও ঢাকায় ভারতের উপস্থিতি ম্যাচটিতে নতুন উত্তাপ যোগ করেছে।

সাম্প্রতিক ফর্ম বিশ্লেষণে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো। যদিও সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়েছে, তবুও প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই করেছে। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলোতেও দল নিজেদের স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। অপরদিকে ভারত সাম্প্রতিক পাঁচ ম্যাচে ওঠানামার ফর্ম দেখিয়েছে। ভুটানের বিপক্ষে ৬–১ গোলের বড় জয় পেলেও সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে হেরেছে এবং ওমান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়নি।

ম্যাচের আগে দুই শিবিরেই চাপ আছে, কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস কিছুটা বেশি। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় রয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের মধ্যে। অন্যদিকে ভারতও চাইবে এই সফরকে স্মরণীয় করতে কমপক্ষে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে।

-রফিক


তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৯:১০:২৬
তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ১৮ নভেম্বর এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ ফুটবল দল ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তবে এই ম্যাচের আগে, ভারতীয় ফুটবল দলের অন্দরে চলছে বড় ধরনের পরিবর্তন, যার কেন্দ্রে রয়েছেন দলের নতুন হেড কোচ খালিদ জামিল।

প্রায় তিন মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খালিদ জামিল ভারতীয় দলের খেলার ধরনে আমূল পরিবর্তন এনেছেন। একসময় যে দলটি টানা ১৬ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল, সেই একই দল জামিলের অধীনে শেষ সাতটি ম্যাচে তিনটি জয় তুলে নিয়ে এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে।

খালিদ জামিলের অধীনে এই নতুন ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার কড়া সিদ্ধান্ত এবং দল নির্বাচনে কোনো আপস না করার মানসিকতা। বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য তিনি ফিফা উইন্ডো শুরু হওয়ার পাঁচ দিন আগেই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ভারতের শীর্ষ ক্লাব মোহনবাগান নির্ধারিত সময়ে তাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় কোচ খালিদ জামিল এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তিনি দলের প্রধান তারকা খেলোয়াড় লিস্টন কোলাসো, আপুইয়া এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সুভাষিশ বসুকে দল থেকে পুরোপুরি বাদ দেন। তারকা খেলোয়াড়দের বাদ দিয়েও কোচের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এই তারকাদের ছাড়াই একটি নতুন চেহারার ভারতীয় দল বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত। কোচ জামিল সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র সেইসব খেলোয়াড়দের নিয়েই ভাবছেন যারা ক্যাম্পে উপস্থিত আছেন এবং তিনি তাদের পারফরম্যান্সে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে এবং এই নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই তিনি ম্যাচ থেকে সেরা ফলাফল বের করে আনার চেষ্টা করবেন।

এই ম্যাচে ভারতের আক্রমণভাগের নেতৃত্বে থাকবেন মুম্বাই সিটির ফরোয়ার্ড লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। তিনি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি চমৎকার গোল করে নিজের ফর্ম চিনিয়েছেন। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের জন্য ছাংতে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, তাই তারিক কাজী, তপু বর্মন এবং সাদ উদ্দিনকে তাকে সামলাতে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।

ছাংতের পাশাপাশি, ভারতীয় দলে আরও একজন নতুন স্ট্রাইকার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত রায়ান উইলিয়ামস যদি ফুটবল অস্ট্রেলিয়া, ফিফা এবং এএফসি থেকে খেলার জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র পান, তবে তাকেও বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উইলিয়ামস খেলতে পারলে দলের কৌশল একরকম হবে, আর না পারলে অন্যরকম। কোচ জামিল উভয় পরিস্থিতি মাথায় রেখেই তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরী এবং সৌমিত সোমের মতো খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে দলের মধ্যমাঠ বেশ শক্তিশালী হয়েছে। ভারতীয় কোচ এই জুটিকে নিয়ে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা করছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে, খালিদ জামিল নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের নাম না বলে পুরো বাংলাদেশ দলকেই কৃতিত্ব দেন।

তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ একটি ভালো দল এবং তাদের দলের সবাই মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তিনি আরও জানান, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না এবং একটি ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন।

ভারতীয় দলে রাহুল ভেকে এবং সন্দেশ ঝিঙ্গানের মতো অভিজ্ঞ রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রাও রয়েছেন, যারা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে, খালিদ জামিলের এই নতুন ও তারকাবিহীন ভারতের বিপক্ষে হামজা-সৌমিতরা কীভাবে বহু প্রতীক্ষিত জয়টি তুলে আনেন, সেটাই এখন ফুটবলপ্রেমীদের মূল আকর্ষণের বিষয়।


হাসারাঙ্গাকে ছেড়ে রিশাদের দিকে নজর? আইপিএল নিলামে টাইগারদের চাহিদা

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৮:৫৩:২৩
হাসারাঙ্গাকে ছেড়ে রিশাদের দিকে নজর? আইপিএল নিলামে টাইগারদের চাহিদা
ছবিঃ সংগৃহীত

ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) সব সময়ই ভক্তদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসে। ২০২৬ সালের আসরও এর ব্যতিক্রম নয়। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মিনি নিলামের আগেই দলগুলো এমন সব সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা অনেককে অবাক করেছে। এমনকি আন্দ্রে রাসেলের কলকাতা ছাড়া বা রবীন্দ্র জাদেজার হলুদ জার্সি বদলের মতো বড় পরিবর্তনের আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবারের নিলামে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হতে পারে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ঘিরে বিভিন্ন দলের আগ্রহ।

এবারের মিনি নিলামের আগে বেশিরভাগ দলই তাদের বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটা প্রায় ফাঁকা করে ফেলেছে। সাধারণত মেগা নিলামের পরের বছর দলগুলো খুব বেশি খেলোয়াড় ছেড়ে দেয় না, কিন্তু এইবার ঠিক তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। কলকাতা নাইট রাইডার্স সর্বোচ্চ ছয়জন বিদেশি ক্রিকেটার কেনার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে দিল্লির স্লট ফাঁকা আছে পাঁচজনের। এছাড়া লখনৌ, গুজরাট এবং চেন্নাই চারটি করে বিদেশি খেলোয়াড় নিতে পারবে।

দলগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ছাড়া হয়েছে বিদেশি ব্যাটার এবং পেসারদের। ১০টি দল মিলে মোট ১১ জন বিদেশি ব্যাটার এবং সমান সংখ্যক (১১ জন) পেসারকে ছেড়ে দিয়েছে। পেসার এবং স্পিনারের এই ঘাটতি পূরণের জন্যই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

'কাটার মাস্টার' মুস্তাফিজুর রহমানের দল পাওয়ার সম্ভাবনা এবার সবচেয়ে উজ্জ্বল। বিশেষ করে চেন্নাই সুপার কিংস মাথিশা পাথিরানাকে ছেড়ে দেওয়ায় তাদের স্কোয়াডে বর্তমানে একমাত্র বিদেশি পেসার হিসেবে আছেন নাথান এলিস। চেন্নাই তাদের ঘরের মাঠের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আবারও মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য নিলামে অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও নতুন বলে বল করতে পারেন এমন পেসার খুঁজবে, যা মুস্তাফিজের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এবারের নিলামে সবচেয়ে বড় চমক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন টাইগার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। দলগুলো মুজিব উর রহমান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং মাহিশ থিকশানার মতো বড় নামের স্পিনারদেরও এবার ছেড়ে দিয়েছে। একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, রাজস্থান রয়্যালস রবীন্দ্র জাদেজাকে দলে পেলেও, তারা একই সাথে তিনজন স্পিনারকে ছেড়ে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, হাসারাঙ্গার যোগ্য বিকল্প হিসেবে রাজস্থান রিশাদ হোসেনকে দলে নেওয়ার কথা ভাবতে পারে। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অবস্থাও একই; তারা অ্যাডাম জাম্পাকে ছেড়ে দেওয়ায় একজন দক্ষ লেগ স্পিনারের খোঁজ করছে।

আইপিএলে দীর্ঘ সময় খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় সাকিব আল হাসানও দলগুলোর বিবেচনায় থাকতে পারেন। এছাড়া, রিশাদ হোসেন যদি আসন্ন বিগ ব্যাশে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করতে পারেন, তবে তার আইপিএল অভিষেক প্রায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। আইপিএল নিলামের ঠিক আগেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। এই সিরিজে তাসকিন আহমেদ বা শরিফুল ইসলামরা যদি ভালো খেলতে পারেন, তাহলে তাদের জন্যও আইপিএলের দরজা খুলে যেতে পারে।

এবারের আইপিএল নিলামটি নামে 'মিনি' হলেও, বিদেশি ক্রিকেটারদের চাহিদা যে তুঙ্গে থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সারা বছর ধরে দুর্দান্ত পারফর্ম করা মুস্তাফিজ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আলো ছড়ানো রিশাদকে ঘিরে দলগুলোর আগ্রহ এখন দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে, আইপিএলের আগামী আসরে আবারও কলকাতার জার্সিতে কিংবা অন্য কোনো দলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের ঝলক দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ভক্তরা।


আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন? সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন নিগার সুলতানা

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৭:২১:৩১
আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন? সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন নিগার সুলতানা
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি তার বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক সব গুরুতর অভিযোগ জোরালোভাবে খণ্ডন করেছেন। জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের দল থেকে বাদ দেওয়া, ড্রেসিংরুমে 'একনায়কতন্ত্র' চালানো এবং জুনিয়র খেলোয়াড়দের ওপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালানোর মতো অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট 'ক্রিকবাজ'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যোতি দাবি করেন, যখন সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়া হয়, তখন তিনি নির্বাচক প্যানেলের অংশই ছিলেন না। তিনি জানান, উল্টো সেই সময়ে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে একজন 'অপরিণত' অধিনায়ক হিসেবে দেখত।

নারী ক্রিকেটাঙ্গনে চলমান অস্থিরতার মধ্যে জ্যোতিই ছিলেন আলোচনার মূল কেন্দ্রে। তার বিরুদ্ধে ওঠা 'সিন্ডিকেট' বিতর্ক নিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন। সিনিয়রদের বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, "আমি এই কথা অনেকদিন ধরে শুনছি। আচ্ছা, সিন্ডিকেটটা কী? আমি কাকে সরাবো? আমি কি নির্বাচক?"

তিনি আরও বলেন, "আমি ২০২১ সালে অধিনায়ক হওয়ার পর ২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে নির্বাচক প্যানেলেই যুক্ত ছিলাম না। রুমানা আপু, জাহানারা আপু, সালমা আপুরা যখন বাদ পড়েন, তখন নির্বাচক প্যানেলের বৈঠকে রাখা হতো না আমাকে। তাহলে তারা কেন আমাকে দোষারোপ করছে? আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন?"

জ্যোতি সেই সময়ের একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, "একবার নিউজিল্যান্ডে কোচ হাসান তিলকরত্নে যখন রুমানা আপু, সালমা আপুদের বিশ্রামে রাখলেন, সালমা আপু আমাকে বললেন, ‘তুই আমাদের বসিয়ে দিয়েছিস’। আমি বললাম, ‘সালমা আপু, বিশ্বাস করুন, আমি কিছুই জানি না।’"

অধিনায়ক জানান, তখন সালমা খাতুন তাকে বলেছিলেন, "তাহলে তুই কি শুধু টস করার জন্য অধিনায়ক? আমাকে এমন কথাও শুনতে হয়েছে।"

জুনিয়র ক্রিকেটার মুর্শিদাকে চড় মারার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিকেও 'ভিত্তিহীন' এবং 'ভুল অভিযোগ' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জ্যোতি। তিনি বলেন, "২০২২ সালের এনসিএলে আমি তো ওর দলেই খেলিনি, আমরা ভিন্ন দলে ছিলাম। আমি তার সঙ্গে খুব বেশি কথাও বলিনি। কে দেখেছে আমি তাকে চড় মেরেছি? তার কাছে কী প্রমাণ আছে?"

মাঠে আরেক ক্রিকেটার মারুফা আক্তারকে ধমক দিয়ে কাঁদানোর অভিযোগের বিষয়েও অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জ্যোতি জানান, শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে মারুফা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়ে দেন। তখন মারুফার বোলিং কোটাও শেষ হয়ে গিয়েছিল।

জ্যোতি বলেন, "আমি চিন্তায় ছিলাম তার বোলিংয়ের হাতটি (ডান হাত) আবার ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয় কিনা। তাই আমি কিপিং পজিশন থেকে চিৎকার করে বলি, ‘এই মারুফা, তুই বের হয়ে যা।’ আমার ওই চিৎকার হয়তো তাকে কষ্ট দিয়েছিল।"

তবে জ্যোতির দাবি, মারুফা সেই চিৎকারের কারণে কাঁদেননি। তিনি বলেন, "খেলা শেষে আমি আমার ছোট বোনের মতো ওকে জড়িয়ে ধরি। সে আমাকে বলে, ‘আপু, আমি ওই কারণে কাঁদছি না। আমি কাঁদছি কারণ আমি বারবার ক্যাচ মিস করছি।’ আমি তাকে বলেছিলাম, আমি তার ওপর বিশ্বাস হারাইনি।"

মাঠে খেলোয়াড়দের গালিগালাজ করার অভিযোগের জবাবে অধিনায়ক বলেন, "আমি কি মানসিকভাবে অসুস্থ? আমি এমন পরিবার থেকে আসিনি। স্টাম্প মাইকের কাছে থাকায় আমার গলা বেশি শোনা যায়। বড়জোর একটা মিসফিল্ডের পর বলতে পারি ‘কী করছিস’, কিন্তু গালিগালাজ করি না।"


এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ০৯:৪০:২১
এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে
ছবি: সংগৃহীত

রবিবার ১৬ নভেম্বর ক্রীড়াঙ্গণ ভরপুর থাকছে একাধিক আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ইভেন্টে। ক্রিকেট থেকে শুরু করে ফুটবল, টেনিস—দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হবে টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। দর্শকদের জন্য দিনটি রোমাঞ্চ ও উত্তেজনায় ভরপুর হতে যাচ্ছে।

দিনের শুরুতেই ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আয়োজন থাকছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ নিয়ে। নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার এই ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সকাল ৭টায়, সরাসরি দেখানো হবে টি স্পোর্টসে। ঘরের মাঠে সিরিজটি আয়োজন করায় নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে রাখলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজও জয়ের লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা নিয়ে নামবে।

একই সঙ্গে শুরু হবে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রতিযোগিতা জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ইউটিউব ও বিসিবি লাইভে দেখা যাবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ—সিলেট বনাম খুলনা, ময়মনসিংহ বনাম চট্টগ্রাম, ঢাকা বনাম রাজশাহী এবং রংপুর বনাম বরিশাল। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের দক্ষতা যাচাই ও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে এনসিএল বরাবরই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

অপরদিকে, কলকাতায় চলছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়, সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস। প্রথম দুই দিনের লড়াইয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলায় আজকের খেলা দর্শকদের কাছে ব্যাপক আগ্রহের।

দুপুরে শুরু হবে আরেকটি বড় ক্রিকেট লড়াই—পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডে। বেলা ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ম্যাচটি দেখা যাবে টি স্পোর্টস, এ স্পোর্টস ও পিটিভি স্পোর্টস–এ। সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে দুই দলই সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে বলে প্রত্যাশা।

সন্ধ্যার পর রয়েছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। ভারত ‘এ’ বনাম পাকিস্তান ‘এ’ মোকাবিলা শুরু হবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। এশিয়ার উদীয়মান তারকাদের এই লড়াই দেখা যাবে টি স্পোর্টসে।

রাতে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য রয়েছে ইউরোপ ও আফ্রিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে নামবে পর্তুগাল ও আর্মেনিয়া; রাত ১১টায় মুখোমুখি হবে আলবেনিয়া ও ইংল্যান্ড। আর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে খেলবে ইতালি ও নরওয়ে। সবগুলো ম্যাচই সম্প্রচার করবে সনি স্পোর্টস ২। আফ্রিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে রাত ১টায় নাইজেরিয়া ও কঙ্গো ডিআর-এর লড়াই দেখা যাবে ফিফা প্লাসে।

দিনের শেষ বড় ইভেন্ট হিসেবে টেনিস কোর্টে বসবে বছরের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট এটিপি ফাইনালসের একক ফাইনাল। রাত ১১টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচটি সম্প্রচার করবে সনি স্পোর্টস ৫। বিশ্বের সেরা টেনিস তারকারা এই উপলক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবেন।

-রাফসান


এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৩৭:৩১
এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

২০০৬ সালের বিশ্বকাপে জিনেদিন জিদানের সেই বিখ্যাত লাল কার্ড যেমন ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল, প্রায় ২০ বছর পর ফুটবল বিশ্ব তেমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হলো। কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার লাল কার্ড দেখলেন এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে, যা তার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নকেই এক জটিল হিসাবের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ভালো আচরণের কথা বললেও মাঠের পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। তার ২৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্যারিয়ারে যা আগে কখনো ঘটেনি, এদিন তাই ঘটলো। একটি অযাচিত আচরণের জন্য তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।

রোনালদোর মাঠ ছাড়ার দিনে পর্তুগালও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। তারা তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের কাছে দুই-শূন্য গোলে হেরে গেছে। এই হারের ফলে পর্তুগালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পথ অনেক কঠিন হয়ে উঠলো।

২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য ইউরোপ থেকে বাছাইপর্বে মোট ১২টি গ্রুপের সেরা দলগুলো সরাসরি মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিটি গ্রুপের রানার্সআপ দলগুলোকে প্লেঅফ খেলে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। পর্তুগাল বর্তমানে 'এফ' গ্রুপের শীর্ষে থাকলেও, আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ায় তারা বিপদে পড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাঙ্গেরির সাথে তাদের পয়েন্টের পার্থক্য এখন মাত্র দুই। এমনকি এই জয়ের ফলে আয়ারল্যান্ডের সামনেও সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে, এবং সেই ম্যাচে তারা রোনালদোকে পাবে না। একই সময়ে, হাঙ্গেরি মুখোমুখি হবে আয়ারল্যান্ডের।

পর্তুগালের জন্য সরাসরি বিশ্বকাপে যেতে হিসাবটি খুব সহজ। যদি তারা আর্মেনিয়াকে হারিয়ে দেয়, তবে অন্য কোনো ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে না, তারা সরাসরি বিশ্বকাপে চলে যাবে।

কিন্তু পর্তুগাল যদি আর্মেনিয়ার সাথে ড্র করে বা হেরে যায়, তখনই শুরু হবে জটিল হিসাব। সেক্ষেত্রে তাদের হাঙ্গেরি-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি ওই ম্যাচে আয়ারল্যান্ড হাঙ্গেরিকে চার গোলের কম ব্যবধানে হারায় অথবা ম্যাচটি ড্র হয়, তবে পর্তুগাল গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সরাসরি কোয়ালিফাই করবে।

পর্তুগালের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদের আশঙ্কাও রয়েছে। যদি শেষ ম্যাচে পর্তুগাল আর্মেনিয়ার কাছে হেরে যায় এবং অন্য ম্যাচে হাঙ্গেরি আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, তবে পর্তুগাল গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে তাদের প্লেঅফ খেলতে হবে, যা তাদের মূল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকেই বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে।

জানা গেছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া এই লাল কার্ডের কারণে রোনালদোকে তিন ম্যাচ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। অনেকেই ধারণা করছেন এটিই হতে পারে রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন এখন একটি লাল কার্ডের কারণে অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। পর্তুগালের বিশ্বকাপ ভাগ্য এখন পুরোপুরি পয়েন্ট টেবিলের জটিল এক হিসাবের ওপর নির্ভর করছে।


একাই টানছেন দেশ ও ক্লাব: হালান্ড কি মেসি-রোনালদোর আসল উত্তরসূরি? পরিসংখ্যান কী বলছে?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:১৯:২৮
একাই টানছেন দেশ ও ক্লাব: হালান্ড কি মেসি-রোনালদোর আসল উত্তরসূরি? পরিসংখ্যান কী বলছে?
ছবিঃ সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর যুগের পর কে হবেন পরবর্তী 'আইকনিক সুপারস্টার'? কিলিয়ান এমবাপ্পে বা লামিন ইয়ামালের নাম প্রায়ই শোনা গেলেও, পরিসংখ্যান এবং বাস্তবতা ভিন্ন কিছুর দিকেই ইঙ্গিত করছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই আর্লিং হালান্ড যেভাবে একটি দেশ এবং ক্লাবের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছেন, তাতে অনেকেই তার মধ্যে মেসি ও রোনালদোর সেই অদম্য রেকর্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।

লিওনেল মেসি বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মহত্ত্ব কেবল তাদের ব্যক্তিগত অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়, বরং দলকে জয় এনে দেওয়ার অবিশ্বাস্য ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। ভক্তরা প্রায়ই ভাবেন, মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনা কি ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জিততে পারতো? অথবা, রোনালদোর মতো সুপার হিরো না থাকলে পর্তুগাল কি ২০১৬ সালের ইউরো জিততে পারতো? দলের বড় অর্জনে একজন খেলোয়াড়ের এই বিশেষ প্রভাবই তাকে কিংবদন্তির আসনে বসায়।

ঠিক একই ধরনের একটি দায়িত্ব যেন একাই পালন করে চলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আর্লিং হালান্ড। তিনি শুধু ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবের হয়ে খেলেই সন্তুষ্ট থাকতে চাননি, নিজের দেশ নরওয়েকেও বিশেষ কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আর্লিং হালান্ডের জাদুকরী পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে নরওয়ে এবার প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে খেলার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বে হালান্ড যা করেছেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য। পরিসংখ্যান বলছে, তিনি সাতটি ম্যাচে একাই ১৪টি গোল করেছেন। এর মধ্যে মলদোভার বিপক্ষে ১১-১ গোলের বিশাল জয়ে একাই পাঁচটি গোল ছিল তার। এছাড়া ইসরায়েলের বিপক্ষেও তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন।

এই ১৪টি গোল তাকে ইউরোপীয় বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে নিয়ে গেছে। তার সবচেয়ে কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী নেদারল্যান্ডসের মেমফিস ডিপাইয়ের গোল সংখ্যা মাত্র সাতটি।

নরওয়ে শেষবার বিশ্বকাপ খেলেছিল ১৯৯৮ সালে, যা ছিল হালান্ডের জন্মের দুই বছর আগে। এত দীর্ঘ সময় পর এই নরওয়েজিয়ান তারকাই একাই তার দেশকে ফুটবলের বড় মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবং তা পূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন।

মাত্র ২৫ বছর বয়সেই হালান্ড যেভাবে তার সমবয়সীদের পেছনে ফেলে 'একমাত্র বৈশ্বিক ফুটবল আইকন' হওয়ার পথে এগোচ্ছেন, তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে তিন বছর আগেই তার ক্যারিয়ারে ৩২৪ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। এখন তার বিশ্ব ফুটবলকে নিজের রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার পালা।

ব্যক্তিগত রেকর্ডের বাইরে গিয়ে একটি দলকে একাই টেনে নেওয়ার যে বিরল ক্ষমতা মেসি ও রোনালদো দেখিয়েছেন, সেই একই ক্ষমতার প্রতিফলন আর্লিং হালান্ডের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে। একারণেই, ভবিষ্যতের 'গোলের রাজা' হিসেবে অনেকেই এখন তার ওপরই ভরসা রাখছেন।

/আশিক


নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২১:২৩:৩০
নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ

নেপালের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হামজা চৌধুরী বাইসাইকেল কিক থেকে সমতাসূচক গোল করেন এবং এরপর পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল করে দলকে লিড এনে দেন।

বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ম্যাচটি ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

প্রথমার্ধে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ

ম্যাচের শুরু থেকেই দুদল কিছুটা খাপছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ, তবে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া সেই কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। অন্যদিকে নেপাল বেশ কিছু আক্রমণ করলেও তা অ্যাটাকিং থার্ডে আটকে যায়।

নেপালের গোল

ম্যাচের ২৯ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। নেপাল আচমকা বল নিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণে ঢুকে পড়ে। কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়িয়ে নেপালকে ১-০ গোলে লিড এনে দেন রোহিত চাঁদ।

বাংলাদেশের প্রচেষ্টা

গোল শোধের লক্ষ্যে ৪৪ মিনিটে ক্রস থেকে পাওয়া বলে হেড নিয়েছিলেন ফাহিম, কিন্তু সেটি সরাসরি গোলকিপারের হাতে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে হামজা ম্যাজিক

বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে দারুণভাবে লিড নেয় বাংলাদেশ। এই অর্ধে দলের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন হামজা চৌধুরী।

দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল গোলে দলকে সমতা এনে দেন হামজা চৌধুরী।

এরপর পেনাল্টি থেকে বল জালে জড়িয়ে দলকে ২-১ গোলে লিড এনে দেন এই হামজা।

বর্তমানে খেলা চলছে এবং বাংলাদেশ ২-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত