১০ দিনের আল্টিমেটাম: হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ৪ ছাত্রসংসদের কঠোর ঘোষণা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৮:৫২:৩৩
১০ দিনের আল্টিমেটাম: হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের নিয়ে ৪ ছাত্রসংসদের কঠোর ঘোষণা
ছবিঃ সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশের প্রধান চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ। তারা অবিলম্বে এই শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডাকসু), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাকসু), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাকসু) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) যৌথভাবে এই দাবি উত্থাপন করেছে।

ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ, জাকসুর জিএস মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার এবং চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোকে ১০ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে হাসিনাপন্থি শিক্ষকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি না দিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ছাত্রনেতারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাম্প্রতিক রায়কে 'ন্যায়বিচারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছেন। রায়ে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে ড্রোন, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছাত্রসংসদগুলো মনে করে, এই রায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ‘বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়, যেখানে শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রনেতারা। তাদের ভাষ্যমতে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত যেখানে শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, সেখানে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া আদালতের রায়ের প্রতি অবজ্ঞা এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের প্রতি চরম অপমান।

বিবৃতিতে শিক্ষকদের ওই প্রচারণায় 'জালিয়াতি'র অভিযোগও আনা হয়েছে। ছাত্রনেতারা উল্লেখ করেন, শিক্ষকদের ওই বিবৃতিতে ১০০১ জনের স্বাক্ষর থাকার দাবি করা হলেও প্রকাশিত তালিকায় মাত্র ৬৫৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এছাড়া অনেক শিক্ষকের অজান্তেই তাদের নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই পরিস্থিতিতে ছাত্রসংসদগুলো সংশ্লিষ্ট সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত করে দোষী শিক্ষকদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, তারা যেন শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এসব শিক্ষকের সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন এবং সামাজিকভাবে ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিহত করেন।


আগের চিঠির জবাব আসেনি, দণ্ডিত হাসিনাকে ফেরাতে এবার কী করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ২০:১৩:৫০
আগের চিঠির জবাব আসেনি, দণ্ডিত হাসিনাকে ফেরাতে এবার কী করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, পলাতক এই দুই আসামিকে ফেরাতে ভারতের কাছে পাঠানোর জন্য আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রস্তুত করা হচ্ছে। একটি কূটনৈতিক পত্র বা 'নোট ভার্বাল'-এর মাধ্যমে এই অনুরোধ জানানো হবে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে ভারতকে এখনো চিঠি পাঠানো হয়নি, তবে চিঠি তৈরির কাজ চলছে। আজকেই হয়তো এই চিঠি পাঠানো হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।

চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের পুরো কপি পাঠাবে না। শুধুমাত্র নোট ভার্বালের মাধ্যমে রায়ের বিষয়টি ভারতকে অবগত করা হবে এবং সেই সূত্র ধরে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।

এর আগে গতকাল সোমবারও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, দুই আসামিকে ফেরাতে সোমবার রাতে অথবা মঙ্গলবার সকালেই চিঠি পাঠানো হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এর আগেও শেখ হাসিনাকে ফেরানোর জন্য ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে উপদেষ্টার মতে, এখনকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভিন্ন। কারণ, এখন আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই চুক্তির আওতাতেই তাকে ফেরত আনতে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।


যাচাই-বাছাইয়ে অসংগতি, প্রথমবারের মতো বাতিল হলো জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৮:৫৭:০৪
যাচাই-বাছাইয়ে অসংগতি, প্রথমবারের মতো বাতিল হলো জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট
ছবিঃ সংগৃহীত

রংপুর বিভাগের ৫৩ জন ব্যক্তিকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও নানা অভিযোগ ও অসংগতির কারণে তাদের সেই গেজেট বাতিল করেছে সরকার। সোমবার (১৭ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (গেজেট) হরিদাস ঠাকুরের স্বাক্ষরিত ওই আদেশে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার তার ক্ষমতাবলে এই ৫৩ জনের নাম বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তের আইনি ভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর ১১(৪) ধারা এবং ‘রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬’-এর সংশ্লিষ্ট বিধিমালা উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত তালিকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পরই সরকার এই কঠোর পদক্ষেপ নিল।

কিছুদিন আগেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছিলেন যে, আগের গেজেটভুক্ত তালিকাগুলো পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে এবং সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, তালিকায় এমন অনেকের নাম ঢুকেছে যারা জুলাই আন্দোলনে আহত হননি বা সশরীরে আন্দোলনে উপস্থিতই ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে সরকার যে চিন্তিত ছিল, এই বাতিলের সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন।

এর আগেও গত ৩ আগস্ট শহীদদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রণালয়। তবে আহত বা ‘জুলাই যোদ্ধা’ ক্যাটাগরিতে গেজেট বাতিল করার ঘটনা এটিই প্রথম।

বর্তমানে সরকারি হিসাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৬ জন। অন্যদিকে আহতদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে— ‘অতি গুরুতর আহত’, ‘গুরুতর আহত’ এবং ‘আহত’। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তালিকায় থাকা আহত বা জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার ৮০০ জন। সরকার জানিয়েছে, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতেই এই শুদ্ধি অভিযান বা যাচাই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।


চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নারী না পুরুষ, সংখ্যায় কারা এগিয়ে?

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৬:৫৭:২৩
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ: নারী না পুরুষ, সংখ্যায় কারা এগিয়ে?
ছবি: কালের কণ্ঠ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন মোট ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন নাগরিক।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন। অন্যদিকে, নারী ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জনে। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া সম্প্রদায়ের ১ হাজার ২৩৪ জন ভোটার এবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

এর আগে প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় ভোটারের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসি সচিবের দেওয়া এই পরিসংখ্যান আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কি ভোট? জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামনেই ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৬:৪১:০২
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কি ভোট? জার্মান রাষ্ট্রদূতের সামনেই ইঙ্গিত দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ভাগের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের যে তারিখই নির্ধারণ করুক না কেন, তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার দপ্তরে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ। এই বৈঠকেই নির্বাচনের সময়সীমা ও প্রস্তুতির বিষয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

বৈঠকটিতে দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি শেখ হাসিনার রায় পরবর্তী জনমনে প্রতিক্রিয়া, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ও প্রস্তুতি, বন্দি প্রত্যর্পণ, সাইবার অপরাধ এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নির্বাচনের তারিখ, সময় এবং সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জার্মান রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আশা করা যাচ্ছে নির্বাচন যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটের নির্দিষ্ট দিন ও তারিখ চূড়ান্ত করার এখতিয়ার একমাত্র নির্বাচন কমিশনের হাতেই রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের পর দেশের পরিস্থিতি কেমন, এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, দু-একটি ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের পরিস্থিতি শান্ত। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি এই রায়কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে, তবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।

দেশের অপরাধ পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, অপরাধের মাত্রা বাড়ছে না এবং তা বর্তমানে নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। তিনি মন্তব্য করেন, দেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে, যা গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে তারা করতে পারেনি।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশ একে অপরের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।


শেখ হাসিনার নামে কত সম্পদ আছে? দেখুন হলফনামার পূর্ণ বিবরণ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৪:৫৭:৫৮
শেখ হাসিনার নামে কত সম্পদ আছে? দেখুন হলফনামার পূর্ণ বিবরণ
ছবিঃ সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আদালত তাদের নামে দেশে থাকা সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই নির্দেশ দেন। এই রায়ের পরই জনমনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল আসলে কী পরিমাণ বা কত টাকার সম্পত্তির মালিক।

এই বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া তাদের হলফনামা থেকে। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা-১২ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে সম্পত্তির একটি চিত্র পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছিল। ওই সময় শেখ হাসিনার হাতে নগদ অর্থ ছিল মাত্র সাড়ে ২৮ হাজার টাকা। তবে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমার পরিমাণ ছিল প্রায় ২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এছাড়া তিনি ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং ৫৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) মালিক ছিলেন। হলফনামায় তিনটি মোটরগাড়ির কথা উল্লেখ করা হয়, যার মধ্যে উপহারে পাওয়া গাড়িও রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনো মূল্য দেখানো হয়নি। শেখ হাসিনা তার নামে ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান ধাতু এবং ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র থাকার তথ্য দিয়েছিলেন। তার নামে স্থাবর সম্পদ হিসেবে ১৫ দশমিক ৩ বিঘা কৃষি জমিও রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এই জমিগুলো টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ সদর, গাজীপুর ও রংপুরে অবস্থিত। এছাড়া ঢাকার পূর্বাচলে তার নামে ৩৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্লট রয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তিনতলা ভবনসহ ৬ দশমিক ১০ শতক (আংশিক) জমির মালিকানাও দেখিয়েছিলেন তিনি, যার অর্জনকালীন মূল্য উল্লেখ করা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তার জমা দেওয়া হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। তিনি হলফনামায় হাতে নগদ প্রায় ৮৪ লাখ টাকা দেখিয়েছিলেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমার পরিমাণ ছিল প্রায় ৮২ লাখ টাকা। আসাদুজ্জামান খানের নামে বন্ড ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ২৪ লাখ টাকার। এছাড়া তিনি ডাকঘর, সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত হিসেবে ২ কোটি ১ লাখ টাকা দেখান। তিনি ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা মূল্যের দুটি মোটরগাড়ির মালিক ছিলেন। তার বাসায় ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র ছিল ২ লাখ টাকার। হলফনামায় তিনি ঋণ হিসেবে ব্যবসার মূলধন দেখিয়েছিলেন ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। তার কাছে ১০ ভরি সোনা থাকার কথা উল্লেখ থাকলেও সেটির মূল্য দেখানো হয়নি। স্থাবর সম্পদ হিসেবে আসাদুজ্জামান খানের ১৭১ শতাংশ (পাঁচ বিঘার বেশি) কৃষি জমি রয়েছে, যার অর্জনকালীন মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। অকৃষি জমির পরিমাণ সাড়ে ১৮ শতাংশ, যার মূল্য সাড়ে ৫৮ লাখ টাকা। তিনি বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের ঘরে দুটি সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। এর মধ্যে একটি গ্রামের বাড়ি, যার অর্জনকালীন মূল্য ৮০ লাখ টাকা এবং অন্য একটির মূল্য দেখানো হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে (১০ ভরি সোনার মূল্য বাদে) আসাদুজ্জামান খানের মোট সম্পদের অর্থমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা।


প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে উঠল 'দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব'

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৪:৩৮:৩৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের বৈঠক: নির্বাচন নিয়ে উঠল 'দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব'
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ডিসিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) এক মতবিনিময় সভায় আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উঠেছে। ডিসিরা ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করার এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া ঠেকানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৬৪ জেলার ডিসি এবং আট বিভাগীয় কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অন্তত দুজন ডিসি জানান যে, ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তেজনা ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। এই কারণে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য না দেওয়ার বিধানটি যুক্ত করার পরামর্শ দেন।

এই প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, "ডিসিদের প্রস্তাবটি ভালো। নির্বাচন কমিশন এখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।" তিনি আরও বলেন, "ধর্মীয় ওয়াজের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা ঢোকালে তো সমস্যা। এ জন্য ওয়াজের অনুমতি দেওয়ার সময়ই রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না—এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া উচিত।"

ডিসিদের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগটি ছিল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিয়ে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের একজন ডিসি সভায় জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক-কর্মচারী এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। অথচ এই শিক্ষকরাই জাতীয় নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসার হিসেবে ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। ডিসিরা মনে করেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে এমন প্রকাশ্য অবস্থান নেওয়া সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েও প্রচারে অংশ নিতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, "এটা আমরা পর্যালোচনা করব। এ বিষয়ে কন্ট্রাক্ট রুলে (চুক্তি বিধি) নিষেধ থাকলে সেটা মনে করিয়ে দেওয়া হবে। আর যদি কন্ট্রাক্ট রুলে না থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

সভায় ডিসিরা উল্লেখ করেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এখন তাদের মূল বেতনের পুরোটাই সরকার থেকে পান এবং এর সাথে কিছু ভাতাও পান। এর আগেও ঝিনাইদহের তৎকালীন ডিসি মনিরা বেগম এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকারি কর্মচারীদের মতো একটি পৃথক বিধিমালা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি ছিল যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত থাকার সুযোগ থাকায় অনেক সময় পাঠদান কার্যক্রমে তাদের দায়সারা মনোভাব দেখা যায়। একটি বিধিমালা থাকলে শিক্ষকতার পাশাপাশি তাদের ঠিকাদারি বা সাংবাদিকতার মতো অন্য পেশায় যুক্ত থাকার প্রবণতা ঠেকানো যাবে এবং পাঠদানে আন্তরিক করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিবরা জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে ডিসিদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।


একটি 'হ্যাঁ' বা 'না' ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধানের সংস্কার: ব্যালটে থাকছে যে ৪ প্রস্তাব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৪:৩২:১১
একটি 'হ্যাঁ' বা 'না' ভোটে নির্ধারিত হবে সংবিধানের সংস্কার: ব্যালটে থাকছে যে ৪ প্রস্তাব
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে জনগণের কাছে কী কী বিষয়ে মতামত চাওয়া হবে, তার একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই খসড়া প্রস্তাবটি প্রকাশ করা হয়।

ওই পোস্টে গণভোটের মূল প্রশ্নটি তুলে ধরা হয়েছে। জনগণকে যে প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হবে তা হলো— "আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?"

এই মূল প্রশ্নের অধীনে চারটি প্রধান বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত, নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই সনদে যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসারেই গঠন করা হবে।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামীতে সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। এর মধ্যে একটি হবে উচ্চকক্ষ, যেখানে ১০০ জন সদস্য থাকবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই ভোটের আনুপাতিক হারে এই উচ্চকক্ষের সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। এই প্রস্তাবে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করতে হলে অবশ্যই এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

তৃতীয় প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ সীমিত করা, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে মোট ৩০টি প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলোকে অবশ্যই এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

চতুর্থ বা শেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কারকাজগুলোও রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, গণভোটের দিন ভোটারদের এই চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তরে 'হ্যাঁ' অথবা 'না' ভোট দিয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত জানাতে হবে।


নির্বাচনের আগে আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কিনছে সরকার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৪:২৬:১৯
নির্বাচনের আগে আনসারের জন্য ১৭ হাজার শটগান কিনছে সরকার
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আনসার সদস্যদের জন্য ১৭ হাজার নতুন শটগান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৪০ হাজার বডি অন ক্যামেরা কেনার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।

সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আনসার সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে। তাই তাদের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এই নতুন শটগান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বডি ক্যামেরা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, আগে সব ভোটকেন্দ্রের জন্য ৪০ হাজার বডি অন ক্যামেরা কেনার যে সিদ্ধান্ত ছিল, তা এখন আর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। পরিবর্তে, শুধুমাত্র যেসব কেন্দ্রকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হবে, সেই কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্য বডি ক্যামেরা কেনা হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই কেনাকাটা অবশ্যই স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে। কোন কোন কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে, তা নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করবে।

বৈঠকে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, দেশে ই-পাসপোর্টের ব্যাপক চাহিদা থাকায় নতুন করে এক কোটি ই-পাসপোর্ট বই কেনার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া, দেশে টিকার সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিশুদের জন্য ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি) টিকা কেনার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

এ সময় অর্থ উপদেষ্টা আরও জানান, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার চাল ও গম আমদানি করবে। রোজার আগেই এই আমদানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


দোহায় কাতার–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা আলোচনা: সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১২:২৫:২৪
দোহায় কাতার–বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা আলোচনা: সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি
ছবিঃ ডেইলি সান

দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারে দোহার উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক ব্যস্ততার মধ্যে কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুর রহমান বিন হাসান আল থানি-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামরিক সচিবালয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান। বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদল কাতারের আমন্ত্রণে দোহার এ বৈঠকে অংশ নেয়।

দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা মূলত দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা, সামরিক প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ কৌশলগত অংশীদারিত্ব—এসব বিষয়ে কেন্দ্রিত ছিল। উভয়পক্ষই বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও বিস্তৃত করার পাশাপাশি উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দোহার এই বৈঠককে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকে কাতার ও বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

-নাজমুল হাসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত