হাসিনার আইনজীবীর বিস্ময়কর স্বীকারোক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধের বহুল আলোচিত মামলার রায় ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পলাতক ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই মামলার বিচার স্বচ্ছভাবে হয়েছে এবং শেখ হাসিনা খালাস পেলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তার ভাষায়, একজন আইনজীবী হিসেবে নিজের মক্কেলের খালাস চাওয়া স্বাভাবিক প্রত্যাশা।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করেননি এবং আইনি কাঠামো অনুযায়ী তার সেই সুযোগও নেই। আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা কিংবা তার পক্ষ থেকে কেউ কোনো ধরনের সহায়তাও করেননি। প্রচ্ছন্ন সহায়তাও পাননি। এমনকি চাইলে করাও যেত না, কারণ বিচার-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এমন যোগাযোগের বিধান নেই।
আইনজীবী আমির হোসেন জানিয়েছেন, দীর্ঘ মাস ধরে তিনি নিজের মক্কেলের জন্য লড়েছেন এবং সেই কারণে তার একমাত্র প্রত্যাশা হলো শেখ হাসিনার খালাস। তার ভাষায়, একজন আসামির জন্য যতদিন মামলা লড়েছেন, সেই ব্যক্তির খালাস পাওয়ার আনন্দ তার নিজের জন্যও বিশেষ এক তৃপ্তি হবে।
রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, মামুন তার মক্কেল নন এবং তিনি তাকে নিয়ে মন্তব্য করবেন না। আইনগত নৈতিকতার কারণে তিনি শুধুমাত্র নিজের ক্লায়েন্ট সম্পর্কে কথা বলতে চান বলে জানান।
সাক্ষীদের জেরা, দালিলিক প্রমাণ, তদন্ত প্রতিবেদন ও রাষ্ট্র–ডিফেন্স উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণা হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমে তার দেওয়া সাক্ষাৎকার এবং ডিফেন্সের যুক্তি পরস্পরের সঙ্গে কোথাও কোথাও মিলে গেছে কিনা—এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমির হোসেন বলেন, উভয় পক্ষ তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। বিচার করবে ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এবং সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা কয়েক স্তরে বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তৎপর। জননিরাপত্তার কারণে দোয়েল চত্ত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জনসচেতনতা বিবেচনায় চলাচল সীমিত করা হয়েছে পুরো এলাকায়।
এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয় গত মে মাসে। ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং জেরা শেষ হয়। ৯ কার্যদিন ধরে চলে ডিফেন্স–প্রসিকিউশনের যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন শেষ বক্তব্য উপস্থাপনের পর বিচারপতিরা রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।
প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেছে। অন্যদিকে রাজসাক্ষী হওয়ায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের রায় ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আইনজীবী খালাস চেয়েছেন। ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন যে শেখ হাসিনা ও কামাল খালাস পাবেন বলে তিনি মনে করেন।
এই মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
-রফিক
শেখ হাসিনাদের রায় সরাসরি দেখতে পাবেন যেভাবে
চব্বিশের জুলাই–আগস্টে সংঘটিত ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থান দমন করতে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা বহুল আলোচিত মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল সোমবার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) রায়টি সরাসরি সম্প্রচার করবে বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এই রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন। তার সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই রায়কে দেশ–বিদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ এনে শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন প্রসিকিউশন। প্রসিকিউটরদের মতে, রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষ, ছাত্রসমাজ এবং নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গুম, নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ চালানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই আসামিদের সম্পূর্ণ খালাস প্রদান ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
এ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হন। তিনি আদালতে ঘটনাবলির সত্যতা, প্রশাসনের ভেতরে থেকে পরিচালিত নির্দেশাবলি এবং দমননীতি বাস্তবায়নের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তৃত জবানবন্দি দেন। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এস এইচ তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি ও আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ দলীয় আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তারা সাক্ষ্য, নথিপত্র, ভিডিও প্রমাণ, ফরেনসিক বিশ্লেষণ ও গণঅভ্যুত্থানকালীন ঘটনাবলি তুলে ধরে আদালতকে জানায় যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৫৪ জন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতা, নিহত ও নিখোঁজদের স্বজনরা, আহত বিক্ষোভকারীরা এবং প্রত্যক্ষদর্শী নাগরিকরা। স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। তাদের সাক্ষ্য এই মামলার রায়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দলীয় ক্যাডার, সরকারি প্রশাসনের একটি অংশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও নির্বিচার হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রেক্ষাপটেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার চলমান রয়েছে।
-রফিক
সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন হলে কী হবে জানালেন শিশির মনির
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হওয়াকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শিশির মনির। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিশ্লেষণে তিনি মন্তব্য করেন এ আদেশ জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার সরাসরি প্রয়োগের পথ উন্মুক্ত করেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়। জাতীয় সনদের বিভিন্ন দিক, বাস্তবায়ন কাঠামো ও রাজনৈতিক গুরুত্ব জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ব্যাখ্যা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে ঘোষণা দেন যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সময় হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ। তিনি বলেন, চারটি বিষয়ে গণভোট হবে; তবে ব্যালটে থাকবে মাত্র একটি প্রশ্ন হ্যাঁ বা না।
গণভোটে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ মত ‘হ্যাঁ’ হলে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যদের দিয়েই গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। এই পরিষদকে প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে হবে।
এই কাঠামোকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়ে শিশির মনির বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো জনগণই সরাসরি সাংবিধানিক সংস্কারের ম্যান্ডেট দিতে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, এটি ১০৬ অনুচ্ছেদের বিকল্প নয়; বরং জনগণের সার্বভৌমাধিকার প্রয়োগের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ফলে রাষ্ট্রপতি–প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু, অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির প্রয়োগ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদার, নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের মতো কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে।
জুলাই সনদ অনুযায়ী, উচ্চ কক্ষ হবে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট; দলগুলোর মোট ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে আসন বণ্টন। এতে ক্ষুদ্র দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং একক দলীয় আধিপত্য কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার প্রস্তাবটিকে শিশির মনির বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তাঁর মতে, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় একক দল বা ব্যক্তি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে; নতুন প্রস্তাব সে ঝুঁকি কমাবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রসঙ্গেও তিনি বলেন এগুলো কার্যকর হলে দেশের শাসন কাঠামো আরও সুশাসনমুখী হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার প্রস্তাবও গণতন্ত্রের গভীরতর রূপায়নে সহায়ক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিএনপি ইতিমধ্যে জরুরি বৈঠক ডেকেছে; অন্যান্য দলগুলোর মধ্যেও পরামর্শ-সমন্বয় চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ আগামী নির্বাচনের ফলাফল ও পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতি নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন গণভোটের বিষয়গুলো মোটামুটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের জায়গা থেকে এসেছে। তবে জনগণ ‘হ্যাঁ’ না ‘না’ বলবেন, সে সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে দেশের ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক স্থাপত্য কেমন হবে।
এদিকে, আইনবিদ শিশির মনির তাঁর পোস্টে মন্তব্য করেন এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় আইনজীবী সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিকদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে, যেন সংস্কারের স্বচ্ছতা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ নিশ্চিত হয়।
অনুপস্থিত থাকলেও খালাস পাবেন হাসিনার আইনজীবী আশাবাদী
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী সোমবার ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে।
বিচারপতি মো গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন।
অভিযুক্ত ও সাজা আবেদন
এই মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামির মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন একমাত্র গ্রেপ্তার হয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে উপস্থিত ছিলেন। তবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এখনো পলাতক রয়েছেন।
মামলার প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযুক্তদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রনিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন জানান, তিনি আশা করছেন ট্রাইব্যুনাল আসামিদের খালাস দেবেন।
আইনজীবীর বক্তব্য ও বিচার প্রক্রিয়া
আইনজীবী আমির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতেও তিনি নিজের সর্বোচ্চ যুক্তি তুলে ধরেছেন। বিচার প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন
"আমি বিচারের কোনো অস্বস্তি দেখিনি। আমাকে কেউ বাধা দেয়নি, আমি আমার সীমাবদ্ধতার মধ্যে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। মামলা পরিচালনায় যে সহযোগিতা লাগে যেমন দলিল-দস্তাবেজ, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী আমাকে দেওয়া হয়েছে। যে সব ডকুমেন্ট পেয়েছি তার আলোকেই আমাকে কাজ করতে হয়েছে।"
রায় ঘোষণাকারী এই প্যানেলের নেতৃত্ব দেবেন বিচারপতি মো গোলাম মর্তুজা মজুমদার। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি সফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জুলাই অভ্যুত্থান মামলা শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির রায়ের তারিখ ঘোষণা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এই মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
আসামি ও অভিযোগের বিবরণ
অন্যান্য আসামি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হওয়ার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। তিনি এ মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি।
মৃত্যুদণ্ড দাবি যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাদের খালাস আবেদন করেন।
মামলার সূত্রপাত ও অভিযোগসমূহ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ শুরু হয় এবং সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অভিযোগ গঠন চলতি বছরের ১৬ মার্চ প্রসিকিউশন শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
পাঁচটি অভিযোগ আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়। সেগুলো হলো গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।
বিচার প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা
মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে প্রসিকিউশন আশঙ্কা করছে। প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তা রুখে দেবে।
স্বচ্ছতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও প্রসিকিউটর মিজানুল নিশ্চিত করেন যে, স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জামিনে মুক্ত
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। এই আদেশের ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিনের আদেশ দেন। লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী জেড আই খান পান্না বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই জামিন আদেশের ফলে তাঁর মক্কেল আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর কারামুক্তিতে এখন আর কোনো আইনি বাধা রইল না।
এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল ও আল আমিন হোসেন।
মামলার প্রেক্ষাপট ও গ্রেপ্তার
গত ২৮ আগস্ট ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে হট্টগোলের মধ্যে 'মব হামলার' শিকার হওয়ার পর পুলিশ হেফাজাতে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। ওই ঘটনায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাংবাদিকসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে এই ১৪ জনসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে পুলিশ তথ্য জানায়। পরদিন ২৯ আগস্ট আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট 'মঞ্চ ৭১' নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নিয়ে জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ অগাস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক এজেন্ডায় দুর্নীতি: জয়-পুতুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের গুরুতর মামলা
রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা, রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতি সাধন এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাইস চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। কমিশনের সহকারী পরিচালক মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁরা হলেন
১. সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়
২. ভাইস চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদ
৩. ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক
৪. নসরুল হামিদ বিপু
৫. এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাব্বির বিন শামস
৬. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর আপিল সদস্য রওশন আরা আক্তার
৭. অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া
৮. সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
দুদকের অভিযোগ অনুযায়ী, এঁরা পরস্পর যোগসাজশে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে জনকল্যাণের নামে গঠিত নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের অনুকূলে প্রাপ্ত অর্থের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁরা আয়কর মওকুফসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে নিজেদের বা অপরকে অন্যায়ভাবে আর্থিকভাবে লাভবান করেছেন।
দুদক অভিযোগ করেছে, জনকল্যাণমূলক কাজে অর্থ ব্যবহার না করা সত্ত্বেও এবং সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন না থাকা সত্ত্বেও এসআরও জারি করে অবৈধভাবে কর সুবিধা গ্রহণ ও প্রদান করা হয়েছে, যা অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের শামিল।
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত সিআরআই মোট ১০০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮৬ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬ টাকা ব্যয় হিসেবে দেখানো হয়। অ্যাকাউন্টে মোট ৫৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জমার পরিমাণ পাওয়া যায়। অবৈধ আয়-ব্যয় হিসাব থেকেও আসামিরা ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৫২১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
তাছাড়া, সিআরআইয়ের নামে থাকা ২৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৩৯ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪-এর বিধি লঙ্ঘন করে ৩৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৪২ টাকা আয়কর প্রদান না করার ফলে সরকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, এই মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭- এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আবার পেছাল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর নতুন দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এদিন প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউশনের ব্যর্থতার অভিযোগ
সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখে সাক্ষী হাজির না হওয়ার বিষয়ে কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু প্রসিকিউশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সাক্ষীর অনুপস্থিতি মূলত 'রিলাক্টেন্স অব দ্য প্রসিকিউশন'—অর্থাৎ যাদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাদের সময়মতো আদালতে হাজির করার দায়িত্ব প্রসিকিউশনের। তিনি মন্তব্য করেন, এটি প্রসিকিউশনের ব্যর্থতার প্রমাণ।
এর আগেও গত ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সেবারও প্রসিকিউশন সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। তখন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সাক্ষী আসতে পারেননি এবং বাকি প্রসিকিউটররা ট্রাইব্যুনাল-১ এ অন্য মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ২০ অক্টোবরের পর সাক্ষী উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জনই পলাতক
এই মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে বেরোবির সাবেক ভিসিসহ ২৪ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। এই মামলার গ্রেপ্তারকৃত ছয় আসামি হলেন—এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।
গত ২৭ আগস্ট মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে। এর আগে ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষী রয়েছেন।
পলাতকদের পক্ষে আইনি পদক্ষেপ
পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াই পরিচালনার জন্য গত ২২ জুলাই সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩০ জুলাই পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ এবং আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানি করেন। এর আগে ২৯ জুলাই তিন জন গ্রেপ্তারকৃত আসামির পক্ষে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে শরিফুলের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের পক্ষে ছিলেন আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান।
২৮ জুলাই প্রসিকিউশন ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর তাদের শুনানি শেষ করে। এর আগে ৩০ জুন ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং ২৪ জুন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলা: তদন্ত শেষ করতে আর কত বছর লাগবে, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত দীর্ঘ দিনেও শেষ না হওয়ায় হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “সাগর-রুনির হত্যার ১৩ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ করতে আর কত বছর লাগবে?”
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
ছয় মাসের আল্টিমেটাম
আদালত বলেন, “দুইজন মানুষ হত্যা হয়েছেন। তাদের কে হত্যা করল, কিছুই জানা যায়নি। সারাদেশের মানুষ এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছে।”
হাইকোর্টের নির্দেশ: আদালত উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য শেষবারের মতো ছয় মাস সময় দিয়ে আদেশ দেন।
তদন্তের অগ্রগতি: পিবিআই কর্মকর্তা আজিজুল হক আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি জানান।
পরিবারের উদ্বেগ: সাগর-রুনির পরিবারের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতকে বলেন, “এই মামলার তদন্ত দীর্ঘ দিনেও শেষ না হওয়ায় আমরা বাইরে মুখ দেখাতে পারছি না। সবাই জানতে চায় তদন্ত কবে শেষ হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই তদন্ত শেষ হওয়া উচিত।”
টাস্কফোর্স কমিটি
গত বছরের ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের জন্য পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার একজন পুলিশ প্রতিনিধি, সিআইডি ও র্যাবের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন: আইনজীবীর যুক্তি
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছেন—বলে মন্তব্য করেছেন তার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পলাতক না বাধ্য
পলাতকের অভিযোগ: আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, আজ রাষ্ট্রপক্ষ যে বক্তব্য দিয়েছে, সে প্রেক্ষাপটে তারা শেখ হাসিনাকে ‘পালিয়ে গেছেন’ বলে উল্লেখ করেছে।
আমির হোসেনের ব্যাখ্যা: “আমি বলেছি যে, আমার আসামি পালিয়ে যাননি। উনি এই দেশ থেকে যেতে চাননি, তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকাসহ সব জায়গায় এসেছে। উনি (শেখ হাসিনা) এ কথাও বলেছেন যে—আমাকে প্রয়োজনে এখানে মাটি দেন, হত্যা করেন, তবু আমি যাবো না। কিন্তু প্রেক্ষাপট এমন দাঁড়িয়েছে, উনাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। উনি হেলিকপ্টারে গেছেন। দেশের মানুষ দেখেছে। অতএব পালিয়ে যাওয়া বলে চোরের মতো লুকিয়ে যাওয়াটাকে আমি ডিফেন্ড করেছি।”
গণহত্যা ও বিচারের দাবি
আমির হোসেন বলেন, এই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে হলে একটি সম্প্রদায়কে বা একটি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া থাকতে হয়, যা হিটলার ইহুদিদের ক্ষেত্রে করেছিল। তিনি বলেন, “কিন্তু এখানে প্রযোজ্য নয়। এটাই আমার মূল বক্তব্য।”
খালাসের প্রত্যাশা: আইনজীবী মনে করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়নি। তাই তারা ‘সসম্মানে খালাস’ পাবেন।
ন্যায়বিচার: তিনি বলেন, “বাদিপক্ষ যেমন ন্যায়বিচার চান, আসামিপক্ষে আমরাও ন্যায়বিচার চাই। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের।”
রায়ের দিন ধার্য
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পাঠকের মতামত:
- হাসিনার আইনজীবীর বিস্ময়কর স্বীকারোক্তি
- শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে সজীব ওয়াজেদের বিস্ফোরক মন্তব্য
- সোমবার রাজধানীর বাজার বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ঢাকার আবহাওয়া আজ স্বস্তিদায়ক
- বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও ঢাকা
- আজ রাজধানীজুড়ে কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জানুন বিস্তারিত
- মোট যতটি মামলার মুখোমুখি শেখ হাসিনা
- ‘কোথায় আওয়ামী লীগ? শাটডাউন শুধু ঘোষণাতেই’
- এনসিপির মনোনয়ন নিলেন সারজিস,একই আসনে বিএনপি-এনসিপি দুই হেভিওয়েট প্রার্থী
- সোমবার সকাল ১১টায় হাসিনার রায়: দেশজুড়ে কড়া নিরাপত্তা
- ইতিহাসের কুচক্রী নারী: ঘষেটি বেগম, যার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ডেকে এনেছিল বাংলার পতন
- জামায়াতে ইসলামী: অতীতের ছায়া ছাপিয়ে কি নতুন শুরু সম্ভব?
- ককটেল বিস্ফোরণে কাঁপল কারওয়ান বাজার
- রাজনীতিকে বিদায় জানালেন শমসের মবিন চৌধুরী
- সাভারে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি বাসে আগুন
- কোমল পানীয় থেকে মাছের ডিম, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ৯ খাবার
- মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ মৃত্যু
- ভোটার তালিকায় নাম নেই তারেকের, নির্বাচনে লড়তে পারবেন কীভাবে?
- ডলারের রিজার্ভে সুখবর, নভেম্বরের শুরুতেই বিপুল সাড়া
- পুলিশ প্রশাসনে ‘বড় নাড়া’: ডিআইজি-এসপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল
- ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
- হাসারাঙ্গাকে ছেড়ে রিশাদের দিকে নজর? আইপিএল নিলামে টাইগারদের চাহিদা
- প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা, আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেহজাবীন
- বয়স বাড়লেও তারুণ্য থাকবে অটুট, যদি পাতে থাকে এই শীতের সবজি!
- অতীতে ইসি সরকারের ‘মন্ত্রী’ ছিল: কাদের সিদ্দিকীর কড়া সমালোচনা
- জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা
- দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়, খারাপও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন? সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন নিগার সুলতানা
- বিদেশি কর্মী নিয়োগে 'ইউ-টার্ন' সৌদির,কমছে বেতন ও সুবিধা
- ২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডেঙ্গু বা ভাইরাসের পর দুর্বলতা? প্লেটলেট বাড়বে যা খেলে
- সাগর যেখানে সমাধিক্ষেত্র: ভূমধ্যসাগরে আবারও ডুবল স্বপ্নের নৌকা
- অতীতে কেউ হাত দেয়নি, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি
- অভিনেত্রী মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- গণভোটের আইনি ভিত্তি নেই: রিজভী
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হাসিনার রায় নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে: মির্জা ফখরুল
- ইসির সংলাপে নাটক: ঐক্যজোটের এক অংশকে বের করে দিল আরেক পক্ষ
- গাজা–ইরান ইস্যুতে রহস্যময় ফোনালাপ নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের
- শেখ হাসিনাদের রায় সরাসরি দেখতে পাবেন যেভাবে
- ২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
- তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
- ২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
- ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
- নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
- শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
- শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
- রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড








