গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত করল যুক্তরাজ্য

সত্য নিউজ:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলা বন্ধ না হওয়ায় যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে। একইসঙ্গে পশ্চিম তীরের চরমপন্থি বসতিস্থাপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে লন্ডন, যা কূটনৈতিকভাবে একটি শক্ত বার্তা বলে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় সময় ২০ মে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের গাজায় চলমান সামরিক অভিযান নিয়ে ‘ভীত ও ক্ষুব্ধ’ প্রতিক্রিয়ার পর এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে। প্রথমে বিষয়টি প্রকাশ করে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য সরকার জানায়, তারা বিদ্যমান চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে নতুন ও উন্নততর ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের আলোচনা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের “ভয়াবহ নীতিমালা” আন্তর্জাতিক উদ্বেগ তৈরি করেছে।
পাশাপাশি, পশ্চিম তীরে সহিংসতা উসকে দেওয়া এবং তাতে সরাসরি অংশগ্রহণের অভিযোগে তিন ব্যক্তি, দুটি অবৈধ বসতি ও দুটি সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই তালিকায় রয়েছেন কুখ্যাত বসতিস্থাপনকারী জোহার সাবাহ, যিনি ফিলিস্তিনিদের জমি দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবাহর ওপর যুক্তরাষ্ট্র আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন আরেক বসতিস্থাপন নেত্রী ড্যানিয়েলা ওয়েইস, যিনি পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির সক্রিয় সমর্থক ও ‘নাখালা মুভমেন্ট’-এর প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া ব্যবসায়ী হারেল লিবি ও তার প্রতিষ্ঠান লিবি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার, কোকো’স ফার্ম এবং নিরিয়া’স ফার্ম-কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন, ভ্রমণ ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে পশ্চিম তীরে বসতিস্থাপনকারীদের হাতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ১,৮০০-রও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা জাতিসংঘের তথ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, “আমি নিজ চোখে বসতিস্থাপনকারীদের সহিংসতা দেখেছি ভুক্তভোগীদের ভয় ও হামলাকারীদের দম্ভ। এই নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে আমরা উগ্রপন্থিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি সরকারকে অবশ্যই সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে, কারণ তাদের ব্যর্থতার ফলেই ফিলিস্তিনি জনগণ ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধান হুমকির মুখে পড়েছে।
তবে যুক্তরাজ্যের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ একতরফা, অযৌক্তিক এবং দুঃখজনক। তাদের ভাষায়, “এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই লাভজনক। যুক্তরাজ্য যদি রাজনৈতিক স্বার্থে নিজ অর্থনীতিকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়, তাহলে সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। বাইরের কোনো চাপ আমাদের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার লড়াই থেকে সরাতে পারবে না।”
গত সপ্তাহে ইসরায়েল গাজায় নতুন সামরিক অভিযান শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। রবিবার ইসরায়েলি বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের বিরুদ্ধে ৬৭০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে বহু যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং গাজার উত্তর ও দক্ষিণে নতুন করে সেনা মোতায়েন করেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- “ভারতের দালালরা ঘাপটি মেরে বসে আছে”: মুফতি রেজাউল করিম
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪০৫ কোটি টাকার লোকসান
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- নারীকে লাথি মারা আকাশ চৌধুরী জামায়াতের কর্মী ছিলেন, বহিষ্কার করল দল
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত