নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার: রাশেদ খান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৬:৪০:৪০
নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার: রাশেদ খান
ছবি : কালের কণ্ঠ

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন যে, সরকার এখনো দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি, যা জনগণের মনে সংশয় সৃষ্টি করেছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সাংঘর্ষিক নির্বাচন।

রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি

রাশেদ খান অভিযোগ করেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর যেভাবে কাজ করার দরকার ছিল, তারা সেভাবে কাজ করতে পারছে না এবং পুলিশের মধ্যে ভয় কাজ করছে। তিনি বলেন, "কোনো জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তারা।"

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বাধাহীনভাবে সভা-সমাবেশ করতে বা গণসংযোগ করতে পারে—এই দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পরেও তাঁর কাছে মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক সংস্কৃতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং দেশে হানাহানি, মারামারি ও বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে।

সেরা নির্বাচন ও সংলাপের আহ্বান

গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করুন।" তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। তবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সেই পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না।

তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, "সব দলকে ডেকে আলোচনা করে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো করার উদ্যোগ নিন। তবেই আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন।" তিনি অভিযোগ করেন, সরকার কেবল সেরা নির্বাচন করার জন্য মুখের বুলিই শোনাচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো হচ্ছে।

এ সময় জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল হাসান রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রিহান হোসেন রায়হান উপস্থিত ছিলেন।


এটা আমার শেষ নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট চেয়ে আবেগঘন আবেদন মির্জা ফখরুলের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৪:১৫:৪৬
এটা আমার শেষ নির্বাচন: ঠাকুরগাঁওয়ে ভোট চেয়ে আবেগঘন আবেদন মির্জা ফখরুলের
ঠাকুরগাঁওয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ছবি : কালবেলা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসন্ন নির্বাচনকে তাঁর জীবনের 'শেষ নির্বাচন' হিসেবে উল্লেখ করে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, 'এটা আমার শেষ নির্বাচন। পরে আর নির্বাচন করার শক্তি থাকবে না। আমার শেষ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবেন।'

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ গণভোট বা সনদ বোঝে না। এসব বোঝেন মূলত শিক্ষিত মানুষরা। তিনি অঙ্গীকার করেন, দলের সব সংস্কারে তাঁরা রাজি আছেন, যা রাজি হবেন না, তা সংসদে গিয়ে পাস করা হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে এখন যত সংকট দেখা যাচ্ছে, তার সবই তৈরি করা এবং এক-একটি নাটক। তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণ এসব বোঝে না; তারা শুধু ভোট দিতে চায়। তাঁর কথায়, 'আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। জনগণের কষ্ট বোঝে না।'

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।'

বিএনপি মহাসচিব জানান, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ন্যায্য দামে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে এবং জনগণের জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে।

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সদর সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


কুমিল্লার বদলে ধানমন্ডি থানার ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৪:০১:১৩
কুমিল্লার বদলে ধানমন্ডি থানার ভোটার হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ছবিঃ সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া রাজধানীর ধানমন্ডি থানার ভোটার হতে যাচ্ছেন। আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁর ঢাকা-১০ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় আসিফ মাহমুদ ধানমন্ডি থানা নির্বাচন অফিসে উপস্থিত থাকবেন বলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচন করার আগ্রহ ও কৌশল

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে হলেও তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে কুমিল্লা-৩ আসন থেকে তিনি নির্বাচন করবেন না।

ধারণা করা হচ্ছে, আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১০ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর হয়ে কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন। তবে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এনসিপি তাঁর প্রতি সমর্থন দেবে এবং ওই আসনে প্রার্থী দেবে না।

বর্তমানে ঢাকা-১০ আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জসীম উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দিয়েছে।

উপদেষ্টার পদত্যাগ ও নিরপেক্ষতার প্রশ্ন

আসিফ মাহমুদ কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

তিনি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে বলেন, "উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছেন, এমন যে কারও রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করার ইচ্ছা থাকলে, তাদের সবার পদত্যাগ করা উচিত। যেন কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। নির্বাচনে নিরপেক্ষতার স্বার্থে এমনটি করা উচিত।"

আসিফ মাহমুদ বলেন, "যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা বারবারই বলছেন যে, আমরা ইতিহাসের একটা শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে চাই, আর সেটা আমরাও চাই। যেহেতু আমরা এই সরকারের অংশ। এই ঐতিহাসিক দায় তো আমাদের ওপরে থাকবে, যদি নির্বাচনটা সুষ্ঠু না হয়।"

তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও পদত্যাগ করা উচিত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এই সরকারে তো আরও অনেকে আছেন, যাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক পরিচয় আছে। আমি মনে করি যে, সবারই তপশিলের আগে পদত্যাগ করা উচিত—একটি স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু, কোনো প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য।" তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ২০১৮ সাল থেকে রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় তফসিলের আগে সরকার থেকে সরে যাবেন।


বিরোধী আসনে জামায়াতকে ঠেলতে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা!

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১১:৪৩:২৭
বিরোধী আসনে জামায়াতকে ঠেলতে আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা!
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা জল্পনা। নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, দলটি এবার বিরোধী দলের আসনে বসতে আগ্রহী নয়, বরং সরকার গঠনের অংশীদার হওয়ার লক্ষ্যেই বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। যদিও বিএনপি এককভাবে নির্বাচনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে, তবুও ক্ষমতার অংশীদারিত্বে জামায়াতের আগ্রহ বাড়ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের পতনের পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। দলটি সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ না হলেও, স্বতন্ত্রভাবে অন্তত ৬০টি আসনে প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই আসনগুলোর বেশিরভাগই এমন এলাকায়, যেখানে আওয়ামী লীগের তথাকথিত ‘রিজার্ভ ভোটব্যাংক’ বা সংখ্যালঘু ভোটের অনুপাত তুলনামূলক বেশি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ টিম দেশ ও বিদেশ থেকে এই প্রার্থী বাছাই এবং প্রচারণা কৌশল নিয়ে কাজ করছে।

ওই নির্বাচনী টিমের সদস্যদের দাবি, আওয়ামী লীগের প্রভাবাধীন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্তত ১০ থেকে ১৫টি আসনে নিশ্চিত জয় পেতে পারে। আরও ৪০টি আসনে তারা অল্প ব্যবধানে বিজয়ের আশা করছে। সব মিলিয়ে দলটির সম্ভাব্য সাফল্যের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৬০ আসনের মধ্যে হতে পারে। ফলে আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরে থেকেও সংসদে প্রভাব বজায় রাখতে পারে— এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বলছে, সীমিত আসনে জয় পেলে তাদের সাংগঠনিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই তারা বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে সংসদে বৃহত্তর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায়। দলটির ভেতরে এখন মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী জাতীয় সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রিপরিষদেও জামায়াত স্থান পেতে চায়, যেন দলীয় জনবল ও মাঠপর্যায়ের কর্মীদের পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি হয়।

জামায়াতের এক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বিরোধী দলে বসলে সরকারের সমালোচনা করা তাদের বাধ্যতামূলক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াবে। সেই পরিস্থিতিতে যদি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দলে বসে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে সংসদে এক জটিল সমীকরণ তৈরি হবে। এতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনীতি ও জামায়াতের অবস্থান উভয়ই বিভ্রান্তিকর হয়ে উঠতে পারে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিকে ‘ট্র্যাজিক পলিটিক্স’ হিসেবে দেখছে জামায়াত, এবং তারা কোনোভাবেই এমন অবস্থায় যেতে চায় না।

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়েই বিএনপি সরকারের পতনের আন্দোলনে অংশ নেয় জামায়াত। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার ধারণাটি প্রথম জামায়াতই সামনে এনেছিল। এখন যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, ভবিষ্যতে তাদের আবার আওয়ামী লীগের বিপরীতে বিএনপির পাশে দাঁড়াতে হয়, তাহলে সেটি দলীয় রাজনীতির জন্য এক গভীর আত্মঘাতী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই প্রেক্ষাপটে জামায়াত নেতারা বেশ কৌশলী প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, জাতীয় পার্টি ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী ছিল এবং গণতন্ত্র ধ্বংসে সমান অংশীদার। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছদ্মবেশে যত স্বতন্ত্র প্রার্থীই দিক না কেন, জনগণ তাদের চিনে ফেলবে এবং প্রতিহত করবে।

অন্যদিকে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াত বিরোধী দলে যাবে না, বরং সরকার গঠনেই অংশ নেবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনগণের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না, কারণ জনগণ আজ অত্যন্ত সচেতন।

সূত্র:যুগান্তর


১৭ বছর কষ্ট করেছি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী চাই: রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:৫৫:৩৩
১৭ বছর কষ্ট করেছি, ৩০০ আসনেই প্রার্থী চাই: রুমিন ফারহানা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, তাঁরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কষ্ট করেছেন, তাই আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা ৩০০টি সংসদীয় আসনেই দলের প্রার্থী দেখতে চান। তিনি মনে করেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে, নিশ্চয়ই তিনি যোগ্য হবেন, তবে একই সঙ্গে তাঁর নেতাকর্মীরা তাঁকে যে অনুরোধ জানাবেন, সেই প্রাণের দাবি শুনতে তিনি বাধ্য।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের তারুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আশুগঞ্জ উপজেলা শাখার সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, "আমি জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও জনগণের সঙ্গে থাকবো।" তিনি বলেন, আজ তিনি যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন, তার পেছনে তাঁর জনগণের অক্লান্ত পরিশ্রম আছে, তাদের শ্রম রয়েছে এবং অর্থ ব্যয় রয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "আমার নেতাকর্মীরা আমাকে যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমার ভোটাররা যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমার সরাইল-আশুগঞ্জের জনগণ যে সিদ্ধান্ত দিবে, তার সঙ্গে আমি থাকবো।"

জোট ও মনোনয়ন স্থগিত থাকা আসন

নির্বাচনী জোট গঠন প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপি অনেক বড় একটি রাজনৈতিক দল এবং দীর্ঘ ১৭ বছর সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করেছে। বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য দলগুলোর জোট গঠনের আলোচনা চলছে। তিনি জানান, জোটের শরিকরা যে আসনগুলো চেয়েছে, সেগুলো আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অতি দ্রুতই এই স্থগিত আসনগুলোতে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

আশুগঞ্জ উপজেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক গাজী মুফতি দেলোয়ার হোসেন বেলালীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভায় সভাপতিত্ব করেন তারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন সাইমোল্লা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইসহাক মিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাছউদ।


মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:২৫:৩৭
মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ (খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী—উভয় দলই প্রার্থী দেওয়ায় ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল এবং তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপির পক্ষে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আর জামায়াতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।

খুলনা-২ আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে বিএনপি এই আসনটিতে মোট চারবার জয়লাভ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে দুবার। তবে এই নির্বাচনে দুই ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ভোটের ফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর শক্তি ও চ্যালেঞ্জ

নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই আসনের একজন পরীক্ষিত নেতা। সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলের কঠিন সময়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখার কারণে তার একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

অতীতের ফলাফল

মঞ্জু এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৯৫০ (৫০.০%), যা তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।

নেতৃত্বের মূল্যায়ন

দলের দুর্দিনে হাইকমান্ড তাকে এই আসন থেকে এককভাবে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, যা তাঁর নির্বাচনী গতিকে আরও বেগবান করতে পারে।

তবে এবার জামায়াতের প্রার্থী থাকায় ইসলামপন্থী ভোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মঞ্জুর জয় নিশ্চিত করার পথে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।

জামায়াত প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্রভাব

শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি এবং জামায়াতের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো।

স্থানীয় পরিচিতি

হেলাল খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি পরিচিতি ও ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ভোটের ব্যাংক

জামায়াতে ইসলামীর খুলনাসহ এই অঞ্চলে নিজস্ব একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদিও ১৯৯৬ সালের পর থেকে জামায়াত এই আসনে সরাসরি প্রার্থী দেয়নি, এবার হেলালের মতো একজন পরিচিত মুখকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের ভোটগুলো পুরোপুরি একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোটের সমীকরণ ও বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রধান প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটগুলো বিভক্ত হওয়ার প্রবল শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১. ভোট বিভাজন: মঞ্জু এবং হেলাল উভয়েরই লক্ষ্য থাকবে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটারদের আকৃষ্ট করা। দুই নেতার উপস্থিতিতে এই ভোট ভাগ হয়ে গেলে তা শেষ পর্যন্ত অন্য দলের প্রার্থীর জন্য সুবিধা এনে দিতে পারে।

২. জোটের অভাব: দুই দলই (বিএনপি ও জামায়াত) গত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে থাকলেও নির্বাচনে কোনো আনুষ্ঠানিক জোট না হওয়ায় তাদের এই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুলনার ভোটের হিসাবে নতুন পরিবর্তন আনবে। জামায়াত এই আসনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভোটাররা মনে করছেন, এই খুলনা শহরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীর অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বৈরথ খুলনা-২ আসনকে এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় আসনে পরিণত করেছে।


আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘোষণা 'পাগলের প্রলাপ':সালাহউদ্দিন আহমেদ 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:০৩:৪৯
আওয়ামী লীগের লকডাউন ঘোষণা 'পাগলের প্রলাপ':সালাহউদ্দিন আহমেদ 
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘি দিয়ে তৈলাক্ত বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়।

শনিবার 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজনে রাজধানীর কাকরাইলে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা ও গণতন্ত্রের মুক্তি

সালাহউদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, "আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পুনর্বাসন চায় না। তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কোনো কাজ করেনি। দেশে বিলুপ্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে মুক্তির সূচনা হয়েছিল ৭ নভেম্বর।" তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময় মিথ্যার রাজনীতি। তিনি জানান, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিএনপি এতদিন এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন ভারতে বসে আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের লকডাউন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাকে 'পাগলের প্রলাপ' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, "শক্তি থাকলে তাদের ভারতে পালাতে হতো না।"

গণভোট ও অন্তর্বর্তী সরকারের সীমারেখা

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ করে সহ-সভাপতি আমেরিকায় গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যাবে না, তবে জনগণের চাওয়া রক্ষায় বিএনপি গণভোটে সায় দিয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, "সরকারের সীমারেখা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পর্যন্ত।" তিনি জানান, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় বিএনপি প্রস্তুত, তবে কোনো রাজনৈতিক দলকে রেফারির দায়িত্ব দেওয়া যাবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, "আপনারা খেতে না পারলে, বারা ভাতে ছাই দিবেন, তা মেনে নেবে না জনগণ।"


ঐক্যের বার্তা মির্জা ফখরুলের: হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২০:৫৬:১১
ঐক্যের বার্তা মির্জা ফখরুলের: হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের কাছ থেকে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন। তিনি স্লোগান ধরেন, "হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই", এবং উপস্থিত সবাই একসঙ্গে সেই স্লোগানে কণ্ঠ মেলান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোট এই হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলনটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে বসানোর প্রতিশ্রুতি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলনে উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, মতুয়া বহুজন সমাজের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছে, তা তখনই বাস্তবায়ন হবে, যখন তারা তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসাতে পারবেন।

তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, "ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। সে ব্যাপারে কি আপনারা আজ কথা দিচ্ছেন? আপনাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি শুনতে চাই। কথা দিচ্ছেন তো, আপনারা আমার নেতাকে প্রধানমন্ত্রিত্বের পদে প্রতিষ্ঠিত করবেন?" এরপরই তিনি স্লোগান ধরেন, "তাহলে আসুন, আমরা একসঙ্গে স্লোগান দেই—'হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই' 'হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই'।"

অতীতের তিক্ততা ভুলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাঁর দল চায় অতীতের তিক্ততা ভুলে, পুরোনো বিভাজন পেছনে ফেলে একটি সত্যিকার অর্থে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তিনি উল্লেখ করেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

সম্মেলনে মতুয়া বহুজন সমাজের পক্ষ থেকে যেসব দাবি তোলা হয়েছে, তা মির্জা ফখরুল তারেক রহমানের কাছে পড়ে শোনান। দাবিগুলো হলো:

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন বাস্তবায়ন।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।

জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন।

সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।

দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন।

ট্রাস্টের পরিবর্তে হিন্দু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা।

মনোনয়ন ও জাতীয় সংসদসহ জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ।


কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২০:৪৯:৪৬
কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মন্তব্য করেছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) কনভেনশন হলে মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোট আয়োজিত ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’-এ বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।

গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা মূল কর্তব্য

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "অবশ্যই কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়।"

তিনি আরও বলেন, এই কারণেই বিএনপি সরকারের প্রতি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করার পরিবর্তে বরং ভিন্নমতের জায়গাগুলোতে 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে। বিএনপি মনে করে, ভিন্নমত প্রকাশের এটাই হলো উপযুক্ত পদ্ধতি বা 'ডিসেন্ট ওয়ে'।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির গুপ্ত বাহিনীকে রুখে দিতে বিএনপি মাঠে থাকবে।


গণভোট ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আমীর খসরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৫:২৫:৪৬
গণভোট ইস্যুতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আমীর খসরু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সংবিধানের কাঠামোর মধ্যেই গঠিত হয়েছে, এবং তারা সেই সংবিধানের অধীনেই শপথ নিয়েছেন। সুতরাং এখনই গণভোটের দাবি তোলা বা তা বাস্তবায়নের কোনো সাংবিধানিক সুযোগ নেই। তিনি মনে করেন, গণভোট সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি হতে পারে ভবিষ্যতের সংসদের দায়িত্ব নির্বাচনের পর সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তব্য দেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

আমীর খসরু বলেন, “বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই। তাই এই সরকারের গণভোট আয়োজনের ক্ষমতাও নেই। সংবিধানে গণভোট যুক্ত করতে হলে আগে সংসদে আলোচনা ও অনুমোদন দরকার। ভবিষ্যতে যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা চাইলে সংবিধানে গণভোটের ধারা সংযোজন করতে পারে, তারপর গণভোটের বিষয়টি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”

তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেন, “কথায় কথায় রাস্তায় নামা ঠিক নয়। কেউ যদি নিজের দাবি নিয়ে মাঠে নামে, আর তার বিপরীতে দেশের বড় কোনো রাজনৈতিক দল পাল্টা কর্মসূচি দেয়, তাহলে সংঘর্ষ বাধার আশঙ্কা থেকেই যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন সংঘাত না ডেকে আনে।”

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য আরও বলেন, “দীর্ঘ আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোকে সম্মান জানানো উচিত। আলোচনা শুধু কাগজে–কলমে নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও হতে হবে। আর যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেগুলোর সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, “দেশের কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে জনগণের ভাগ্য নির্ধারণ করতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়। সেই জায়গাটা রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝতে হবে।”

সংলাপে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদ নিয়ে আলোচনা ও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারলে ভালো, না পারলে সরকারের দায়িত্ব হবে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর হয়নি। সরকার যখন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়, তখনই বিভ্রান্তি ও বিরোধ তৈরি হয়।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংলাপের এই বক্তব্যগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে নতুন করে তুলে ধরেছে। একদিকে নির্বাচন ঘিরে দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে গণভোট ইস্যুতে তৈরি হচ্ছে নতুন বিতর্ক। আমীর খসরুর বক্তব্যের মাধ্যমে বিএনপি মূলত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা সংবিধান পরিপন্থী কোনো গণভোটে যাবে না, বরং নির্বাচনের মাধ্যমে গণআন্দোলনের ধারায় ফিরে আসতে চায়।

তিনি বলেন, “রাজনীতি সংঘাতের নয়, সমঝোতার পথেই এগোতে হবে। যারা জনগণের নামে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের মনে রাখতে হবে জনগণই সবশেষে তাদের বিচার করবে।”

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

বোহেমিয়ার অরণ্যমালায় একটি দুর্গ, হাউসকা ক্যাসেল, আর তার কয়েক মাইল দূরে এক সন্ন্যাসীর লেখা বিশাল এক পুঁথি, কোডেক্স গিগাস। শতাব্দীজুড়ে... বিস্তারিত

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি... বিস্তারিত