দ্রুত ওজন কমাতে চান? সকালে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১০:২৫:০০
দ্রুত ওজন কমাতে চান? সকালে পান করুন এই জাদুকরী পানীয়
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীরে অতিরিক্ত ওজনের কারণে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। তাই আজকাল সচেতন মানুষেরা বাড়তি ওজন নিয়ে সতর্ক। মেদ ঝরাতে কেউ ডায়েট করেন, কেউবা জিমে ঘাম ঝরান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমাতে চাইলে আপনার ‘ওয়েট লস’ ডায়েটে একটি পানীয় রাখলে দারুণ উপকার পেতে পারেন। আর সেটি হলো ডাবের পানি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা দুই সপ্তাহ প্রতিদিন ডাবের পানি পান করলে শরীরে নানা উপকার পাওয়া যায়।

ডাবের পানি কেন ‘গোপন অস্ত্র’?

ডাবের পানি শরীরের জন্য এক প্রাকৃতিক ‘ডিটক্স ড্রিঙ্ক’। এটি ক্যালরিতে খুব কম, কিন্তু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ইলেকট্রোলাইটস, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে:

১. পেটের ফোলাভাব কমায়: ডাবের পানি শরীরের বাড়তি পানি ও সোডিয়াম বের করে দেয়। ফলে শরীরে জমে থাকা পানি ও গ্যাস কমে, পেট ফেঁপে থাকা বা ব্লটিংয়ের সমস্যা দূর হয়।

২. হজম উন্নত করে: ডাবের পানিতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম ও খনিজ হজমশক্তি উন্নত করে।

৩. বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি: এটি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়, ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং চর্বি জমে না।

৪. টক্সিন দূর করে: ডাবের পানি শরীরের টক্সিন বা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যা ত্বক ও পেট দুটিই ভালো রাখে।

৫. হাইড্রেটেড শরীর: এটি শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং ক্লান্তি কমায়।

কখন ও কীভাবে পান করবেন?

সময়: সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস ডাবের পানি পান করা সবচেয়ে উপকারী। বিকেলে ব্যায়াম বা হাঁটার পরেও এটি পান করা যেতে পারে।

পরিমাণ: দিনে এক থেকে দুই গ্লাস ডাবের পানি যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যেতে পারে।

সতর্কতা: সব সময় টাটকা কাঁচা ডাবের পানি বেছে নিন। বোতলের বা চিনি মেশানো ডাবের পানিতে আসল উপকার পাওয়া যায় না। ডায়াবেটিস বা কিডনিতে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে ডাবের পানি খেলে পেটের ফোলাভাব কমে যায় এবং হজমশক্তি বাড়ে।

সূত্র : আজকাল


যে ৫টি খাবার খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৪ ১৪:৩৭:৩৯
যে ৫টি খাবার খাওয়ার পর পানি খাওয়া উচিত নয়
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে পানি অপরিহার্য। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব খাবারের সঙ্গে একসঙ্গে পানি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী নয়! বরং কিছু খাবারের সঙ্গে পানি খেলে হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা, অস্বস্তি কিংবা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তরমুজ, কলা, লেবু-কমলার মতো সাইট্রাস ফল, বাদাম ও দুধ—এই খাবারগুলোর সঙ্গে পানি একসঙ্গে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে।

কেন খাবারের সঙ্গে পানি সমস্যা করে?

লাইফ সায়েন্সেস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, খাবারের পরপরই পানি খেলে তা হজমের এনজাইমকে পাতলা করে দেয়, ফলে হজম ধীরগতিতে হয়। আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা মতে, খাবার শেষে অন্তত ৩০ মিনিট বিরতি দিয়ে পানি খাওয়া উচিত, যাতে হজমের আগুন বা ‘অগ্নি’ স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে।

যে ৫টি খাবার খাওয়ার পর পানি খাবেন না

১. তরমুজ: তরমুজ নিজেই প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। তরমুজ খাওয়ার পরই যদি পানি পান করেন, তাহলে পাকস্থলীর এনজাইমগুলো পাতলা হয়ে যায় এবং হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে পেট ফেঁপে যাওয়া, গ্যাস বা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

টিপস: তরমুজ খাওয়ার পর অন্তত ৪০-৫০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি পান করুন।

২. কলা: কলা শক্তি, ফাইবার ও পটাশিয়ামে ভরপুর। তবে কলা খাওয়ার পর পানি পান করলে পাকস্থলীর অ্যাসিড ও এনজাইমের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে হজম ধীর হয়, বুক ভারী লাগে এবং অনেক সময় বমি ভাবও দেখা দেয়।

টিপস: কলা খাওয়ার ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

৩. সাইট্রাস ফল: লেবু ও কমলার মতো টক ফল খাওয়ার পরই পানি পান করলে পাকস্থলীর পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়, অ্যাসিডিটি বেড়ে যায় এবং পেট ফেঁপে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

টিপস: সাইট্রাস ফল খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

৪. বাদাম: চিনাবাদাম প্রোটিন ও ফ্যাটে ভরপুর। এটি খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে হজমের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে পড়ে, ফলে ভারী ভাব বা বদহজম দেখা দেয়।

টিপস: বাদাম খাওয়ার ২০-৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

৫. দুধ: গরম দুধ খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে হজমের অ্যাসিড ও এনজাইম পাতলা হয়ে যায়। এতে দুধের প্রোটিন ভাঙতে সময় লাগে, ফলে বুকজ্বালা বা অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে।

টিপস: দুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর পানি পান করুন।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া


চুল পড়া বেড়েছে? অ্যালোপেশিয়ার লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার ও করণীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৩ ২১:৫১:৫৪
চুল পড়া বেড়েছে? অ্যালোপেশিয়ার লক্ষণ, ঘরোয়া প্রতিকার ও করণীয়
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রতিদিন ৫০-১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু চুল যখন এই স্বাভাবিক মাত্রা ছাড়িয়ে যায় এবং মাথার বিভিন্ন অংশে টাক পড়ে, তখন তা হতে পারে অ্যালোপেশিয়ার কারণ। অ্যালোপেশিয়া হলো এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে চুল পড়ে গেলে সে অনুপাতে নতুন চুল গজায় না। এটি কেবল মাথার চুল নয়, দাড়ি, ভ্রু বা বুকের লোমও ঝরে যেতে পারে।

শিওরসেল মেডিকেলের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন জানান, অ্যালোপেশিয়া হলে কখনো একটি নির্দিষ্ট জায়গার চুল পড়ে, আবার কখনো পুরো মাথা থেকে সব চুল পড়ে যায়। এই রোগ যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষের হতে পারে।

অ্যালোপেশিয়া কেন হয়?

অ্যালোপেশিয়া হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে:

১. বংশগত কারণ: কারো পূর্বপুরুষদের কারো অ্যালোপেশিয়ার ইতিহাস থাকলে তাদের অ্যালোপেশিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

২. হরমোনের তারতম্য: নারীদের মেনোপজের সময় হরমোনের ব্যাপক তারতম্য হলে বা জন্ম নিরোধক ওষুধ খেলে এ রোগ হতে পারে। জরায়ুর বিভিন্ন রোগে অপারেশন করে জরায়ু ফেলে দিলেও অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।

৩. রোগ ও চিকিৎসা: থাইরয়েড, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS), লুপাস, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বা সোরিয়াসিস-এর কারণেও অ্যালোপেশিয়া হয়। কেমোথেরাপির প্রভাবেও চুল ঝরে যেতে পারে।

৪. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত ঘুম এবং ক্র্যাশ ডায়েট করলে অপুষ্টিজনিত কারণে চুল ঝরে যেতে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে: পুরুষদের অ্যালোপেশিয়া হলে হেয়ার লাইন পিছিয়ে যেতে থাকে এবং মাথায় টাক পড়তে থাকে।

নারীদের ক্ষেত্রে: নারীদের অ্যালোপেশিয়া হলে সিঁথি চওড়া হতে থাকে এবং চুলের মধ্য দিয়ে মাথার ত্বক দেখা যেতে পারে।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?

অ্যালোপেশিয়া হলেই যে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে তা নয়। তবে নিচের লক্ষণগুলো দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

যদি চিরুনি ভর্তি করে অস্বাভাবিকভাবে চুল পড়ে, বাসার বিভিন্ন জায়গায় বা বিছানা-বালিশেও অস্বাভাবিক চুল পড়ে থাকে।

মাথায় এক বা একাধিক জায়গায় এক সেন্টিমিটার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার এলাকার চুল একসাথে খালি হয়ে গেলে।

মাথার সামনের অংশ দ্রুত খালি হতে থাকলে।

ঘরোয়া প্রতিকার

অ্যালোপেশিয়া হলে ঘরোয়া প্রতিকার খুব কাজে না দিলেও, স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে যত্ন নেওয়া যেতে পারে:

তেল মালিশ: সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তেল মালিশ করতে পারেন।

রস ব্যবহার: স্ক্যাল্পে ঘৃতকুমারী রস কিংবা পেঁয়াজের রস ঘষে ঘষে লাগাতে পারেন। নতুন চুল গজানোর জন্য ক্যাস্টর অয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

খাদ্য: প্রোটিন ও বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার (ডিম, বাদাম, বীজ) খান।

ঘুম: দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।


ডোপামিন আসক্তি: নিষিদ্ধ ভিডিওর ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম, অজান্তেই হচ্ছে সাইবার অপরাধ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১০:৩০:৫৮
ডোপামিন আসক্তি: নিষিদ্ধ ভিডিওর ফাঁদে তরুণ প্রজন্ম, অজান্তেই হচ্ছে সাইবার অপরাধ
ছবিঃ সংগৃহীত

স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, হাতের মুঠোয় থাকা এক বিশাল পৃথিবী। আঙুলের স্পর্শেই চোখের সামনে খুলে যায় অসংখ্য ভিডিও, ছবি ও গল্পের ভান্ডার। কিন্তু এই ডিজিটাল জগতে যতটা আলো আছে, অন্ধকারও কম নয়। একটি ক্লিকেই অনেক তরুণ জড়িয়ে পড়ছে এমন কনটেন্টের ফাঁদে, যেগুলো শুধু মানসিকভাবে নয়, আইনগতভাবেও বিপদের কারণ হতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজলভ্যতা তরুণদের তথ্য ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত খুলে দিলেও, সেই একই সহজলভ্যতাই তৈরি করেছে নিষিদ্ধ ভিডিও সংস্কৃতি বা পর্নোগ্রাফি।

আসক্তি ও অপরাধ

ডোপামিন আসক্তি: দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসক্তি বিশেষজ্ঞ ডা. আনা লেম্বকি বলেছেন, আমাদের স্মার্টফোন আমাদের ডোপামিন নেশায় আসক্ত করে তুলছে। প্রতিটি ‘সোয়াইপ’ বা ‘লাইক’ মস্তিষ্কে আনন্দ সঞ্চারক রাসায়নিক ডোপামিন নিঃসরণ করে। নিষিদ্ধ কনটেন্টের প্রলোভনও এই কারণেই আকর্ষণীয় লাগে।

অপরাধী বনে যাওয়া: একসময় এসব ভিডিও দেখার পাশাপাশি কেউ কেউ সেগুলো শেয়ার, সংরক্ষণ এমনকি নিজেরা কনটেন্ট তৈরি করতেও শুরু করেন। বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী এ ধরনের কনটেন্ট তৈরি, প্রচার বা সংরক্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে এই অপরাধে জড়িত তরুণদের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে।

মনস্তাত্ত্বিক ও প্রযুক্তিগত ঝুঁকি

মানসিক ক্ষতি: মনোবিজ্ঞানী এম. প্রিভারা বলেছেন, নিয়মিত প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট দেখার ফলে মস্তিষ্কের ডোপামিন প্রভাবিত হয়। এর ফলে স্বাভাবিক আনন্দ পাওয়ার ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায় এবং ব্যক্তির মনোযোগ নষ্ট হয়। অনেকে হতাশা, আত্মগোপন কিংবা সামাজিক বিচ্ছিন্নতায় ভোগে।

ডিপফেক ভিডিও: বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি ডিপফেক ভিডিও তরুণদের জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানুষের মুখ বসিয়ে ভুয়া ভিডিও তৈরি করা হয়, ফলে নির্দোষ মানুষও হয়রানির শিকার হন।

সমাধানের পথ

তবে সব দায় শুধু প্রযুক্তির নয়। সমাজে সচেতনতার অভাব, পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হওয়া এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ না থাকা—এসব কারণেও তরুণরা সহজেই এই ফাঁদে পড়ে।

সমাধান হতে পারে শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে। স্কুল-কলেজে সাইবার সচেতনতা বিষয়ক ক্লাস সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও পিতা-মাতার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা এবং অনলাইন নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে। নিজেকে বারবার মনে করানো জরুরি যে, ডিজিটাল জগতে প্রতিটি ক্লিকের পেছনে থাকে আমাদের দায়বদ্ধতা।


রাশিফল: ২৩ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৩ ১০:১৯:০৭
রাশিফল: ২৩ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আজ আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর পুনর্মূল্যায়নের সময়। জীবনে চলতে থাকা অশান্তির মধ্যে নিজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করুন। জটিল পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাবেন না, ধৈর্য বজায় রাখুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): সৃজনশীল কাজকর্মে বিশেষ স্বীকৃতি ও সম্মানপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধি পাবে। প্রেমিকের আবেগকে মূল্য দিন এবং সঙ্গীকে আঘাত করবেন না।

মিথুন (২১ মে–২০ জুন): আপনার পরিকল্পনা সম্পর্কে পরিবারের বিশ্বাস অর্জনের জন্য এই সময়টি ভালো। আপনার জ্ঞান এবং উত্তম রসবোধ আপনার চারপাশের মানুষের মনে রেখাপাত করতে পারে। কাজে গতি বৃদ্ধি পাবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): নতুন যোগাযোগের পরিবেশ অনুকূলে থাকবে। সঠিক প্রচেষ্টায় কাজের অগ্রগতি হবে। পুরনো সমস্যা সমাধানের পথ পাবেন। নতুন ধারণাগুলো ফলদায়ক হবে।

সিংহ (২১ জুলাই–২১ আগস্ট): শুভকর্ম দিয়ে দিনটি শুরু হবে। অর্থাগমের সুযোগ আসতে পারে। কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ হবে। বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিলে সুফল পাবেন। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মনোযোগ দিন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): নিজেকে পরিচর্যা করার এবং যা আপনি পছন্দ করেন, তা করার পক্ষে দুর্দান্ত দিন। ভালো ব্যবহার দিয়ে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগ বাড়বে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর–২২ অক্টোবর): কোনো প্রচেষ্টায় বিলম্ব হবে। ভবিষ্যৎ ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। একঘেয়েমি ও কাজে স্থবিরতা আসতে পারে। আপনার বাজেটের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনুন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর–২১ নভেম্বর): আশার আলো দেখতে পাবেন। পূর্বের কোনো সমস্যার সমাধান হবে। আপনার মনোভাব আপনাকে সুখী থাকতে সাহায্য করবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

ধনু (২২ নভেম্বর–২০ ডিসেম্বর): প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। অতীত উদ্যোগগুলো থেকে আসা সাফল্য আপনার প্রত্যয় বাড়িয়ে তুলবে। শরীর ভালো রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর–১৯ জানুয়ারি): গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য পাবেন। বিদেশসংক্রান্ত কোনো বিষয়ের অগ্রগতি হতে পারে। প্রবাসীদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করুন, পরিবেশ আপনার পক্ষে থাকবে।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি–১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো কিছু নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন। বুদ্ধির ভুলের জন্য মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। ঋণমুক্তির সুযোগ আসতে পারে। ডায়েট নিয়ন্ত্রণের জন্য বিকল্পগুলো সন্ধান করুন। সুস্থ থাকুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি–২০ মার্চ): আগের তুলনায় মানসিক চাপ কমবে। যৌথ কিছু করার সুযোগ আসতে পারে। দাম্পত্য ক্ষেত্রে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হবে। নিজের মধ্যে উৎসাহ আনুন।


নিঃশ্বাস নিন সতেজ বাতাসে: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করবে এই তিন ইনডোর গাছ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৩ ০৯:৪০:০৯
নিঃশ্বাস নিন সতেজ বাতাসে: ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করবে এই তিন ইনডোর গাছ
ছবিঃ সংগৃহীত

শুধু ঘরের সৌন্দর্য নয়, ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের ভেতরের গাছপালা ঘরের বাতাসও রাখে পরিষ্কার ও সতেজ। দূষিত বাতাস শোষণ করে ঘরে আনে প্রাণচাঞ্চল্য ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বাইরে গাছ লাগানোর সুযোগ না থাকলেও চিন্তার কিছু নেই—ঘরের ভেতরেই সহজে রাখা যায় এমন তিনটি জনপ্রিয় গাছ রয়েছে, যা পরিবেশ পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি মনকেও রাখে প্রশান্ত।

যে ৩টি ইনডোর প্ল্যান্ট ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে

১. স্পাইডার প্ল্যান্ট (Spider Plant): মাকড়সার পায়ের মতো লম্বা পাতার এই গাছ দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি বাতাস পরিশোধনকারী হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। এটি বাতাস থেকে বেনজিন, ফর্মালডিহাইড ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে ঘরকে বিশুদ্ধ রাখে। এছাড়া এটি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।

২. ইংলিশ আইভি (English Ivy): ঘরের ভেতরেও এই গাছ সহজেই বড় করা যায়। সরাসরি রোদ এড়িয়ে হালকা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে এটি দ্রুত বেড়ে ওঠে। বাতাসে থাকা ফরমালডিহাইডসহ বিভিন্ন গ্যাসীয় দূষক শোষণ করে ঘরকে নির্মল রাখে। এটি ঘরের সাজসজ্জার জন্যও দারুণ জনপ্রিয়।

৩. পিস লিলি (Peace Lily): গাঢ় সবুজ পাতার মাঝে ফুটে থাকা সাদা ফুল ঘরের শোভা যেমন বাড়ায়, তেমনি বাতাস পরিশোধনেও এটি কার্যকর। হালকা সূর্যালোক পেলেই এটি ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে ঘরে আনে বিশুদ্ধতা ও সতেজতা। কিছু কিছু পিস লিলি গাছে গোলাপি বা হলুদ ফুলও ফোটে।

ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এটি ঘরের স্বাস্থ্যেরও সহায়ক। তাই নিজের বাসায় রাখুন এমন কিছু সবুজ সঙ্গী—যারা আপনাকে দেবে নির্মল বাতাস ও শান্ত মন।


ত্বকের যত্নে ‘বেসিক’ রুটিন: কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই ত্বককে রাখবেন সতেজ ও উজ্জ্বল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৮:৫৪:২০
ত্বকের যত্নে ‘বেসিক’ রুটিন: কীভাবে ঘরোয়া উপায়েই ত্বককে রাখবেন সতেজ ও উজ্জ্বল
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা প্রায়ই নিজের ত্বকের যত্ন নিতে ভুলে যাই। অথচ, ত্বকই আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় ও দৃশ্যমান অঙ্গ, যার প্রতিচ্ছবিতেই ধরা পড়ে আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার ছাপ। দূষণ, রোদ, স্ট্রেস এবং ভুল পণ্যের ব্যবহারে ত্বক রুক্ষ বা ব্রণসম্ভাবনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই গাইডে আমরা তুলে ধরছি ত্বকের প্রাথমিক যত্নের সহজ ধাপগুলো, ত্বকের ধরন অনুযায়ী করণীয়, এবং সপ্তাহিক বা দৈনন্দিন স্কিন কেয়ার রুটিন – সবকিছুই একদম শুরু থেকে, যাতে আপনি নিজেই গড়ে তুলতে পারেন একটি কার্যকর ও টেকসই স্কিন কেয়ার অভ্যাস।

ত্বকের প্রাথমিক যত্ন: ৩টি মূল উপাদান

ত্বক সুস্থ রাখার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি মূল উপাদান অপরিহার্য: নরম ক্লেনজার যা ত্বক পরিষ্কার রাখে, ময়েশ্চারাইজার যা ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং সানস্ক্রিন (SPF 30+) যা সূর্যের ক্ষতি থেকে বাঁচায়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, অতিরিক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে র‍্যাশ, রোজেশিয়া ও একজিমার মতো সমস্যা বাড়ে।

সঠিক রুটিন ও সাপ্তাহিক যত্নের কৌশল

ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে পণ্যগুলো সবসময় হালকা থেকে ভারী—এই ক্রমানুসারে ব্যবহার করা উচিত। প্রথমে ক্লেনজার, এরপর টোনার (ইচ্ছামতো), সিরাম (যেমন ভিটামিন সি), ময়েশ্চারাইজার, এবং সবশেষে দিনের বেলায় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সাপ্তাহিক যত্নের অংশ হিসেবে সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার এক্সফোলিয়েশন করা ভালো। শুষ্ক ত্বকের জন্য হাইড্রেটিং মাস্ক বা ফেস অয়েল ব্যবহার করা উচিত। ব্যবহারের সময় ঘাড় ও বুকেও প্রোডাক্ট লাগানো জরুরি।

ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন

তৈলাক্ত ত্বক: এই ত্বকের জন্য হালকা জেল টাইপ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা ভালো এবং নিয়াসিনামাইডযুক্ত পণ্য কার্যকর।

শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকে ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগান। গরম পানি এড়িয়ে চলুন এবং রাতে ফেস অয়েল ব্যবহার করুন।

কম্বিনেশন ত্বক: এই ধরনের ত্বকে আলাদা আলাদা অংশে ভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন এবং অ্যালকোহলমুক্ত প্রোডাক্ট বেছে নিন।

সাধারণ ত্বক: সাধারণ ত্বকে বেশি পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো। হালকা ক্রিম বা লোশন বেছে নিন এবং সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

দৈনন্দিন টিপস ও ঘরোয়া রেসিপি

সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি খান এবং চিৎ হয়ে ঘুমান, যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। বালিশের কভার পরিষ্কার রাখুন এবং মুখে গরম নয়, ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। ঘরোয়া রেসিপির মধ্যে ঠোঁটের জন্য চিনি ও মধুর স্ক্রাব, শরীরের জন্য কফি ও নারিকেল তেলের স্ক্রাব, টোনার হিসেবে গোলাপজল ও অ্যালোভেরা এবং ফেস মাস্ক হিসেবে বেসন ও দই খুবই কার্যকর।


লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৭:৩১:০৬
লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
লিংকডইন/রয়টার্স

পেশাজীবীদের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে এখন সহজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরির সন্ধান মেলে। তবে লিংকডইন প্রোফাইল আকর্ষণীয় না হলে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা পায় না। আবার সঠিক কৌশল না জানলে চাকরির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সময়মতো জানা সম্ভব হয় না।

পছন্দের চাকরির সন্ধান পেতে আপনার লিংকডইন প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

চাকরির সন্ধানে লিংকডইনের ৫ কৌশল

১. প্রোফাইল হেডলাইন: প্রোফাইল হেডলাইন হলো প্রোফাইলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রোফাইলের নামের নিচে দেখা যায়। নিজের পেশা ও দক্ষতাকে প্রকাশ করতে সক্ষম হেডলাইন লিখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ‘ডেটা অ্যানালিস্ট (ট্র্যান্সফরমিং প্যাটার্নস ইনটু ইনসাইট অ্যান্ড ভ্যালু)’—এরকম হেডলাইন আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে।

২. প্রোফাইল সামারি: প্রোফাইলের ‘অ্যাবাউট’ সেকশনে দেওয়া সামারি বা সারসংক্ষেপ ব্যবহারকারীর পেশাগত দক্ষতা, অর্জন এবং অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরে। এটি আকর্ষণীয় করে এবং সংক্ষেপে লিখতে হবে। সামারিতে নিজের মূল দক্ষতা, উল্লেখযোগ্য কাজ ও অর্জন, এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের উল্লেখ করলে প্রোফাইলটি আরও বিশ্বাসযোগ্য ও আকর্ষণীয় হবে।

৩. নিয়মিত পোস্ট করা: লিংকডইনে নিজের পেশাগত কার্যক্রম, অর্জন, এবং দক্ষতা সম্পর্কে নিয়মিত পোস্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পোস্ট করার মাধ্যমে নিজের পেশাগত অগ্রগতি ও সাফল্য অন্যদের সামনে তুলে ধরুন। আপনার পেশার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে পোস্ট করলে তা আপনার প্রোফাইলের গুরুত্ব বাড়াবে এবং চাকরির প্রস্তাবও আসতে পারে।

৪. নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি: লিংকডইন নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। তবে কৌশলী হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংযোগই স্থাপন করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার সময় অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। যাঁদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান, তাঁদের তালিকা তৈরি করুন এবং পরিকল্পিতভাবে যোগাযোগ করুন।

৫. কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান অনুসরণ ও গ্রুপে সক্রিয় থাকা: যেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল অনুসরণ করুন। এতে তাদের পোস্ট করা চাকরির বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আপনি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবীদের গ্রুপে যুক্ত হয়ে সক্রিয় থাকা জরুরি। এসব গ্রুপ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং চাকরির সুযোগ সম্পর্কে জানা যায়।

সূত্র: টেকলুসিভ


ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৬:২০:৫৫
ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক এমন এক মজার খাবার, যা চায়ের সঙ্গে হোক বা জন্মদিনের কেক হিসেবেই—সবসময়ই দারুণ জনপ্রিয়। এই রেসিপিতে খুব সহজভাবে জানানো হলো, কীভাবে আপনি বাসায় বসেই একটি নরম ও মোলায়েম স্পঞ্জ কেক তৈরি করতে পারেন। সন্ধ্যার চায়ের সঙ্গে বা অতিথি আপ্যায়নে এই কেক আপনাকে প্রশংসিত করবেই।

উপকরণ

ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ: ময়দা – ১ কাপ, ডিম – ৩টি, চিনি (গুঁড়ো করা) – ১ কাপ, তেল বা বাটার – ১/২ কাপ, দুধ – ১/২ কাপ, বেকিং পাউডার – ১ চা চামচ, এবং ভ্যানিলা এসেন্স – ১ চা চামচ।

প্রস্তুত প্রণালি

ধাপ ১: ডিম ও চিনির মিশ্রণ প্রথমে একটি বড় বাটিতে ডিমগুলো ভেঙে নিন এবং গুঁড়ো চিনি দিয়ে ভালোভাবে বিট করুন। মিশ্রণটি ফেনার মতো ঘন হয়ে এলে বুঝবেন ভালোভাবে বিট হয়েছে।

ধাপ ২: তেল ও এসেন্স মেশানো এবার তেল (বা গলানো বাটার) এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিন। ভালোভাবে নেড়ে নিন।

ধাপ ৩: শুকনো উপকরণ প্রস্তুত একটি আলাদা বাটিতে ময়দা ও বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিন (ছাঁকা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এতে কেক ফ্লাফি হবে)।

ধাপ ৪: ব্যাটার তৈরি এখন ধীরে ধীরে শুকনো উপকরণ (ময়দা + বেকিং পাউডার) মিশ্রণে দিন। পাশাপাশি দুধও অল্প অল্প করে দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটার যেন খুব পাতলা বা খুব ঘন না হয়।

ধাপ ৫: বেকিংয়ের জন্য প্রস্তুত একটি কেক টিনে হালকা করে তেল ব্রাশ করে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে নিন। এরপর ব্যাটারটি ঢেলে দিন।

ধাপ ৬: বেক করা কেক টিনটি প্রি-হিটেড ওভেনে (১৮০°C তাপমাত্রায়) ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করুন। কেক সেঁকা হয়েছে কি না বোঝার জন্য একটি টুথপিক ঢুকিয়ে দেখুন—পরিষ্কার বেরিয়ে এলে কেক তৈরি।

কেকটি ঠান্ডা হলে টিন থেকে বের করে পছন্দমতো টুকরো করুন। চাইলে ওপর থেকে একটু চিনি ছিটিয়ে বা হালকা আইসিং করে পরিবেশন করতে পারেন।


গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৪:৪৫:৫১
গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
ছবিঃ সংগৃহীত

মৌসুমি পরিবর্তনের এই সময়টায় গলাব্যথা বা ‘সোর থ্রোট’-এর সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঢোক গিলতে গেলে গলায় কাঁটার মতো অস্বস্তি অনুভব হয়। সাধারণত গার্গল নিলে কিছুটা উপশম দিলেও তা সব সময় কাজ করে না। এই সময় কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে সহজেই এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

গলা ব্যথা কমানোর ৪টি ঘরোয়া টোটকা

১. মধু: মধু দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ, যা গলার ব্যথার কারণ হওয়া ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ব্যবহার: এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানি বা ভেষজ চায়ের সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একাধিকবার খেলে আরাম পাওয়া যায়।

২. দারচিনি: সুগন্ধযুক্ত এই মশলাটির রয়েছে দুর্দান্ত ভেষজ গুণ। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং ঠাণ্ডা লাগা ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

ব্যবহার: প্রতিদিনের চায়ে এক চিমটে দারচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

৩. রসুন: প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুনের ব্যবহার অনেক পুরনো। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদানটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

ব্যবহার: গলাব্যথা, সর্দি বা ফ্লু-জনিত উপসর্গ দেখা দিলেই প্রতিদিন একটি কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে, অথবা গরম স্যুপে ফোটানো অবস্থায় খাওয়া ভালো।

৪. হলুদ-দুধ: হলুদে রয়েছে শক্তিশালী জীবাণুনাশক উপাদান (কারকিউমিন), যা গলার টিস্যুর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহার: এক কাপ দুধে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে খেলে সংক্রমণজনিত গলাব্যথায় উপকার মেলে। এই উপায়টি পুরনো হলেও এখনও সমান কার্যকর।

গলার সমস্যাকে অবহেলা না করে, প্রাথমিক ধাপেই এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি মেনে চললে ওষুধ না খেয়েও স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। তবে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সূত্র : এই সময়

পাঠকের মতামত: