ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৭:০৬:৫৭
ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
ছবিঃ সংগৃহীত

বাসায় বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় অনেকেই ধীরগতির সমস্যায় ভোগেন—ভিডিওতে বারবার বাফারিং, অনলাইন গেমে ল্যাগ বা ঘরের কোনাকাঞ্চি এলাকায় নেটওয়ার্ক না পাওয়া। সাধারণত এ সমস্যার জন্য ইন্টারনেট কোম্পানিকে দায়ী করা হলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—ঘরের কিছু জিনিসও ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল করতে পারে।

ওয়াই-ফাইয়ের শত্রু ঘরের ৮টি জিনিস

১. আয়না: আয়না হলো ওয়াই-ফাই সিগনালের অন্যতম শত্রু। আয়না রাউটারের সিগনালকে প্রতিফলিত করে দুর্বল করে দেয়।

২. ধাতব আসবাব: আলমারি, টেবিল বা লোহার মতো যেকোনো ধাতব আসবাব সিগনাল আটকে দেয় এবং ঘরের অন্য অংশে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে।

৩. মাইক্রোওয়েভ ওভেন: মাইক্রোওয়েভ ওভেন ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে একই ফ্রিকোয়েন্সিতে (২.৪ গিগাহার্জ) কাজ করে, ফলে সিগনাল চলাচলে সরাসরি বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

৪. ব্লুটুথ ডিভাইস: ব্লুটুথ ডিভাইসও ওয়াই-ফাইয়ের মতো একই ফ্রিকোয়েন্সিতে থাকায় সিগনালকে বাধা দেয়।

৫. অ্যাকুয়ারিয়াম: অ্যাকুয়ারিয়ামের মধ্যে থাকা পানির কারণে আশপাশে ‘ডেড জোন’ তৈরি হয় এবং ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল হয়ে পড়ে।

৬. ভারী আসবাব: বড় সোফা বা খাটের মতো ভারী আসবাবপত্র সিগনালকে ঘরজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।

৭. মোটা দেয়াল: ঘরের মোটা দেয়ালের আড়ালে ওয়াই-ফাই সিগনাল দুর্বল হয়ে যায়, বিশেষ করে যদি দেয়ালগুলো ইট বা কংক্রিটের হয়।

৮. অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি: টেলিভিশন, ফ্রিজ বা কর্ডলেস ফোনের মতো অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিও ওয়াই-ফাই সিগনাল চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়াতে রাউটার সবসময় ঘরের মাঝখানে, খোলা জায়গায় এবং সম্ভব হলে উঁচুতে রাখা উচিত। রাউটারের আশপাশে আয়না, ধাতব আসবাব বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখলে মাত্র কয়েক মিনিটেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি চোখে পড়ার মতো বেড়ে যাবে।

Holiday Village

মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ১৭:১৯:০৪
মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
ছবিঃ সংগৃহীত

শত শত বছর পর দুটি ধূমকেতু—লিমন (Lyman) এবং সোয়ান (Swan)—একই সঙ্গে পৃথিবীর কাছে এসেছে। আজ, মঙ্গলবার, তারা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে আসতে চলেছে। এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক বিরল ঘটনা, কারণ এর আগে তারা কখনও একসঙ্গে পৃথিবীর এত কাছে আসেনি।

অভূতপূর্ব নৈকট্য ও অবস্থান

ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্সের অধিকর্তা সন্দীপকুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার, এই জোড়া ধূমকেতু পৃথিবী থেকে মাত্র ৭৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে দেখা যাবে। যেখানে সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার।

সোয়ান (৬৫০ বছর পর): সোয়ান ধূমকেতু ৬৫০ বছর পর পৃথিবীর কাছে এসেছে। এটি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ কোটি কিলোমিটার দূরে ছিল এবং দিগন্ত রেখার ৪০ ডিগ্রি উপরে থাকায় দূরবীনে চোখ রাখলেই তাকে দেখা যাচ্ছে।

লিমন (১,৩৫০ বছর পর): লিমন ধূমকেতুটি ১,৩৫০ বছর পর পৃথিবীর কাছে এসেছিল। এটি গতকাল সন্ধ্যায় পৃথিবীর থেকে ৮.৯ কোটি কিলোমিটার দূরে ছিল এবং দিগন্তের ৯ ডিগ্রি উপরে থাকায় খালি চোখেই দেখা যাওয়ার কথা।

ধূমকেতুর উৎস

এই দুটি ধূমকেতুই আমাদের সৌরজগতের বাসিন্দা। তারা উর্ট ক্লাউডের (Oort Cloud) বাসিন্দা। কোটি কোটি বছর আগে যখন সৌরজগৎ তৈরি হয়েছিল, তখন ছিটকে বেরিয়ে এসে তৈরি হয়েছিল এই ধূমকেতুগুলো। ধূমকেতু মূলত বরফ এবং গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় উত্তাপ পেলে তাতে লেজ তৈরি হয়।


কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৯:২৬:১৮
কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
মঙ্গল গ্রহ। এআই জেনারেটেড ছবি।

মঙ্গলের লাল পাহাড় এবং দূর দিগন্তে নীলাভ আকাশ—এই অপূর্ব দৃশ্যপটের বুকে দাঁড়িয়ে আছে অত্যাধুনিক নকশায় তৈরি কিছু ক্যাপসুল এবং বেজ ক্যাম্প। তারও একটু দূরে রয়েছে স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার। মরুর বুকে এমন স্থাপত্য দেখে যে কারোরই চোখ কপালে উঠবে।

চীন পৃথিবীর বুক চিড়ে মঙ্গল গ্রহের সেই দূরত্বকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে নামিয়ে এনেছে। মঙ্গলগ্রহ দেখার জন্য পাড়ি দিতে হবে না কোটি কোটি কিলোমিটার, বরং পৃথিবীর বুকেই মঙ্গলগ্রহে চষে বেড়ানোর স্বাদ পাওয়া যাবে। চীনের উত্তর-পশ্চিমের গানসু প্রদেশের জিউচ্যাংয়ে রয়েছে মঙ্গলের মতো দেখতে এই ভূমিরূপ।

বেজ ক্যাম্প ও অভিজ্ঞতা

স্পেস সায়েন্স ও টেকনোলজির সাহায্যে মঙ্গলগ্রহ থিমের এই বেজ গড়ে তোলা হয়েছে। গানসুতে এই আউটার স্পেস ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

স্থাপত্য: গোবি মরুভূমির ৬৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই ‘মার্স বেজ ওয়ান’ গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে ফিউচারিস্টিক বেজ ক্যাম্প, স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার এবং অত্যাধুনিক নকশার ক্যাপসুল।

দর্শনার্থীর অভিজ্ঞতা: দর্শনার্থীরা এসব ক্যাম্পে এসে মহাকাশচারীদের যন্ত্রপাতি খুটিয়ে দেখা কিংবা স্পেস স্যুট পরে মহাশূন্যের হাঁটার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এক দর্শনার্থী জানান, মহাকাশচারীরা কতটা সমস্যায় পড়েন, তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছেন।

প্রযুক্তি: এখানে মার্স প্রোব ও রোভারের রেপ্লিকা, নক্ষত্র দেখার তাঁবু ও থ্রিডি প্রিন্টেড মার্শিয়ান বাসস্থান রয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিমুলেটেড রকেট লঞ্চার, ম্যানুয়েল স্পেসক্রাফট ডকিং এবং মঙ্গলগ্রহের মতো আবহাওয়ায় হাইড্রোপনিক প্লান্ট বেড়ে ওঠা দেখার সুযোগ।

অনেক অভিভাবক মনে করেন, এমন পরিবেশে আসার পর শিশুদের অ্যারোস্পেসের জ্ঞান অর্জন করা সহজ।


প্রযুক্তির ট্রেন্ড: ভাঁজ করা ফোন কি বাজার থেকে উধাও হতে চলেছে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৭:১৩:৪৩
প্রযুক্তির ট্রেন্ড: ভাঁজ করা ফোন কি বাজার থেকে উধাও হতে চলেছে?
ছবিঃ সংগৃহীত

আকারে ছোটখাটো একটি ট্যাব। কিন্তু ভাঁজ করে পকেটে নিয়ে ঘোরার সুবিধার কারণে ফোল্ডিং ফোনের চাহিদা তুঙ্গে থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাজারের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো—দিন দিন কমছে ভাঁজ করা মোবাইল ফোনের বিক্রি। তাই প্রশ্ন উঠছে: ফোল্ডিং ফোনের কি তবে মৃত্যুঘণ্টা বাজছে? কিছু দিনের মধ্যেই কি হারিয়ে যাবে এই ডিভাইস? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্নে তীব্র হচ্ছে জল্পনা।

পপআপ ক্যামেরা থেকে ফোল্ডিং ফোনের ভবিষ্যৎ

মোবাইল ফোনের দুনিয়ায় বহু প্রযুক্তি ঝড়ো হাওয়ার মতো এসেছে, আবার মিলিয়েও গিয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিল পপআপ ক্যামেরা, যা স্মার্টফোনের জগৎটাকে বদলে দেবে বলে ধারণা করা হতো। কিন্তু উন্নত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরা আসায় পপআপ ক্যামেরা বাজার থেকে গায়েব হয়ে যায়।

তবে আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরাও বেশি দিন টেকেনি। গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কায় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে এর নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।

স্যামসাংয়ের পরিবর্তন: স্যামসাংয়ের জি৪৭ মডেলটিতে দীর্ঘ দিন পর্যন্ত আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার সুবিধা থাকলেও, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরীয় সংস্থাটি লুকোনো ক্যামেরা সরিয়ে পাঞ্চ হোল ক্যামেরা ফিরিয়ে এনেছে।

একইভাবে ফোল্ডিং ফোন নিয়ে প্রথম দিকে আমজনতার উৎসাহ ছিল খুবই বেশি। ডিভাইসটি মাল্টি টাস্কিং হওয়ায় গ্রাহকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফোল্ডিং ফোন থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।

অ্যাপলের দিকে নজর

গ্যাজেট বিশ্লেষকদের দাবি, আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে অ্যাপল ভাঁজ করা আইফোন আনলে ফের ফোল্ডিং ফোনকে নিয়ে উৎসাহ বাড়তে পারে। অন্যথায় ফোল্ডিং ফোন বাজার থেকে উধাও হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।

তবে ভাঁজ করা আইফোন শেষ পর্যন্ত দিনের আলো দেখবে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে কৃত্রিম মেধা যুক্ত স্মার্ট চশমা তৈরি করে ফেলেছেন প্রযুক্তিবিদরা। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, এর জেরে আগামী দিনে স্মার্টফোনের আর দরকার না-ও পড়তে পারে।


ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১৮:৩৮:৫১
ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
ছবিঃ সংগৃহীত

বন উজাড় রোধে নজির গড়ছে ব্রাজিল। দেশটি এখন উন্নত রোবট এবং জিওট্যাগিং ড্রোন ব্যবহার করে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১,৮০০টি গাছ রোপণ করছে—যা মানুষের হাতের কাজের চেয়ে বহুগুণ দ্রুত। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রাজিলের পুরো পুনঃবনায়ন প্রক্রিয়া এখন আরও দক্ষ ও টেকসই হচ্ছে।

দ্রুত বনায়ন ও পর্যবেক্ষণ

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছ রোপণ এবং পর্যবেক্ষণ দুটোই চলছে একইসঙ্গে:

রোপণ ও দক্ষতা: ড্রোনগুলো শুধু গাছ রোপণই নয়, বরং প্রতিটি চারা কোথায় লাগানো হলো, কীভাবে বেড়ে উঠছে এবং টিকে আছে কি না—তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। এই পদ্ধতি পরিবেশবিদদের সহজে শনাক্ত করতে সাহায্য করছে যে কোন অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি বনহীন হয়েছে এবং কোথায় নতুন চারা লাগানো জরুরি।

উদ্দেশ্য: ব্রাজিলের এই উদ্যোগ অবৈধ বন উজাড় ও কৃষি সম্প্রসারণের কারণে সৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবিলার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রযুক্তি ও পরিবেশ পরিকল্পনাকে একত্র করে দেশটি দেখাচ্ছে—কীভাবে উদ্ভাবন বৃহৎ পরিসরে বন পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।

বৈশ্বিক প্রভাব

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডেলটি বিশ্বজুড়ে অনুসরণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চলে। প্রতিটি নতুন গাছ শুধু কার্বন শোষণই নয়, অসংখ্য প্রাণীর আবাসস্থল পুনর্গঠনে সহায়তা করছে, মাটি ও পানির ভারসাম্যও ফিরিয়ে আনছে। এই প্রকল্পটি প্রমাণ করছে—আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রকৃতি একসঙ্গে কাজ করলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবেশগত সংকটও মোকাবিলা করা সম্ভব।


টেলিগ্রাম নিয়ে ভয়াবহ তথ্য! আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি ঝুঁকিতে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৬:৫৬:৪১
টেলিগ্রাম নিয়ে ভয়াবহ তথ্য! আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি ঝুঁকিতে?
ছবিঃ সংগৃহীত

ফেসবুকে এখন ভিন্ন ভিন্ন নামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গ্রুপ ও পেজ। এসব গ্রুপে নিয়মিত শেয়ার করা হচ্ছে তরুণী-যুবতীদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর ডেমো ক্লিপ। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

অশ্লীল বাণিজ্যের প্রক্রিয়া

সূত্র জানায়, শুরুটা হয় ফেসবুকে। সেখানে ‘এক্সপোজ’ বা ‘ভাইরাল ভিডিও’ নামে পেজ-গ্রুপ খুলে আপত্তিকর স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়। এরপর দেওয়া হয় টেলিগ্রাম চ্যানেলের লিংক।

অর্থ লেনদেন: টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রবেশ করলে প্রথমে দেওয়া হয় আংশিক ভিডিও। পুরো ভিডিও দেখতে হলে গুনতে হয় টাকা। নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে এসব ভিডিও কিনছে নানা বয়সী তরুণ-তরুণী।

সাবস্ক্রিপশন: ‘প্রিমিয়াম’ নামে মাসিক বা বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশনও বিক্রি হচ্ছে। মাসে এক হাজার টাকা বা পুরো বছরের জন্য এককালীন টাকা পরিশোধ করলে সদস্যরা অশ্লীল কনটেন্ট দেখতে পান। অনেক সময় একজন নারীর ভিডিও ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অপরাধের উৎস: যেসব নারীর ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ব্যবহৃত হচ্ছে, তারা চরম মানসিক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতারক প্রেমিক গোপনে ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করেছে, আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি হ্যাক করেও ব্যক্তিগত ছবি-ভিডিও হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

আইনের চোখ ও চক্রের কার্যক্রম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই এসব চক্র গোপনে পর্ন ব্যবসা চালাচ্ছে। ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ঘেঁটে এমন বহু গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এক্সপোজ ভাইরাল ভিডিও’ (২০ হাজার সদস্য) এবং ‘ব্রেইনটস অফিসিয়াল ডেমো’ (৩৮ হাজার সদস্য)। এসব গ্রুপের অ্যাডমিনরা ছদ্মনাম ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকাবদার বলেন, “এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। প্রতিটি অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।”

তবে চক্রের সদস্যরা ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে থাকে এবং বিকাশ ও নগদের অ্যাকাউন্টও খোলা হয় ভুয়া তথ্য দিয়ে। ফলে তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, এ ধরনের ভিডিও তৈরি ও প্রচার একটি ফৌজদারি অপরাধ।

সূত্র : দৈনিক মানবজমিন


৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০৭:২৮
৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
সৌরজগতে রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা/ফ্রিপিক

সৌরজগতে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি রহস্যময় বস্তু শনাক্ত করেছেন, যার বৈজ্ঞানিক নাম ২০২৩ কেকিউ১৪। অ্যামোনাইট নামে পরিচিত এই বস্তুটি কক্ষপথের প্রচলিত নিয়ম মানছে না বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এটি বিরল ট্রান্স-নেপচুনিয়ান ক্ষুদ্র শ্রেণির অন্তর্গত, যাকে সেডনয়েড বলা হয়, এবং নেপচুনের কক্ষপথের অনেক দূরে অবস্থান করছে।

কক্ষপথের অমিল ও লুকানো গ্রহের শঙ্কা

তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকা ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসের বিজ্ঞানী ই-টুং চেনের নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী বস্তুটি শনাক্ত করেছেন।

অমিল: বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বস্তুটির গতিপথ আগে আবিষ্কৃত হওয়া তিনটি সেডনয়েডের গতিপথের সঙ্গে মিলছে না।

রহস্য: এই অমিলের কারণে বস্তুটি লুকানো কোনো দূরবর্তী গ্রহ কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বস্তুটির আচরণ প্রাথমিক সৌরজগতের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

৪০০ কোটি বছর আগের রহস্য

অ্যামোনাইট নামে বস্তুটি সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসে ৬৬ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিট দূরত্বে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, অ্যামোনাইটের কক্ষপথ কোটি কোটি বছর ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে অ্যামোনাইট যদি সৌরজগতের কোনো দূরবর্তী গ্রহ হয়, তবে তার কক্ষপথ সম্ভবত আরও দূরে হতে পারে।

অধিকাংশ দূরবর্তী ছোট বস্তু নেপচুনের কাছাকাছি থাকে এবং নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। সেডনয়েড ধরনের বস্তুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যামোনাইটের অবস্থান নেপচুনের সরাসরি মহাকর্ষীয় প্রভাবের বাইরে হওয়ায়, তাদের সামনে ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগৎ কেমন ছিল, তা জানার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এই আবিষ্কার সেডনয়েডের তালিকায় এখন চারটি বস্তু অন্তর্ভুক্ত করল। বিজ্ঞানী ই-টুং চেন বলেন, “অ্যামোনাইট খুঁজে পাওয়ার কারণে সৌরজগতের সীমান্তে ধাঁধার একটি অনুপস্থিত টুকরা আবিষ্কার করা গেছে।”

সূত্র: আর্থ ডটকম


পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:২৩:৪৯
পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য যন্ত্র। কল বা বার্তা পাঠানো ছাড়াও প্রাত্যহিক কাজ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনে অসংখ্য তথ্য জমা হওয়ায় এবং একাধিক অ্যাপ চালু থাকার ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবেন। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সচেতন ব্যবহারে পুরোনো ফোনটিই আগের মতো গতিশীল করে তোলা সম্ভব।

স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর ৫টি কার্যকর উপায়

১. ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ: অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করলেও ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এই অ্যাপগুলো প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, ফলে ফোন ধীরগতির হয় এবং ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নির্ধারণ করে দিলে এই চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।

২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলা: অ্যাপ ব্যবহারের সময় সাময়িক ডেটা ক্যাশে মেমোরি হিসেবে ফোনে জমা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জমা ডেটা বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ফোনের সেটিংসে বা সিস্টেম লেভেল ক্লিয়ার ক্যাশের সুবিধা ব্যবহার করে ক্যাশে মুছে ফেললে ফোন হালকা হয়ে ওঠে, অ্যাপ চালু ও ব্যবহারে গতি ফেরে।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ সরিয়ে ফেলা: প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে যে প্রয়োজনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পর আর ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের অব্যবহৃত অ্যাপগুলো স্টোরেজ দখল করে রাখে এবং ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। ফোনের ফিচারে অব্যবহৃত অ্যাপ শনাক্ত করে সেগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয় এবং ফোন দ্রুত হয়।

৪. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা: ফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট দেন। এসব হালনাগাদে পারফরম্যান্স উন্নয়ন ও নিরাপত্তাজনিত পরিবর্তন যুক্ত করা হয়। অনেকে ডেটা খরচের কথা ভেবে আপডেট এড়িয়ে যান, যা ফোনের গতি ও স্থিতিশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো আপডেট ইনস্টল করে নেওয়া জরুরি।

৫. ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা: ব্যাটারির সঠিক ব্যবস্থাপনা ফোনের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস খুব বেশি থাকলে বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’র মতো ফিচার চালু থাকলে প্রসেসরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করলে প্রসেসরের ওপর চাপ কমে এবং ফোন স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে।

নিউজ১৮


মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৯:২১:৪৬
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীতে মানুষ আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন লাখ বছর ধরে প্রাণিজগতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে টিকে আছে মানুষ। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI)-এর দ্রুত উন্নতি সেই শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থানকে দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ন রাখবে কি না, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, এমন এক সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে, যখন এআই প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই মুহূর্তটিকেই তাঁরা বলছেন ‘সিঙ্গুলারিটি’।

সিঙ্গুলারিটির নতুন সময়সীমা

‘সিঙ্গুলারিটি’ হলো সেই বিন্দু, যেখান থেকে এমন এক যুগের সূচনা হবে, যেখানে যন্ত্র মানুষের চেয়েও দ্রুত ও নিখুঁতভাবে চিন্তা করবে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিজের উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করবে।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এআইমাল্টিপলের একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগেও বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, ২০৬০ সালের আগে এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু এখন অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সেই সময় হয়তো আর দূরে নয়—সম্ভবত কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।

এআইমাল্টিপলের প্রধান বিশ্লেষক সেম দিলমেগানি বলেন, “সিঙ্গুলারিটি একটি কাল্পনিক ঘটনা, যা ঘটলে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় একটি সিস্টেম মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে, কিন্তু গতিতে হবে অতিমানবীয় এবং স্মৃতিতে হবে প্রায় নিখুঁত।”

বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস

অ্যানথ্রপিকের সিইও দারিও আমোদি তার প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালেই সিঙ্গুলারিটি ঘটতে পারে। তখনকার এআই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোবেলজয়ী মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হবে।

প্রবৃদ্ধির গতি: সেম দিলমেগানির মতে, জেনারেটিভ এআইয়ের অগ্রগতি এত দ্রুত গতিতে ঘটছে যে, বর্তমানে শীর্ষ এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা গড়ে প্রতি সাত মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ‘বুদ্ধিমত্তার বিস্ফোরণ’ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সূত্র: ডেইলি মেইল


লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৪৬:০৩
লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি
ছবিঃ সংগৃহীত

মহাবিশ্বের এক মহারহস্যের পর্দা এবার যেন সরে গেল। প্রথমবারের মতো নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এক বিশাল লাল তারার বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তের ছবি তুলেছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে করা এই পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতদিন যেসব বিশাল তারা হঠাৎ ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আসলে ধূলার আড়ালে লুকিয়ে ছিল।

‘এসএন২০২৫পিএইচটি’ ও রহস্যময় ধুলা

বিস্ফোরণের কেন্দ্র: গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু ‘এসএন২০২৫পিএইচটি’, একটি সুপারনোভা যা ২০২৫ সালের ২৯ জুন পৃথিবী থেকে প্রায় চার কোটি আলোবর্ষ দূরের ‘এনজিসি ১৬৩৭’ গ্যালাক্সিতে প্রথম শনাক্ত হয়।

শনাক্তকরণ: জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড দৃষ্টিতে বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপের পুরোনো ছবির সঙ্গে তুলনা করে বিস্ফোরিত তারাটিকে শনাক্ত করেছেন। এটি ছিল একটি গভীর লাল, বিশালাকার সুপারজায়ান্ট, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।

ধুলার রহস্য: আশ্চর্যের বিষয় হলো, ধুলার ঘন আবরণ তার প্রকৃত উজ্জ্বলতাকে ঢেকে দিয়েছিল। ফলে যা দেখা যাচ্ছিল, তা আসলের একশ ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই তারার চারপাশের ধুলা ছিল কার্বনসমৃদ্ধ, যেখানে সাধারণত সুপারজায়ান্ট তারায় ধুলা হয় অক্সিজেনভিত্তিক।

বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য

বিজ্ঞানীদের মতে, এটাই এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে লাল, সবচেয়ে ধুলায় ঢাকা সুপারজায়ান্ট বিস্ফোরিত তারা। মৃত্যুর আগে তারাটির অভ্যন্তরীণ প্রবাহে পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গভীর স্তর থেকে কার্বন উঠে এসে পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ধুলার রসায়ন বদলে যায়। জেমস ওয়েবের এই ছবি মহাবিশ্বের বৃহৎ তারাগুলোর জীবন ও মৃত্যু বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এ ছবি শুধু এক তারার শেষ অধ্যায় নয়, এ যেন মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে প্রথমবারের মতো মানুষের উপস্থিতি।

পাঠকের মতামত: