শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “নিবন্ধন যদি আমাদের দিতে হয়, সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না এবং এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না।”
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অদৃশ্য শক্তি ও ইসির নীরবতা
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ইসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে দুই ঘণ্টা তারা প্রতীক প্রশ্নে ইসির ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “শাপলা না দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা দেখি নাই। প্রতিবন্ধকতা অন্য জায়গা থেকে দেখেছিলাম। অদৃশ্য শক্তির এখানে হাত রয়েছে।” তিনি প্রশ্ন করেন, দুই ঘণ্টা ধরে ইসি কেন নিশ্চুপ ছিল।
“আমরা ধরে নেব যে তারা এটাতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন। আমরা তাদের বলে এসেছি যে, আপনারা যদি শাপলা না দেন, তাহলে ব্যাখ্যা দিতে হবে।”
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং কোনো গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। এই মাসের মধ্যেই কোনো প্রভাব বা শক্তি তাদের ওপর বিরাজ করছে কি না, তা জাতির সামনে স্পষ্ট হবে এবং এই মাস পর্যন্ত এনসিপি অপেক্ষা করবে।
প্রতীকের ক্ষেত্রে আল্টিমেটাম
শাপলা প্রতীক না দিলে বিকল্প হিসেবে অন্যান্য দলের প্রতীক বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, “যদি রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতীকের দায়িত্ব তারা নেন যে এ প্রতীক রক্ষা করবেন, তাহলে ধানের শীষ এবং শাপলা সবগুলোকে রক্ষা করে ওই ধরনের আইন সংশোধন করতে হবে।”
তিনি বলেন, “সুতরাং নির্বাচন কমিশনের সামনে দুটি পথ রয়েছে। একটি হলো ধান, তারা, সোনালি আঁশ বাতিল করা। আরেকটি হলো শাপলা দেওয়া। আমরা আশা করি যে কারো প্রতীকই বাতিল না হোক।”
প্রবাসী ভোটার ও নিবন্ধন শঙ্কা
বৈঠকে এনসিপি নেতারা ভোটার নিবন্ধন ও প্রবাসী ভোট নিয়েও আলোচনা করেন। দলের যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। কিন্তু প্রবাসী ভোটারদের অ্যাপস চালু হতে দেরি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীকে ভোটের বাইরে রাখার একটি পাঁয়তারা চলছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে অ্যাপটি চালু করা হবে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, জেন-জি ও তরুণ ভোটারদের কথা ভেবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ভোটার হওয়ার দাবি জানিয়েছে এনসিপি।
কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবে, তা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না। তিনি বলেন, “কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে। এগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।” তার মতে, আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনাই গুরুত্বপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক ও বিনিয়োগের লক্ষ্য
বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ দেখান।
আমির খসরু বলেন, “বিএনপি বলেছে ১৮ মাসের মধ্যে ১ কোটি কর্মসংস্থান করব। এক কোটি কর্মসংস্থানের জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য জার্মানির সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি জানান, জার্মানি ইতোমধ্যে চীন ও ভারতে বিনিয়োগ করেছে এবং তারা বাংলাদেশকে আগামী দিনের বিনিয়োগের জন্য ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, “সুতরাং বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছি; এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহ আছে।”
গণতন্ত্র ও বিনিয়োগ
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগের জন্য নির্বাচন ও দেশের স্থিতিশীলতা অবশ্যই দরকার। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচিত সরকার এলে বিনিয়োগকারীরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বিনিয়োগে যে সমস্যাগুলো ছিল, সে বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি, সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। বিনিয়োগ সামিটে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে দিয়েছি, প্রত্যেকটি দূতাবাসেও দিয়েছি। বিনিয়োগকারীরা জানেন, আমাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের বিনিয়োগে কোনো সমস্যা থাকবে না।”
শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুমের দুটি আলাদা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরোয়ানাগুলো পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং সংশ্লিষ্ট ১২টি দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিস্তারিত
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ গুমের দুটি মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দুটি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন এবং পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
মামলার সংখ্যা: দুটি (টিএফআই সেল গুম মামলা ও জেআইসি সেল গুম মামলা)।
আসন্ন পদক্ষেপ: আসামিদের আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসামির অবস্থান: আসামিদের মধ্যে অনেকে এখনো বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। তবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর আইন অনুযায়ী তারা আর কর্মরত হিসেবে বিবেচিত হবেন না।
অভিযুক্তদের তালিকায় যারা
দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সাবেক প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ প্রধান (লে. জেনারেল মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল মো. সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল হামিদুল হক)।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন ও ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদসহ র্যাবের একাধিক সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও পরিচালক।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু ব্যক্তিকে গোপনে তুলে নিয়ে গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনের চিত্র এই অভিযোগপত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই গভীর হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর পদত্যাগের পর দেশটি আবারও অস্থিরতার মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন বলে বুধবার রাতে এলিসি প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে ফ্রান্স নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম জানতে পারবে।
লেকর্নু ফরাসি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে জানান, চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগই হবে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। তিনি বলেন, “এটি এমন সময় নয় যখন রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে বা আগাম নির্বাচনের পথে যেতে হবে; বরং এখন প্রয়োজন কার্যকর নেতৃত্ব।”
গত তিন দিনে ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। লেকর্নু সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেন—মাত্র এক মাসেরও কম সময় দায়িত্বে থাকার পর। তবে রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ তাকে বুধবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন অর্থনীতি সংকোচন (austerity budget) নিয়ে পার্লামেন্টের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য।
লেকর্নুর আগের দুই প্রধানমন্ত্রীও একই বাজেট নিয়ে সংসদের বিরোধিতায় পদচ্যুত হন। ফলে ম্যাক্রোঁর সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে কীভাবে বাজেট পাস করানো সম্ভব হবে। এলিসি প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মনে করেন বছরের শেষ নাগাদ বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতার পথ তৈরি করা সম্ভব।
যদি লেকর্নু পুনরায় নিয়োগ না পান, তবে এটি হবে ম্যাক্রোঁর সাত বছরের শাসনামলের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, ফরাসি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা এখন কার্যত বিলাসিতা।
‘রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের সময় নয়’
লেকর্নু স্পষ্ট করে বলেন, “এখন রাষ্ট্রপতি পরিবর্তনের সময় নয়। জনগণকে ভুল ধারণা দেওয়া উচিত নয় যে বাজেট রাষ্ট্রপতি ভোট দেন।” তিনি আরও জানান, সংসদের নিম্নকক্ষে বেশিরভাগ দল আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে, তাই সংসদ ভেঙে দেওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার ফিলিপ সম্প্রতি ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ ও আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আহ্বানের দাবি তুলেছিলেন। তবে লেকর্নু বলেছেন, ম্যাক্রোঁকে ২০২৭ পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ পূর্ণ করতেই হবে।
‘মিশন শেষ’ ঘোষণা করে বিদায়
নিজের পদত্যাগের সময় লেকর্নু বলেন, “আমি সবকিছু চেষ্টা করেছি। আজ রাতে আমার মিশন শেষ।” তিন বছর প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা নিজেকে বর্ণনা করেছেন “একজন যোদ্ধা সন্ন্যাসী” হিসেবে।
তিনি ইঙ্গিত দেন যে প্রযুক্তিনির্ভর (technocratic) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে, যেখানে সদস্যদের ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকবে না। তাঁর মতে, “দেশের সমস্যা সমাধানই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
পেনশন সংস্কার ইস্যুতে লেকর্নু বলেছেন, অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধি সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনার দরজা খুলে দেওয়া যেতে পারে, তবে তা স্থগিত করলে ২০২৭ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এলিজাবেথ বর্ন—যিনি সংস্কারটি ভোট ছাড়াই সংসদে পাস করিয়েছিলেন—এরই মধ্যে স্থগিত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
‘সবকিছুর বিরুদ্ধেই ভোট দেব’
ফ্রান্সের সংসদীয় রাজনীতির বাস্তবতা আরও জটিল। ২০২২ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ম্যাক্রোঁর দল ডানপন্থী রিপাবলিকানদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক নয় এমন একটি সমঝোতায় সরকার চালিয়ে আসছে। কিন্তু এই জোটও সংসদে সংখ্যালঘু অবস্থায়। ফলে যে কোনো নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আবারও অবিশ্বাস প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে হতে পারে।
অন্যদিকে, চরম ডানপন্থী নেতা মেরিন ল্য পেন ঘোষণা দিয়েছেন, “নতুন সরকার যাই করুক, আমি তার বিরুদ্ধেই ভোট দেব।” তাঁর দল ন্যাশনাল র্যালি এখন ২০২৭ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ দেখছে, কারণ সংবিধান অনুযায়ী ম্যাক্রোঁ তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এ অবস্থায় রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব এখন পুরোপুরি ম্যাক্রোঁর কাঁধে। তাঁর পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে—ফ্রান্স স্থিতিশীলতার পথে ফিরবে, নাকি আরও গভীর রাজনৈতিক অচলাবস্থায় নিমজ্জিত হবে।
-আলমগীর হোসেন
শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা পিছিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, আজকের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে, নতুন করে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছে” এবং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমরা পিছনে ফিরে যাচ্ছি’
রাশেদ খান বলেন, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে তারা শুনেছিলেন যে, আজকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। কিন্তু:
“আজকের আলোচনা যেভাবে শুরু হয়েছে, আমার কাছে মনে হলো নতুন করে আমরা আলোচনা শুরু করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে যে আমরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি।” তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, যে দলগুলো সর্বশেষ দিন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে ছিল, তারাও আজকে অবস্থান পরিবর্তন (ইউটার্ন) করেছে এবং এখন বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট।
রাজনৈতিক চরিত্রের সমালোচনা
রাশেদ খান বলেন, “আমাদের রাজনীতিবিদদের এই ধরনের চরিত্র জনগণ পছন্দ করে না। আপনি সকালে একটা বলবেন, বিকালে একটা বলবেন, আজকে একটা বলবেন, কালকে একটা বলবেন—এটা হতে পারে না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “তাহলে কি আমরা সেই গণঅভ্যুত্থানের পরে যখন ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়, সেখানে ফিরে যাচ্ছি? যেখানে আমাদেরকে সামনে অগ্রসর হওয়ার কথা, সেখানে আজকের আলোচনা দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা পিছনে ফিরে যাচ্ছি।”
ঐকমত্যের অভাব
গণ অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, “আমি ঐকমত্য কমিশনকে স্পষ্টত জানিয়েছি, আপনারা যেমনভাবে আজকের এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছেন, ঠিক একইভাবে আমরাও এই আলোচনা দেখে হতাশ হচ্ছি। এটা জনগণ কোনোভাবেই প্রত্যাশা করে না।”
তিনি বলেন, “নয়টি রাজনৈতিক দল বসেছিলাম, আলোচনা করেছি। দেখলাম আজকের এই ঐকমত্য কমিশনে তাদের মধ্যে ভিন্ন মত।” তিনি মনে করেন, আরও এক মাস যদি এইভাবে আলোচনা চলে, তবে কোনোভাবেই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-কে নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে শুরু হয়েছে এক কৌশলগত টানাপোড়েন। আলোচনা এগোলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন উভয় দলের নেতারা। বিএনপি চাইছে এনসিপিকে জামায়াত থেকে দূরে রাখতে, অন্যদিকে জামায়াত চাইছে ভোটের মাঠে গণঅভ্যুত্থানের আবেগ পক্ষে রাখতে এনসিপিকে পাশে টানতে।
ঐক্যের পথে বাধা ও দলীয় কৌশল
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে জামায়াত প্রত্যাশিত সংখ্যক আসনে ছাড় এবং সব রকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে গেলে ডানপন্থি ‘ট্যাগের’ ভয় রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি পাশে চাইলেও প্রত্যাশিত সংখ্যক আসন ছাড়তে রাজি নয়। এ দলটি নির্বাচনে প্রত্যাশিত সহায়তা দেবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে এনসিপি নেতাদের।
জামায়াত সূত্র নিশ্চিত করেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র উপদেষ্টাই বিএনপির সঙ্গে এনসিপির নির্বাচনী ঐক্যে আগ্রহী। তাদের কারণেই এনসিপি জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলনে আসেনি। এনসিপি সূত্র জানিয়েছে, এই ঐক্য না হলে উপদেষ্টাদের অন্তত একজন ঢাকায় বিএনপির দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হতে পারেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপি অন্য দলকে নিয়ে সরকার গঠনে প্রস্তুত, যার মধ্যে ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা একটি নতুন দলও রয়েছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, অন্য দলের মতো বিএনপির সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তবে নির্বাচনী জোট বা আসন বণ্টনের আলাপ হয়নি। এনসিপি ৫০-৬০ আসনে ছাড় পেলে জোটের বিষয় ভাববে।
বিএনপির ‘স্বতন্ত্রের ভয়’ ও জামায়াতের সুবিধা
এনসিপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন, নতুন এ দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আগামী সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি। বিএনপির সঙ্গে থাকলে যেসব আসনে ছাড় পাওয়া যাবে, সেগুলোতে জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
বিএনপির ভয়: বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, এনসিপিকে আসন ছাড়লেও স্থানীয় নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন—এ নিশ্চয়তা নেই। নির্বাচনী আইন সংশোধিত হওয়ায় এনসিপি নেতাদের নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। ধানের শীষ না থাকলে স্থানীয় বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে সাংগঠনিক ও আর্থিক সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা এনসিপির প্রার্থীরা মাঠে টিকতে পারবেন না।
জামায়াতের সুবিধা: জামায়াতের সঙ্গে গেলে এনসিপি ৫০-৬০ আসনে অনায়াসে ছাড় পেতে পারে। জামায়াতের সংগঠন ও জনবল বিনা খরচে শতভাগ কাজ করবে এবং জামায়াতের কেউ বিদ্রোহী হবেন না। তবে এনসিপি নেতাদের একাংশের ভয়, এর ফলে তারা ডানপন্থি তকমা পাবেন।
জামায়াতের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তাদের জরিপ অনুযায়ী, এনসিপির সারাদেশে ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভোট রয়েছে। এনসিপিকে সঙ্গে রাখলে গণঅভ্যুত্থানের আবেগ বিএনপির দিকে যাবে না—এটি জামায়াতের মূল্যায়ন।
হেফাজত ফ্যাক্টর
জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত আন্দোলন এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। হেফাজতের ‘মুরব্বিরা’ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার ঘোর বিরোধী। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির মতো এনসিপিও হেফাজতের সমর্থন পেতে চাইছে। এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, যদি এনসিপি একা জোট করতে পারে, তবে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষিতে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুলের আহ্বান: ‘আর বিলম্ব নয়’
বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমকে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (৮ অক্টোবর) তার আটকের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল তার পোস্টে লেখেন, “শহিদুল আলমকে মুক্ত করুন। আমি সরকারকে তার নিরাপদে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আটকের আগে শহিদুল আলমের বার্তা
আটকের আগ মুহূর্তে শহিদুল আলম ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি জানান এবং তাকে বহনকারী জাহাজ ‘দ্য কনশেনসে’ ইসরায়েলি আক্রমণের লাইভও করেন।
ভিডিওবার্তায় শহিদুল আলম বলেন:
“আমি শহিদুল আলম বাংলাদেশের ফটোগ্রাফার ও লেখক। আপনি যদি এই ভিডিওটি দেখেন, তার মানে আমাদের সমুদ্রে আটকে দেওয়া হয়েছে এবং আমাকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল দখলদার বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এই দেশ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার সব সহযোদ্ধা ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য।”
হামলা ও কর্মীদের অবস্থা
ত্রাণবাহী ফ্লোটিলা জানিয়েছে, সামরিক বাহিনী দ্য কনশেনস নামের নৌকায় হামলা করে। এই জাহাজে শহিদুল আলমসহ ৯৩ জন সাংবাদিক, ডাক্তার এবং কর্মী ছিলেন। এই জাহাজের সঙ্গে থাকা তিনটি ছোট নৌকাও আক্রমণ করে ইসরায়েলিরা।
নুরুল হক নুরের বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপি নেতাদের টিভি মালিকানা নিয়ে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতার নামে নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, যাদের নামে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তারা নিজেদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব
নুরুল হক নুর বলেন, “শুনেছি এনসিপির নেতৃবৃন্দের নামে দুটি গণমাধ্যম অনুমোদন করা হয়েছে। যে দুইজনের নামে হয়েছে, তাদের আমি ভালোভাবে চিনি। তারা নিজের ফ্যামিলি নিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছে।”
তিনি বলেন:
“আমি একটি দলের প্রধান কিন্তু ৫ আগস্টের পরে যেখানে ছিলাম, ওখানেই আছি। তারা অনেকে আমার সহকর্মী ছিলেন। ছোট একটা পত্রিকায় চাকরি করেন। কোত্থেকে কিভাবে কী দেওয়া হয়, সেটা আমি জানি না। এটা আমি খুব অবাক হয়েছি। এটার মধ্যে দিয়ে এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যে অস্বচ্ছতা ও পক্ষপাতমূলক মনোভাব রয়েছে, সেগুলো বোধহয় প্রকাশ পেয়েছে।”
‘পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা’
নুরুল হক নুর সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থানে সরকারের কাছে আমরা সেটা (১/১১ সরকারের মতো অ্যাকশন) দেখিনি। এই সরকারের সময় আমরা দেখেছি পুরনো স্টাইলে ভাগ-বাঁটোয়ারা, নিয়ন্ত্রণ, লোকজন বসানো ও প্রতিষ্ঠান দখল—এগুলো চলছে।” তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে অনেক গণমাধ্যম দখল হয়েছে। তিনি বলেন, “এগুলো আমরা এই সরকার দ্বারা প্রত্যাশা করিনি। এই সরকারে যারা আছেন, তাদের এর দায় নিতে হবে।”
লাইসেন্সপ্রাপ্ত চ্যানেল ও নেতারা
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকার দুটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল—‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’-এর অনুমোদন দিয়েছে।
নেক্সট টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন, যিনি আগে একটি ইংরেজি দৈনিকের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।
লাইভ টিভির লাইসেন্স পেয়েছেন আরিফুর রহমান নামের আরেকজন, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবির সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
চাকরি জাতীয়করণ ও শিক্ষা সংস্কার
‘বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ’সহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তারেক রহমান শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে অবশ্যই একমত।” তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে:
আর্থিক নিরাপত্তা: রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো, চাকরি স্থায়ীকরণ বা জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচক বিবেচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে।
শিক্ষা সংস্কার: প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রধান করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।
কর্মমুখী শিক্ষা: নৈতিকতা এবং ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধের আলোকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
তিনি বলেন, এই কম্পিটিশনের বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুঁথি নির্ভর না রেখে ব্যবহারিক ও কারিগরি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করার বিকল্প নেই।
শিক্ষকদের সম্মান ও জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকতা পেশা কখনোই উপায়হীন বিকল্প বা একটি সাধারণ চাকরি হতে পারে না। বরং শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে মেধাবী মানুষটি যাতে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিতে পারে, সেভাবেই শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
তিনি মনে করেন, জাতীয় দিবসগুলোতে আমন্ত্রিত অতীতের তালিকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের কমপক্ষে একজন করে শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় ভবনে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত জরুরি।
অন্যান্য রাজনৈতিক মন্তব্য
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার।” তিনি সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই—এটাই জনগণের কাছে শিক্ষকদের দাবি।” এ সময় তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে বাড়ি ভাড়া বাড়িয়েছে, তা প্রত্যাখান করার ঘোষণা দেন।
‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে প্রতীক ইস্যুতেই দুটি ভিন্ন অবস্থানে অনড় রয়েছে এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন। এনসিপি শুরু থেকেই তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক চেয়ে আসছে, কিন্তু ইসি বলছে—শাপলা রাজনৈতিক দলের প্রতীকের তালিকায় নেই।
ইসি ৫০টি প্রতীকের একটি তালিকা থেকে যেকোনো একটি বাছাই করতে এনসিপিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এনসিপি সেই তালিকা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, শাপলা প্রতীক না দেওয়া হলে তারা অন্য কোনো মার্কা নেবে না।
এনসিপি ও ইসি’র অনড় অবস্থান
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও আইন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মুসা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তারা ইমেইলের মাধ্যমে ইসিকে চিঠির জবাব দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, শাপলার বাইরে অন্য কোনো প্রতীক তারা গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, “যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনগত জটিলতা নেই, সে কারণে আমরা ইসিকে আমাদের আগের অবস্থানই পুর্নব্যক্ত করেছি।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসি যদি শাপলা প্রতীক না দিয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে, তাহলে এই কমিশনের যেকোনো কার্যক্রমে আমাদের অনাস্থা থাকবে।”
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন প্রতীক তালিকার গেজেটে যেহেতু শাপলা নেই, সে কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে।” তবে কমিশন জানিয়েছে, গেজেট সংশোধন করা হলে সুযোগ থাকতে পারে, যদিও এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
অদৃশ্য শক্তির চাপ ও মান্নার অবস্থান
এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, এই জটিলতার পেছনে একটি গোয়েন্দা সংস্থা বা ‘অদৃশ্য শক্তি’ কাজ করছে, যার চাপে ইসি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “ইসি কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।”
এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তারা কোনো আইনি ব্যাখ্যা ছাড়া একটি সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, এটা ভাবার কোনো সুযোগ নাই। এটা কোনোভাবে হবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, শেষ পর্যন্ত শাপলা না পেলে তারা নিবন্ধন না নিয়ে রাজপথের কর্মসূচিতে নামবেন।
তবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও একসময় শাপলা প্রতীক চেয়েছিল। মান্না এই প্রসঙ্গে বলেন, “এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে ইসির প্রতি আমাদের আপত্তি থাকবে। তবে ছাত্রদের প্রতি আমাদের রেসপেক্ট আছে। সেখান থেকে আমরা বলেছি, আমরা কোনো মামলা করবো না বা আইনি লড়াইয়ে যাবো না।”
নিবন্ধন আটকে যাওয়ার শঙ্কা
নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রতীক নিয়ে এনসিপির সঙ্গে ইসির এই টানাপোড়েন চলতে থাকলে নতুন এই দলটির নিবন্ধন আটকে যাবে। ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, এনসিপি যদি গেজেটের ৫০টি প্রতীকের কোনোটি না নিতে চায়, তখন দলটির নিবন্ধন ঝুলে যাবে। তবে তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান সম্ভব।
পাঠকের মতামত:
- শহিদুল আলমসহ আটক কর্মীদের কঠোর কারাগারে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
- শাপলা না পেলে ধানের শীষসহ সব প্রতীক বাতিলের দাবি
- বড় দরপতনে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে নেতিবাচক ধারা
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সহজে ভিডিও ডাউনলোডের ৭টি সেরা অ্যাপ
- রান্নাঘর থেকে রূপচর্চা: এক টুকরো ফিটকিরির ১০টি বিস্ময়কর ব্যবহার
- খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
- পশ্চিমতীরে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েলি সেনারা
- কেউ কিছু জানে না, এমনও অনেক মিটিং হচ্ছে: আমির খসরু
- শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
- গাজায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও হামলা অব্যাহত
- বিশ্বসংগীতে নতুন রেকর্ড গড়লেন রোজে
- পুরুষের বন্ধ্যত্ব কেন হয়? যে ৫টি খাবার শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়ায়
- সকালে এই ৪টি অভ্যাস হার্টের ক্ষতি বাড়াতে পারে
- ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনের সভাপতি বাংলাদেশ: কূটনৈতিক অগ্রযাত্রায় নতুন মাইলফলক
- শেখ হাসিনার ভারত থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি
- সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার পথে বাংলাদেশ: বহুমাত্রিক পরিবহন পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে
- র্যাঙ্কিংয়ে ৩৮ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংয়ের বিপক্ষে আজ লড়বে বাংলাদেশ
- গাজায় শান্তি ফেরায় উৎসব: হামাস-ইসরায়েল চুক্তিতে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
- অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পথে ফ্রান্স: ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ম্যাক্রোঁ
- শুক্রবার ১৬ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
- তহবিল সংকটে জাতিসংঘ: শান্তিরক্ষী বাহিনী কমছে ২৫ শতাংশ
- নোবেল শান্তি পুরস্কার: আগামীকাল ঘোষণা, ট্রাম্পের ভাগ্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
- শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে: রাশেদ খান
- রাশিফল: ৯ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- শর্ত লঙ্ঘনের বিশাল অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচন নিয়ে কেন এত বিতর্ক?
- নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপিকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে নীরব প্রতিযোগিতা
- ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করল ইসরায়েল-হামাস
- ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
- জেনে নিন ০৯ অক্টোবর ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগের নামাজের সময়সূচি
- অল্প রানে অলআউট বাংলাদেশ, আফগানদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ
- মানসিক চাপ ও হতাশা দূর করুন: প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই ১০ খাবার
- শহিদুল আলমের আটক নিয়ে অপপ্রচার: বাংলাফ্যাক্ট যা জানাল
- স্মার্টফোন ব্যবহারে কঠোর আইন, দিনে ২ ঘণ্টার বেশি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন: চূড়ান্ত ঐকমত্যের পথে কমিশন
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা
- নতুন দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন, নেপথ্যে এনসিপি ও বিএনপি’র নেতা
- ২১ শতকের নীরব ঘাতক: কোলোরেক্টাল ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে যে খাবার
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- ১৬তম মুসলিম হিসেবে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ওমর এম ইয়াগি
- আল-আকসা ও শাম: কেন এই ভূখণ্ডকে পৃথিবীর সভ্যতার কেন্দ্র বলা হয়?
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সতর্কতা জারি: ঢাকাসহ ২০ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিতর্ক, রিজওয়ানা হাসান চাইলেন নাম
- ৫টি বিশেষ ধরনের মধু, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
- শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- রসায়নে নোবেল: জল সংগ্রহ ও গ্যাস নিয়ন্ত্রণে বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী আবিষ্কার
- সঙ্গী কি আপনাকে এড়িয়ে চলছেন? এই ৬টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন
- ১৩ গ্রামের ফোন! বিশ্ব কাঁপানো Zanco Tiny T1
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- কোরআন অবমাননা: নর্থ সাউথ থেকে শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি