ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:৪৯:৩৯
ভবিষ্যতে তাদের গলায় গামছা দেব: দেশে ফিরেই নুরের হুঁশিয়ারি
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও তিনি এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হননি। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর হামলার বিচার না হলে, আমরা যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা দেব।’

শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিচার না হলে নির্বাচন নিয়ে সংশয়

নুরুল হক নুর বলেন, “আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি, তবে সরকার দ্বারা সুবিধাভোগী নই। আমরা কোনো ভাগবাটোয়ারার অংশীদারও নই।” তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে এবং নির্বাচন নিয়ে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত নির্বাচন না হলে দেশ আবার সংকটে পড়বে।

তিনি বলেন, “একটি দলের প্রধানকে এভাবে আক্রমণ করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে? সমঝোতার নির্বাচনে যাদের ইশারা দিবে, তারাই নির্বিঘ্নে আওয়ামী লীগের ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনের মতো প্রচার প্রচারণা চালাবে।”

সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি তার ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

‘টার্গেট অপারেশন’ এবং অন্যদের প্রতি বার্তা

নুরুল হক নুর অভিযোগ করেন, তার ওপর হামলাটি ছিল একটি টার্গেট অপারেশন। এর উদ্দেশ্য ছিল অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বার্তা দেওয়া। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে শেখ হাসিনার গদিকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, ওই সময়ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এরকম বর্বরোচিত হামলার শিকার আমরা হইনি।”

তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানকারী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান:

“আপনারা যদি পরবর্তী সিরিয়ালে পড়তে না চান, এই ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জড়িত থাকুক, তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে।”

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় ৩৫ দিন পার হয়ে গেলেও বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে।

চিকিৎসা ও প্রেক্ষাপট

গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে শারীরিক জটিলতা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ২১:১১:৫৫
কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না: বাঞ্ছারামপুরে পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, “কুমিরকে সর্দির ভয় দেখাবেন না। কুমির পানিতেই থাকে। আমাদের আবার পানিতে নামাবেন কী?” তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা নানা ভয়ভীতি, হুংকার আর হামলায় অভ্যস্ত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মওলাগঞ্জ বাজার মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি সামসুল হক সুমনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর যারা দেশ শাসন করেছে, তারা বারবার দেশকে ‘চোরের দিক থেকে চ্যাম্পিয়ন’ করেছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বেগমপাড়া’ তৈরি করেছে। দেশকে গুম ও খুনের রাজ্যে পরিণত করে বিশ্বের মাঝে একটি লজ্জাজনক অবস্থায় পৌঁছে দিয়েছিল। তিনি বলেন, এসব অনাচারের মূল কারণ হলো আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানবরচিত কুফরি আইন বাস্তবায়ন করা।

এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে হাফেজ কাজী মোহাম্মদ আলীর হাতে হাতপাখা প্রতীক তুলে দিয়ে তাকে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।


আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস বইছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৬:২৩:৩০
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই পিআরের বাতাস বইছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, দেশে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে পতিত ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন বানচাল হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (এনডিপি) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর পদ্ধতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা

সালাহউদ্দিন আহমদ সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পিআর মানে ‘পার্মানেন্ট রেস্টলেসনেস’ (স্থায়ী অস্থিরতা)।”

তিনি বলেন:

অস্থিরতা: পিআর ব্যবস্থায় স্থিতিশীল সরকার থাকে না, বরং কয়েক মাস পরপর প্রধানমন্ত্রী ও সরকার পরিবর্তিত হয়। এতে কোনো দল জনগণের কাছে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারে না, উন্নয়নও ব্যাহত হয়।

দেশের জন্য ক্ষতিকর: বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রকে এমন অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া সম্ভব নয়।

আওয়ামী লীগের ইন্ধন: তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডেই দেশে পিআরের বাতাস বইছে। যারা পিআর নিয়ে সরব, তাদের অনেকেই আবার আওয়ামী লীগের সহায়তায় ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল।

সালাহউদ্দিন আহমদ প্রশ্ন রাখেন, পিআর ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোনো সাংবিধানিক অধিকার থাকবে কি না। তিনি বলেন, যেখানে সর্বশেষ জরিপে ৫৬ শতাংশ মানুষই পিআর বোঝে না, সেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর সমর্থন করে—এমন দাবি বিভ্রান্তিকর।

সংবিধান ও গণতান্ত্রিক গুরুত্ব

বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের চেষ্টা মানেই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে সুযোগ করে দেওয়া।

সংবিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সংবিধান ছেলে খেলা নয়। ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না।” তিনি বলেন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন করলেই তা স্থায়ী হয়ে যাবে—এমন ধারণা ভুল। তিনি জোর দেন যে, তর্ক-বিতর্ক ও ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে, যাতে জনগণ ও দেশ বিজয়ী হয়।

অনুষ্ঠানে এনডিপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ্ আল হারুন (সোহেল), সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ এনডিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১৪:২৪:২২
পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই মূলত নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, জামায়াত যাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে ও বক্তব্য দিচ্ছে, ‘২৪ এর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী ছিল’—তা প্রকাশ করা উচিত।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এনডিপি’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

পিআর আন্দোলন ও বিভ্রান্তির অভিযোগ

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পিআরসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াত ও অন্যান্য দলের কার্যক্রম গণতান্ত্রিক চর্চা। তবে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কাদের ইশতেহার গ্রহণ করবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মন্তব্য করেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, তারাই নির্বাচন বিলম্ব ও বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “জনগণকে বিভ্রান্ত করতে কোনো আন্দোলন করা সঠিক হবে না।”

গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা

সালাহউদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে গাজা অভিমুখে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহরে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি জাতিসংঘকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।


গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ১১:১৪:০৪
গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে হামাস। শুক্রবার সংস্থাটি জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অবিলম্বে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।

হোয়াইট হাউস সোমবার এ প্রস্তাব প্রকাশ করে। ২০ দফার এ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি প্রস্তাবের প্রতি ‘সতর্ক সমর্থন’ ব্যক্ত করেন।

গাজা সংকট সমাধানে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা

১. সন্ত্রাসমুক্ত গাজা: গাজাকে সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য হুমকিমুক্ত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

২. গাজার পুনর্গঠন: দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে গাজার উন্নয়ন ও পুনর্গঠন করা হবে।

৩. যুদ্ধবিরতি: উভয় পক্ষ প্রস্তাবে রাজি হলে যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হবে। ইসরায়েল সেনা নির্দিষ্ট সীমারেখায় সরে যাবে, সব সামরিক অভিযান (বিমান ও আর্টিলারি হামলা সহ) বন্ধ থাকবে।

৪. জিম্মি মুক্তি: ইসরায়েল প্রকাশ্যে চুক্তি গ্রহণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি (জীবিত ও মৃত) ফেরত দেওয়া হবে।

৫. বন্দি বিনিময়: জিম্মি মুক্তির পর ইসরায়েল ২৫০ জন আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১,৭০০ আটক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে নারী-শিশুও থাকবে। মৃত ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

৬. আমনেস্টি: জিম্মি মুক্তির পর যারা অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান মেনে নেবে, সেই হামাস সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হবে। যারা গাজা ছেড়ে যেতে চাইবে, তাদের নিরাপদ পথে পাঠানো হবে।

৭. মানবিক সহায়তা: চুক্তি স্বাক্ষরের পরই ব্যাপক মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে—বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, হাসপাতাল, বেকারি পুনর্গঠন ও ধ্বংসস্তুপ অপসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

৮. সহায়তা বিতরণ: জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে গাজায় সহায়তা প্রবাহিত হবে। রাফাহ সীমান্ত একই প্রক্রিয়ায় উভয়দিকে খোলা থাকবে।

৯. অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা: গাজা পরিচালনা করবে প্রযুক্তিবিদ ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায়। তদারকির দায়িত্ব থাকবে নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা “বোর্ড অব পিস”–এর হাতে, যার নেতৃত্ব দেবেন ট্রাম্প। টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য বিশ্বনেতারা যুক্ত হবেন।

১০. অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা: মধ্যপ্রাচ্যের সফল শহরগুলোর মডেল ধরে গাজার পুনর্গঠন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

১১. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: গাজায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে, যেখানে শুল্ক ও বাণিজ্য সুবিধা থাকবে।

১২. গাজা ত্যাগে স্বাধীনতা: কেউ চাইলে গাজা ছেড়ে যেতে পারবে এবং চাইলে পুনরায় ফিরে আসতে পারবে। তবে মানুষকে গাজায় থেকে পুনর্গঠনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হবে।

১৩. হামাসের শাসনে নিষেধাজ্ঞা: হামাস ও অন্যান্য দল গাজার শাসনে কোনোভাবেই অংশ নেবে না। সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করে অস্ত্র জব্দ করা হবে, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকরণ হবে।

১৪. আঞ্চলিক গ্যারান্টি: আঞ্চলিক সহযোগীরা নিশ্চয়তা দেবে যে হামাস চুক্তি মানছে এবং গাজা প্রতিবেশীদের জন্য হুমকি নয়।

১৫. আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (ISF): যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করবে। এ বাহিনী ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং ইসরায়েল-মিসরের সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করবে।

১৬. ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার: গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না ইসরায়েল। আইডিএফ ধাপে ধাপে এলাকা ছেড়ে দেবে, যতক্ষণ না গাজা নিরাপদ ও নিরস্ত্র হয়।

১৭. প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে: হামাস দেরি করলে বা প্রত্যাখ্যান করলে সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় উন্নয়ন ও সহায়তা কার্যক্রম চলবে।

১৮. ধর্মীয় সংলাপ: ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান জোরদার করতে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ চালানো হবে।

১৯. ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সংস্কার প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করলে স্বশাসন ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি হবে।

২০. দীর্ঘমেয়াদি শান্তি: যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংলাপ চালিয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সহাবস্থানের রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করবে।

-আলমগীর হোসেন


সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৪ ০০:৫১:৫৩
সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া জোরদারভাবে চলছে। প্রতিটি আসনে যোগ্য প্রার্থীর তালিকা থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,

“বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক, উদার রাজনৈতিক দল। প্রতিটি আসনে আমাদের একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। অনেক আসনে ১০ থেকে ১২ জন পর্যন্ত প্রার্থী আছে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাছাই করছি। শিগগিরই একক প্রার্থী মাঠে নামবে, তবে তা অফিসিয়াল ঘোষণা হবে নির্বাচনের তফসিল প্রকাশের পর।”

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, জরুরি কিছু ছাড়া এমন কোনো বিষয় সামনে আনা উচিত নয়, যা জাতীয় জীবনে নতুন সংকট সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

“গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রের প্রশ্নে এক থাকবে।”

আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি।

“যা হবে, বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালালেও কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা দিল্লিতে বসে দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের উচিত তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি কোর্টে মামলা করা।”

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,

“বর্তমান সরকারকে মানুষ পাঁচ বছর চায়—এমন কথা উত্থাপন না করলেও পারতেন প্রধান উপদেষ্টা।”

সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে সুসংগঠিতভাবে অগ্রসর হচ্ছে। একদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ এগোচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও নতুনভাবে উত্থাপন করেছেন।


এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৯:৩৭:০১
এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও এনসিপির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে চলমান বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হলে তিনি কোনো মামলা করবেন না। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।

মান্নার মন্তব্য ও অঙ্গীকার

ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে মাহমুদুর রহমান মান্না লেখেন, তিনি এনসিপি’র প্রতি সহানুভূতিশীল। তিনি বলেন,

“যারা জুলাই অভ্যুত্থান করেছে, তাদের বয়সের কারণে, অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ উৎখাতের কথা বিবেচনা করে আমি তাদের প্রতি দরদী। শাপলা প্রতীক যদি তাদের দিয়ে দেয়, আমি একটা অঙ্গীকার করতে পারি আমি কোনো মামলা করব না।”

তবে মান্না এই শর্তও জুড়ে দেন যে, যদি জাতীয় প্রতীকের কারণে তাকে শাপলা প্রতীক না দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন আর কাউকে এই প্রতীক দিতে পারে না।

ইসি’র চিঠি ও জটিলতা

এদিকে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে একটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে চিঠি দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ এনসিপিকে এই চিঠি পাঠান।

প্রতীকের তালিকা: চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী এনসিপির পছন্দের প্রথম প্রতীক ‘শাপলা’ বর্তমান তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এটি বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিকল্প বেছে নেওয়ার নির্দেশ: এই জটিলতা নিরসনে ইসি এনসিপিকে তাদের দেওয়া প্রতীকের তালিকা থেকে, যা এখনও বরাদ্দ হয়নি, এমন একটি প্রতীক আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে পছন্দ করে নিতে অনুরোধ করেছে।


শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৮:৫৫:৪৪
শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) এবার তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ নয়, বরং বেগুন, বালতিসহ ৫০টির বেশি প্রতীক থেকে নিজেদের মার্কা বাছাই করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সংস্থাটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

শাপলা প্রতীকে ইসির আপত্তি

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানায়, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৯(১) মোতাবেক প্রার্থীর প্রতীক ‘শাপলা’ অন্তর্ভুক্ত নেই।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, শাপলা প্রতীক না পেলে তা আদায় করে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তাতে কর্ণপাত করেননি। সিইসি বলেন, “আমরা মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ তারা তো দেশদ্রোহী না, দেশপ্রেমিক।” তিনি বলেন, ইসি যথারীতি আইন মোতাবেক কাজ করেই যাবে।

৫০টি প্রতীক থেকে বাছাইয়ের নির্দেশ

চিঠিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধনের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এনসিপিকে ৭ অক্টোবরের মধ্যে ইসি’তে বরাদ্দ হয়নি এমন একটি প্রতীক পছন্দ করে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।

যেসব প্রতীক থেকে এনসিপিকে বাছাই করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, মোবাইল ফোন, হাঁস ও হেলিকপ্টার।

নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ও প্রতীক

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হওয়ার পর মোট ৫৬টি দল নিবন্ধন পেলেও, পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপাসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের বাইরের প্রতীকগুলো নতুন দল ও সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এনসিপিসহ দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং আরও ১৩টি দলের আবেদন পর্যালোচনাধীন রয়েছে।


এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৬:০৪:০৭
এনসিপি’র সংবাদ সম্মেলন বয়কট করলেন সাংবাদিকরা
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে ফিরে যান।

বেলা পৌনে ১০টার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সফরসঙ্গীরা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে দেশে ফেরেন। তাদের সফর নিয়ে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।

যেভাবে ঘটল লাঞ্ছনার ঘটনা

ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে যখন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ব্রিফিং করছিলেন, তখন সেখানে উপস্থিত এনসিপি নেতারা উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখন একজন গণমাধ্যমকর্মী তাদের থামতে অনুরোধ করেন।

এই অনুরোধের পর এনসিপি নেতাকর্মীরা উল্টো গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন বয়কট করে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সফরে ছিলেন যারা

উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা।


নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৯:২৪:৩৬
নীতি পরিবর্তন না হলে দেশ আবার ডাকাততন্ত্র হবে: মুফতি ফয়জুল করিম
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, দেশে চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্ষণ ও দুর্নীতি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গিয়ে যদি আবারও লুটপাট, জুলুমবাজি, ধর্ষণ ও ব্যভিচার হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় পটুয়াখালীর ঝাউবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতার নয়, নীতির পরিবর্তন দরকার

মুফতি ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেওয়ার কারণে নিরপরাধ মানুষ খুন হচ্ছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করেছে, কিন্তু সেই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে জনগণ তা মানবে না।

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, যেখানে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি থাকবে না। বৈষম্য দূর হবে, গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। কেউ খোলা আকাশের নিচে ঘুমাবে না, চিকিৎসার অভাবে মরবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে না।” তিনি আরও বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এজন্য শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন প্রয়োজন।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) উপাধাক্ষ্য মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি মুহাম্মাদ হাবিবুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পাঠকের মতামত: