মরক্কোতে জেন-জি বিক্ষোভ: পুলিশ স্টেশনে আগুন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৭:১৭:০০
মরক্কোতে জেন-জি বিক্ষোভ: পুলিশ স্টেশনে আগুন
ছবি: সংগৃহীত

মরক্কোতে ‘জেন-জি’ তরুণদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এর আগে বিক্ষোভে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশ স্টেশনে আগুন দেয় এবং পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

বুধবার (১ অক্টোবর) দেশটির উপকূলীয় শহর আগাদিরের লাকলিয়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত

পুলিশ জানিয়েছে, লাকলিয়া এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে একদল বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। পুলিশ দাবি করেছে, হামলাকারীরা ছুরি হাতে ছিল এবং অস্ত্র লুটের চেষ্টা করছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

জেন-জি-২১২ ও মরোক্কান ইয়ুথ ভয়েসের মতো তরুণ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিক্ষোভের ঢেউ কমপক্ষে ১১টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে তরুণরা রাস্তায় নামেন। গত শনিবার থেকে রাবাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল; কিন্তু পুলিশ গণগ্রেপ্তার শুরু করলে ক্ষোভ বাড়ে। বুধবারের পুলিশ স্টেশনে হামলা সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ।

সরকারের দ্বিমুখী আচরণ

গণগ্রেপ্তার করলেও সরকার এখন সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে জানানো হয়, তরুণদের দাবি পর্যালোচনা করার পর সরকার নিশ্চিত করছে যে, তারা প্রয়োগযোগ্য দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে আমলে নেবেন। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সরকারের আচরণ দ্বিমুখী এবং দমন-পীড়ন ও সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারে না।


ইসরায়েলের আক্রমণে পিছু হটব না: গাজামুখী নৌবহর থেকে শহিদুল আলম

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৬:৪০:০০
ইসরায়েলের আক্রমণে পিছু হটব না: গাজামুখী নৌবহর থেকে শহিদুল আলম
শহিদুল আলম। ছবি: ফেসবুক

গাজামুখী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর থেকে সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “ইসরায়েলের কোনো আক্রমণে আমরা পেছনে যাবো না, অবশ্যই সেখানে পৌঁছাবো।”

বাধার মুখেও যাত্রা অব্যাহত

শহিদুল আলম জানান, যদিও তারা মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঝড়ের ভেতর দিয়ে এসেছেন, এখন ঝড় কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, ঝড়ের আগেই গাজায় পৌঁছানোর জন্য জাহাজের ক্যাপ্টেন দ্রুত জাহাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, তাদের জাহাজ ফ্লোটিলার একেবারে শেষ অংশে রয়েছে এবং সামনের দিকের নৌযানগুলো ইতোমধ্যেই গাজার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শহিদুল আলম নিশ্চিত করেন, “সামনের দিকে যেগুলো ছিল, রাতে ইসরায়েলি হানাদার বাহিনী আক্রমণ করেছিল।” তবে তাদের জাহাজ এখনো সেই জায়গায় পৌঁছায়নি।

তিনি বলেন, “আমরা ক্রমশই কাছে এগিয়ে যাচ্ছি। সেখানে অবশ্যই পৌঁছাবো। ইসরায়েলের আক্রমণে কোনো কারণেই কোনোভাবেই পেছনে যাবো না।” বর্তমানে সমুদ্র উত্তপ্ত এবং ঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও, তারা যাত্রা চালিয়ে যাবেন বলে জানান এই আলোকচিত্রী।

https://www.facebook.com/shahidul.alam001?ref=embed_video


গাজামুখী ত্রাণবহরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৪:৪১:১৫
গাজামুখী ত্রাণবহরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী
রুহি লোরেন আখতার। ছবি: ফেসবুক

গাজার জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মানবাধিকারকর্মী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রুহি লোরেন আখতার। ইংল্যান্ডের নর্থাম্বারল্যান্ডের মোরপেথে যার জন্ম। তিনি গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই নৌবহরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

‘দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি’

বুধবার (১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুহি লোরেন লিখেছেন, গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ফ্লোটিলার অন্যান্য নৌযানের ঠিক পেছনে ‘সামারটাইম জং’ নামের একটি জাহাজে তিনি অবস্থান করছেন।

তিনি লিখেছেন:

“আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং আশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। নৌবহরের এই দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে গাজায় পৌঁছানোর শেষ চেষ্টা করছে।”

রুহি লোরেন আখতারের পরিচয়

রুহি লোরেন আখতার ‘রিফিউজি বিরিয়ানি অ্যান্ড ব্যানানাস’ (আরবিবি) নামের একটি মানবিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি যুদ্ধ ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য জরুরি খাদ্য, স্বাস্থ্যসামগ্রী, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে সংস্থাটির কার্যক্রম গাজা ও গ্রিসে চালু রয়েছে। বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর পাশে থাকার অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ রুহি ২০২৫ সালের অক্টোবরে নর্থ ইস্ট বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা লাভ করেন।


ঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত, কতদূর আগাল সুমুদ ফ্লোটিলা?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৪:৩৩:১০
ঝড়ের সতর্কতা সত্ত্বেও অভিযান অব্যাহত, কতদূর আগাল সুমুদ ফ্লোটিলা?
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কমিউনিটি প্রকাশিত ছবি। সংগৃহীত

ইসরায়েলের বাধা সত্ত্বেও গাজামুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার একটি জাহাজ গাজার আঞ্চলিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে। লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১টার দিকে ‘মিকেনো’ নামের নৌকাটি গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মিকেনোর মতো আরও কয়েকটি যান উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বেলা ১টা পর্যন্ত ২৪টি নৌকা গাজা অভিমুখে যাত্রা করছিল।

আক্রমণের মুখে শহিদুল আলমের অভিজ্ঞতা

গাজা অভিমুখী অপর একটি নৌযানে (কনশেন্স ফ্লোটিলা) আছেন একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বেলা ১টার দিকে তিনি তার ফেসবুক পেজে জানান, এটি বহরের সবশেষ নৌযান। তিনি লেখেন:

“আমরা ভয়ভীতিতে বিচলিত না হয়ে গাজার পথে অগ্রসর হচ্ছি। গ্রিসের কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ঝড়ের সতর্কতা দিয়েছে। ক্যাপ্টেন গতিবেগ বাড়িয়েছেন যাতে আমরা ঝড়ের আগেই এগিয়ে থাকতে পারি। গতরাতেও (বুধবার) আমরা ঝড়ের মুখে পড়েছিলাম। সামনের দলগুলো ইতোমধ্যে আক্রমণের শিকার হয়েছে।”

গ্রেটা থুনবার্গসহ দুই শতাধিক কর্মী আটক

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মোট প্রায় ৫০টি নৌযানে বিভিন্ন দেশের ৫০০ জন কর্মী ছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে যাচ্ছিল এই নৌবহর। তবে বুধবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী ১৩টি নৌযান সাগরে আটকে দেয় এবং সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ দুই শতাধিক অধিকারকর্মীকে আটক করে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আটককৃতদের ছবি প্রকাশ করেছে এবং তাদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আটককৃতরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন এবং তাদের ইউরোপে ‘নির্বাসন প্রক্রিয়া’ শুরু হবে।

অন্যদিকে, জর্ডান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানিয়েছেন, যেসব নৌযান এখনো চলছে, সেগুলো ইসরায়েলি জাহাজের কাছাকাছি যাওয়া মাত্রই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। আটক কিংবা হয়রানি এড়ানোর জন্য অনেক কর্মী তাদের মোবাইল ফোন সাগরে ফেলে দিচ্ছেন, যার ফলে নৌযানে থাকা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।


গাজামুখী ত্রাণবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০২ ১৩:৫৭:২৩
গাজামুখী ত্রাণবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযান
সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক কর্মীদের ইসরায়েলে নিয়ে যাচ্ছে কমান্ডোরা/ ছবি: ইসরায়েল এমএফএ

গাজামুখী ত্রাণবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযান, আটক গ্রেটা থুনবার্গসহ দুই শতাধিক কর্মীগাজামুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে কর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। আটক কর্মীদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটির দাবি, আটক সবাই ‘নিরাপদ ও সুস্থ আছেন’ এবং তাদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে ফেরত পাঠাতে ‘ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া’ শুরু করা হবে।

নৌবহরে অভিযান ও কর্মীদের গ্রেপ্তার

জানা গেছে, গত রাত থেকে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা ফ্লোটিলার অন্তত ৪৪টির মধ্যে ২১টি নৌযান আটক করেছে। এসব নৌযানে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা চলছিল।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ দেশের ২০১ জন কর্মী-সামাজিক আন্দোলনকারীকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার জাহাজগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়, জলকামান ছুড়ে আক্রমণ চালায় এবং আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে কর্মীদের আটক করে।

আটক হওয়া কর্মীদের মধ্যে স্পেন থেকে ৩০ জন, ইতালি থেকে ২২ জন, তুরস্ক থেকে ২১ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন অংশ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান

নৌবহরের একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। এছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তার রুহিও ফ্লোটিলায় ছিলেন। শহিদুল আলম ‘কনশায়েন্স’ নামে একটি বড় জাহাজে রয়েছেন, যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

অবরোধ ভাঙার অঙ্গীকার

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক জানিয়েছেন, অবৈধভাবে চালানো ইসরায়েলি বাধা সত্ত্বেও তারা গাজার অবরোধ ভাঙতে এবং একটি মানবিক করিডর খুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে ফাঁকি দিয়ে সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৩০টি জাহাজ গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৮৫ কিমি দূরে রয়েছে। ফ্লোটিলা বলছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অধিকার তাদের রয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা


গাজা অভিমুখী নৌবহর আটকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ২১:৩৬:৩৪
গাজা অভিমুখী নৌবহর আটকাতে ব্যর্থ ইসরায়েল, উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। ইসরায়েলের নৌবাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও নৌবহরটি এখন গাজার কাছাকাছি রয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই জাহাজবহরটি গাজার উপকূলে ভিড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নৌবহরে বাংলাদেশের পতাকা

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ৪৪টি দেশের ৫৫টি জাহাজ অংশগ্রহণ করছে। এতে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিল্পী এবং সাধারণ স্বেচ্ছাসেবীরা মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে গাজার উদ্দেশ্যে ছুটছেন। এই নৌবহরে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে রয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। তিনি সেখান থেকে লাল-সবুজের পতাকা হাতে ছবিও শেয়ার করেছেন।

ইসরায়েলি তৎপরতা ব্যর্থ

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ত্রাণবাহী জাহাজ বহরকে আটকাতে ইসরায়েলের নৌবাহিনী গত কয়েক দিন ধরে তৎপরতা চালালেও শেষ পর্যন্ত তারা নৌবহরটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্যতম মুখপাত্র ওয়ায়েল নাওয়ার জানিয়েছেন, যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজাকে অবরুদ্ধ করে মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, ঠিক তখন বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের নীরব ভূমিকা দেখে এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে এই কর্মীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্ব নেতাদের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করতে চান।


কাতারে হামলা হলে সামরিকভাবে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৯:৩৮:২১
কাতারে হামলা হলে সামরিকভাবে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র
গত মাসে কাতারের একটি ভবনে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গত মাসে দোহায় ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার পর কাতারের ওপর ফের আক্রমণ হলে ‘প্রতিশোধমূলক পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এই আদেশে কাতারের ওপর আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

বুধবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে কী আছে?

ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কাতারের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।”

আদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে:

কাতার রাষ্ট্রের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর যেকোনো সশস্ত্র আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

এই ধরনের আক্রমণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কাতারের স্বার্থ রক্ষা ও শান্তি-স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিকসহ সকল আইনগত এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আদেশে আরও বলা হয়, যুদ্ধমন্ত্রী (Secretary of War), পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের সমন্বয়ে কাতারের সঙ্গে যৌথ তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা বজায় রাখা হবে, যাতে কাতারের বিরুদ্ধে যেকোনো বিদেশি আগ্রাসনের দ্রুত এবং সমন্বিত প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।

হামলা ও ক্ষমার প্রসঙ্গ

প্রসঙ্গত, গত মাসে ইসরায়েল দোহায় একটি ভবন লক্ষ্য করে কয়েকটি বোমা হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি ছিল, হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। মূলত কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে রাজধানী দোহায় এই আলোচনা চলছিল। এই হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের কয়েকজন সদস্য নিহত হন এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও নিহত হন।

এই ঘটনার পর গত সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। হোয়াইট হাউস থেকে যৌথ ফোনকলে ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে ক্ষমা চান।


ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত, না হলে ব্যবস্থা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০১ ১৭:৪৯:২৯
ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করতে বললেন আদালত, না হলে ব্যবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান যুগে কম্পিউটার ও কী-বোর্ড ব্যবহার করে লেখালেখির প্রচলন বাড়লেও, হাতের লেখার গুরুত্ব কমেনি—বিশেষ করে যদি লেখক একজন চিকিৎসক হন। ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি এক আদেশে বলেছেন, পাঠযোগ্য মেডিকেল প্রেসক্রিপশন একটি মৌলিক অধিকার। আদালতের মতে, অস্পষ্ট লেখার কারণে রোগী ভুল ওষুধ সেবন করতে পারেন, যা জীবন-মৃত্যুর পার্থক্য তৈরি করতে পারে।

অস্পষ্ট হাতের লেখা ও মামলার প্রেক্ষাপট

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও অনেক চিকিৎসকের হাতের লেখা অস্পষ্ট, যা প্রায়শই ফার্মাসিস্টদেরও বুঝতে অসুবিধা তৈরি করে। তবে এই সমস্যাটি শুধু হাস্যরসের বিষয় নয়, বরং রোগীর সুরক্ষার জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের আদালত এই আদেশটি দেন ধর্ষণ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগসংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে। বিচারকরা বাদী নারীর চিকিৎসাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখেন, যার অনেক অংশই অস্পষ্ট হাতের লেখার কারণে বোঝা যাচ্ছিল না। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, “একটি শব্দ বা অক্ষরও স্পষ্টভাবে পড়া যায়নি।”

হাইকোর্ট নির্দেশ দেন:

পাঠ্যক্রমে হাতের লেখা: এখন থেকে মেডিকেল কলেজের পাঠ্যক্রমে হাতের লেখা উন্নত করার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন: দুই বছরের মধ্যে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালু করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বড় হাতের অক্ষর: ওই সময় পর্যন্ত সকল চিকিৎসককে বড় হাতের অক্ষরে স্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।

ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সভাপতি দিলীপ ভানুশালী জানিয়েছেন, শহর ও বড় শহরগুলোতে অনেক চিকিৎসক ইতোমধ্যেই ডিজিটাল প্রেসক্রিপশনে চলে গেছেন। তিনি বলেন, “তবে আমরা আমাদের সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বড় অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লেখা উচিত, যাতে রোগী ও কেমিস্ট উভয়ই পড়তে পারেন।”

সূত্র: বিবিসি


গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২১:১৫:৩৪
গাজার উপকূলে ত্রাণবাহী নৌবহর: ২০০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করল
এআই জেনারেটেড ছবি।

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলের ঘোষিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে। গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (প্রায় ২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে এই ত্রাণবাহী নৌবহর। এতে অংশগ্রহণকারী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ আন্তর্জাতিক সক্রিয়রা জানাচ্ছেন, ইসরায়েলের হুমকির কারণে যেকোনো মুহূর্তে নৌবহর বাধার মুখে পড়তে পারে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নৌবহরের সব জাহাজে অংশগ্রহণকারীরা অবস্থান করছেন এবং যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। জাহাজগুলোতে খাবার, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি সরঞ্জামসহ মানবিক সহায়তা বহন করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক আইন ও ইসরায়েলি অবস্থান

নৌবহরের একটি জাহাজে থাকা ক্রোয়েশিয়ার আইনজীবী মোরানা মিলজানোভিচ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক জলসীমা বা অন্য দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজ আটকানোর কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই।

তিনি বলেন, “ইসরায়েল কেবল তখনই আটকাতে পারে, যদি কোনো অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা থাকে বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য প্রমাণিত হুমকি থাকে। এখানে এমন কোনো প্রমাণ নেই। আমাদের চারপাশের নৌবহর মানবিক সহায়তা বহন করছে। তাই এটি নিছক মানবিক উদ্যোগ। অংশগ্রহণকারীদের ভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলেও তা প্রাসঙ্গিক নয়।”

নৌবহরটি গাজার উপকূলে পৌঁছানোর মাধ্যমে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজর কাড়ার পাশাপাশি এই উদ্যোগ ইসরায়েলি নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।

সূত্র : আল জাজিরা


ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২১:০৩:৫৭
ফাঁদ নাকি মুক্তি? ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবে ফিলিস্তিন কি মুক্তি পাবে?

গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান ঘটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০-দফার একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবকে 'ঐতিহাসিক' উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, আপাত শান্তির এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু অস্পষ্টতা এবং চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, যা ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

হোয়াইট হাউসে ঘোষিত এই পরিকল্পনার মূল কাঠামো চমকপ্রদ:

প্রথম ধাপ: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে মুক্তি পাবে ফিলিস্তিনি বন্দিরা।

শাসনের ভার: গাজার শাসনের ভার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে না দিয়ে একটি অস্থায়ী টেকনোক্র্যাট কমিটি গঠন করা হবে। এই প্রশাসনিক কমিটির তদারকির জন্য ট্রাম্প ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে গঠিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’। তবে কমিটি কীভাবে গঠিত হবে এবং তাদের দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া কী হবে, তা স্পষ্ট নয়।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্বীকৃতি: নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবেন না, যা ফিলিস্তিনিদের মূল দাবির পরিপন্থী।

মূল চ্যালেঞ্জ ও শর্ত

এই শান্তি প্রস্তাবে বহু 'কিন্তু' রয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলো দখলদারিত্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয়।

কর্তৃত্বের মানদণ্ড: মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে গাজার দায়িত্ব দেওয়া হবে না—যতক্ষণ না তারা 'সংস্কার' এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করছে। কিন্তু এই মানদণ্ড কে নির্ধারণ করবে বা এর সময়সীমা কী—তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

নিরাপত্তা বাহিনী: নিরাপত্তার জন্য ‘অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ (আইএসএফ) নিযুক্ত হবে গাজায়। কিন্তু এই বাহিনীতে কারা থাকবে, তাদের ক্ষমতা কতটা হবে, কিংবা তারা ইসরায়েলি সেনা হিসেবে কাজ করবে নাকি পর্যবেক্ষক হিসেবে— সে বিষয়েও কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।

সেনা প্রত্যাহার: গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমাও প্রস্তাবে নেই; বরং তা নির্ভর করছে ‘নিরস্ত্রীকরণের মান’ পূরণের ওপর।

এই পরিস্থিতিতে, শান্তি প্রস্তাব বাস্তবে রূপ নেবে কি না—তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। তবে সৌদি আরব, কাতার, মিসরসহ বেশ কয়েকটি দেশের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো আশার সঞ্চার করেছে।

পাঠকের মতামত: