মরক্কোতে জেন-জি বিক্ষোভ: পুলিশ স্টেশনে আগুন

মরক্কোতে ‘জেন-জি’ তরুণদের নেতৃত্বে চলা বিক্ষোভে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এর আগে বিক্ষোভে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলে বিক্ষুব্ধরা পুলিশ স্টেশনে আগুন দেয় এবং পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করে। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) দেশটির উপকূলীয় শহর আগাদিরের লাকলিয়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সূত্রপাত
পুলিশ জানিয়েছে, লাকলিয়া এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে একদল বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। পুলিশ দাবি করেছে, হামলাকারীরা ছুরি হাতে ছিল এবং অস্ত্র লুটের চেষ্টা করছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।
জেন-জি-২১২ ও মরোক্কান ইয়ুথ ভয়েসের মতো তরুণ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিক্ষোভের ঢেউ কমপক্ষে ১১টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে তরুণরা রাস্তায় নামেন। গত শনিবার থেকে রাবাতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল; কিন্তু পুলিশ গণগ্রেপ্তার শুরু করলে ক্ষোভ বাড়ে। বুধবারের পুলিশ স্টেশনে হামলা সেই ক্ষোভেরই প্রকাশ।
সরকারের দ্বিমুখী আচরণ
গণগ্রেপ্তার করলেও সরকার এখন সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে জানানো হয়, তরুণদের দাবি পর্যালোচনা করার পর সরকার নিশ্চিত করছে যে, তারা প্রয়োগযোগ্য দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে আমলে নেবেন। তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, সরকারের আচরণ দ্বিমুখী এবং দমন-পীড়ন ও সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারে না।
ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে একটি গোপন জাল বিস্তার করে আসছিল। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ইরানের ভেতরে ড্রোন ঘাঁটি তৈরি করা, গোপনে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো এবং কমান্ডো পাচার করা। সব মিলিয়ে, ইসরায়েল একটি বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত ছিল।
কিন্তু গত জুন মাসে ইরানের ওপর চালানো অতর্কিত হামলার কড়া জবাব দিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ এটিও প্রমাণ করে দেয় যে, তারাও পাল্টা আঘাত হানার জন্য প্রস্তুত ছিল।
ইসরায়েলের 'লোহার দুর্গ' হিসেবে পরিচিত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে ইরানের আক্রমণে একটি ইসরায়েলি সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে যায়। ইসরায়েল যে ফাঁদ পেতেছিল, উল্টো তারাই ইরানের এক ধরনের 'পটকা' ফাঁদে আটকা পড়ে।
সামরিক পরিভাষায় এই কৌশলকে 'ডিকয় ক্ষেপণাস্ত্র' বা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে প্রতারণা বলা হয়। এই কৌশলের মাধ্যমে ইসরায়েলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে মুহূর্তের মধ্যে দুর্বল করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল। খোদ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও এই তথ্য প্রকাশ করেছিল।
এই ডিকয় বা ভুয়া ক্ষেপণাস্ত্রটি দেখতে হুবহু আসল ক্ষেপণাস্ত্রের মতোই এবং এটি একই রকম আচরণ করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো শত্রুপক্ষের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা।
এই কৌশলটি যেভাবে কাজ করে তা হলো—আসল ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সময়ই তার সঙ্গে ধাতব 'পটকা' বা ডিকয় নিক্ষেপ করা হয়, যা থেকে তীব্র আগুন বের হতে থাকে। ইসরায়েলের আয়রন ডোমের মতো স্বয়ংক্রিয় প্রতিরাব্যবস্থাগুলো এই ধাতব বস্তুকে শনাক্ত করে এবং সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র বলে মনে করে।
যখনই সেটিকে আসল ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সেটিকে ধ্বংস করার জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মারে। এভাবে যখন প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওই ধাতব পটকার দিকে ছুটে যায় বা সেটিকে ধ্বংস করে, ঠিক সেই মুহূর্তে আয়রন ডোমের অস্ত্রভাণ্ডার খালি হতে শুরু করে। এই সুযোগেই আসল ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে তার নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত হানে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ইসরায়েলের আয়রন ডোম থেকে একবার প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়ে গেলে, সেটি পুনরায় লোড করতে প্রায় ১০ থেকে ১১ মিনিট সময় প্রয়োজন। কিন্তু ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমে শনাক্ত হওয়ার মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই সময়ের ব্যবধানের কারণেই ইসরায়েল সেই হামলায় ধরাশায়ী হয়।
ইসরায়েলকে সেই ঘটনায় পরাজিত করতে পারলেও, ইরান এখন আরও বেশি সতর্ক এবং নিজেদের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দেশটি সম্প্রতি সব আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অগ্রগতি যেকোনো মূল্যে অব্যাহত থাকবে এবং এর পাল্লা কোনোভাবেই সীমিত করা হবে না।
জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা
জেন-জি বা তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেক্সিকো। একজন মেয়রের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউমের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যা এখন দেশটির একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিক্ষোভে অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) বিবিসি একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শুধু রাজধানী মেক্সিকো সিটিতেই জেন-জির ডাকা প্রতিবাদে অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০০ জনই পুলিশ কর্মকর্তা। শনিবার হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর রাস্তায় নেমে আসেন এবং দেশে ক্রমবর্ধমান সহিংস অপরাধ ও প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভ অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম দাবি করেছেন, তার সরকারের বিরোধিতা করছেন এমন ডানপন্থি রাজনীতিবিদরা এই বিক্ষোভে অর্থায়ন করছেন এবং তারাই এটি সংগঠিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছে জেন-জির তরুণদের বিভিন্ন সংগঠন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, বিশেষ করে উরুয়াপানের মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও তীব্র হয়। মেয়র মানজো প্রকাশ্যে মাদক কার্টেল এবং সশস্ত্র পাচারকারী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং তাদের দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাতেন। গত ১ নভেম্বর 'ডে অব দ্য ডেড' (মৃতদের দিবস) উৎসবে অংশ নেওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা 'আমরা সবাই কার্লোস মানজো' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অনেকে নিহত মেয়রের প্রতি সম্মান জানিয়ে কাউবয় হ্যাট পরেও বিক্ষোভে অংশ নেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাজধানীর ন্যাশনাল প্যালেসকে রক্ষা করার জন্য স্থাপন করা ব্যারিকেডের একাংশ ভেঙে ফেলেন। ন্যাশনাল প্যালেস প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের সরকারি বাসভবন হওয়ায় এলাকাটি বিশেষ নিরাপত্তায় সুরক্ষিত ছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
মেক্সিকো সিটির নিরাপত্তা প্রধান পাবলো ভাসকেজ জানিয়েছেন, লুটপাট, হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভের আগে প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম দাবি করেছিলেন যে, অনলাইন বট ব্যবহার করে এসব বিক্ষোভের প্রচারণা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, "যুবকদের দাবি থাকতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলো— এই আন্দোলন কে সংগঠিত করছে? জনগণের জানা জরুরি যেন তারা ব্যবহৃত না হয়।"
বিবিসি জানিয়েছে, ক্ষমতায় আসার প্রথম বছরেই শেইনবাউমের প্রতি ৭০ শতাংশের বেশি মানুষের সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে ফেন্টানিল পাচারের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও প্রশংসা পেয়েছে। তবে, দেশব্যাপী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি সমালোচিতও হচ্ছেন। একই সময়ে প্রতিবেশী দেশ পেরুর সঙ্গেও মেক্সিকোর কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। চলতি মাসের শুরুতে পেরুর কংগ্রেস শেইনবাউমকে 'পারসোনা নন গ্রাটা' বা অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করে। এর আগে মেক্সিকো অভিযুক্ত একজন সাবেক পেরুভিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।
বিদেশি কর্মী নিয়োগে 'ইউ-টার্ন' সৌদির,কমছে বেতন ও সুবিধা
সৌদি আরব বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের পুরোনো নীতি থেকে সরে আসছে। একটা সময় দেশটি উচ্চ বেতনের আকর্ষণীয় প্রস্তাব বা 'স্যালারি প্রিমিয়াম' দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করত। কিন্তু এখন সেই বাস্তবতার পরিবর্তন হচ্ছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্স চারজন নিয়োগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে, সৌদি আরব এখন খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে এবং তাদের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারগুলো নতুন করে সাজাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো উদার প্রস্তাব আর দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে নির্মাণ, উৎপাদন এবং দেশটির বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলোতে এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক এই দেশটি তাদের 'ভিশন ২০৩০' নামের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো তেলের ওপর থেকে দেশের নির্ভরতা কমিয়ে আনা। একইসঙ্গে পর্যটন, রিয়েল এস্টেট, খনন ও আর্থিক খাতের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি করা। এই লক্ষ্য পূরণে দেশটি এরই মধ্যে শত শত বিলিয়ন ডলারের মেগা প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করেছে। তবে, রয়টার্সের মতে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি, যা এখনকার এই ব্যয় সংকোচনের একটি কারণ হতে পারে।
নিয়োগ খাতের প্রতিনিধিরা বলছেন, আগে এমন একটা সময় ছিল যখন কেউ সৌদিতে চাকরি নিয়ে গেলে তার বর্তমান বেতনের চেয়ে ৪০ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ পর্যন্ত বেশি বেতন পাওয়াটা খুবই সাধারণ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখনকার প্রস্তাবগুলো অনেক বেশি সংযত।
বয়ডেন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ম্যাগদি আল জায়েন বলেন, এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, সৌদি অর্থনীতি এখন খরচ কমাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, প্রচুর সংখ্যক আন্তর্জাতিক প্রার্থী সৌদিতে কাজ করতে আগ্রহী। এই সুযোগে কোম্পানিগুলো তাদের বেতন কাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ পাচ্ছে।
দুবাইভিত্তিক টাস্কান মিডল ইস্টের সিইও হাসান বাবাত একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যিনি ৬০ হাজার ডলার বেতনে ম্যানেজারের চাকরি করতেন, তিনিই সৌদিতে অনায়াসে ১ লাখ ডলারের চাকরির প্রস্তাব পেতেন। কিন্তু এখন সেই সুযোগ আর নেই।
তবে, বেতন কমানোর এই প্রবণতার মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা প্রার্থীদের জন্য সৌদি আরব এখনও একটি আকর্ষণীয় বাজার। দেশটির অর্থনীতি ২০২৫ সালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে, সরকার দেশের নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকেও ব্যাপক মনোযোগ দিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বেসরকারি খাতে সৌদি নাগরিকদের অংশগ্রহণ ৩১ শতাংশ বেড়েছে এবং দেশটিতে বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে কমে এসেছে।
ম্যাচেস ট্যালেন্টের সিইও লুইস নুটসন এই পরিবর্তনকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, এখনকার বেতন প্যাকেজগুলো বাস্তব বাজার দর, কর্মীর পারফরম্যান্স এবং তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঠিক করা হচ্ছে। বাইরে থেকে এটাকে 'সংকোচন' মনে হলেও, এটি আসলে সৌদি আরবের বাজার 'পরিপক্ক' হয়ে ওঠার লক্ষণ।
তিনি আরও বলেন, এখন সৌদিতে সেরা প্রতিভাদের আকর্ষণ করতে হলে কোম্পানিগুলোকে শুধু বেশি বেতনের প্রস্তাব দিলেই হবে না, বরং পারিবারিক জীবনযাপনের ভারসাম্য, জীবনযাত্রার খরচ মেটানোর সুবিধা এবং প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে।
সাগর যেখানে সমাধিক্ষেত্র: ভূমধ্যসাগরে আবারও ডুবল স্বপ্নের নৌকা
পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর আশা এবং উন্নত এক ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা অনেক মানুষকে ইউরোপে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ণ পথে ঠেলে দেয়। এই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার মতো চরম বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নেন।
চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে জীবন বাজি রেখে অনেকেই এই কঠিন পথ বেছে নেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো সৌভাগ্যক্রমে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন, কিন্তু বেশিরভাগেরই জীবনযাত্রা সাগরের মাঝপথেই থেমে যায়।
সম্প্রতি এই ভয়াবহ বাস্তব চিত্রটি আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আল-খুমস উপকূল থেকে প্রায় ১০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে বহনকারী দুটি নৌকা ইউরোপের পথে সাগরে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝপথেই একটি নৌকার স্বপ্নযাত্রা থেমে যায়। চোখের পলকে ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নৌকাটি উল্টে গেলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে চারজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রথম নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নৌকায় থাকা বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ত্রিপোলির উপকূলীয় এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপে যাওয়ার অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিচিত। একারণে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নিয়মিতই এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে, যা ইউরোপীয় দেশগুলোরও গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রশ্ন হলো, লিবিয়া কেন এমন একটি ট্রানজিট রুটে পরিণত হলো?
অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় রুট হিসেবে লিবিয়াকে ব্যবহার করা হয়। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়।
একসময় গাদ্দাফির শাসনামলে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা সহজে কাজের সুযোগ পেত। কিন্তু তার পতনের পর দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনীর সংঘাতে জর্জরিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে আট লাখেরও বেশি অভিবাসী লিবিয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিভিন্ন অধিকার সংগঠন এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানিয়েছে, লিবিয়ায় আশ্রয় নেওয়া এই শরণার্থী ও অভিবাসীরা স্থানীয় মিলিশিয়াদের হাতে নিয়মিতভাবে চরম নির্যাতন, ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজির শিকার হন।
অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অর্থসহায়তা দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অভিযোগ উঠেছে যে এই কোস্টগার্ড বাহিনীর সঙ্গেই নির্যাতন ও অপরাধে জড়িত মিলিশিয়াদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লিবিয়া উপকূলে একের পর এক নৌডুবিতে বহু অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটায়, জাতিসংঘের সভায় বেশ কয়েকটি দেশ লিবিয়ার অভিবাসী আটককেন্দ্রগুলো বন্ধ করার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা–ইরান ইস্যুতে রহস্যময় ফোনালাপ নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই সংলাপকে দুই দেশের নীতিমালা ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান পুনর্বিন্যাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। খবর সামাটিভির।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশেষ করে গাজা উপত্যাকার বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দুই নেতা হামাস–ইসরাইল নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির অগ্রগতি, বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের ভূমিকা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কথা বলেন তারা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, পুতিনের উদ্যোগেই শনিবার সন্ধ্যায় ফোনালাপটি অনুষ্ঠিত হয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিক বার যোগাযোগ হলেও এই আলাপটি মধ্যপ্রাচ্য–ভিত্তিক জটিল নিরাপত্তা পরিবেশে ইসরাইল–রাশিয়া সমন্বয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আলাপের সময় নেতানিয়াহু গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি, ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো এবং যুদ্ধবিরতির কার্যক্রম নিয়ে পুতিনকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, পুতিন ও নেতানিয়াহুর সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর, হামাসের আকস্মিক আক্রমণের ঠিক পরদিন। সেসময় পুতিন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে গাজায় প্রাণহানি ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসাবে, এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রে ধারাবাহিক বোমাবর্ষণের কারণে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে।
পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ২০২৫ সালের ১০ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। চুক্তির প্রথম ধাপে পারস্পরিক বন্দি বিনিময় চলছে, যার মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে আটক ফিলিস্তিনি বেসামরিক ব্যক্তিদের মুক্ত করা হচ্ছে এবং হামাস আটক ইসরাইলি বন্দিদের ফেরত দিচ্ছে।
চুক্তির অন্যান্য ধাপের মধ্যে রয়েছে গাজার পুনর্গঠন কার্যক্রম, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে হামাসবিহীন নতুন শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠা। এসব বিষয়ে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
-রাফসান
১,৪৪৪ টন সোনার সবচেয়ে বড় স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার
চীন তার আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্বর্ণ ভান্ডারের সন্ধান পেয়েছে। লিয়াওনিং প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে আবিষ্কৃত এই বিশাল স্বর্ণমজুতকে ১৯৪৯ সালের পর দেশের বৃহত্তম আবিষ্কার হিসেবে ঘোষণা করেছে চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভান্ডার শুধু পরিমাণে নয়, ভবিষ্যত অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকেও চীনের জন্য একটি নতুন কৌশলগত অধ্যায়ের সূচনা করবে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাদংগোউ নামে পরিচিত এলাকায় পাওয়া এই খনিতে মোট ২৫.৮৬ লাখ টন আকরিক রয়েছে, যেখানে প্রতি টনে গড়ে ০.৫৬ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে স্বর্ণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১,৪৪৪ টন, যা বিশ্বের অনেক দেশের জাতীয় রিজার্ভের সঙ্গে তুলনীয়। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারদরে এই স্বর্ণের মূল্য ১৬৬ বিলিয়ন ইউরোর বেশি, যা চীনের স্বর্ণ কৌশলে একটি বড় সংযোজন।
লিয়াওনিং জিওলজিক্যাল অ্যান্ড মাইনিং গ্রুপের অধীনে প্রায় এক হাজার প্রযুক্তিবিদ ও কর্মী মাত্র ১৫ মাসে অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত অল্প সময়ে এত বড় ভান্ডার শনাক্ত করা অত্যন্ত বিরল ঘটনা, যা চীনের আধুনিক খনিজ অনুসন্ধান প্রযুক্তি ও শ্রমশক্তির দক্ষতার প্রমাণ।
তবে আকরিকের মান তুলনামূলকভাবে কম হলেও এর অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা ‘উচ্চ’ এমনটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। খনন–উত্তোলন প্রকল্পটি ভবিষ্যতে চীনের শিল্প উৎপাদন, বৈদেশিক রিজার্ভ বৈচিত্র্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাইটটির নির্দিষ্ট অবস্থান প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এই আবিষ্কার এসেছে এমন সময়ে যখন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল মার্কিন ডলার, মুদ্রাস্ফীতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর স্বর্ণ কেনার প্রবণতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু চলতি বছরেই স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। উদীয়মান অর্থনীতিগুলো নিজেদের রিজার্ভ সুরক্ষিত করতে স্বর্ণ কেনায় আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বর্ণ অনুসন্ধান উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটি হুনান প্রদেশে ১,০০০ টনের বেশি মজুতের একটি স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার করে। একই বছরের অক্টোবরে গানসু প্রদেশে পাওয়া যায় আরও একটি ৪০ টনের ভান্ডার। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে চীন ৩৭৭.২৪ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি। তবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ছিল প্রায় এক হাজার টন, যার ফলে আমদানি ও মজুদ গঠন চীনের অর্থনৈতিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বার ও কয়েনের চাহিদা বছরে ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে রয়েছে চীনের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে সম্পদ সুরক্ষার তীব্র আগ্রহ। বৈশ্বিক অর্থনীতি অনিশ্চয়তায় ডুবে থাকায়, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ এখন চীনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
-শরিফুল
আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আবারও সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশ দুটির নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয় নেতাকে শান্তিচুক্তিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ দেখা গিয়েছিল। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মালয়েশিয়াতে দেশ দুটি একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। কিন্তু সেই চুক্তিটি গত সপ্তাহে থাই সরকার স্থগিত করে দেয়। থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে সীমান্তে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণের অভিযোগ তোলার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
যুদ্ধবিরতি স্থগিত হওয়ার পর বুধবার (১২ নভেম্বর) উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগ আনে। কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, থাইল্যান্ডের গুলিবর্ষণে তাদের একজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান 'এয়ার ফোর্স ওয়ানে' ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন যে, তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প জবাবে বলেন, "শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে, আজই আমি একটি যুদ্ধ থামিয়ে দিলাম।" তিনি আরও যোগ করেন, "ওরা দারুণ করছে। আমার মনে হয় ওরা ঠিক হয়ে যাবে।"
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে এই বিরোধটি শতাব্দী প্রাচীন। মূলত ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসনামলে তৈরি করা মানচিত্রের ওপর ভিত্তি করে এই সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু উভয় দেশই সীমান্তের কিছু অংশের মালিকানা দাবি করায় দীর্ঘদিন ধরে এই উত্তেজনা চলে আসছে।
প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে যে, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর আগামী ২০ মার্চ (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হতে পারে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেছেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরির রমজান মাসের চাঁদ ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, সেদিন খালি চোখে চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে।
এই হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের রমজান মাস ১৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হতে পারে। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি আরও পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এ বছর রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা-ই হয়, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদের ছুটি একদিন বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রমজান ৩০ দিন পূর্ণ হলে ১৯ মার্চ (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ মার্চ (রোববার) পর্যন্ত টানা চার দিনের ঈদ ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে, ২৩ মার্চ (সোমবার) থেকে দেশটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই পূর্বাভাস দিয়েছেন, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদের আনুষ্ঠানিক তারিখ সেদেশের 'মুন-সাইটিং কমিটি' বা চাঁদ দেখা কমিটিই চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করবে। তা সত্ত্বেও, হিসাব অনুযায়ী ২০ মার্চ তারিখেই শাওয়াল মাসের প্রথম দিন বা ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতর মুসলিমদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এর সঙ্গে যেহেতু ধর্মীয় অনুভূতি গভীরভাবে জড়িত, তাই চাঁদ দেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করবে না।
২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছে, দেশটি গাজার জন্য ২০ হাজার সৈন্য প্রস্তুত করছে। তবে আন্তর্জাতিক অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই বাহিনীকে উপত্যকায় মোতায়েন করা হবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসুদ্দিন জানিয়েছেন, এই সেনা মোতায়েনের জন্য ইন্দোনেশিয়া দুটি সম্ভাব্য পথ নিয়ে অনুসন্ধান করছে। প্রথমটি হলো জাতিসংঘের অধীনে এবং দ্বিতীয়টি হলো এমন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধীনে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে গঠিত হতে পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় বিকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, আরব দেশগুলো—বিশেষ করে সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত—যদি এই পদক্ষেপে সবুজ সংকেত দেয়, তবে ইন্দোনেশিয়া তাতে আনন্দের সঙ্গে অংশ নেবে। এর পাশাপাশি, এই সেনা মোতায়েনের জন্য ইসরায়েলের অনুমতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পুরো পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য প্রস্তাবিত ২০ দফা উদ্যোগের প্রথম ধাপের অংশ। এই উদ্যোগের আওতায় গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
সম্প্রতি জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জাকার্তা সফর করেছেন। এই সফরে তিনি গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সঙ্গে আলোচনা করেন। ওই বৈঠকে দুই দেশ গাজা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।
জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ইউসুফ আহমেদ আল-হুনাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমরা যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করব, যা গোয়েন্দা তথ্য ও হালনাগাদ পরিস্থিতি বিনিময় করবে।" তিনি আরও বলেন, গাজা সীমান্তের খুব কাছের দেশ হওয়ায় জর্ডানের তথ্য ইন্দোনেশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ইন্দোনেশিয়ার এই গোয়েন্দা তথ্যের প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই দুই দেশ ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নেও একসঙ্গে কাজ করবে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটিআই পিন্দাদ এবং জর্ডানের প্রতিষ্ঠান ডিপ এলিমেন্ট যৌথভাবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
পাঠকের মতামত:
- পুলিশ প্রশাসনে ‘বড় নাড়া’: ডিআইজি-এসপিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের রদবদল
- ইসরায়েলের গোপন ফাঁদেই উল্টো ধরা, ইরানের যে কৌশলে বোকা বনেছিল ইসরায়েল
- হাসারাঙ্গাকে ছেড়ে রিশাদের দিকে নজর? আইপিএল নিলামে টাইগারদের চাহিদা
- প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা, আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মেহজাবীন
- বয়স বাড়লেও তারুণ্য থাকবে অটুট, যদি পাতে থাকে এই শীতের সবজি!
- অতীতে ইসি সরকারের ‘মন্ত্রী’ ছিল: কাদের সিদ্দিকীর কড়া সমালোচনা
- জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ, প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার চেষ্টা
- দেশের পরিস্থিতি খুব ভালো নয়, খারাপও নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আমার প্রতি এত রাগ বা হিংসা কেন? সব অভিযোগ খণ্ডন করলেন নিগার সুলতানা
- বিদেশি কর্মী নিয়োগে 'ইউ-টার্ন' সৌদির,কমছে বেতন ও সুবিধা
- ২০২৬ সালের ব্যাংক ছুটির তালিকা প্রকাশ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
- ডেঙ্গু বা ভাইরাসের পর দুর্বলতা? প্লেটলেট বাড়বে যা খেলে
- সাগর যেখানে সমাধিক্ষেত্র: ভূমধ্যসাগরে আবারও ডুবল স্বপ্নের নৌকা
- অতীতে কেউ হাত দেয়নি, প্রবাসীদের ভোট নিয়ে যা বললেন সিইসি
- অভিনেত্রী মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- গণভোটের আইনি ভিত্তি নেই: রিজভী
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- হাসিনার রায় নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে: মির্জা ফখরুল
- ইসির সংলাপে নাটক: ঐক্যজোটের এক অংশকে বের করে দিল আরেক পক্ষ
- গাজা–ইরান ইস্যুতে রহস্যময় ফোনালাপ নেতানিয়াহুর সঙ্গে পুতিনের
- শেখ হাসিনাদের রায় সরাসরি দেখতে পাবেন যেভাবে
- ২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
- তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
- ২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
- ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
- নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
- শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
- শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
- রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
- সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
- ১,৪৪৪ টন সোনার সবচেয়ে বড় স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার
- “আমার ভাই মেয়র হবে না, ভাগিনা চেয়ারম্যান নয়”
- বিএনপির মনোনয়ন সংকট ও আসন–সমঝোতা
- ১৬ নভেম্বর সকালে ঢাকার বাতাসের মান নেমে গেল বিপজ্জনক পর্যায়ে
- রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত
- ঢাকা ও আশপাশে আজ নামাজের নির্ধারিত সময় জানুন
- আজ বন্ধ ঢাকার প্রধান যেসব মার্কেটগুলো
- এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে
- নতুন দামে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্যও কমল
- আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
- ধূমপান ছাড়ার পর শরীর যেভাবে নিজেকে 'মেরামত' করে, জানুন বিস্তারিত
- সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
- বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
- "বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- রোনালদোর শেষ খেলার পরিকল্পনা নিয়ে বড় ঘোষণা
- কাদিয়ানী ইস্যু ও পাকিস্তানি সংযোগ: বাংলাদেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার ইঙ্গিত
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড








