ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ২১:১৮:৪০
ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সই হওয়া কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেছেন, ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে সৌদি আরব প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে। তার মতে, এই চুক্তি ন্যাটো জোটের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের মতো, যেখানে এক সদস্যের ওপর আক্রমণ মানেই সবার ওপর আক্রমণ।

‘পারমাণবিক সক্ষমতা চুক্তির অন্তর্ভুক্ত’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই চুক্তিতে পারস্পরিক কৌশলগত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব অবশ্যই পাকিস্তানের পাশে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।” রয়টার্সকে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রও এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তার ভাষায়, “আমাদের সক্ষমতাগুলো অবশ্যই এই চুক্তির আওতায় ব্যবহারযোগ্য থাকবে।”

অন্যদিকে, সৌদি আরবের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন যে, এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যাতে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত।

চুক্তির পেছনের কারণ ও প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রিয়াদ সফরের সময় এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির মূল শর্ত অনুযায়ী, যেকোনো এক দেশের ওপর আগ্রাসন মানেই উভয়ের ওপর আগ্রাসন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এতে পাকিস্তান শক্তিশালী আর্থিক সহায়তা এবং একটি ‘আরব জোট’-এর সুবিধা পেতে পারে, আর সৌদি আরব পাবে একটি ‘পারমাণবিক ঢাল’।

এই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভারত জানিয়েছে, তারা এর প্রভাব তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে।

‘দরজা বন্ধ নয়’

খাজা আসিফকে ‘আরব জোট’ গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দরজা বন্ধ নয়। তবে আগেভাগে কিছু বলা যাবে না।” তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মুসলিম জনগোষ্ঠীসহ সব দেশের নিজেদের একত্রে প্রতিরক্ষা করার অধিকার আছে।


হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৬:২৯
হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান যে ওসমান হাদির এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এসেছে এবং মহাসচিব এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। গুতেরেস বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণ করে এই ঘটনার একটি দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ। এই প্রেক্ষাপটে মহাসচিব সকল রাজনৈতিক পক্ষকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে উত্তেজনা কমাতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে যাতে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর বিচার হওয়া আবশ্যক।

এর আগে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জেনেভা থেকে একটি বিশেষ বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। বিবৃতিতে তিনি বলেন যে গত বছর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের খবরে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির প্রয়াণকে তিনি একটি বড় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলকার তুর্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা কেবল সমাজের বিভেদকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সবার মৌলিক মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।


সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৪৩:২০
সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৫০০টি বৃত্তি প্রদান করা হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০টি সরকারি এবং ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রদান করে আসছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও ডিপ্লোমা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এসব কোর্সে পূর্ণ বৃত্তি সুবিধাসহ অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।

বৃত্তির আওতায় যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে তার মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, ধর্ম ও ভাষা শিক্ষা, কৃষি, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল। মোট ১০টি বিষয়ের ওপর এই বৃত্তি কার্যক্রম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

শিক্ষাগত স্তর অনুযায়ী আবেদনকারীদের বয়সসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর।

বৃত্তির আওতায় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা, কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সৌদ ইউনিভার্সিটি, তায়েফ ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন বর্ডার ইউনিভার্সিটি, হাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নাজরান বিশ্ববিদ্যালয়, জাযান বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল ক্বোরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আগে সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হতো। তবে নতুন ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে পছন্দের যেকোনো তিনটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাই শেষে মেধা ও নির্ধারিত কোটার ভিত্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।

এই উদ্দেশ্যে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “Study in Saudi” নামে একটি একক অনলাইন আবেদন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সৌদি বৃত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ও আবেদন প্রক্রিয়া জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

-রফিক


গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:২৯:৪৬
গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ এলাকার গাজা মার্টায়ার্স স্কুলে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রটি লক্ষ্য করে ইসরাইলি সেনারা গোলাবর্ষণ করে। সেখান থেকে ইতিমধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে উত্তর গাজা উপত্যকার তথাকথিত ‘ইয়েলো লাইন’-এর পশ্চিমে কমান্ড কাঠামোর কাছে কয়েকজন ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ শনাক্ত করা হয়েছিল। সেনাদের ভাষ্য অনুযায়ী হুমকির আশঙ্কা দূর করতে তারা ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে বেসামরিক হতাহতের খবরের বিষয়ে তারা অবগত এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী তাদের বিবৃতিতে অসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর দাবি করেছে।

গাজার এই রক্তক্ষয়ী ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনী বর্তমানে ‘ইয়েলো লাইন’-এর পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়েছে। তবে গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আশঙ্কা করছেন যে দুই পক্ষই শান্তি প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে যা গাজার সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।


মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ২১:২২:০০
মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তাবুক ও হাইল অঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকায় বিরল তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আনন্দের সৃষ্টি করেছে। সাধারণত মরুপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এমন আবহাওয়াজনিত দৃশ্য খুবই অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানায়, তাবুক ও হাইলের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে তুষারপাত হয়েছে। বিশেষ করে জর্ডান সীমান্তবর্তী জাবাল আল লজের উঁচু পাহাড়ি এলাকা সম্পূর্ণভাবে বরফে আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। হঠাৎ এই তুষারপাত দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে ছুটে যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে তুষারাবৃত পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন, আবার অনেকে ঐতিহ্যবাহী আরবি সংগীতের তালে নাচে মেতে উঠেছেন। এমনকি কয়েকজন পর্যটককে সেখানে অ্যাডভেঞ্চারমূলক কার্যক্রম, যেমন স্কাই ডাইভিংয়েও অংশ নিতে দেখা গেছে।

জাবাল আল লজ সৌদি আরবের অন্যতম উচ্চভূমি হিসেবে পরিচিত। এবারের তুষারপাতের ফলে পাহাড়টির বিস্তীর্ণ অংশ সাদা চাদরে ঢাকা পড়ে, যা এলাকাটিকে এক অনন্য শীতকালীন সৌন্দর্যে রূপ দিয়েছে।

সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি স্থানে তুষারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানী রিয়াদের নিকটবর্তী আল ঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের জীবনে এমন দৃশ্য দেখা অত্যন্ত বিরল। অনেকের মতে, কয়েক দশকের মধ্যে এটিই প্রথমবার ওই এলাকায় তুষারপাতের ঘটনা।

-রাফসান


হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ০৯:৫১:৫৬
হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের দৃঢ় কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার মৃত্যু ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণবিক্ষোভ এবং সহিংস ঘটনার খবর গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে হাদির মৃত্যুকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের শিরোনামে বলা হয়, “বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভের এক নেতার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু।” প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আল জাজিরা আরও উল্লেখ করে যে, হাদির মৃত্যুর খবরে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করে, “ছাত্রনেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ উত্তাল, গণমাধ্যম কার্যালয়ে আগুন।” প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি দ্রুত অস্থির হয়ে ওঠে এবং সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটে।

ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন স্থানে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে।

দ্য হিন্দু পত্রিকা তাদের শিরোনামে উল্লেখ করে, “তরুণ নেতা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা, সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ।” প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

কলকাতাভিত্তিক দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে ‘রাতভর উত্তাল’ হিসেবে বর্ণনা করে। শিরোনামে তারা উল্লেখ করে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার খবর তুলে ধরা হয়।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিও টিভি জানায়, তরুণ রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

-রাফসান


৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ২১:৩২:২২
৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি। কংগ্রেস এমপি শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যদিও পরিস্থিতি এখনই সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা নেই, তবুও এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ‘বাংলাদেশ-ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে দুই দেশের সম্পর্কের বর্তমান টানাপড়েনের জন্য বাংলাদেশে তথাকথিত ইসলামী মৌলবাদীদের উত্থান, চীনা ও পাকিস্তানি প্রভাব বৃদ্ধি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের আধিপত্যের পতনকে দায়ী করা হয়েছে।

কমিটির প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে বলা হয়েছে, একাত্তরের চ্যালেঞ্জটি ছিল অস্তিত্বগত, মানবিক এবং একটি নতুন জাতির জন্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি। এটিকে তারা প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা, রাজনৈতিক শৃঙ্খলার পরিবর্তন এবং ভারত থেকে দূরে সরে গিয়ে একটি সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নতুন করে সাজাতে বা পুনর্বিন্যাস করতে ব্যর্থ হয়, তবে নয়াদিল্লি বাংলাদেশে তার কৌশলগত গুরুত্ব হারাতে পারে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে ভারত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার মতো ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

ভারতীয় সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন এবং চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অবকাঠামো, বন্দর উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনের উপস্থিতি তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে কমিটি মোংলা বন্দর, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি এবং পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির সম্প্রসারণের মতো প্রকল্পগুলোর কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীন বর্তমানে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। এমনকি এই ইসলামী দলটির প্রতিনিধিরা চীন সফর করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এমতাবস্থায় কমিটি ভারত সরকারের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ পেশ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, বাংলাদেশে যাতে কোনো বিদেশি শক্তি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে ভারতকে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সংযোগ, বন্দর ব্যবহারের সুযোগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সুবিধা প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী নিবন্ধন পুনঃস্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্যানেলটি জানিয়েছে, এর ফলে দলটি আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, যা ভারতের নীতিনির্ধারকদের ভাবিয়ে তুলেছে।


ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ১১:২২:১০
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর
ছবি : সংগৃহীত

ভেনেজুয়েলার তেল আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলার। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির তেল শিল্প জাতীয়করণকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ ‘চুরি’ বলে অভিহিত করেছেন। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মিলার লেখেন, ভেনেজুয়েলার তেল শিল্প আমেরিকানদের ঘাম, উদ্ভাবন ও পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে। সেটিকে জবরদখল করা ছিল আমেরিকান সম্পদ ও সম্পত্তির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা। তিনি অভিযোগ করেন, এই লুট করা সম্পদ সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ও মাদক প্রবাহে ব্যবহার করা হয়েছে।

যদিও আন্তর্জাতিক আইনের ‘প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্ব’ নীতিমালা অনুযায়ী ভেনেজুয়েলার তেল দেশটির নিজস্ব সম্পদ। তবে ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলো সেখানে তেল অনুসন্ধানে জড়িত ছিল। ভেনেজুয়েলা ১৯৭৬ সালে তেল শিল্প জাতীয়করণ করে এবং রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পিডিভিএসএর অধীনে আনে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ অবশিষ্ট বিদেশি প্রকল্পগুলোও জাতীয়করণ করেন। এর ফলে কনোকোফিলিপস ও এক্সনমবিলের মতো মার্কিন তেল জায়ান্টদের দেশটি ছাড়তে হয় এবং তারা আইনি লড়াই শুরু করে। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সালিশি ট্রাইব্যুনাল এক্সনমবিলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিলেও আইনি প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়নি।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘ম্যাক্সিমাম প্রেশার’ বা সর্বোচ্চ চাপ নীতি আরও জোরদার করেছেন। মঙ্গলবার ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেলবাহী ট্যাংকারে অবরোধ আরোপের ঘোষণা দেন এবং সেগুলোকে ‘নিষেধাজ্ঞাভুক্ত’ বলে আখ্যা দেন। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, দক্ষিণ আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৌবহর দিয়ে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে চুরি করা সব তেল ও সম্পদ ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে। গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনী একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে, যা কারাকাস ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চান এবং মাদুরো আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত ট্রাম্প নৌকা উড়িয়ে দিয়ে হামলা চালিয়ে যেতে চান। গত সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি এলাকায় যেসব নৌযানকে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছে, সেগুলোর ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক মাদক প্রবাহ বা মাদুরোর নেতৃত্বে কোনো মাদক কার্টেলের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।


ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৮:৫৭:৫৬
ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব: গাজার সংকট পৌঁছাল চরমে
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় তীব্র শীতকালীন ঝড়ের কবলে পড়ে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনির দুর্দশার মধ্যেই তীব্র ঠান্ডায় জমে দুই সপ্তাহ বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জরুরি আশ্রয়সামগ্রী ও শীতবস্ত্র গাজায় প্রবেশ করানো যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে অপর্যাপ্ত আশ্রয়ে থাকা শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, সাম্প্রতিক ঝড়ে গাজাজুড়ে বহু আশ্রয়কেন্দ্র এবং ব্যক্তিগত তাবু ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার শিশু। জাতিসংঘের কাছে তাবু ও কম্বল প্রস্তুত থাকলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে সেগুলো প্রবেশে বাধা দিচ্ছে।

গাজার ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘সত্যিকারের মানবিক বিপর্যয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

কূটনৈতিক তৎপরতা এই গভীর সংকটের মধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। বৈঠকে গাজায় চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি স্থিতিশীল করা এবং নিঃশর্তভাবে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলজাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানান, কাতারের প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কোনো শর্ত রাখা যাবে না। এছাড়া যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় একটি নিরপেক্ষ ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী’ মোতায়েনের সম্ভাবনা নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সহিংসতা গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকলেও সহিংসতা পুরোপুরি থামেনি। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, গাজা সিটির কেন্দ্রীয় এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, একটি মর্টার শেল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ক্বালকিলিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৭০ হাজার ৬৬৮ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৯ জন।


ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ২১:৪১:০৮
ওমরাহ ভিসায় গিয়ে ভিক্ষা: পাকিস্তানের ভাবমূর্তি সংকট
ছবি : সংগৃহীত

ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চলতি বছর ৫১ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) সম্প্রতি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।

সংস্থাটি জানায়, ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। পবিত্র ওমরাহ পালনের নাম করে দেশটিতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে প্রায় ২৪ হাজার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে প্রায় ৬ হাজার পাকিস্তানিকে। এছাড়া আজারবাইজান থেকেও ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ২ হাজার ৫০০ জন পাকিস্তানির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এফআইএর মহাপরিচালক জানান, অনেক পাকিস্তানি ওমরাহ পালনের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যান এবং সেখান থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন। এ ধরনের অপচেষ্টার দায়েও অনেককে আটক করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুধু ভিক্ষাবৃত্তি নয়, পর্যটক ভিসার অপব্যবহারের চিত্রও উঠে এসেছে এফআইএর প্রতিবেদনে। চলতি বছর পর্যটক ভিসা নিয়ে ২৪ হাজার পাকিস্তানি কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১২ হাজার জনই আর দেশে ফেরেননি। একইভাবে মিয়ানমারে যাওয়া ৪ হাজার পর্যটকের মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জনই নিখোঁজ বা অবৈধভাবে সেখানেই থেকে গেছেন।

তবে এফআইএ প্রধান দাবি করেছেন, কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে সামগ্রিকভাবে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অভিবাসনের হার কিছুটা কমেছে। গত বছর অবৈধ অভিবাসনে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে পাকিস্তান থাকলেও, এ বছর সেই তালিকা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছে।

অবৈধ অভিবাসন কমানোর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশটির পাসপোর্টের ওপর। পাকিস্তানের পাসপোর্টের বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং ১১৮তম স্থান থেকে উন্নতি হয়ে বর্তমানে ৯২তম স্থানে পৌঁছেছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ৮ হাজার পাকিস্তানি অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছিলেন। তবে এ বছর সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে ৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে এফআইএ।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত