ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১১:১৩:১১
ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব কংগ্রেসে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। প্রস্তাবিত প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে আক্রমণ হেলিকপ্টার, সেনা পরিবহন যান, সাঁজোয়া যান এবং সহায়ক যন্ত্রাংশ।

মার্কিন প্রশাসনের সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত বিক্রির মধ্যে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের ৩০টি এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি আক্রমণ হেলিকপ্টার, ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ৩,২৫০টি পদাতিক সাঁজোয়া যান, এবং প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের সাঁজোয়া যান মেরামত ও বিদ্যুৎ সরবরাহের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে অনুমোদনের বিভিন্ন ধাপ পেরোচ্ছে।

এমন সময়ে এই প্রস্তাব এল যখন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুক্রবার গাজা সিটিতে তাদের সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত করেছে। তারা হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে তীব্র গোলাবর্ষণ চালায়। এদিকে গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা ভয়াবহ মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন এবং পালানোর কোনো পথ নেই।

এই বিক্রয় প্রস্তাব বিশ্ব নেতাদের বার্ষিক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সমবেত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে প্রকাশ পেল। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য এই সভায় গাজা সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবে। ফলে প্রস্তাবিত অস্ত্র বিক্রিকে কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ইসরায়েলকে প্রকাশ্য ও দৃঢ় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ ডেমোক্র্যাটদের একাংশ ক্রমশ ইসরায়েলের গাজা অভিযান নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করছে। গত সপ্তাহে মার্কিন সিনেটের একদল সেনেটর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির পক্ষে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং ডেমোক্র্যাটদের অর্ধেকের বেশি সম্প্রতি ইসরায়েলের জন্য অতিরিক্ত অস্ত্র বিক্রির বিরোধিতা করে ভোট দেন।

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রথম এ খবর প্রকাশ করে।

-সুত্রঃ রয়টার্স


দুই বন্ধুর ক্ষমতার লড়াইয়ে রক্তগঙ্গা সুদানে: লাশের গন্ধে ভারী বাতাস, দেড় কোটি মানুষ ঘরছাড়া

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২১:২৯:১৫
দুই বন্ধুর ক্ষমতার লড়াইয়ে রক্তগঙ্গা সুদানে: লাশের গন্ধে ভারী বাতাস, দেড় কোটি মানুষ ঘরছাড়া
ছবিঃ সংগৃহীত

উত্তরপূর্ব আফ্রিকার দেশ সুদানে চলছে ভয়াবহ এক গৃহযুদ্ধ, যার ফলে রাস্তাঘাটে শত শত মানুষের লাশ পড়ে আছে। যুদ্ধের ভয়াবহতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ জীবন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন, কিন্তু মৃত মানুষগুলোকে দাফন করার মতো লোক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাতাসে লাশের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিম দেশ সুদানের এই ধ্বংসযজ্ঞের মূলে রয়েছে দুই জেনারেলের ক্ষমতার লড়াই। এই দুই জেনারেল একসময় ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কিন্তু ক্ষমতার লিপ্সা আজ তাদের একে অপরের চরম শত্রুতে পরিণত করেছে, আর এর বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে এই সংঘাত শুরু হয়। একদিকে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সরকারি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং অন্যদিকে তারই এককালের বন্ধু মোহামেদ হামদান হেমেতি দাগালোর নেতৃত্বাধীন আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতের ফলে ইতোমধ্যে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা দেশটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

ক্ষমতার পটপরিবর্তন ও জেনারেলদের উত্থান

সুদানে বর্তমান সংঘাত শুরু হয় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিলের ধারাবাহিকতায়। এর আগে ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা তৎকালীন একনায়ক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সেনাবাহিনী (এসএএফ)-এর জেনারেল বুরহান এবং আধা-সামরিক বাহিনী (আরএসএফ)-এর প্রধান দাগালো ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে বশিরের বিরুদ্ধে গোটা সুদানজুড়ে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভের ফলে সৃষ্ট সংঘাতের সুযোগ নিয়ে ক্যু-এর মাধ্যমে বুরহান ও দাগালো বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন।

একনায়ক বশিরের পতনের পর ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান জেনারেল বুরহান অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক কাউন্সিল (টিএমসি)-এর নেতৃত্ব দেন এবং আরএসএফের প্রধান দাগালো তার সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত

এক পর্যায়ে দেশটিতে নতুন করে বেসামরিক সরকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের তীব্র চাপের মুখে দুই জেনারেল ২০১৯ সালে বেসামরিক নেতাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ২০২১ সালে তারা সেই বেসামরিক সরকারকে ভেঙে দেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আবদালা হামদককে গ্রেপ্তার করে নতুন একটি সার্বভৌম কাউন্সিল গঠন করেন।

তবে তাদের গঠিত সামরিক কাউন্সিলের ওপর জাতিসংঘের বেঁধে দেওয়া কাঠামো মেনে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ আসতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে আরএসএফ প্রধান দাগালো গভীর সংকটে পড়ে যান। তিনি বুঝতে পারেন, তার বাহিনী সরকারের সঙ্গে পুরোপুরি যুক্ত হলে দেশের রাজনীতিতে তিনি এবং তার বাহিনী ক্ষমতাহীন হয়ে পড়বেন। এই আশঙ্কার পরই ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আরএসএফ, যা দ্রুতই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।

বিদেশি সহযোগিতা ও এল-ফাশেরের পতন

চলমান এই ভয়াবহ যুদ্ধে সরকারি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মোহামেদ হামদান হেমেতি দাগালো সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছ থেকে ব্যাপক সহযোগিতা পেয়েছেন বলে জানা যায়। আরএসএফ প্রধান দাগালো আরব আমিরাতের কাছ থেকে পাওয়া ভারী অস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় সফলতা অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তারা সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ফাশের দখলে নিয়েছে। এই শহর দখলের সময় আরএসএফ ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।


কালাত জেলায় অভিযান: পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত 'ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর' ৪ সদস্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১৭:০৮:০৮
কালাত জেলায় অভিযান: পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত 'ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর' ৪ সদস্য
ছবিঃ সংগৃহীত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক সফল অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে 'ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর' চারজন সশস্ত্র সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পাক সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং এই সফল অভিযানের কথা জানিয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর আইএসপিআর (ISPR) এক বিবৃতিতে জানায়, গত শনিবার বেলুচিস্তানের কালাত জেলায় এই গোয়েন্দা তথ্য-ভিত্তিক (আইবিও) অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। মূলত উক্ত অঞ্চলে থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ভারত সমর্থন দিয়ে থাকে বলে ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। এই কারণে পাকিস্তান এই গোষ্ঠীগুলোকে ‘ভারতীয় প্রক্সি বাহিনী’ বা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামে চিহ্নিত করে।

সন্ত্রাস নির্মূল অভিযান ও অস্ত্রের উদ্ধার

আইএসপিআর তাদের বিবৃতিতে আরও জানায়, গত ১ নভেম্বর 'ভারতীয় প্রক্সি ফিতনা আল হিন্দুস্তানের জঙ্গিদের' উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনী একটি আইবিও পরিচালনা করে। অভিযানে মোট চারজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

আইএসপিআর জানিয়েছে, এই অঞ্চলে আরও কোনো ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী আছে কি না, তা খুঁজে বের করার জন্য বর্তমানে সন্ত্রাস নির্মূল অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা ও সংকল্প

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এই সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, "অপারেশন আজম-ই-ইস্তেহকামের অধীনে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার সংকল্পে জাতি তার বাহিনীর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।"

প্রসঙ্গত, বেলুচিস্তানে অভিযানের খবর জানানোর মাত্র একদিন আগে খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে দুটি পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন 'সন্ত্রাসী' নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

কেপি ও বেলুচিস্তানে হামলার বৃদ্ধি

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার মাত্রা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কেপি এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে এই হামলার মাত্রা সবচেয়ে বেশি। এসব হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু হলো পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী কর্মী এবং নিরাপত্তা বাহিনী। উল্লেখ্য, দেশটিতে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০২২ সালে সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর থেকে সন্ত্রাসী হামলা পুনরায় বৃদ্ধি পায়।


বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আকাশচুম্বী ভবনের খেতাব মালয়েশিয়ায় যে টাওয়ারের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ১২:১১:৪৪
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আকাশচুম্বী ভবনের খেতাব মালয়েশিয়ায় যে টাওয়ারের
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত ‘মেরদেকা ১১৮ টাওয়ার’ আন্তর্জাতিকভাবে বিশেষ স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বোচ্চ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই আকাশচুম্বী ভবনকে ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আকাশচুম্বী ভবন’ খেতাব দিয়েছে কনসিল অন ভার্টিক্যাল আরবানিজম (CIVU)।

এই স্বীকৃতি শুধু মালয়েশিয়ার স্থাপত্য প্রতিভাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেনি, বরং দেশের নগর নকশা ও স্থাপত্য দক্ষতাকেও বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত করেছে। কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত CIVU ২০২৫ অ্যাওয়ার্ডস সেরিমনিতে এই সম্মান প্রদান করা হয়, যেখানে বিশ্বজুড়ে অসাধারণ স্থাপত্য এবং নগর পরিকল্পনার উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

৬৭৮.৯ মিটার উচ্চতার মেরদেকা ১১৮ কেবল আকাশচুম্বী ভবন নয়, এটি মালয়েশিয়ার অগ্রগতি, ঐতিহ্য এবং জাতীয় গৌরবের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। প্রকল্পটির বিকাশকারী প্রতিষ্ঠান PNB Merdeka Ventures Sdn Bhd (PNBMV) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই স্বীকৃতি মূলত টাওয়ারটির নকশা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং পরিবেশবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক তেংকু আব. আজিজ তেংকু মাহমুদ বলেন, “এই খেতাব মালয়েশিয়ার জন্য এক বিশাল গৌরব। আমরা শুধু একটি উচ্চ টাওয়ার নির্মাণের লক্ষ্য রাখিনি, বরং এমন একটি স্থান তৈরির চেষ্টা করেছি যা ঐতিহ্য ধরে রাখবে, মানুষকে সংযুক্ত করবে এবং টেকসই উন্নয়নের অনুপ্রেরণা দেবে।” তিনি আরও যোগ করেন, মেরদেকা ১১৮ স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক হিসেবে দেশীয় শক্তি, ঐক্য এবং ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদকে প্রতিফলিত করে।

অস্ট্রেলিয়ার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ফেন্ডার কাটসালিদিসের প্রধান স্থপতি কার্ল ফেন্ডার বলেন, “মেরদেকা ১১৮ নির্মাণের প্রকল্পটি কেবল উচ্চতার জন্য প্রতিযোগিতা ছিল না; এটি মালয়েশিয়ার অতীতকে সম্মান জানিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি চিহ্ন স্থাপন করার প্রচেষ্টা।”

মেরদেকা ১১৮ কেবল স্থাপত্য এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষের নিদর্শন নয়, এটি দেশের জাতীয় পরিচয়, সাংস্কৃতিক ঐক্য এবং ভবিষ্যতের টেকসই নগরায়নের প্রতিফলন হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।


খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে দিলেন কড়া শর্তাবলী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ০৯:১৪:৪৬
খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে দিলেন কড়া শর্তাবলী
ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, যদি তারা ইরানের সঙ্গে কার্যকর ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়, তাহলে তাদের প্রথমে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে।

সোমবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র স্বভাবগতভাবে আগ্রাসী এবং স্বার্থপর। তারা সাধারণত আত্মসমর্পণ ছাড়া অন্য কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করে না। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের সম্ভাবনা আমাদের বিবেচনায় আছে। তবে প্রথমে তাদের অবশ্যই ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলো সরাতে হবে এবং এই অঞ্চলের নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব।”

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ইতিহাস জটিল। একসময় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল, কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব এবং ইসলাপন্থী শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

এর পরও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব চলেছে। বিশেষ করে গত প্রায় দুই দশক ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র:তাসনিম নিউজ


সুদানের সংঘাতে ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের গভীর সম্পৃক্ততা: বিশ্লেষকের বিস্ফোরক দাবি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ২১:০১:৪৫
সুদানের সংঘাতে ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের গভীর সম্পৃক্ততা: বিশ্লেষকের বিস্ফোরক দাবি
ফাইল ছবি। সংগৃহীত

সুদানের চলমান গৃহযুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের মতো বিদেশি শক্তির গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুদানের একজন বিশ্লেষক। তার মতে, আফ্রিকার এই দেশটিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো, মূল্যবান সোনার খনিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং একটি বিশেষ 'আরবীকরণ' এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের পতনের পর থেকেই সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দেশটি সংঘাত এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের চক্রে আটকা পড়েছে।

ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সুদানের বিশ্লেষক নাসের ইব্রাহিম দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী, বিশেষ করে আল-ফাশির শহরের পতন, ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি শক্তির ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আল-ফাশিরে গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের অভিযোগ

বিশ্লেষক নাসের ইব্রাহিম নিশ্চিত করেন যে, আল-ফাশির শহর প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর হাতে পড়েছে। তিনি এটিকে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে মাত্র তিন দিনে জাতিগত নির্মূল অভিযানের মাধ্যমে ১৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, "যা ঘটছে তা জাতিগত নির্মূলের সমান—ধর্ম, ভাষা এবং ত্বকের রঙের কারণে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।"

নাসের ইব্রাহিমের দাবি, আরএসএফ, যাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করা যেতে পারে, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরাসরি সমর্থিত। তার মতে, ইসরায়েলি সরকারও এই সংঘাতে জড়িত। এছাড়াও, লিবিয়ায় জেনারেল হাফতারের বাহিনী এবং আরএসএফকে সমর্থনকারী চাদিয়ান সরকারও এই নৃশংসতায় ভূমিকা রাখছে। তিনি সতর্ক করে দেন যে, এই ট্র্যাজেডি কেবল আল-ফাশিরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সুদানের অন্যান্য অংশেও একই রকম নৃশংসতা ছড়িয়ে পড়ছে।

আরবীকরণ এজেন্ডা ও অভ্যুত্থানের চেষ্টা

বিশ্লেষক ইব্রাহিম সুদানের গৃহযুদ্ধের সূচনা নিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী একসময় একটি কাঠামো চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিল, যা আরএসএফ সেনাবাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তার মতে, এর প্রতিক্রিয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আরএসএফকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনীর প্রতিরোধের কারণেই এই পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

নাসের ইব্রাহিম আরও বলেন, আরএসএফ 'আরব শ্রেষ্ঠত্ববাদী' মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং অ-আরব সুদানিদের তারা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অধিকারবিহীন সংখ্যালঘু হিসেবে দেখে। মূলত এই যুদ্ধের সূত্রপাত আরএসএফের সুদানকে আরবীকরণ করার প্রচেষ্টা থেকে। এটি একটি আদর্শিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা, যা সুদানের সেনাবাহিনী এখনো প্রতিরোধ করে চলেছে।

বিদেশি হস্তক্ষেপের মূল কারণ

কেন সুদান বিদেশি শক্তির কাছে এত কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেই প্রশ্নের জবাবে নাসের ইব্রাহিম তিনটি প্রধান কারণ তুলে ধরেন:

১. সোনার খনি নিয়ন্ত্রণ: সুদানের বিশাল সোনার খনিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম প্রধান কারণ, যা আফ্রিকার অব্যবহৃত সম্পদের বৃহত্তম মজুদের একটি।

২. ইসলাম-বিরোধী এজেন্ডা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইসলাম-বিরোধী এজেন্ডা রয়েছে। দেশটি পশ্চিমা শক্তিগুলোর নির্ধারিত মিশন নিয়ে এই অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনগুলোকে দমন করতে চায়।

৩. আদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রভাব: সংযুক্ত আরব আমিরাত সুদানের পরিচয় পুনর্গঠন এবং সেখানে তাদের প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে 'আরবীকরণ' এজেন্ডা চালাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আরব আমিরাত জাতিগত নির্মূল এবং জনসংখ্যাতাত্ত্বিক প্রকৌশলে অবদান রেখেছে।

তিনি স্পষ্ট করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত একা কাজ করছে না, পশ্চিমা শক্তি এবং ইসরায়েলি সরকারও এই কাজে জড়িত। তার মতে, সুদানের এই ট্র্যাজেডি লিবিয়া, ইয়েমেন, ইরাক ও লেবাননের মতো অন্যান্য অঞ্চলে দেখা যাওয়া বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের অংশ।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার মূল্যায়ন

নাসের ইব্রাহিম আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেন, বর্তমানে সুদানজুড়ে একটি জনপ্রিয় স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে: "সুদান ছাড়া সুদানের আর কোনো বন্ধু নেই।" তিনি মনে করেন, এই বাক্যাংশটি একটি বেদনাদায়ক সত্যকে প্রতিফলিত করে, কারণ কোনো সরকারই সুদানকে সত্যিকার অর্থে সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক নৃশংসতার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া মূলত কেবল মিডিয়া কভারেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, কোনো গুরুতর রাজনৈতিক বা মানবিক পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আল-ফাশিরের গণহত্যা গাজায় যা ঘটছে, তা প্রতিফলিত করে। মনে হচ্ছে, সুদানের অপরাধীদের প্রতি বিশ্বের প্রতিক্রিয়া গাজায় হত্যাকাণ্ডের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়ার মতোই নীরব থাকবে। তবে, তিনি আশাবাদী যে নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর চাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সম্পৃক্ততার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচারণার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের অবস্থান দুর্বল করে দিতে পারে।


সুদানে রক্তপাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি তুরস্কের এরদোয়ানের জরুরি আহ্বান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৭:২১:০৩
সুদানে রক্তপাত বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি তুরস্কের এরদোয়ানের জরুরি আহ্বান
ছবিঃ সংগৃহীত

সুদানে প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হাতে গুরুত্বপূর্ণ শহর এল-ফাশেরের পতনের পর দেশটিতে চলমান রক্তপাত বন্ধের জন্য মুসলিমবিশ্বকে তাদের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নীরব থাকা উচিত নয়।

সোমবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-এর অর্থনৈতিক সম্মেলনে প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কারো হৃদয়ে ন্যূনতম সহমর্মিতা থাকলে... এল-ফাশেরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে সাম্প্রতিক গণহত্যা মেনে নিতে পারে না। আমরা নীরব থাকতে পারি না।”

মুসলিম বিশ্বের কাঁধে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব

এরদোয়ান দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, সুদানে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব নিঃসন্দেহে মুসলিম বিশ্বের ওপর বর্তায়। তিনি ওআইসি-এর ৫৭ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি সংহতি ও স্বনির্ভরতার বার্তা দেন। তিনি বলেন, “মুসলিম হিসেবে আমাদের অন্যদের কাছে সাহায্য না চেয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে হবে।”

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, এই কঠিন সময়ে সুদানের জনগণের পাশে থাকা এবং মানবিক সহায়তা ও উন্নয়ন সমর্থন অব্যাহত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সুদানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করার গুরুত্বের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তুরস্ক বর্তমানে ৫৭-সদস্যের ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের সংহতি বাড়ানোকে তার প্রধান ভূমিকা হিসেবে দেখে।

এল-ফাশেরের পতন ও মানবিক সংকট

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, আরএসএফ প্যারামিলিটারিরা এল-ফাশের শহর থেকে সুদানি সেনাবাহিনীকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৮ মাসের অবরোধের পর এল-ফাশের শহরটি দারফুর অঞ্চলে সুদানি সেনাবাহিনীর শেষ সামরিক ঘাঁটি ছিল, যা মারাত্মক দুর্ভিক্ষ এবং নিরন্তর বোমাবর্ষণের দ্বারা চিহ্নিত হয়েছে।

সংবাদ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ এখনো শহরটির ভেতরে আটকা পড়ে আছে। সেখান থেকে গণহত্যা, যৌন সহিংসতা, সাহায্য কর্মীদের ওপর হামলা, লুটপাট এবং অপহরণের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার খবর আসছে। সংঘাতের কারণে ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশিরভাগই বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানের বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তুরস্ক প্রকাশ্যে প্যারামিলিটারি র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুদানি সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। জাতিসংঘের মতে, সুদানের সংঘাতে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি ও ক্ষুধার সংকটের সৃষ্টি করেছে।


রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৭:১৪:৪১
রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনা। পুরোনো ছবি

ইরান তার জ্বালানি উৎপাদনে পরিচ্ছন্ন এবং টেকসই উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার সহযোগিতায় ৮টি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (০২ নভেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) প্রধান মোহাম্মদ এসলামি এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি দেন।

জ্বালানি স্বনির্ভরতার পথে ইরান

এইওআই প্রধান মোহাম্মদ এসলামি জানান, ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্প্রতি নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার অধীনে এই ৮টি পারমাণবিক কেন্দ্র যৌথভাবে নির্মিত হবে। এই বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে ইরান ২০ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে চায়, যা দেশটির জ্বালানি স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়নের পথে এক বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এসলামির ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন এই আটটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে চারটি বুশেহর প্রদেশে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি চারটি কেন্দ্র ইরানের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি করা হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে এসব স্থানের নাম ঘোষণা করা হবে।

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ

বিভিন্ন এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ইরান তার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য স্থিতিশীল ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। মোহাম্মদ এসলামি আরও জানান যে, ইরানের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলেও একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে গোলেস্তান প্রদেশে একটি নতুন পারমাণবিক প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং সেখানে কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাশিয়ার সঙ্গে এই সহযোগিতা চুক্তিকে ইরান তার বিদ্যুৎ উৎপাদন কাঠামোতে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে দেখছে।


গাজা শান্তি উদ্যোগে মুসলিম ঐক্যের ডাক, ইস্তাম্বুলে ছয় দেশের বৈঠক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:৪৮:০৭
গাজা শান্তি উদ্যোগে মুসলিম ঐক্যের ডাক, ইস্তাম্বুলে ছয় দেশের বৈঠক
ছবি: আল জাজিরা

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সোমবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ দ্রুত ফিলিস্তিনিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), জর্ডান, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি হবে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া, মানবিক সহায়তা, এবং যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনিক কাঠামো।

সূত্রটির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, হাকান ফিদান বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ ও যৌথ কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের গুরুত্বের ওপর বিশেষ জোর দেবেন, যাতে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নিতে পারে। তিনি আশা করছেন, মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর অবস্থান গাজায় টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকটি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-পরবর্তী ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকা পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, এবং আন্তর্জাতিক মহল এখন কার্যকর ও ফিলিস্তিন-কেন্দ্রিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের হাতে নিজেদের ভূমির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়াই শান্তির একমাত্র পথ।”

রয়টার্স জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মানবিক করিডোর, পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার বিষয়েও আলোচনা করবে। এর পাশাপাশি, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা কীভাবে নির্ধারিত হবে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তুরস্কের এই উদ্যোগ মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত ফিলিস্তিন নীতি গঠনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন আশার সঞ্চার করবে।

-আল জাজিরা


তালেবান ও আইএসআই: সীমান্ত থেকে কাবুল পর্যন্ত ইতিহাসের প্রথম সংযোগ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১২:৩১:৪২
তালেবান ও আইএসআই: সীমান্ত থেকে কাবুল পর্যন্ত ইতিহাসের প্রথম সংযোগ
ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ৩০ বছর আগে পাকিস্তানের একজন প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল এক ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ, যা পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং আফগানিস্তানের এক সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। 당시 সীমান্তের দুই পাশের কেউই কল্পনা করতে পারেনি যে, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে এই ছোট গোষ্ঠী ‘তালেবান’ নামে পরিচিত হয়ে আফগানিস্তানের প্রায় অধিকাংশ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করবে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান কেন এই পদক্ষেপ নিয়েছিল, আইএসআই এই সময়ে কী ধারণা পোষণ করছিল এবং এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ও ফলাফল কী ছিল। সীমান্তে সংঘর্ষ, হামলা এবং কথার লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা এটিকে প্রাচীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবসানের সূচনা হিসেবে দেখছেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানকে এ বিষয়ে দায়ী করার অভিযোগ উঠেছে, তবে সম্পর্কের সূচনা ও প্রেক্ষাপট স্পষ্টভাবে ইতিহাসে রেকর্ড করা আছে।

স্টিভ কোলের ‘Ghost Wars’ বইয়ে বেনজির ভুট্টোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন, পাকিস্তানের জন্য আফগানিস্তানের মাধ্যমে বাণিজ্য পথ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত লাভজনক হবে। তিনি পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় তুলা, জ্বালানি ও ইলেকট্রনিক পণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে, সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করার পর দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছিল, প্রতিটি শহর ও অঞ্চল কোনো এক পক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বেনজির ভুট্টো আফগানিস্তানে একটি নিরাপদ বাণিজ্য পথ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ ছিল না।

বেনজির ভুট্টো আফগান ইস্যুতে একটি সমন্বিত দল গঠন করেছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন সাবেক মেজর জেনারেল এবং তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিরুল্লাহ খান বাবর। নাসিরুল্লাহ খান বাবর প্রস্তাব দেন কাবুলের মধ্য দিয়ে নয়, বরং দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার ও হেরাতের মাধ্যমে একটি বিকল্প বাণিজ্য পথ তৈরি করার। বেনজির ভুট্টো এই প্রস্তাব পছন্দ করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণ আফগানিস্তান হয়ে মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য পথ কার্যকর করার উদ্যোগ নেন। তিনি আশা করেছিলেন, পাকিস্তান স্থানীয় আফগান কমান্ডারদের অর্থ প্রদান করে এই পথে বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবে। আইএসআই এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত ছিল এবং কোনোরূপ দ্বিমত ছিল না।

১৯৯৪ সালের অক্টোবর, নাসিরুল্লাহ খান বাবরের নেতৃত্বে প্রথম বাণিজ্য বহর আফগানিস্তানে পাঠানো হয়। বহরের ট্রাকে পাকিস্তানি টেক্সটাইল পণ্য বহন করা হয় এবং এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বহরটি কান্দাহার হয়ে তুর্কমেনিস্তানে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত ছিল। আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ আশরাফ কাজী ২০২১ সালে সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাকগুলো তুলা বহন করছিল। পাকিস্তানে তুলার ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি, সড়কপথে তুলা আনা ছিল সমুদ্রপথের তুলনায় দ্রুত এবং সস্তা। তবে হেরাত থেকে কান্দাহারের পথে স্থানীয় একজন কমান্ডার ট্রাকগুলো থামিয়ে লুটপাট চালায় এবং বহরের লোকজনকে বন্দি করে।

এ পরিস্থিতিতে নাসিরুল্লাহ খান বাবর আইএসআইকে অবহিত করেন। আইএসআই এবং নাসিরুল্লাহ খান বাবর একযোগে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন, যাতে অপহৃতদের মুক্তি এবং ট্রাকগুলো ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রক্রিয়াটি পাকিস্তান ও তালেবানের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। তালেবান বিনিময় ছাড়া ট্রাক ও বন্দিদের মুক্তি দেয়। ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের গোপন চিঠি (১৯৯৫, তালেবান ফাইলস) এই ঘটনার আলাদা বিবরণ তুলে ধরে, যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি বাণিজ্য বহরের ওপর তালেবানের মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং তারা বাধা সরিয়ে দেয়।

তালেবানের শুরুর গল্পও এ সময়ের মধ্যে শুরু হয়। মোল্লা ওমরের তত্ত্বাবধানে কিছু সশস্ত্র তালেবান মাইওয়ান্দে সক্রিয় হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজি বশির নূরজাই তাদের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করেন। শুরুতে হামিদ কারজাইও তাদের সহায়তা প্রদান করেছিলেন, যিনি পরে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। তালেবান পরবর্তীতে স্পিন বোলদাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে অস্ত্র ও লজিস্টিক সুবিধা সংগ্রহ করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কাল থেকে কমান্ডারদের সহযোগিতায় ১৭টি সুড়ঙ্গে অস্ত্র মজুদ করা হয়, যা তাদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আইএসআই-এর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ এবং ১৮,০০০ কালাশনিকভ ছিল।

জাভেদ আশরাফ কাজী জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা পাকিস্তানের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছিলেন। তাদের মূল চাহিদা ছিল খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য সরবরাহ, অস্ত্র বা অর্থ নয়। শুরুতে পাকিস্তান আফগান সংঘাতে মোটাদাগে নিরপেক্ষ ছিল এবং আইএসআই মূলত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। বেনজির ভুট্টোও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার সরকার আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি এবং কোনো গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়নি। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন সফরে তিনি একই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তালেবান তখন কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

বেনজির ভুট্টো উল্লেখ করেছেন, অতীতে পশ্চিমা দেশগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অর্থ ও অস্ত্র পাঠাত। তবে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার কারণে তারা কোনো গোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র বা সহায়তা দিতে সক্ষম ছিল না। এই প্রক্রিয়ার ফলে তালেবান ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত