ইউক্রেন সংকটে নতুন গতি, ফোনে ট্রাম্প-পুতিন

সত্য নিউজ: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এক নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়) তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন। এই আলাপ হবে যুদ্ধ থামিয়ে ‘রক্তপাতহীন সমাধান’ বের করার লক্ষ্য নিয়ে।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথসোশ্যালে’ শনিবার রাতে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি লিখেছেন, “আশা করছি এটি একটি ফলপ্রসূ দিন হবে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। এই সহিংস যুদ্ধ যা কখনোই হওয়া উচিত ছিল না, সেটি শেষ হবে।”
পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি ও ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে সংলাপ
ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে আলাপের পর তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ন্যাটো জোটের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতাদের সঙ্গেও টেলিফোনে আলোচনা করবেন।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস এবং রিয়া নভোস্তিকে বলেন, “আলোচনার প্রস্তুতি চলছে।” তিনি আরও জানান, দুই নেতার মধ্যে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত ফোনালাপ হয়েছে এবং সোমবারের কথোপকথনকে কেন্দ্র করে উচ্চপর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে।
শান্তি প্রচেষ্টার অচলাবস্থা
উল্লেখযোগ্য যে, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ তিন বছরে গড়িয়েছে। গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা এক মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। তবে সেই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য কোনো রাজনৈতিক অগ্রগতি না হলেও, দুই পক্ষ বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে একমত হয়। ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ওই বৈঠকে অংশ নিতে প্রস্তুত ছিলেন যদি পুতিন উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইস্তাম্বুলে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
গত বৃহস্পতিবার এক বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেন, “যতক্ষণ না পুতিন এবং আমি সরাসরি একসঙ্গে বসছি, ততক্ষণ ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয়।” এই বক্তব্যের মাত্র দুদিনের মাথায় ফোনালাপের ঘোষণা তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে একটি বাস্তব রূপ দিল।
বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের রাজনৈতিক অবস্থান ও কূটনৈতিক ভূমিকা
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই কূটনৈতিক উদ্যোগ ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক সক্ষমতা তুলে ধরার কৌশল হতে পারে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসন যেখানে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তায় মনোযোগী, সেখানে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ ‘শান্তিপ্রয়াসের একটি বিকল্প ধারা’ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
তবে এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করবে পুতিন ও জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়ার ওপর, এবং আন্তর্জাতিক জোটগুলোর সমর্থনের মাত্রার ওপর।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ
- সোনাক্ষীর ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তি পেছাল, ঘোষণা দিলেন নতুন তারিখ
- দেশের ৬ জেলায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত