সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে

জুলাই–আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষের ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ার পর বর্তমানে আসামিপক্ষের জেরার মুখোমুখি আছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জেরা কার্যক্রম রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাহিদ ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুপুর আড়াইটায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিয়োজিত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় তা পরবর্তী তারিখে মুলতবি করা হয়।
সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মামুনুর রশীদসহ অন্যান্যরা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নাহিদ ইসলাম জবানবন্দি দেন, যার অবশিষ্ট অংশ বৃহস্পতিবার শেষ করা হয়।
একই মামলায় বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষীতে পরিণত হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। তিনি এর আগে ২ সেপ্টেম্বর ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন এবং ৪ সেপ্টেম্বর তা শেষ করেন। তার সাক্ষ্যে উঠে আসে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে দেশজুড়ে ব্যাপক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এ জন্য তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অন্যান্য সাক্ষীরাও একই সময়ে আন্দোলনের মধ্যে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করেছেন। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা স্পষ্টভাবে দাবি করেছেন, এসব অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। এরপর ৩ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি প্রায় আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দকৃত প্রমাণাদি ও দলিল চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদ পরিবারের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায় সন্নিবেশিত। রাষ্ট্রপক্ষের তালিকাভুক্ত সাক্ষীর সংখ্যা ৮১ জন।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর মামলার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এবং বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীর ভাটারায় মো. জাহাঙ্গীর হত্যা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন—এমন আশঙ্কায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ভাটারা থানার উপপরিদর্শক নাজমুল আমিন আদালতে আবেদন করেন। আদালত গত ২ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার এজলাসে আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আওয়ামী লীগের বেশ কিছু শীর্ষ নেতা ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন, কে এম নুরুল হুদা ও হাবিবুল আওয়াল। এছাড়া আওয়ামী মহিলা লীগের সদস্য নুজহাত সারওয়াত তমা, মিরপুর যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, শেরেবাংলা নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বশির আহমেদসহ আরও অনেকে আছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ২০২৪ সালের ২১ জুলাই ভাটারা থানার অন্তর্গত এলাকায় নিহত জাহাঙ্গীর আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করেন। আওয়ামী লীগের আর্থিক জোগানদাতাদের সহযোগিতায় তারা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এই হামলায় গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীর এবং পরে তার মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভাটারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে এবং আদালতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এই সিদ্ধান্ত মামলার আইনি প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
-রফিক
আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
জুলাই আন্দোলনের শেষ দিনে যাত্রাবাড়ীতে শ্রমিক মো. রিয়াজ নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার শুনানি বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ সাতজন আসামিকে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় এবং পরে এজলাসে তোলা হয়। আসামিদের সবার হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাদের পুনরায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।” তিনি বারবার একই বক্তব্য পুনরাবৃত্তি করেন। এসময় মামলার অন্য আসামিরা নীরবে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
শুনানির সময় ভিন্ন একটি ঘটনা ঘটে। সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা আদালতের কাছে আবেদন করেন, যাতে তার মক্কেলকে বিশেষ খাবার (স্যান্ডউইচ ও ড্রাই ফুড) সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি যুক্তি দেন যে, আমির হোসেন আমু প্রবীণ এবং নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, এজন্য তাকে নির্দিষ্ট বিরতিতে খাবার খেতে হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এ আবেদনের বিরোধিতা করেন এবং শেষ পর্যন্ত আদালত বিশেষ খাবার দেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, মামলার অভিযোগে বলা হয় যে ৫ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের শেষ দিনে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শ্রমিক মো. রিয়াজ। এই ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকে আসামি করা হয়।
-রফিক
বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল

শেখ তাইজুল ইসলাম
আইনজীবী, সুপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ব্যক্তিগত শত্রুতা, সম্পত্তি বিরোধ, পারিবারিক কলহ কিংবা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রায়ই নিরপরাধ মানুষ মিথ্যা মামলার শিকার হন। মিথ্যা মামলা শুধু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে না, বরং মানসিক চাপ, আর্থিক ক্ষতি এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় ভোগান্তির কারণ হয়। তবে আইন মিথ্যা মামলার শিকারদের জন্য প্রতিরক্ষা ও পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ রেখেছে। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা, ধৈর্য এবং সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।
প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
১. সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন:যদি আশঙ্কা থাকে যে আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হতে পারে, তাহলে থানায় জিডি করুন। এটি ভবিষ্যতে প্রমাণ করবে যে আপনি আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করেছিলেন।
২. প্রমাণ সংরক্ষণ করুন:যে কোনো ঘটনা বা সম্পর্কিত বিষয়ে চ্যাট, ফোন কল রেকর্ড, ভিডিও ফুটেজ, লেনদেনের কাগজপত্র সংরক্ষণ করুন। এগুলো ভবিষ্যতে আপনার নির্দোষিতা প্রমাণ করতে সহায়ক হবে।
৩. বিশ্বাসযোগ্য আইনজীবীর পরামর্শ নিন:প্রাথমিক পর্যায়েই একজন দক্ষ আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে আপনার প্রতিরক্ষা কৌশল আগে থেকেই পরিকল্পিত হবে।
মিথ্যা মামলা হলে তাৎক্ষণিক করণীয়
১. জামিনের ব্যবস্থা করুন: মামলার ধরণ অনুযায়ী দ্রুত জামিনের আবেদন করুন। এতে অপ্রয়োজনীয় হয়রানি ও কারাবাস এড়ানো সম্ভব।
২. আইনি কৌশল নির্ধারণ করুন: অভিযোগকারীর অভিযোগ খণ্ডন করার মতো সব তথ্য, কাগজপত্র ও সাক্ষ্য সংগ্রহ করুন। আপনার আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিটি অভিযোগের যৌক্তিক জবাব দিন।
৩. মানসিক দৃঢ়তা বজায় রাখুন:মিথ্যা মামলা মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য করা হয়। তাই ভয় না পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
বিশেষ উদাহরণ: যৌতুকের মিথ্যা মামলা
বাংলাদেশে প্রায়ই দেখা যায়, যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮-এর অধীনে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়। এ ক্ষেত্রে—আসামি যদি সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন, তবে তিনি খালাস পাবেন। খালাস পাওয়ার পর অভিযুক্ত চাইলে যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮-এর ৬ ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে পারেন। এ ধারায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০,০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
পাল্টা আইনি ব্যবস্থা
১. মানহানি মামলা: অভিযোগকারীর মিথ্যা অভিযোগে আপনার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হলে মানহানির মামলা করা যায়।২. ক্ষতিপূরণ দাবি: দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় আপনার আর্থিক ক্ষতি হলে সিভিল কোর্টে ক্ষতিপূরণ দাবি করা সম্ভব।৩. দণ্ডবিধির আওতায় ব্যবস্থা: বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২১১ ধারা অনুযায়ী, কেউ যদি জেনে শুনে মিথ্যা অপরাধমূলক অভিযোগ করে, তবে তারও শাস্তি হতে পারে।
প্র্যাকটিক্যাল গাইডলাইন চেকলিস্ট (Step-by-Step করণীয়)
১. মামলা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে (প্রতিরোধমূলক ধাপ):
- থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন।
- ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কাগজপত্র, অডিও-ভিডিও, চ্যাট লগ সংরক্ষণ করুন।
- একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
২. মামলা হলে (প্রথম পদক্ষেপ):
- ভীত না হয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
- দ্রুত জামিনের জন্য আবেদন করুন।
- পুলিশের কাছে সহযোগিতা করুন, তবে ভীতি বা চাপে স্বীকারোক্তি দেবেন না।
৩. মামলার বিচার চলাকালীন:
- সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করুন।
- প্রত্যেক শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে শক্ত প্রতিরক্ষা দিন।
- আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন, কিন্তু আপনার অধিকার নিয়ে সচেতন থাকুন।
৪. খালাস পাওয়ার পর:
- অভিযোগকারী/বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে পারেন (যেমন: যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮-এর ৬ ধারা বা দণ্ডবিধির ২১১ ধারা)।
- মানহানি মামলা বা ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন।
৫. দীর্ঘমেয়াদে:
- ভবিষ্যতে এ ধরনের হয়রানি থেকে বাঁচতে সবসময় আইনগত দলিল, লেনদেনের রেকর্ড ও যোগাযোগের প্রমাণ সংরক্ষণ করুন।
- ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিরোধে লিখিত সমঝোতা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মিথ্যা মামলা বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আইন সচেতনতা, প্রস্তুতি, দক্ষ আইনজীবীর পরামর্শ ও সঠিক সময়ে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে একজন নির্দোষ ব্যক্তি শুধু নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না, বরং অভিযোগকারীকে শাস্তিও দিতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, মিথ্যা মামলা মোকাবিলায় আতঙ্ক নয়, বরং জ্ঞান, প্রস্তুতি ও দৃঢ়তা—এই তিনটিই সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক ও বাবরের খালাসের রায় বহাল
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামির খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনটি খারিজ করে এই রায় দেন।
এর আগে গত ১ জুন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। দীর্ঘদিন ধরে আপিলের শুনানি শেষে আজ চূড়ান্ত আদেশ দেন আদালত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমান ও বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন। হাইকোর্ট সে সময় রায়ে মন্তব্য করেন যে, মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না এবং চার্জশিটও আইনত গ্রহণযোগ্য ছিল না।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এই হামলায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন, যাদের অনেকেই এখনো গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
/আশিক
মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগাভাগির নিয়ম
বাংলাদেশসহ মুসলিম প্রধান সমাজে জমি কিংবা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন বা ফরায়েজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আইন মূলত কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনা অনুসারে প্রণীত, যেখানে প্রত্যেক ওয়ারিশের প্রাপ্য অংশ সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত থাকে।
পুত্র ও কন্যার অংশ
মৃত ব্যক্তির পুত্র ও কন্যা উভয়েই উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির অধিকারী হন। তবে ইসলামী উত্তরাধিকার ব্যবস্থায় সাধারণত পুত্র সন্তান কন্যার দ্বিগুণ অংশ প্রাপ্ত হন। এই নিয়মের মাধ্যমে পরিবারে আর্থিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বণ্টনের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়েছে।
দাদা-দাদী ও নানী-নানীর অংশ
যদি মৃত ব্যক্তির পিতা-মাতা জীবিত না থাকেন, তবে দাদা, দাদী কিংবা নানীও উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির অংশীদার হওয়ার সুযোগ পান। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের প্রাপ্য অংশ নির্ভর করে অন্য ওয়ারিশদের উপস্থিতি ও প্রাপ্য অংশের ওপর।
মায়ের সম্পত্তির বণ্টন
মৃত মায়ের সম্পত্তি ভাগ করার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। যদি মা জীবিত না থাকেন, তবে তাঁর সন্তানরা সমানভাবে উত্তরাধিকার হবেন। এখানে ছেলেমেয়ের অনুপাতে দ্বিগুণ-অর্ধেকের নীতি কার্যকর হয়। অর্থাৎ, ছেলে সন্তান কন্যার তুলনায় দ্বিগুণ অংশের দাবিদার হন।
ওয়ারিশ সনদের প্রয়োজনীয়তা
ব্যবহারিক বাস্তবতায় সম্পত্তি ভাগাভাগি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। ওয়ারিশ সনদে নির্ধারিত হয় কে কে বৈধ উত্তরাধিকারী এবং কার কত অংশ পাওনা। এই সনদ ছাড়া সরকারি বা আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পত্তি হস্তান্তর বা নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।
আইনি প্রক্রিয়া ও মামলা
যদি উত্তরাধিকার বণ্টন নিয়ে কোনো মতবিরোধ বা জটিলতা দেখা দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট আদালতে "বণ্টন মামলা" বা ব্যাটওয়ারা মামলা দায়ের করতে হয়। আদালতের রায় অনুযায়ী সম্পত্তির অংশীদারদের মধ্যে যথাযথভাবে জমি বা সম্পত্তি ভাগ করা হয়।
প্রযোজ্য আইন
বাংলাদেশে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ১৯৬১ একটি প্রধান রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই আইনে উত্তরাধিকার বণ্টনের বিস্তারিত কাঠামো বর্ণিত আছে। তবে কোনো বিশেষ পরিস্থিতি বা জটিলতার ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই যুক্তিসঙ্গত।
শেখ হাসিনার মামলার বিচার শেষ পর্যায়, রায় শীঘ্রইে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে। মাত্র ৯ দিনে ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে ৬ জন শহীদ আন্দোলনকারীর বাবা-মা ও ভাইসহ আহত আন্দোলনকারী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়েছেন। সাক্ষীরা সবাই এক কণ্ঠে বলেছেন—হাজারো মানুষ হত্যার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের ফাঁসি হওয়া উচিত।
প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলায় আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হবেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগতে পারে। এরপর উভয় পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। প্রসিকিউশনের মতে, সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার কথা। এরপর ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য দিন ঘোষণা করবে।
এই মামলায় মোট সাক্ষী রয়েছেন ৮১ জন, যাদের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকও আছেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। ট্রাইব্যুনালের জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হবে এবং এরপর আদালত রায়ের তারিখ ঘোষণা করবে।
তিনি আরও জানান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ইতোমধ্যেই দোষ স্বীকার করেছেন এবং রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আইনজীবীরা চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন করবেন।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগে বিচার শুরু করার আদেশ দেয়। অভিযোগগুলো হলো: ১,৪০০ আন্দোলনকারীকে হত্যার নির্দেশ, উসকানি ও প্ররোচনা, ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ এবং ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’।
এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। চৌধুরী আল-মামুন মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ করছে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এছাড়া, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর একটি হলো আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনা, অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত।
ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর আইন: অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিলেই কারাদণ্ড
বাংলাদেশে দ্রুত প্রসারমান ই-কমার্স খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এবং ক্রেতাদের অধিকার সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ’, যেখানে অনলাইন বিক্রেতাদের প্রতারণা ও অনিয়ম ঠেকাতে কড়া শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। নির্ধারিত সময়ে পণ্য বা সেবা সরবরাহ না করলে মূল্যের কয়েক গুণ জরিমানা আরোপ করা হবে। নিষিদ্ধ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও বড় অঙ্কের জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২১–২২ সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতারণার কারণে হাজার হাজার গ্রাহক পণ্য না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তখন টাকা ফেরতের দাবিতে মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ পর্যন্ত হয়েছিল। এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়েই নতুন আইন আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভায় এ খসড়ার অনুমোদন হয়েছিল। তবে সরকার পতনের পর আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকার খসড়াটি নতুন করে সামনে এনেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত খসড়া অধ্যাদেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। এরপর যাবে ‘আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান কমিটি’র বৈঠকে। যদিও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিষয়টি এখনো তার নজরে আসেনি, তবে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।
খসড়ায় বলা হয়েছে, যেকোনো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য ও সেবা কেনাবেচাকে ‘ডিজিটাল বাণিজ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারা নিজস্ব নামে ওয়েবসাইট, মার্কেটপ্লেস বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বা সেবা বিক্রি বা প্রদর্শন করবে, তাদেরই ‘ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে গণ্য করা হবে। অনুমতি ছাড়া গিফট কার্ড, ওয়ালেট, ক্যাশ ভাউচার বা ডিজিটাল ভাউচার চালু করলে জরিমানা করা হবে। অনলাইন লটারির আয়োজন করলেও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। প্রতিটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স ও ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিটি (ডিবিআইডি) নিবন্ধন নিতে হবে। প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
অধ্যাদেশ পাস হলে গঠিত হবে ডিজিটাল বাণিজ্য কর্তৃপক্ষ, যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। এর প্রধান দায়িত্ব হবে ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রসার ও শৃঙ্খলা রক্ষা, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি, প্রতারণা ও অপরাধ প্রতিরোধ, অনলাইন কার্যক্রম পরিদর্শন, ভুয়া বিজ্ঞাপন ও নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি ঠেকানো এবং ভোক্তা প্রতারণা রোধে তদারকি। এই কর্তৃপক্ষের কাঠামোতে থাকবেন একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বাণিজ্যমন্ত্রী বা বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রধান করে গঠন করা হবে উপদেষ্টা পরিষদ।
অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, অনলাইন ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম, অনলাইন জুয়া, লটারি, যৌন উত্তেজক দ্রব্য বা অনলাইন এসকর্ট সেবা এ আইনের আওতার বাইরে থাকবে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্যমতে, দেশে ই-কমার্স কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে, তবে পূর্ণাঙ্গ যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে এবং ২০১৪ সালের পর থেকে খাতটির উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটে। ২০১৮ সালে প্রণয়ন করা হয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, যা ২০২০ সালে বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করে সংশোধন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের অধ্যাপক সুবর্ণ বড়ুয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, ই-কমার্স খাতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা ও অনিয়ম চললেও কার্যকর কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই একটি শক্তিশালী আইন এবং কর্তৃপক্ষ গঠন এখন অত্যন্ত জরুরি, যা কার্যকর হলে অনলাইন কেনাবেচার নানা সমস্যা সমাধানে বাস্তব অগ্রগতি হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে খালাস পেলেন ইলিয়াস হোসেন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া জানান, মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের দায়ের করা মামলায় আদালত সাংবাদিক ইলিয়াসকে খালাস দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে তাকে এই খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
একইসঙ্গে, অপর দুই আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায়, ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমানকে অব্যাহতি দেন এবং ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরু করেন। এই মামলায় বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
/আশিক
ভূতের মুখে রাম নাম,তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান শেখ হাসিনাও: অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশের রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চান। তার মতে, এটি ‘ভূতের মুখে রাম নাম।’ বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে একটি ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা) বাতিল ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শুনানির অনুমতি দিয়েছে।
দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আজকে আদালতে বলেছি, এখন আবার আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরতে চাই। আমরা মনে করি, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসবে। এর ফলে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না, কোনো মা-বাবা তার সন্তান হারাবেন না। আর কখনো রক্ত দিয়ে ভোটের ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করতে হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আগের সরকার বলতো কখনো অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকতে পারে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার নিজেই ছিল অনির্বাচিত। আমরা তো তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে ছিলাম। এখন আবার ভূতের মুখে রাম নাম। আওয়ামী লীগ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চায়।”
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশ
- ধর্ষণ মামলায় জামিনের পর নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা
- রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
- পদ্মার রুপালি ইলিশের প্রথম চালান ভারতে
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ও অপুষ্টিতে মৃত্যু বাড়ছে
- জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
- এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ