একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক ও বাবরের খালাসের রায় বহাল

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামির খালাসের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আবেদনটি খারিজ করে এই রায় দেন।
এর আগে গত ১ জুন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। দীর্ঘদিন ধরে আপিলের শুনানি শেষে আজ চূড়ান্ত আদেশ দেন আদালত।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায়ের নথি হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমান ও বাবরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন। হাইকোর্ট সে সময় রায়ে মন্তব্য করেন যে, মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া আইনসম্মত ছিল না এবং চার্জশিটও আইনত গ্রহণযোগ্য ছিল না।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের একটি সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। এই হামলায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন, যাদের অনেকেই এখনো গ্রেনেডের স্প্লিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
/আশিক
প্রিজনভ্যানে উঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন পলক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই আগস্টে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় এক নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেছে। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রিজনভ্যানে উঠেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন। এমনকি তাঁর সঙ্গে প্রিজনভ্যানে থাকা অন্য আসামিদেরও সুর মেলাতে শোনা গেছে যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
সোমবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে এই ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
আদালতে আসামিদের তালিকায় ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এছাড়া সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকেও হাজির করা হয়। তবে অসুস্থ থাকায় সাবেক এমপি ফারুক খানকে আনা হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তিনি মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় চাইলে ট্রাইব্যুনাল ১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওবায়দুল কাদেরের মামলায় ৪৫ জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হওয়ায় অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে এবং বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে সালমান আনিসুল ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ দিয়েছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল ১। একই সঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের ফরমাল চার্জে কারফিউ জারি করে ছাত্র জনতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তার অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় বিচারাঙ্গনে জল্পনা তৈরি হয়েছে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতার তালিকায় শীর্ষে থাকা বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া আছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারও আপিল বিভাগ থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থির সময়ে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটি এক অনন্য নজির, কারণ অতীতে সব প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধানের ৯৫ ও ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন এবং প্রয়োজনে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও সংবিধানে জ্যেষ্ঠতা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল। কমিশন আরও বলেছে, জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বর্তমান সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার বাধ্যবাধকতা নেই; রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করতে পারেন। এখন সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির হাতে তিনি কাকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বেছে নেবেন।
আসন্ন নিয়োগকে সামনে রেখে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির প্রোফাইল নিয়েও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নুরুল ইসলাম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি জাহানারা আরজুর সন্তান। ১৯৮৩ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করে তিনি ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০২২ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ধাপে ধাপে উন্নীত হয়ে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে যোগ দেন। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পরিবারের সন্তান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এবং ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি এস.এম. ইমদাদুল হক ১৯৯০ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে উন্নীত হন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান দীর্ঘ আইনি অভিজ্ঞতার পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০২৫ সালে আপিল বিভাগে ওঠেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আইনজীবী পরিবারের সন্তান হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর ২০২৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে ঘিরে এখন আদালতপাড়া সরগরম। আইনজীবী মহলে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগ্যতা, সিনিয়রিটি ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা। সবশেষ সিদ্ধান্ত এখন রাষ্ট্রপতির হাতে, যিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-রফিক
জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে
জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র–জনতার গণআন্দোলন দমনকালে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা একে একে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যায়।
এদিন ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার অগ্রগতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযোগ উত্থাপনসহ বেশ কয়েকটি মামলার প্রমাণ উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হাজির করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করেছে। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। আরও একটি মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ভূমিকার অভিযোগ এনে সজীব ওয়াজেদ জয় ও পলকের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
কারফিউ জারি ও বলপ্রয়োগ করে ছাত্র–জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধেও পৃথক শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।
এছাড়া গত ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল–১ সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দাখিলযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে প্রসিকিউশনের সময় চাওয়ার পরও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত সময় দিয়েছে।
সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আদালত চত্বরে প্রবেশকারী প্রায় সকলকেই তল্লাশি করে ভিতরে ঢুকতে দেন। পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও সতর্কতামূলক।
-শরিফুল
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে সব আইনি প্রশ্নের অবসান ঘটাল আপিল বিভাগ
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠনকে বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ডক্টর সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর মাধ্যমে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটল।
আদালতে লিভ টু আপিলের পক্ষে আপিলকারী ও সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ নিজে শুনানি করেন। অন্যদিকে এই মামলায় ইন্টারভেনার বা পক্ষ হিসেবে যুক্ত হওয়া লেখক ফিরোজ আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ডক্টর শরীফ ভূঁইয়া। এছাড়া এই মামলায় ইন্টারভেনার হয়ে শুনানি করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
মামলার প্রেক্ষাপট থেকে জানা যায় ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চেয়ে রেফারেন্স পাঠান। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতেই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামতের প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ গত বছরের ডিসেম্বরে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৩ জানুয়ারি রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এক ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেশমূলক মতামত গ্রহণ করেন এবং মতামত অনুযায়ী কাজ করেছেন। তাই এটি আইনি দলিল দিয়ে সমর্থিত এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার দ্বারা সমর্থিত।
হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে পরে লিভ টু আপিল করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। বুধবার শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার বিষয়টিকেই পুনর্ব্যক্ত করলেন। উল্লেখ্য গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ৮ আগস্ট এই সরকার গঠিত হয়েছিল।
ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যায় সহায়তা: ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় জয়
জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তার অভিযোগে এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রসিকিউশন বলছে আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করে সংঘটিতভাবে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করা হয়। এ অভিযোগে শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। অভিযোগ আছে আন্দোলন তিন সপ্তাহ পার হওয়ার সময় হঠাৎ হঠাৎ বন্ধ করা হতো ইন্টারনেট সেবা। বিশেষ করে ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। এ ছাড়া ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ ছিল টানা ১৩ দিন যা স্বাভাবিক হয় ৫ আগস্ট দুপুর থেকে।
এদিকে অপর একটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন। তদন্তে এই দুজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে কারফিউ জারি করে আন্দোলনকারীদের শেষ করে দেওয়াসহ সব হত্যাকাণ্ডের পরামর্শ দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন সংস্থা।
সব ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার অথবা আগামী সপ্তাহে দুই মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলক এবং আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবে প্রসিকিউশন। এর মধ্য দিয়ে জুলাই গণহত্যার বিচারে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের দায়বদ্ধতার বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় উঠে আসবে।
টিউলিপ সিদ্দিকী মামলায় দুদকের নতুন তথ্য প্রকাশ
ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতি মামলার বিচার ও সাজা নিয়ে বিভিন্ন মহলে যে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকীকে ঘিরে মিডিয়ায় যে ধরনের প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলো পরিষ্কার করতে তারা সমস্ত প্রসিকিউশন নথি পুনর্বিবেচনা করেছে। একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে দুদক বলছে, আদালতে পেশ করা প্রমাণসমূহ যথাযথভাবে যাচাই করে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে মামলার উপাদানগুলো আইনের চোখে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে দুদক জানায়, মামলার নথিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় টিউলিপ সিদ্দিকীর খালা, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মা শেখ রেহানা এবং তাদের নিকট আত্মীয়দের নামে প্লট বরাদ্দকেন্দ্রিক অভিযোগগুলোকেই তদন্তের ভিত্তি করা হয়েছে। একটি মামলায় এমনও উঠে এসেছে যে, শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান থাকার সময় টিউলিপও নিজ নামে অতিরিক্ত এক প্লট বরাদ্দ পান। দুদকের দাবি, মামলার বেশ কয়েকজন অভিযুক্তই দীর্ঘদিন বিচার থেকে আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলার রায় ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে, যেখানে টিউলিপ সিদ্দিকী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৫ এ চলমান স্পেশাল কেস ১৮/২০২৫–এ অভিযোগ করা হয় যে, তিনি নিজের পরিবারের জন্য ভূমি বরাদ্দ নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনাকে অনৈতিক প্রভাবিত করেছিলেন। এ মামলায় ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। দুদক বলছে, বেশ কয়েকজন সাক্ষী হলফনামায় জানিয়েছেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে টিউলিপ বহু বরাদ্দে সরাসরি প্রভাব খাটিয়েছেন।
তাদের মতে, সাক্ষ্য ও নথি মিলিয়ে যে পরিস্থিতিগত প্রমাণ উঠে এসেছে, তা টিউলিপের সক্রিয় ভূমিকা স্পষ্ট করে। এসব অপরাধ দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫(ক), ২০১, ২১৭, ২১৬, ৪০৯, ৪২০ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর সেকশন ৫(২) অনুযায়ী দণ্ডনীয়।
দুদক আরও বলছে, টিউলিপ সিদ্দিকী যেই প্লটটি ব্যক্তিগতভাবে পেয়েছিলেন (বর্তমানে গুলশান-২ এর রোড ৭১–এর ১১৫ ও ১১-বি নম্বর প্লট), সেটি রাজধানীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল এলাকায় অবস্থিত। এগুলো কোনো কৃষিজমি নয় বরং বহু তলাবিশিষ্ট বাসভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণযোগ্য উচ্চমূল্যের জমি, যা মূলত রাজধানীর আবাসন সংকট কমাতে বরাদ্দের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরাদ্দ ঘুরে গেছে রাজনৈতিক পরিবারের হাতে। দুদকের মতে, এতে পরিবারভিত্তিক সম্পদ সঞ্চয়ের অনৈতিক প্রবণতাই স্পষ্ট হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, টিউলিপ সিদ্দিকীর সঙ্গে লন্ডনের কয়েকটি সম্পত্তির যোগসূত্র রয়েছে, যেগুলো অফশোর প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ। দুদক প্রশ্ন তোলে সরকারি দায়িত্বে থাকা পরিবার কীভাবে বিশ্বের দুই প্রধান শহরে একাধিক সম্পদ কেনার সামর্থ্য পেল? তাদের দাবি, টিউলিপ বিচার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি নিজেই অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে ‘জবাব দেওয়ার সুযোগ পাননি’ এমন দাবি সঠিক নয়।
সবশেষে দুদক জানায়, সব তথ্য বিশ্লেষণ করে তাদের অবস্থান স্পষ্ট টিউলিপ সিদ্দিকী দুর্নীতির সহায়তা, উস্কানি এবং প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে তাকে নির্দোষ দেখানোর কোনো আইনি বা পরিস্থিতিগত ভিত্তি নেই।
-রাফসান
শেখ হাসিনা ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে দুদক
প্লট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দীককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরানো হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর বা পিপি খান মুহাম্মদ মইনুল হাসান। সোমবার ১ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ ৪ এর বিচারক রবিউল আলম মামলার রায় ঘোষণা করলে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
রায়ে মামলার প্রধান আসামি শেখ রেহানার ৭ বছর দ্বিতীয় আসামি টিউলিপের ২ বছর ও তৃতীয় আসামি শেখ হাসিনার ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই মামলায় জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ আরও কয়েকজন আসামিকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন এবং বাকিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুদকের পিপি মইনুল হাসান বলেন এ রায় আমাদের প্রত্যাশা মতো হয়নি কারণ আমরা সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছিলাম। দুদকের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পিপি আরও বলেন যেসব দেশে শেখ হাসিনা শেখ রেহানা ও টিউলিপসহ অন্য আসামিরা পলাতক আছেন সেসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হবে। ইন্টারপোলের সহায়তায় তাঁদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিউলিপ সিদ্দীক একদিকে বাংলাদেশের নাগরিক আবার যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তাই যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে টিউলিপের সাজার বিষয়টি অবহিত করা হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে।
টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে পিপি জানান টিউলিপ কখনো ফোন কল আবার কখনো অ্যাপস ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে প্লট বরাদ্দের জন্য ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মচারীরা এসে এ বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে টিউলিপ যখন জানতে পারেন যে তাঁর খালা শেখ হাসিনা ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের ও সন্তানদের নামে প্লট নিচ্ছেন তখন তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁর মা ও ভাইবোনের জন্য প্লট বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে খালা শেখ হাসিনার ওপর চাপ প্রয়োগ ও প্রভাব বিস্তার করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয় সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও গরিব দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ দেন। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন শেখ হাসিনা শেখ রেহানা ও তাঁর মেয়ে টিউলিপ সিদ্দীক পৃথিবীর যেখানেই অবস্থান করুক না কেন বিচার করতে কোনো বাধা নেই।
সাগর রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২২ বারের মতো পিছোল
ঢাকার একটি আদালত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন। এটি মামলার তদন্ত সংস্থার ১২২তম বার প্রতিবেদন দাখিলের সময় নেওয়ার ঘটনা। রোববার ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল কিন্তু তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম নতুন এই দিন ধার্য করেন। মিরপুর মডেল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া করা বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। এরপর মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ এক যুগেও এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়নি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সকে তদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৬ মাসের সময় নির্ধারণ করা হয়। তদন্ত শেষে হাইকোর্টের দেওয়া সেই ছয় মাসের সময় ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে যে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং এতে অগ্রগতি আছে। এ কারণে তারা তদন্ত শেষ করতে আদালতের কাছে আরও ৯ মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে।
মাকে প্রভাবিত করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট নেওয়ায় দণ্ডিত হলেন জয় ও পুতুল
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের করা মামলায় ৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ২৭ নভেম্বর বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এজলাসে এসে এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত পুতুল ও জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া শেখ হাসিনাকে এই দুই মামলাসহ মোট তিন মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায় সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁরা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও গরিব দেখিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন। বিশেষ করে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে যে তাঁর নামে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকা সত্ত্বেও তিনি তা হলফনামায় গোপন করেছেন এবং আইন লঙ্ঘন করে মাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন। অন্যদিকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদার করে আবেদন পেশ করেন এবং ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। যুক্তিতর্কে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন প্রত্যাশা করেছিল। তবে পলাতক থাকায় শেখ হাসিনাসহ পরিবারের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ৬টি মামলা করে দুদক এবং তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৩১ জুলাই শেখ হাসিনাসহ এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।
উল্লেখ্য জুলাই আন্দোলন দমনের চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে শেখ হাসিনাকে এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে কোনো সাবেক সরকারপ্রধানের সাজার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন যদিও আওয়ামী সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ থেকে তিনি খালাস পান। এছাড়া সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদেরও দুর্নীতির কয়েকটি মামলায় সাজার রায় হয়েছিল। তবে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে একই সঙ্গে হত্যা ও দুর্নীতির দায়ে বড় সাজার রায় এক নজিরবিহীন ঘটনা।
পাঠকের মতামত:
- নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা
- বারবার হাই তোলা শুধুই ক্লান্তি নয় বরং এটি হতে পারে হৃদরোগের আগাম বার্তা
- নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি
- বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ এই মানসিকতা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান
- বিএনপির সঙ্গে জোট হলে মাঠের পরিস্থিতি কেমন হবে জানালেন রাশেদ খান
- বিএনপির আমলে শেয়ার বাজারে ধস নামেনি: রিজভী
- বিএনপির এক অংশের আচরণ আওয়ামী লীগের মতোই: ফুয়াদ
- আগের ৯৬টি বাতিল করে নতুন ৮১ সংস্থাকে ভোটের মাঠে নামাচ্ছে কমিশন
- প্রিজনভ্যানে উঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন পলক
- গ্রামের গর্ভবতী মা থেকে শহরের কর্মজীবী নারী সবার জন্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বার্তা
- আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে হেঁটে জামায়াত দেশের জন্য অশুভ সংকেত আনছে: এনসিপি
- ক্ষমতায় গেলে খাল খনন প্রকল্প আবার চালু করা হবে: তারেক রহমান
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- ৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ৮ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- ৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর নতুন ন্যাভ প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
- নীতি ছাড়া ধর্মের নামে রাজনীতিতে একটি দল: সালাহউদ্দিন
- বিমান প্রস্তুত হলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টা খালেদা জিয়ার জন্য অগ্নিপরীক্ষা
- চাঁদাবাজদের কাছে মাথা নত করব না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় শেখ হাসিনার ১৭ মন্ত্রী ও উপদেষ্টা
- ডিএসই–৩০ এ মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার এগিয়ে
- এইচআইভি চিকিৎসায় বড় সুখবর, ওষুধ ছাড়াই ১৮ মাস সুস্থ থাকার রেকর্ড
- কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়
- সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেলার ঠাসা সূচি: কোথায় দেখবেন জেনে নিন
- জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে
- নতুন আর্থিক প্রতিবেদনে বড় ধাক্কায় ডাকাডাই ডাইং
- কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত
- খেজুর রসের পায়েস বানানোর সহজ রেসিপি
- বাংলালিংকের সঙ্গে বড় চুক্তি করল কেয়ি অ্যান্ড কিউ
- আর্থিক ফলাফল ও ডিভিডেন্ড নিয়ে মিশ্র বার্তা দিল অলটেক্স
- বিডি থাইয়ের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- প্রথম নারী ফুটসাল বিশ্বকাপের মুকুট ব্রাজিলের মাথায়
- টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে সোমবারের বাজার দর
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
- যানজট এড়াতে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন আজ রাজধানীর কোথায় কী?
- মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে বড় চাপে বাংলাদেশ
- নির্বাচনী আসন নিয়ে টানাপোড়েন: ৫টি জোটে বিভক্ত রাজনীতির মাঠ
- ৪৫ মিনিটের তুমুল গোলাগুলি আর রকেট লঞ্চারের আঘাতে তছনছ আফগান চেকপোস্ট
- হিমালয়ের কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে পঞ্চগড়
- একযোগে গতি হারাল কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনীতির প্রধান চার খাত
- "সম্পর্ক যতই ভালো হোক, সীমান্ত হত্যা থামবে না"- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুরুষের শক্তি ও টেস্টোস্টেরন বাড়াতে রোজকার পাতে রাখুন এই ৫টি খাবার
- শৈশবের নায়কের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে এমবাপে: আজ রাতে নতুন ইতিহাসের হাতছানি
- মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল
- শরীয়তপুর ২: ধানের শীষের শফিকুর নাকি জামায়াতের ডা. মাহমুদ কার পাল্লা ভারী
- নির্বাচনে যত বিলম্ব হবে তত শঙ্কা বাড়বে: মান্না
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- ফিউচার স্টার বনাম ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা, দেখুন সূচি
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে পারছেন যা ভালো লক্ষণ: ডা. জাহিদ
- আজকের রাশিফল: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- এসএসএফ নিরাপত্তা পেলেন খালেদা জিয়া: কী সুবিধা থাকছে
- চট্টগ্রামে দাপুটে জয়ে আয়ারল্যান্ড বধ
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় পতন
- ব্যথানাশক নিয়েই খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- আকাশ আংশিক মেঘলা ও শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে ঢাকার সর্বশেষ পূর্বাভাস
- শরীরের নীরব শত্রু থাইরয়েড ক্যানসার চেনার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ








