বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা

ইদানীং তরুণদের মধ্যে প্রোটিন শেক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি খাদ্য সম্পূরক, যা নিয়মিত খাবারের বিকল্প নয়। চিকিৎসকদের মতে, পেশি গঠন বা ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন শেক উপকারী হতে পারে, তবে সবার জন্য এটি নিরাপদ নয়।
ব্যবহার ও সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার প্রোটিন শেক পান করা উচিত নয়। আর যারা হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ১০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত পানীয়ই যথেষ্ট। প্রয়োজন না থাকলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
প্রোটিন শেকে অতিরিক্ত প্রোটিনের পাশাপাশি বাড়তি চিনি এবং ক্যালরি থাকতে পারে, যা দেহে মেদ বাড়াতে পারে। তাই কেনার সময় প্রোটিনের পাশাপাশি চিনি ও ক্যালরির মাত্রা ভালোভাবে দেখে নেওয়া জরুরি।
এছাড়াও, কোনো কোনো প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের শেক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
উপকারী প্রোটিন শেকগুলোতে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও ভিটামিন ডি থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য বেশ ভালো। তবে যাদের লবণ গ্রহণে বিধিনিষেধ আছে, তাদের ইলেকট্রোলাইটের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, প্রোটিন শেক হলো খাবারের পরিপূরক, বিকল্প নয়।

সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
রাতে কম ঘুমানো শুধু ক্লান্তি বাড়ায় না, বরং মস্তিষ্কের আকারও ছোট করে দিতে পারে—সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। একটি বৃহৎ আকারের এমআরআই-ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ২ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
হিপোক্যাম্পাস ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি
গবেষকদের মতে, কম ঘুমের কারণে প্রতি বছর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশের আয়তন গড়ে ০.২২ শতাংশ বেশি হ্রাস পায়। হিপোক্যাম্পাস হলো মস্তিষ্কের সেই অংশ, যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা এবং মানসিক ভারসাম্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি: গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ মধ্যবয়সে নিয়মিত ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি।
বার্ধক্যের প্রভাব: এমনকি তাদের মস্তিষ্কের গঠন তুলনামূলকভাবে ২.৬ বছর বেশি বয়স্ক মনে হয়েছে, যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম বজায় রেখেছেন তাদের তুলনায়।
গবেষকদের সতর্কবার্তা
ঘুমকে অনেকেই নমনীয় বিষয় বলে মনে করলেও, গবেষকরা বলছেন, ঘুমই হচ্ছে মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর ‘প্রাকৃতিক টুল’। নিয়মিত সময়মতো ঘুমানো শুধু স্মৃতি ও মনোযোগই নয়, বরং মানসিক স্থিতিশীলতাও রক্ষা করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানীয় অবক্ষয় (cognitive decline) ধীর করে।
সংক্ষেপে, প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুম মানে শুধু পরদিনের ক্লান্তি নয়—এটি হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের ধীরে ধীরে সঙ্কোচনের সূচনা। তাই এখনই ঘুমকে গুরুত্ব দিন—এটাই হতে পারে ভবিষ্যতে স্মৃতি ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার সবচেয়ে সহজ উপায়।
পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
সাধারণ মনে হলেও সামান্য ব্যথা, পায়ে খিল ধরা বা আঙুলে ঘা—এই উপসর্গগুলো মারাত্মক বিপদের প্রকাশ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে এক ধরনের নীরব রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, যা প্রাথমিকভাবে অল্প সমস্যা মনে হলেও হঠাৎ করে গুরুতর অবস্থায় পৌঁছায়। এটি হলো পায়ের রক্তনালিতে ব্লক।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী এই সমস্যাকে সাধারণ ব্যথা বা হালকা ঘা বলে এড়িয়ে দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে হাঁটার সময় সীমা কমতে থাকে।
অবহেলার পরিণতি
বিশেষজ্ঞরা জানান, অনেকেই প্রথমে বলেন, "খিল ধরে গেছে," বিশ্রামে ব্যথা কমে আসে। কিন্তু কয়েক মাস বা বছর পর দেখা যায়, সামান্য হাঁটলেই তীব্র ব্যথা হয়। এরপর আঙুলে ঘা দেখা দেয়, যা সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগেও শুকায় না, পচন ধরে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী চিকিৎসকের কাছে আসার সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখানে পা কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শত রোগীর মধ্যে প্রায় ৯৭-৯৮ জনের সমস্যা সাধারণ রক্তনালির ব্লক, যা সঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসাযোগ্য। ব্লক শুরু হয় শরীরে জন্ম থেকেই, গর্ভকাল বা শিশুকাল থেকেই ধীরে ধীরে ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি?
জীবনযাপন: ধূমপানকারী, অনিয়মিত জীবনযাপনকারী এবং ব্যায়ামে অনিয়মিত ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্যগত কারণ: বংশগতভাবে রক্তে চর্বি জমার প্রবণতা থাকা, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও বড় কারণ। তবে নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঝুঁকি অনেক কমানো যায়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি হাঁটতে গেলে ব্যথা হয়, আঙুলের ঘা শুকায় না বা ছোট ইনফেকশন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে চিকিৎসা সম্ভব, নাহলে শেষ পর্যন্ত বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে শুধুই অস্ত্রোপচার।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কৃত্রিম কিডনি
কিডনি বিকল হওয়ার সমস্যা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠলেও, এবার কৃত্রিম কিডনি নিয়ে বড় সাফল্য দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কানাডা ও চীনের বিজ্ঞানীরা এমন এক ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ গড়ে নজির গড়তে চলেছেন, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের ব্যক্তির শরীরেই সক্রিয় হবে এবং কিডনির মতো দ্রুত কাজ করবে।
‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ যেভাবে কাজ করবে
কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের শরীরেরই কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম কিডনি।
প্রতিস্থাপন: তলপেটে যেখানে শরীরের দু’পাশে কিডনি রয়েছে, সেখানেই যেকোনো এক দিকে এই কিডনি বসিয়ে দেওয়া যাবে। হার্ট থেকে আসা রক্তই একে চালাবে এবং এই কৃত্রিম কিডনি রক্তকে ফিল্টার করে নেবে।
ডায়ালিসিসের বিকল্প: এটি শরীরের ভিতরেই হিমো-ডায়ালিসিসের প্রক্রিয়া চালাবে। আসল কিডনি রক্ত থেকে শুধু বিষ বা দূষিত পদার্থ ছেঁকে নিলেও, কৃত্রিম কিডনির গায়ে আলাদা করে ‘মেমব্রেন’ বা ঝিল্লির স্তর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা যেকোনো রকম টক্সিনকে চিনে নিয়ে ছেঁকে বার করে দেবে।
বায়ো-রিঅ্যাক্টর: এর সঙ্গে একটি বায়ো-রিঅ্যাক্টরও থাকবে, যা কিডনির সুস্থ, সবল কোষগুলি দিয়ে তৈরি। এগুলি শরীরের স্বাভাবিক ডায়ালিসিস প্রক্রিয়াকে চালু রাখবে।
বাণিজ্যিক উৎপাদনের পথে
গবেষকরা জানিয়েছেন, আপাতত ব্রেন ডেথ হওয়া এক রোগীর শরীরে এই কৃত্রিম কিডনি বসিয়ে দেখা গিয়েছে, সেটি দিব্যি কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এটি বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে নিয়ে আসাও হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির অসুখ ক্রমেই বাড়ছে। কিডনি প্রতিস্থাপন বা বারবার ডায়ালিসিসের খরচ সবার সাধ্যের মধ্যে না থাকায়, এই সমস্যার সমাধান যদি কৃত্রিম কিডনি দিয়ে হয়, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে।
মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই ব্যথা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে এবং প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেনের সময় আলো, শব্দ সবকিছুই বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ বা অভ্যাস এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা এড়িয়ে চললে মাইগ্রেন থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই মাইগ্রেন বাড়ানোর ৬টি কারণ:
১. মানসিক চাপ (স্ট্রেস): দীর্ঘদিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের একটি বড় কারণ। দুশ্চিন্তা কমিয়ে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা উচিত।
২. অনিদ্রা: যথেষ্ট ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৩. খাবারে অনিয়ম: ঠিক সময়ে না খেলে বা খাবার বাদ দিলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়ম করে সময়মতো খাওয়া জরুরি।
৪. ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা): কম পানি পান করলে শরীরে মিনারেলসের অভাব হয়, যা মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করা উচিত।
৫. উজ্জ্বল আলো: উজ্জ্বল আলো চোখের স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে মাইগ্রেন বাড়ায়। ব্যথা শুরু হলে দ্রুত অন্ধকার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিন।
৬. অতিরিক্ত ক্যাফেইন: কম পরিমাণে ক্যাফেইন (কফি বা চা) উপকারী হলেও, অতিরিক্ত পান করা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
উচ্চ শব্দ: জোরে শব্দ বা গান শুনলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। সম্ভব হলে শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
প্রতিকার: মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই কারণগুলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর ঘুম, পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও মানসিক শান্তিই হতে পারে আপনার মাথাব্যথা কমানোর চাবিকাঠি।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় গোলাবর্ষণ
‘ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেলা’খ্যাত মারওয়ান বারগুতিকে ইসরায়েলের কারাগারে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কারারক্ষীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে তিনি কারাগারের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন বলে বারগুতির পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ
বারগুতির ছেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মুক্তি পাওয়া পাঁচ পৃথক বন্দির কাছ থেকে বারগুতিকে নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছেন। বারগুতিকে প্রহরীরা হাতকড়া পরিয়ে নির্যাতন করে।
শারীরিক আঘাত: তাকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। বারগুতির মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছে এবং পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে।
পরিণতি: নির্যাতনে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অচেতন ছিলেন এবং তার শরীর থেকে রক্তপাত হয়েছে।
বারগুতিকে ইসরায়েল পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী আছেন।
বারগুতির রাজনৈতিক গুরুত্ব
১৯৫৯ সালে রামাল্লাহর কাছে কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বারগুতি কিশোর বয়সে ফাতাহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বারগুতির প্রভাব ফাতাহ আন্দোলন ছাড়িয়ে সমগ্র ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপৃত। জনমত জরিপেও তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এ কারণেই তাঁকে মুক্তি দিতে ভয় পায় ইসরায়েল।
গাজা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও উত্তর গাজার শুজাইয়ার পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ত্রাণ সংকট: জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যাভাব ও হাহাকার রয়েই গেছে। এক কেজি টমেটোর দাম এখন ১৫ ডলার।
আন্তর্জাতিক বাহিনী: রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী দিনে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক: যে ৪টি মূল কারণে প্রায় ৯৯% ঝুঁকি বাড়ে
হঠাৎ বুকে ব্যথা, ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা—হার্ট অ্যাটাক অনেক সময়ই কোনো পূর্বশঙ্কা ছাড়াই এসে পড়ে। সুস্থ-সবল মানুষও এই রোগের কবলে পড়তে পারেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৯৯ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক মূলত চারটি কারণে ঘটে।
হার্ট অ্যাটাকের মূল ৪টি কারণ
১. উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্ট্রোক বা হার্টের কার্যক্ষমতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী রক্তচাপ ১৩০ পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। এর বেশি হলে হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে।
২. উচ্চ কোলেস্টেরল: মন্দ কোলেস্টেরল (LDL) বৃদ্ধি পেলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।
৩. রক্তে উচ্চ শর্করা: ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে ধমনীতে চর্বি, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য পদার্থ জমে ‘প্লাক’ তৈরি করে। এই ব্লকেজ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের জন্য বিপজ্জনক।
৪. অতিরিক্ত ধূমপান: ধূমপান রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে এবং হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
সতর্কতা ও করণীয়
গবেষকরা বলছেন, হার্ট সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ধূমপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চা অপরিহার্য।
হার্টের সমস্যার প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন—অ্যাঞ্জিওগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআই করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ।
খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
রান্নায় সুগন্ধ ও স্বাদ বাড়াতে এলাচের ব্যবহার বহুল পরিচিত। তবে শুধু স্বাদ নয়, এলাচের রয়েছে নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত এলাচের পানি পান করলে শরীরের পাঁচ ধরনের রোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা পাওয়া যায়।
এলাচের পানির ৫টি উপকারিতা
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা জানান, রাতে এক গ্লাস পানিতে চার থেকে পাঁচটি এলাচ ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে এই উপকারগুলো মেলে:
১. হজম শক্তি বৃদ্ধি: এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। এটি পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত ও দ্রুত করতে সাহায্য করে।
২. শরীরকে বিষমুক্ত করা: এই পানীয় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে সহায়তা করে, যা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।
৩. মুখের স্বাস্থ্য: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি হিসেবে কাজ করে। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী।
৪. রক্ত সঞ্চালন: নিয়মিত এলাচের পানি পান করা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
৫. হৃদযন্ত্রের সুস্থতা: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
যেভাবে খাবেন
চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এলাচের পানি পান করতে চাইলে চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি পান করার পর অন্তত এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
দিনশেষে পায়ের ব্যথা, ক্লান্তি বা হালকা ফোলাভাবকে আমরা প্রায়ই তুচ্ছ মনে করি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই সামান্য অস্বস্তির মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর বার্তা। কারণ, কিডনি যখন ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে, তখন তার প্রথম সংকেত দেখা দেয় আমাদের পায়ের পাতায়।
কিডনি হলো শরীরের নিঃশব্দ কর্মী—রক্ত পরিশোধন, বর্জ্য নিষ্কাশন এবং শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব যার ওপর ন্যস্ত। যখন এই অঙ্গ তার কাজ ঠিকভাবে করতে পারে না, তখন শরীরে পানি, লবণ ও টক্সিন জমে গিয়ে নানা ধরনের পরিবর্তন আনে। এর অনেকটাই প্রথম ধরা পড়ে পায়ের মাধ্যমে।
তাহলে জেনে নিন, আপনার পায়ের পাতায় দেখা দেওয়া কোন পাঁচটি লক্ষণ কিডনির জন্য বিপদসংকেত হতে পারে:
কিডনি সমস্যার ৫টি প্রাথমিক লক্ষণ
১. গোড়ালিতে অস্বাভাবিক ফোলাভাব (Pitting Edema): মোজা খোলার পর যদি দেখেন চামড়ায় দাগ থেকে গেছে বা গোড়ালি ফুলে উঠেছে, তাহলে সতর্ক হোন। কিডনি সঠিকভাবে পানি ছেঁকে ফেলতে না পারলে শরীরে তরল জমে যায়, যার প্রথম প্রভাব দেখা দেয় পায়ে।
২. দাগবিহীন চুলকানি: পায়ের পেশি বা হাঁটুর নিচে হঠাৎ চুলকানি শুরু হলেও ত্বকে কোনো র্যাশ না থাকলে এটি ‘ইউরেমিক প্রুরিটাস’ নামে কিডনি রোগের প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে। শরীরে বর্জ্য জমে গেলে ত্বকে এমন চুলকানি দেখা দেয়।
৩. রাতে হঠাৎ পেশিতে খিঁচুনি: ঘুমের মধ্যে হঠাৎ পায়ের পেশিতে টান লাগলে সেটি কিডনি বিকলের কারণে হতে পারে। কিডনি দুর্বল হলে শরীরে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম বা সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা খিঁচুনির সৃষ্টি করে।
৪. ত্বকের রঙে অস্বাভাবিক পরিবর্তন: পায়ের পাতায় বা আঙুলে নীলচে বা গাঢ় ছায়া পড়লে সেটিও চিন্তার বিষয়। কিডনি দুর্বল হলে রক্তসঞ্চালনে সমস্যা হয়, ফলে অক্সিজেনের ঘাটতিতে ত্বকের রঙ পরিবর্তিত হতে পারে।
৫. পায়ে ঝিঁঝিঁ ভাব বা অবশতা: চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি হঠাৎ পায়ের পাতায় অবশতা বা ঝিঁঝিঁ ভাব অনুভব করেন, তাহলে এটি পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির লক্ষণ হতে পারে—যা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যার সঙ্গে জড়িত।
কেন এখনই সতর্ক হওয়া দরকার?
চিকিৎসকদের মতে, “পা শুধু শরীরের ভার বহন করে না—এটি কিডনির স্বাস্থ্যেরও আয়না।” এই উপসর্গগুলো অনেক সময় সাধারণ মনে হলেও, এগুলো কিডনির বিপদের প্রথম সংকেত হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে সমস্যা দ্রুত জটিল রূপ নিতে পারে। তাই পায়ের অস্বাভাবিক পরিবর্তনকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
অনেকেই মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন। তবে মাইগ্রেন কেবল মাথাব্যথাই নয়, ব্যথা ছাড়াও এর সঙ্গে থাকতে পারে অন্যান্য উপসর্গ। এসব উপসর্গের ভিত্তিতে মাইগ্রেনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। মাইগ্রেনের ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা আলাদা হতে পারে, তাই ধরনটি বোঝা জরুরি। মাইগ্রেনের কয়েকটি ধরন সম্পর্কে জানিয়েছেন রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নওসাবাহ্ নূর।
সাধারণত একবার ব্যথা শুরু হলে তা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং সময়-সময় ফিরে আসে।
মাইগ্রেনের ৫টি ধরন
১. মাইগ্রেন উইথ অরা (Migraine with Aura): মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার আগে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে, একে বলা হয় ‘অরা’।
উপসর্গ: চোখের সামনে বক্র রেখা, তারা বা বিন্দু দেখা যাওয়া কিংবা চোখের সামনে কিছু অংশ অন্ধকার দেখানো। কারও আবার কানের ভেতর এমন শব্দ হতে পারে, বা অস্বাভাবিক ঘ্রাণ পেতে পারেন। মুখ, হাত কিংবা পা ঝিনঝিন করতে পারে বা যে জিনিসে ব্যথা অনুভব করার কথা নয়, তাতে ব্যথা অনুভব করতে পারেন।
২. মাইগ্রেন উইদাউট অরা (Migraine without Aura): এই উপসর্গগুলো ছাড়া শুধু মাথাব্যথাও হয় অনেকের।
উপসর্গ: মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত হয় মাথার যেকোনো একটা পাশে এবং তা হয় তীব্র। বমিভাব থাকতে পারে বা বমিও হতে পারে। ব্যথার মুহূর্তে আলো এবং শব্দ অসহ্য মনে হয়। সব ধরনের মাইগ্রেনেই মাথাব্যথা এবং ব্যথার সময়ের উপসর্গ এমন হয়ে থাকে।
৩. সাইলেন্ট মাইগ্রেন (Silent Migraine): যে মাইগ্রেনে কেবল অরার সময়ের উপসর্গ থাকে, তাকে সাধারণভাবে সাইলেন্ট মাইগ্রেন বলা হয়। অর্থাৎ মাথাব্যথা ছাড়া কেবল অরা থাকলে সেটি সাইলেন্ট মাইগ্রেন। ব্যথা না হলেও অরার কষ্টকর অনুভূতিতে রোগী ভোগেন।
৪. মাইগ্রেন উইথ ব্রেইনস্টেম অরা: এই মাইগ্রেনে অরার বিভিন্ন উপসর্গের সঙ্গে যোগ হয়:
উপসর্গ: মাথা ঘোরানো, কথা জড়িয়ে যাওয়া, শুনতে না পাওয়া, একটি জিনিস দুটি দেখার মতো উপসর্গ।
সতর্কতা: এ ধরনের উপসর্গ অন্যান্য রোগেও দেখা দিতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৫. হেমিপ্লেজিক মাইগ্রেন (Hemiplagic Migraine): এ ধরনের মাইগ্রেনে দেহের যেকোনো একটা পাশ অবশ হয়ে যায়। এভাবে দেহের কোনো অংশ অবশ হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের উপসর্গ। তাই দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারও কারও এই সমস্যা সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থেকে যায়।
পাঠকের মতামত:
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা’র দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি
- ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ: ৪২ দেশের নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- তৈরি পোশাক শিল্পে বড় আঘাত: কার্গো ভিলেজের ক্ষতি নিয়ে যা বলল বিজিএমইএ
- শীতে আমন্ড বাদাম: ভিজিয়ে খাবেন নাকি শুকনো? জেনে নিন সঠিক পদ্ধতি
- মাথাব্যথাকে বিদায়: ৫টি সহজ ঘরোয়া টোটকা
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি? জেনে নিন উপকারিতা
- ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে হানাহানি থাকবে না: মুফতি ফয়জুল করীম
- ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃসাহসিক ছিনতাই: ২ লক্ষ ডলার নিয়ে আকাশেই উধাও সেই রহস্যমানব!
- ড্রোন দিয়ে ঘণ্টায় ১,৮০০ চারা রোপণ: প্রযুক্তিতে বন পুনরুদ্ধারের নজির
- ১০ বছরের সন্তানকে নিয়ে মা সমুদ্র সাঁতরে পৌঁছালেন স্পেনে
- খালেদা-তারেকের নিরাপত্তা: বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি
- নাহিদ ইসলামের তীব্র সমালোচনা: পিআর নিয়ে জামায়াতকে একহাত নিলেন এনসিপি নেতা
- মানব সভ্যতায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের ৫ যুগান্তকারী অবদান
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টার বার্তা
- ১৮ বছরের গণনা: যে আবিষ্কার বিশ্বকে বোঝালো আমরা মিল্কি ওয়েতে একা নই
- জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- সুখবর: ৯ মাস বন্ধ থাকার পর খুলছে সেন্ট মার্টিন
- পা ফাটা দূর করুন: ঘরোয়া উপায়ে মসৃণ গোড়ালি পাওয়ার সহজ কৌশল
- শোয়েব আখতারের রেকর্ড ভাঙা! স্টার্কের ১৭৬.৫ কিমি গতির বল নিয়ে তোলপাড়
- ১৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরিকল্পিত আগুন: কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ
- ইসি জঙ্গলীয় কায়দায় চলছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- ‘বক্তব্য কাট করে বিকৃত করা হয়েছে’: জুলাই যোদ্ধা নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের ব্যাখ্যা
- এনসিপি’র হুঁশিয়ারি: নির্বাচন কমিশন ‘স্বৈরাচারী কায়দায়’ চলছে
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ: বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় ১৪ জেলে আটক
- মেথি পানির ম্যাজিক: নিয়মিত ১৫ দিন পান করলে শরীরে আসে যে ৬ পরিবর্তন
- সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াল সরকার
- ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা: বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
- ইয়েমেনে জাতিসংঘ ভবনে হুথি অভিযান: সব কর্মী নিরাপদে
- গণভোটের দিনক্ষণ: নির্বাচনের দিন হবে না আগে? সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর
- রক্ষণ থেকে আক্রমণে জাদু: আরাউহোর গোলে লা লিগার শীর্ষে বার্সা
- মেসির জাদুতে ইন্টার মায়ামির দুর্দান্ত জয়: হ্যাটট্রিকে এমএলএস গোল্ডেন বুট প্রায় নিশ্চিত
- ‘আমরা রাজা নই, আমরা জনগণ’: যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল জনতা
- রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতি: দোহায় পাকিস্তান-আফগান সমঝোতা
- শাহজালালে আগুনে ছাই ব্যবসায়িক আশা: বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির আশঙ্কা
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- কার্গো ভিলেজে আগুন: ক্ষতির আশঙ্কা বিলিয়ন ডলার
- ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সামরিক হুমকি দিলেন পাক সেনাপ্রধান
- সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলো জননিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি: তারেক রহমান
- পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
- রাতে ফ্লাইট চালুর চেষ্টা চলছে: কার্গো ভিলেজের আগুন পরিদর্শনে উপদেষ্টা
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ঢাকার বিমানবন্দর অচল: ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে কার্গো ভিলেজ, ৫ ঘণ্টায়ও নেভেনি
- ৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- শি জিনপিং: সমাজে প্রকৃত সমতা চাইলে নারীর নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে
- আজ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই, টিভিতে নয় ২৫ টাকায় দেখুন অনলাইনে
- ১৪ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পরমাণু ইস্যুতে কঠোর ইরান: আইএইএ-এর সঙ্গে চুক্তি স্থগিত, কারণ কী?
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের প্রস্তাব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা