শক্তিশালী ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটি গ্রাম

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৬:৫২:৩৪
শক্তিশালী ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটি গ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮০০ জন হয়েছে। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত আড়াই হাজার মানুষ। আফগান সরকারের মুখপাত্র মৌলভী জবিউল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছেন। জাতিসংঘ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন আফগানিস্তানের পরিচালক থামিন্দ্রি দে সিলভা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকার দুর্গম ভৌগোলিক অবস্থার কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মাজার ভ্যালি এলাকাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল মনে করা হচ্ছে, যেখানে একটি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সিলভা আরও বলেন, এটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে দুর্গম ও দরিদ্র অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে অবকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে এবং সড়ক যোগাযোগ খুবই সীমিত। এখানকার বাড়িঘর মূলত কাদা ও অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি হওয়ায় ভূমিকম্পে এগুলো সহজেই ধসে পড়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬। জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে ২৭ কিলোমিটার দূরে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে এটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের পর অন্তত আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।

আফগানিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াতপুর, মানোগি ও চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে দুর্গম এলাকার কারণে চূড়ান্ত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। সাওকি ও নুর গাল জেলায় ভূমিধসের কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ভূমিকম্পকে দেশটির ইতিহাসে আঘাত হানা অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে অভিহিত করেছেন।


মোদি-পুতিন একসঙ্গে গাড়িতে: ট্রাম্পের শুল্কের মুখে ভারত-রাশিয়ার নতুন বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৪:৫৬:০২
মোদি-পুতিন একসঙ্গে গাড়িতে: ট্রাম্পের শুল্কের মুখে ভারত-রাশিয়ার নতুন বার্তা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: ফেসবুক

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে চীন সফরে থাকা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য একসঙ্গে একই গাড়িতে চড়ে হোটেলে গেছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নরেন্দ্র মোদি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ও তথ্য প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করছে।

সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর ফলে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে এসসিও সম্মেলনে মোদি ও পুতিনের অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ ছবি সামনে এলো।

ফেসবুকে মোদি লেখেন, “এসসিও সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং আমি একসঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ভেন্যুতে যাচ্ছি। তার সঙ্গে কথোপকথন সবসময়ই অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ।” অন্য একটি পোস্টে তিনি পুতিনের সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে লেখেন, “তার সঙ্গে দেখা করা সবসময় আনন্দের।”

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার চীনের তিয়ানজিনে এসসিওর দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলন শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদি, ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একসঙ্গে একান্ত আলোচনায় মেতে উঠতে দেখা যায়। মোদি তাদের তিনজনের হাস্যোজ্জ্বল ছবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিতে তিন নেতাকে করমর্দন এবং হাসিমুখে সৌহার্দ্যপূর্ণ মুহূর্ত ভাগ করে নিতে দেখা যায়।

/আশিক


৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ৬২২, আহত হাজার ছাড়াল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৪:১১:৫৮
৬ মাত্রার ভূমিকম্পে আফগানিস্তানে মৃতের সংখ্যা ৬২২, আহত হাজার ছাড়াল
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২২ জনে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও টেলিভিশন আফগানিস্তান (আরটিএ) প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৫০০ বলে জানিয়েছিল। তালেবান সরকারের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, শুধু কুনার প্রদেশেই ‘শত শত মানুষ’ নিহত হতে পারে। পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাতে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ছয় মাত্রার এই ভূমিকম্প স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে আরও তিনটি কম্পন হয়েছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪.৫ থেকে ৫.২ এর মধ্যে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এবং প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তালেবান সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ডজনখানেক ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। কর্মকর্তারা মানবিক সংস্থাগুলোকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভূমিধস ও বন্যার কারণে সড়কপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকর্মীরা শুধু আকাশপথে সেখানে পৌঁছাতে পারছেন।

আহতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, আহতদের হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কুনার প্রদেশের পুলিশ প্রধান বিবিসিকে জানান, সড়কপথ বন্ধ থাকায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করেই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে কুনার প্রদেশকে বিবেচনা করা হচ্ছে, যেখানে ভূমিধসের কারণে সড়কপথ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। নানগারহার ও কুনার প্রদেশের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, দুই প্রদেশে মোট ১১৫ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নানগারহার প্রদেশে ভূমিকম্পে আহতদের জন্য রক্ত দিতে হাসপাতালগুলোতে ছুটে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।

তালেবান সরকারের ডেপুটি গভর্নর আজিজুল্লাহ মুস্তাফা বিবিসিকে জানিয়েছেন, তার জেলায় প্রায় ৩০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, তালেবান সরকারের সম্পদ সীমিত এবং দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে হেলিকপ্টার সরবরাহের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাহায্য চাইছেন।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদ শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে। এর আগে, শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নানগারহার প্রদেশে বন্যা হয়েছিল, যেখানে ৫ জন নিহত হন।


মোদির চীন সফরের মধ্যেই ভারতকে নিশানায় ট্রাম্পের উপদেষ্টা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১১:৩৮:৪০
মোদির চীন সফরের মধ্যেই ভারতকে নিশানায় ট্রাম্পের উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনে তা প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে বিক্রি করে ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে মুনাফা করছে ভারত এমন অভিযোগ তুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরের সময়ই এই সমালোচনা করেন তিনি। এমনকি ভারতকে রাশিয়ার ‘মানি লন্ড্রিং সেন্টার’ বলেও অভিহিত করেন নাভারো। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাভারো দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ভারত মস্কোর কাছ থেকে খুব সামান্য পরিমাণ তেল কিনত। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ আগ্রাসন শুরুর পর নয়াদিল্লি নিয়মিতভাবে ডিসকাউন্টে রাশিয়ার তেল কিনছে এবং তা দেশীয় রিফাইনারিতে প্রক্রিয়াজাত করে ইউরোপসহ বিশ্ববাজারে উচ্চ মূল্যে রপ্তানি করছে। তাঁর ভাষায়, এভাবেই রাশিয়ার “যুদ্ধযন্ত্রে জ্বালানি” যোগাচ্ছে ভারত।

নাভারো ভারতীয় অভিজাত শ্রেণিকে অভিযুক্ত করে বলেন, তারা জনগণের ক্ষতির বিনিময়ে বিপুল মুনাফা করছে। তাঁর মন্তব্য অনুযায়ী, “ভারত আসলে রাশিয়ার জন্য একটি লন্ড্রোম্যাট ছাড়া কিছুই নয়। ব্রাহ্মণরা জনগণের কষ্টের বিনিময়ে লাভ করছে, আর ইউক্রেনে নিরপরাধ মানুষ মারা যাচ্ছে।” তিনি আরও যোগ করেন, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়ার তেল কম দামে কিনে প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। এতে ভারত লাভবান হলেও ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারাচ্ছে এবং পশ্চিমা করদাতাদের নিজেদের সরকারকে আরও অর্থ দিতে হচ্ছে।

তিনি ভারতীয় পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের পক্ষেও অবস্থান নেন। তাঁর মতে, নয়াদিল্লির মস্কো ও বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিশ্ব স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যদিও তিনি নরেন্দ্র মোদিকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রশংসা করেন, তবে প্রশ্ন তোলেন কেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন।

ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টার এই কড়া সমালোচনা এমন সময়ে এলো যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফর করছেন। সাত বছর পর এই প্রথম মোদি বেইজিং সফরে গেছেন এবং সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। ফলে নাভারোর মন্তব্যকে অনেকেই কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেখছেন।

-রাফসান


পূর্ব আফগানিস্তানে এক রাতের ভয়াবহতা, কাঁপছে সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১১:২৭:৫৫
পূর্ব আফগানিস্তানে এক রাতের ভয়াবহতা, কাঁপছে সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো
ছবিঃ সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আঘাত হেনেছে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী কুনার প্রদেশের নোরগাল জেলা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কেবল কুনারেই নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারও সর্বোচ্চ সম্পদ ও জনবল কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে, যাতে দ্রুততম সময়ে আহতদের চিকিৎসা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া যায়।

রোববার গভীর রাতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম। আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানায়, প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক সম্পদহানি ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি হতাহতের খবর পাওয়া গেছে কুনার প্রদেশ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.০। উৎপত্তিস্থল ছিল জালালাবাদের উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে এবং মাত্র ৮ কিলোমিটার ভূগর্ভে। প্রধান কম্পনের পর একই এলাকায় আরও দুটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৫.২। এসব কম্পন নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

আফগানিস্তানের নানগারহার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, আহতদের দ্রুত স্থানীয় আঞ্চলিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্সে দেওয়া বার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “দুঃখজনকভাবে আজকের রাতের ভূমিকম্পে আমাদের কয়েকটি পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।” তবে তিনি নির্দিষ্ট হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেননি।

তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলো থেকেও সহায়তাকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। জীবন রক্ষায় ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সব ধরনের সম্পদ ও সামর্থ্য ব্যবহার করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুজাহিদ।

-রাফসান


আবু উবাইদার মৃত্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব- ইসরায়েলের দাবি, হামাসের নীরবতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১১:২১:২৫
আবু উবাইদার মৃত্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব- ইসরায়েলের দাবি, হামাসের নীরবতা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র ও শীর্ষস্থানীয় নেতা আবু উবাইদাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এখনো এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) গাজার রাজধানী গাজা সিটির ঘনবসতিপূর্ণ আল-রিমাল এলাকায় লক্ষ্যভেদী হামলা চালানো হয়। ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একসঙ্গে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার মূল লক্ষ্য ছিল একটি নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট, যা দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। ইসরায়েলের দাবি, এ হামলায় আবু উবাইদা নিহত হন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে এই অভিযানকে “সফল” উল্লেখ করে সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

তবে হামাস তাৎক্ষণিকভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান না করলেও উবাইদার মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করেনি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হামলায় বহু সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আল-রিমাল এলাকায় চালানো ওই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত ও বিশজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। হামলার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে লাখ লাখ ডলার সমমূল্যের কাগুজে টাকা উড়ে যেতে দেখা যায়। এর একটি বড় অংশ স্থানীয়রা সংগ্রহ করলেও পরে তা উদ্ধার করে হামাস।

রোববার (৩১ আগস্ট) প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় চলমান অভিযান যত তীব্র হবে, আবু উবাইদার সহযোগী ও অন্যান্য “অপরাধীদের” টার্গেট করা হবে। তার ভাষ্যমতে, এটি সম্প্রতি অনুমোদিত গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনারই অংশ।

প্রায় ৪০ বছর বয়সী আবু উবাইদা ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার অল্প কয়েকজন শীর্ষ নেতার একজন, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার আগের সময় থেকেই সক্রিয় ছিলেন। হামাসের সবচেয়ে পরিচিত মুখ হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। সবসময় মুখমণ্ডল ফিলিস্তিনি কাপড়ে আবৃত রাখায় তিনি কেবল কণ্ঠস্বর ও প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের হামাস-সমর্থকদের কাছে এক প্রতীকী মর্যাদা এনে দেয়।

গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) তিনি সর্বশেষ ভাষণ দিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই ভাষণে তিনি ইসরায়েলি বন্দিদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “তাদের পরিণতি হবে হামাস যোদ্ধাদের মতোই।” একইসঙ্গে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও তিনি সতর্কবার্তা দেন।

-রফিক


ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ২০:০১:২১
ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা
হামাসের সামরিক শাখাআল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা ২০১৫ সালের ৮ জুলাই গাজা সিটিতে বিবৃতি দিচ্ছেন। (ছবি: মোহাম্মদ আবেদ / এএফপি)

গাজায় শনিবার চালানো এক বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মহলে আগে থেকেই গুঞ্জন থাকলেও এটি ছিল প্রথম কোনো সরকারি স্বীকৃতি।

রোববার (৩১ আগস্ট) ‘টাইমস অব ইসরায়েল’-এর এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “দীর্ঘদিনের মুখপাত্র আবু উবাইদাকে নরকের তলানিতে ইরান, গাজা, লেবানন ও ইয়েমেনের ধ্বংসপ্রাপ্ত অক্ষশক্তির সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পাঠানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গাজা অভিযানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক হামাস সন্ত্রাসী ও অপরাধীর সঙ্গে সেও সেখানে যোগ দেবে।”

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে আবু উবাইদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, তবে তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা তখন নিশ্চিত ছিল না।

অন্যদিকে হামাস দ্রুত এই দাবি নাকচ করে দিয়ে জানায়, এ ধরনের গুজব ইসরায়েলের ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ’। সংগঠনটি ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ধরনের খবর ছড়ানো জনগণের আস্থা ও ঐক্য দুর্বল করে দেবে।

শনিবার রাতের হামলাটি গাজা সিটির একটি অ্যাপার্টমেন্টে চালানো হয়। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, ওই অ্যাপার্টমেন্টে আবু উবাইদা ছাড়াও অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। সৌদি আরবের আল-আরাবিয়া টিভি এক ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পরিবারের সদস্য ও হামাস কর্মকর্তারা তার মরদেহ শনাক্ত করেছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর নজরদারি ও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

হুদায়ফা সামির আব্দুল্লাহ আল-খালুত নামের এই ব্যক্তি ‘আবু উবাইদা’ ছদ্মনামে ২০০৪ সাল থেকে ইজ্জ আদ-দীন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি আলোচনায় আসেন এবং গাজা ও আরব বিশ্বের অনেক স্থানে একটি প্রতীকী মুখপাত্রে পরিণত হন।

আবু উবাইদার সর্বশেষ বিবৃতিটি প্রকাশিত হয় শুক্রবার রাতে। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, গাজা সিটিতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আক্রমণে জিম্মিদেরও একই ঝুঁকি ও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।


প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত, রাগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলেন প্রেমিক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১৯:৩৪:৫০
প্রেমিকার ফোন ব্যস্ত, রাগে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলেন প্রেমিক
ছবি: সংগৃহীত

প্রেমিকার ওপর ক্ষোভের কারণে এক যুবক বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে হাইটেনশন লাইন কেটে পুরো গ্রামকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এতে মুহূর্তেই ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ওই তরুণ লোহার কাটার যন্ত্র হাতে একটি খুঁটির ওপর উঠে একের পর এক বিদ্যুতের তার কেটে যাচ্ছেন। যেকোনো সময় একটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারত, কিন্তু তিনি কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করেননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’-এর দাবি, প্রেমিকার ফোন বারবার ব্যস্ত থাকায় ক্ষোভে ওই তরুণ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে ভিডিওটির সত্যতা বা ঘটনাটি ঠিক কোথায় ঘটেছে, তা এখনো যাচাই করা যায়নি।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। একজন লিখেছেন, “প্রেমে ক্ষোভে অনেকে নিজের শিরা কাটে, এ তো গোটা গ্রামের শিরা কেটে দিল।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “কথায় বলে প্রেমে অন্ধ, কিন্তু এই প্রেমে তো পুরো গ্রাম অন্ধ।”


দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রকাশ পেল অচিন্তনীয় কাহিনি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১২:১৭:১৯
দরজার নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তে প্রকাশ পেল অচিন্তনীয় কাহিনি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লির রোহিনিতে জন্মদিনের উপহার বিনিময়কে কেন্দ্র করে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এক ব্যক্তি নিজের স্ত্রী এবং শাশুড়িকে নির্মমভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটির পরপরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট মেঘ সিনহার মা কুসুম সিনহা (৬৩) নাতির জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে মেয়ে প্রিয়া সেহালের (৩৪) বাসায় গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে প্রিয়া ও তার স্বামী যোগেশ সেহালের মধ্যে জন্মদিনের উপহার নিয়ে তর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন কুসুম সিনহা, কিন্তু তাতেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, মেঘ সিনহা ৩০ আগস্ট মাকে ফোন করলে কোনো সাড়া পাননি। এরপর তিনি প্রিয়ার বাসায় যান। সেখানে গিয়ে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ এবং দরজার নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। বিষয়টি দেখে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে কুসুম ও প্রিয়ার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মেঘ সিনহার অভিযোগ, তার বোনের স্বামী যোগেশ সেহাল বর্তমানে বেকার ছিলেন এবং মানসিক চাপের মধ্যে ভুগছিলেন। জন্মদিনের অনুষ্ঠানের সময় উপহার নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা ও বোনকে হত্যা করেন এবং সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যোগেশ সেহালকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি পারিবারিক সহিংসতার জটিলতা থেকেই সংঘটিত হয়েছে।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত আরও গভীরভাবে করার জন্য পুলিশ ক্রাইম টিম এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে ডেকেছে। তারা ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে হত্যার প্রকৃত কারণ এবং ব্যবহৃত অস্ত্রের বিস্তারিত প্রমাণ সংগ্রহ করছেন।

-শরিফুল


ভারতের কেরালায় ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ: ‘বিফ ফেস্ট’

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১১:৫৪:২৪
ভারতের কেরালায় ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ: ‘বিফ ফেস্ট’
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের কেরালার এরনাকুলামে ক্যানারা ব্যাংকের কর্মীরা এক অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সম্প্রতি নতুন যোগ দেওয়া এক শাখা ম্যানেজার ক্যান্টিনে গরুর মাংস পরিবেশন বন্ধের নির্দেশ জারি করেন। এর জেরেই কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতীকীভাবে একটি ‘বিফ ফেস্ট’ আয়োজন করেন।

এই কর্মসূচির উদ্যোগ নেয় ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বিইএফআই)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমে তারা ম্যানেজারের অশালীন আচরণ এবং কর্মীদের মানসিক হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু গরুর মাংস পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞার পর বিষয়টি অন্য রূপ নেয় এবং কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন ক্যান্টিনের সামনে গরুর মাংস ও পরোটা খেয়ে প্রতীকী উৎসবের মাধ্যমে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।

সংগঠনের নেতা এস এস অনিল বলেন, “এখানে একটি ছোট ক্যান্টিন আছে যেখানে নির্দিষ্ট দিনে গরুর মাংস পরিবেশন করা হয়। কিন্তু ম্যানেজার সরাসরি ক্যান্টিন কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, আর গরুর মাংস দেওয়া যাবে না। অথচ এই ব্যাংক সংবিধানের নিয়ম মেনে চলে। খাবার একটি ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। ভারতীয় সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে নিজের খাদ্যাভ্যাস বেছে নেওয়ার অধিকার দিয়েছে। আমরা কাউকে জোর করছি না গরুর মাংস খেতে। আমাদের প্রতিবাদের এই আয়োজন শুধুই একটি প্রতীকী বার্তা।”

ঘটনার পর কেরালার স্বতন্ত্র এমএলএ কে টি জালিল প্রকাশ্যে প্রতিবাদকারীদের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনও অধিকার নেই মানুষ কী পরবে, কী খাবে, কী ভাববে, তা নির্ধারণ করার।”

এর আগে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার গরু বিক্রি নিষিদ্ধ করলে কেরালার বিভিন্ন জেলায় মানুষ ব্যাপক আকারে ‘বিফ ফেস্ট’ আয়োজন করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সাম্প্রতিক এই ঘটনায় আবারও সেই ধরনের আন্দোলনের পুনরাবৃত্তি ঘটল, যা কেরালার সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

-রফিক

পাঠকের মতামত: