চ্যাটবটের সঙ্গে ভুলেও শেয়ার করবেন না যে ১০টি তথ্য

চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ই-মেইল লেখা, তথ্য খোঁজা কিংবা মন খুলে কথা বলার মতো অনেক কাজেই এআই ব্যবহার হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এই ভরসার আড়ালে লুকিয়ে আছে নানা ঝুঁকি।
তাদের দাবি, চ্যাটবটের সঙ্গে করা আপনার সব আলাপই গোপন নয়। কারণ, ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্যগুলো সংরক্ষিত, বিশ্লেষিত বা ভবিষ্যতে ফাঁসও হতে পারে। তাই কিছু সংবেদনশীল বিষয় কখনোই চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়।
যে ১০টি তথ্য চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করবেন না
১. ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার পূর্ণ নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ই-মেইল ঠিকানা কখনোই চ্যাটবটে দেবেন না। এই তথ্যগুলো একসাথে করলে সহজেই আপনার পরিচয় শনাক্ত করা যায়, যা প্রতারণা, ফিশিং বা ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকি তৈরি করে।
২. গোপন কথা বা স্বীকারোক্তি: একাকিত্ব কাটাতে অনেকেই চ্যাটবটের সঙ্গে মন খুলে কথা বলেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এআই কোনো বন্ধু বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নয়। আপনার বলা কথা সংরক্ষিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফাঁস হতে পারে।
৩. কর্মস্থলের গোপনীয় তথ্য: অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য, নথিপত্র বা ব্যবসায়িক কৌশল কখনোই চ্যাটবটে পেস্ট করা উচিত নয়। চ্যাটবট ইনপুট ব্যবহার করে নিজেকে উন্নত করে, ফলে আপনার শেয়ার করা তথ্য বাইরে চলে যেতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
৪. আর্থিক তথ্য: ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ বা সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরের মতো সংবেদনশীল আর্থিক তথ্য সাইবার অপরাধীদের কাছে মূল্যবান। এসব তথ্য চ্যাটবটে দিলে তা চুরি বা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে।
৫. স্বাস্থ্য বা চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য: এআই চ্যাটবট চিকিৎসক নয় এবং ভুল তথ্যও দিতে পারে। আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, প্রেসক্রিপশন বা চিকিৎসার ইতিহাস শেয়ার করলে তা চুরি হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সব সময় একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৬. অশ্লীল বা আপত্তিকর বিষয়বস্তু: অনেক চ্যাটবট আপত্তিকর বিষয়বস্তু শনাক্ত করে ব্লক করলেও, আপনার লেখাগুলো রেকর্ড হয়ে যেতে পারে। অশ্লীল বা বেআইনি বিষয়বস্তু শেয়ার করলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা থাকে।
৭. পাসওয়ার্ড: কোনো চ্যাটবটের সঙ্গেই আপনার পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না, এমনকি কথার ছলেও নয়। এটি আপনার ই-মেইল, ব্যাংক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। পাসওয়ার্ড সংরক্ষণের জন্য একটি নিরাপদ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
৮. আইনি জটিলতা: চুক্তি, মামলা-মোকদ্দমা বা আইনি বিবাদের মতো বিষয়ে চ্যাটবটের পরামর্শ নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। চ্যাটবট ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারে, যা ভবিষ্যতে আপনার জন্য আইনি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
৯. সংবেদনশীল ছবি বা নথি: পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ব্যক্তিগত ছবির মতো সংবেদনশীল নথি কখনোই চ্যাটবটে আপলোড করবেন না। ডিলিট করে দিলেও এসব ফাইলের ডিজিটাল চিহ্ন থেকে যেতে পারে।
১০. যা আপনি অনলাইনে দেখতে চান না: যদি আপনি না চান যে আপনার বলা কোনো কথা ভবিষ্যতে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ুক, তাহলে সেটা চ্যাটবটকে বলবেন না। চ্যাটবটের আলাপ অনেক সময় গোপন থাকে না এবং ভবিষ্যতে তা ব্যবহৃত হতে পারে। তাই এআই চ্যাটবটের সঙ্গে আলাপকালে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অপরিহার্য যন্ত্র। কল বা বার্তা পাঠানো ছাড়াও প্রাত্যহিক কাজ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যবহারে স্মার্টফোনে অসংখ্য তথ্য জমা হওয়ায় এবং একাধিক অ্যাপ চালু থাকার ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবেন। তবে সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সচেতন ব্যবহারে পুরোনো ফোনটিই আগের মতো গতিশীল করে তোলা সম্ভব।
স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর ৫টি কার্যকর উপায়
১. ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ: অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করলেও ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এই অ্যাপগুলো প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, ফলে ফোন ধীরগতির হয় এবং ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নির্ধারণ করে দিলে এই চাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।
২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলা: অ্যাপ ব্যবহারের সময় সাময়িক ডেটা ক্যাশে মেমোরি হিসেবে ফোনে জমা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই জমা ডেটা বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। ফোনের সেটিংসে বা সিস্টেম লেভেল ক্লিয়ার ক্যাশের সুবিধা ব্যবহার করে ক্যাশে মুছে ফেললে ফোন হালকা হয়ে ওঠে, অ্যাপ চালু ও ব্যবহারে গতি ফেরে।
৩. অব্যবহৃত অ্যাপ সরিয়ে ফেলা: প্রায় সবার ক্ষেত্রেই ঘটে যে প্রয়োজনে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পর আর ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের অব্যবহৃত অ্যাপগুলো স্টোরেজ দখল করে রাখে এবং ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। ফোনের ফিচারে অব্যবহৃত অ্যাপ শনাক্ত করে সেগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয় এবং ফোন দ্রুত হয়।
৪. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা: ফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট দেন। এসব হালনাগাদে পারফরম্যান্স উন্নয়ন ও নিরাপত্তাজনিত পরিবর্তন যুক্ত করা হয়। অনেকে ডেটা খরচের কথা ভেবে আপডেট এড়িয়ে যান, যা ফোনের গতি ও স্থিতিশীলতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সময়মতো আপডেট ইনস্টল করে নেওয়া জরুরি।
৫. ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা: ব্যাটারির সঠিক ব্যবস্থাপনা ফোনের গতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফোনের স্ক্রিন ব্রাইটনেস খুব বেশি থাকলে বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’র মতো ফিচার চালু থাকলে প্রসেসরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণ করলে প্রসেসরের ওপর চাপ কমে এবং ফোন স্থিতিশীলভাবে কাজ করতে পারে।
নিউজ১৮
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
পৃথিবীতে মানুষ আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন লাখ বছর ধরে প্রাণিজগতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে টিকে আছে মানুষ। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI)-এর দ্রুত উন্নতি সেই শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থানকে দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ন রাখবে কি না, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, এমন এক সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে, যখন এআই প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই মুহূর্তটিকেই তাঁরা বলছেন ‘সিঙ্গুলারিটি’।
সিঙ্গুলারিটির নতুন সময়সীমা
‘সিঙ্গুলারিটি’ হলো সেই বিন্দু, যেখান থেকে এমন এক যুগের সূচনা হবে, যেখানে যন্ত্র মানুষের চেয়েও দ্রুত ও নিখুঁতভাবে চিন্তা করবে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিজের উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করবে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এআইমাল্টিপলের একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগেও বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, ২০৬০ সালের আগে এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু এখন অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সেই সময় হয়তো আর দূরে নয়—সম্ভবত কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
এআইমাল্টিপলের প্রধান বিশ্লেষক সেম দিলমেগানি বলেন, “সিঙ্গুলারিটি একটি কাল্পনিক ঘটনা, যা ঘটলে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় একটি সিস্টেম মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে, কিন্তু গতিতে হবে অতিমানবীয় এবং স্মৃতিতে হবে প্রায় নিখুঁত।”
বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস
অ্যানথ্রপিকের সিইও দারিও আমোদি তার প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালেই সিঙ্গুলারিটি ঘটতে পারে। তখনকার এআই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোবেলজয়ী মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হবে।
প্রবৃদ্ধির গতি: সেম দিলমেগানির মতে, জেনারেটিভ এআইয়ের অগ্রগতি এত দ্রুত গতিতে ঘটছে যে, বর্তমানে শীর্ষ এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা গড়ে প্রতি সাত মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ‘বুদ্ধিমত্তার বিস্ফোরণ’ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সূত্র: ডেইলি মেইল
লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি
মহাবিশ্বের এক মহারহস্যের পর্দা এবার যেন সরে গেল। প্রথমবারের মতো নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এক বিশাল লাল তারার বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তের ছবি তুলেছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে করা এই পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতদিন যেসব বিশাল তারা হঠাৎ ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আসলে ধূলার আড়ালে লুকিয়ে ছিল।
‘এসএন২০২৫পিএইচটি’ ও রহস্যময় ধুলা
বিস্ফোরণের কেন্দ্র: গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু ‘এসএন২০২৫পিএইচটি’, একটি সুপারনোভা যা ২০২৫ সালের ২৯ জুন পৃথিবী থেকে প্রায় চার কোটি আলোবর্ষ দূরের ‘এনজিসি ১৬৩৭’ গ্যালাক্সিতে প্রথম শনাক্ত হয়।
শনাক্তকরণ: জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড দৃষ্টিতে বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপের পুরোনো ছবির সঙ্গে তুলনা করে বিস্ফোরিত তারাটিকে শনাক্ত করেছেন। এটি ছিল একটি গভীর লাল, বিশালাকার সুপারজায়ান্ট, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।
ধুলার রহস্য: আশ্চর্যের বিষয় হলো, ধুলার ঘন আবরণ তার প্রকৃত উজ্জ্বলতাকে ঢেকে দিয়েছিল। ফলে যা দেখা যাচ্ছিল, তা আসলের একশ ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই তারার চারপাশের ধুলা ছিল কার্বনসমৃদ্ধ, যেখানে সাধারণত সুপারজায়ান্ট তারায় ধুলা হয় অক্সিজেনভিত্তিক।
বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য
বিজ্ঞানীদের মতে, এটাই এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে লাল, সবচেয়ে ধুলায় ঢাকা সুপারজায়ান্ট বিস্ফোরিত তারা। মৃত্যুর আগে তারাটির অভ্যন্তরীণ প্রবাহে পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গভীর স্তর থেকে কার্বন উঠে এসে পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ধুলার রসায়ন বদলে যায়। জেমস ওয়েবের এই ছবি মহাবিশ্বের বৃহৎ তারাগুলোর জীবন ও মৃত্যু বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এ ছবি শুধু এক তারার শেষ অধ্যায় নয়, এ যেন মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে প্রথমবারের মতো মানুষের উপস্থিতি।
ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
স্মার্টফোনে জায়গা কমে গেলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করে এবং নতুন অ্যাপ বা ফাইল ডাউনলোড করা কঠিন হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ফোনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সময়মতো স্টোরেজ খালি রাখা জরুরি। নিচে এমন ১০টি সহজ কৌশল দেওয়া হলো, যা আপনার ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে সাহায্য করবে।
স্টোরেজ খালি করার ১০ কৌশল
১. ভিডিও ও ছবি ক্লাউডে রাখুন: বড় ভিডিও ও ছবি ফোনে জমে থাকে। গুগল ড্রাইভ বা গুগল ফটোসের মতো ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করলে ফোনের অনেক জায়গা খালি থাকে।
২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলুন: প্রতিটি অ্যাপ ব্যবহারের সময় ক্যাশে তথ্য জমা হয়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপের ক্যাশ ক্লিয়ার করলে অনেক জায়গা খালি হবে।
৩. অব্যবহৃত অ্যাপ ডিলিট করুন: যে অ্যাপগুলো আপনি কম ব্যবহার করেন বা প্রয়োজন নেই, সেগুলো মুছে ফোনের স্টোরেজ খালি করুন।
৪. অটোমেটিক ডাউনলোড বন্ধ করুন: হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম-এর মতো অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ডাউনলোড করে। এটি বন্ধ করলে স্টোরেজ সাশ্রয় হয়।
৫. চ্যাট অ্যাপের মিডিয়া ফাইল মুছে দিন: হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের ছবি, ভিডিও ও অডিও ফাইলগুলো অ্যাপের সেটিংস থেকে ডিলিট করলে স্টোরেজ খালি হয়।
৬. পুরোনো ডাউনলোড ফাইল ডিলিট করুন: ডাউনলোড ফোল্ডারে অনেক পুরোনো ফাইল জমে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে মুছে স্টোরেজ ফাঁকা করুন।
৭. স্টোরেজ অপটিমাইজেশন ব্যবহার করুন: অনেক ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় ফাইল সরানোর অপশন থাকে। এটি ব্যবহার করে জায়গা খালি রাখা যায়।
৮. জরুরি ফাইল ই-মেইলে সংরক্ষণ করুন: দরকারি ফাইল বা ছবি ই-মেইলে সংরক্ষণ করলে তা ফোনে বাড়তি জায়গা নেবে না।
৯. কম রেজোলিউশনের ছবি ব্যবহার করুন: কম গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলো কম রেজোলিউশনে সংরক্ষণ করলে স্টোরেজ কম লাগে।
১০. ফোন রিস্টার্ট করুন: মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করলে অস্থায়ী ফাইল ও সিস্টেম ক্যাশ মুছে যায়। ফলে ফোন দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করে।
এই সহজ কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফোনের স্টোরেজ খালি থাকবে এবং প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজ করবে।
ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
আজকের দিনে ইউটিউব কেবল ভিডিও দেখার জায়গা নয়, এটি ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম বড় সুযোগ। কিন্তু ইউটিউবে সফল হতে শুধু ভিডিও বানালেই হবে না, সঠিক কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। নিচে এমন ৮টি সহজ কিন্তু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো, যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলবে।
ইউটিউব চ্যানেল সফল করার ৮ কৌশল
১. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করুন: প্রথম দেখায় মানুষ থাম্বনেইল দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই রঙিন, পরিষ্কার, এবং ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে—এমন থাম্বনেইল ব্যবহার করুন, যা দর্শক টানবে বেশি।
২. ভিডিওর শুরুতেই মনোযোগ কাড়ুন: দর্শক যদি প্রথম ৫-১০ সেকেন্ডে আগ্রহ হারায়, তাহলে তারা ভিডিও ছেড়ে দেবে। তাই শুরুতে চমক—মজার প্রশ্ন, তথ্য বা ছোট গল্প দিন, যা মানুষকে পুরো ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী করে তুলবে।
৩. নিয়মিত ভিডিও দিন, মান বজায় রাখুন: হাতেগোনা কয়েকটি ভালো ভিডিও নয়, বরং নিয়ম করে ভালো মানের ভিডিও দিতে পারলে তবেই আপনি দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন। সপ্তাহে এক বা দুবার নির্দিষ্ট দিনে ভিডিও আপলোড করুন, যেন দর্শক অপেক্ষা করে।
৪. কাজের শব্দ (Keyword) ব্যবহার করুন: আপনার ভিডিও মানুষ কীভাবে খুঁজে পাবে? এর উত্তর হলো—ভিডিওর টাইটেল, ডিসক্রিপশন (বর্ণনা) ও ট্যাগে সঠিক কীওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করে। যেমন, কুকিং ভিডিওর জন্য ‘চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি’ বা ‘৫ মিনিটে সহজ রান্না’—এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করুন।
৫. কমেন্টে উত্তর দিন, সম্পর্ক তৈরি করুন: দর্শক শুধু দেখেই না, কথাও বলতে চায়। তাই ভিডিওতে প্রশ্ন করুন, মতামত জানতে চান, আর যারা কমেন্ট করেছে, তাদের রিপ্লাই দিন। এতে ফলোয়াররা আপনাকে কাছের মানুষ ভাববে।
৬. অন্যান্য মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার: আপনার ভিডিও শুধু ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা টিকটকে শেয়ার করুন। কোলাবরেশন (সহযোগিতা) করলে নতুন দর্শক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
৭. ভিডিওগুলো সিরিজ আকারে সাজান: একই ধরনের ভিডিও এক জায়গায় (প্লেলিস্টে) রাখলে মানুষ একটার পর একটা দেখতে চায়। এতে ভিউ এবং ওয়াচ টাইম—উভয়ই বাড়ে।
৮. ভিডিও শেষে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন: অনেকে ভালো ভিডিও দেখেও সাবস্ক্রাইব করতে ভুলে যায়। তাই ভিডিওর শেষে একটা ছোট্ট অনুরোধ রাখুন—ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।
ইউটিউবে সফল হতে সময় লাগে, কিন্তু ভালো কনটেন্ট, ধৈর্য আর দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক—এই তিনটিই সফলতার চাবিকাঠি।
সূত্র : প্রযুক্তি
সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবার, বন্ধু বা কাজের কথা বলার জন্য এটি যেমন সুবিধাজনক, তেমনি ভুল করে অথবা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি বা তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই—আপনি নিজেই খুব সহজে ৫টি উপায়ে দেখে নিতে পারেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কেউ ব্যবহার করছে কি না।
সুরক্ষা নিশ্চিতের ৫টি সহজ উপায়
১. লিঙ্কড ডিভাইস চেক করুন: আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে যান। এরপর Settings > Linked Devices অপশনে যান। এখানে যদি কোনো অজানা ডিভাইস (যেমন অচেনা ফোন, কম্পিউটার বা ব্রাউজার) যুক্ত থাকে, তাহলে সেটি থেকে Log out করে দিন। চাইলে এখান থেকেই আপনি সব ডিভাইস থেকে একবারে লগ আউট করতে পারবেন।
২. ওয়েব/ডেস্কটপে লগইনের নোটিফিকেশন: কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব বা ডেস্কটপে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকে, তাহলে আপনার ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসার কথা। এমন কিছু দেখলে দ্রুত সতর্ক হোন এবং যাচাই করে দেখুন।
৩. অচেনা চ্যাট বা বার্তা দেখলে খেয়াল করুন: আপনি লেখেননি, এমন কোনো বার্তা যদি কারও কাছে যায়, অথবা আপনি হঠাৎ কোনো নতুন গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান—তাহলে বুঝবেন কেউ আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাক্সেস করছে।
৪. লাস্ট সিন বা অনলাইন স্ট্যাটাস মিলিয়ে দেখুন: আপনি অ্যাপে ঢোকেননি, অথচ কেউ আপনাকে ‘online’ বা ‘last seen recently’ দেখছে? এমন হলে ধরে নিন, কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করা প্রয়োজন।
৫. সিকিউরিটি কোড চেঞ্জ নোটিফিকেশন চালু করুন: কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকলে এনক্রিপশন সিকিউরিটি কোড বদলাতে পারে। এটি জানতে হলে Settings > Account > Security তে যান এবং Show Security Notifications অপশনটি চালু করুন।
বিশেষ পরামর্শ
দ্রুত পদক্ষেপ: অজানা কোনো ডিভাইসে লগ ইন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে লগ আউট করুন।
নিরাপত্তা যাচাই: অচেনা বার্তা বা আচরণ দেখলে অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করুন।
রিসেট: প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিসেট করুন এবং নতুন পিন ব্যবহার করুন।
নিজের তথ্য নিজেরই সুরক্ষা করতে হবে। একটু সচেতন থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!
মহাকাশে এক অভূতপূর্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা: চাঁদে আঘাত হানতে ছুটে আসা একটি গ্রহাণুকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের সিদ্ধান্ত! এই বিস্ফোরণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহৃত বোমার চেয়েও পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে চাঁদ ও পৃথিবীর ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?
২০৩২ সালের সম্ভাব্য হুমকি
বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩২ সালে একটি গ্রহাণু চাঁদে আঘাত হানতে পারে। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে চাঁদের টুকরো টুকরো ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনগুলোর (International Space Station) জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।
বিকল্প পদক্ষেপের চিন্তা
এই সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে তার গতিপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিরাচরিত পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ভিন্ন এবং শক্তিশালী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন। তারা সরাসরি গ্রহাণুটির ওপর পারমাণবিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন।
'2024 YR4' গ্রহাণু
প্রাথমিকভাবে '2024 YR4' নামক প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর জন্য হুমকি মনে করা হলেও, বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি পৃথিবীতে নয়, বরং চাঁদে আঘাত হানবে। পৃথিবীর জন্য তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, চাঁদের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক। এর ফলে পৃথিবীর জন্যও বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।
উল্কা বৃষ্টির আশঙ্কা ও গবেষণা
যদি এই গ্রহাণুটি চাঁদে আঘাত হানে, তাহলে মহাকাশে প্রচুর পরিমাণে চাঁদের ভূমির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়বে। এতে পৃথিবী থেকে ব্যাপক উল্কা বৃষ্টি দেখা যেতে পারে। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ব্রেন্ট বার্বের নেতৃত্বে একটি দল এই বিপদ কমানোর জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছে এবং তাদের গবেষণার ফলাফল একটি প্রি-প্রিন্ট পেপারে প্রকাশিত হয়েছে।
পারমাণবিক হামলার প্রস্তাবনা
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন করতে বড় কোনো বস্তু দিয়ে এটির পাশে আঘাত করা উচিত। নাসার ডার্ট মিশনের (DART mission) মতো করে আঘাত করার পরিকল্পনা চলছে, যেখানে একটি মহাকাশযান ব্যবহার করে ডিমরফস (Dimorphos) গ্রহাণুর কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে, '2024 YR4' গ্রহাণুর ক্ষেত্রে গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করলে উল্টো তা পৃথিবীর দিকে চলে আসার ঝুঁকি রয়েছে, কারণ এর ভর ও গঠন সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই।
সময় এবং তথ্যের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তনের পরিবর্তে এটিকে ধ্বংসের কথা ভাবছেন। গবেষকরা গ্রহাণুটিকে পারমাণবিক বিস্ফোরকের দুটি ১০০ কিলোটনের ডিভাইস দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। এই গবেষণাটি 'জার্নাল অফ দ্য অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সায়েন্সেস' (Journal of the Astronautical Sciences) এ জমা দেওয়া হয়েছে।
সাত মিলিয়ন ডাউনলোড: হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আরাত্তাই’
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানের নতুন দেশীয় অ্যাপ ‘আরাত্তাই’ চালু হয়েছে। জোহো করপোরেশনের তৈরি এই অ্যাপটি সম্প্রতি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মাত্র এক সপ্তাহে এটি সাত মিলিয়নবার (৭০ লাখ বার) ডাউনলোড হয়েছে, যা একটি অতি উচ্চ সংখ্যা।
জনপ্রিয়তার কারণ
‘আরাত্তাই’ শব্দের অর্থ তামিল ভাষায় ‘আলাপ-আলোচনা’। ২০২১ সালে সীমিত পরিসরে চালু হলেও তখন সাড়া কম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রচারণা এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বানে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মন্ত্রীরা দেশীয় অ্যাপ ব্যবহার প্রচারে উৎসাহ দিয়েছেন।
জোহোর সিইও মণি ভেম্বু জানিয়েছেন, “মাত্র তিন দিনে দৈনিক সাইনআপ বেড়ে ৩ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার হয়েছে। এটি প্রমাণ করে ভারতীয় ব্যবহারকারীরা দেশীয় পণ্যে আগ্রহী।”
সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
অ্যাপটিতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা পাঠানো, ভয়েস ও ভিডিও কল, ব্যবসায়িক টুলসের সুবিধা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, এটি কম দামের ফোন ও দুর্বল ইন্টারনেটেও ভালোভাবে কাজ করে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপের ৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকা অবস্থায় আরাত্তাইকে সেটি টপকে যাওয়া সহজ হবে না। নতুন অ্যাপটির গোপনীয়তা ও এনক্রিপশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে ভিডিও ও ভয়েস কলে এনক্রিপশন থাকলেও, বার্তায় এটি এখনো নেই। জোহো জানিয়েছে, শিগগিরই সব বার্তাতেই এনক্রিপশন চালু করা হবে।
প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো অভ্যাসগড়া অ্যাপগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরাত্তাইয়ের টিকে থাকা এখনো চ্যালেঞ্জিং।
সাবধান! হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা শনাক্তের ৬ কৌশল
বিদেশে বা দেশের কোথাও ভ্রমণের সময় নিয়মিত হোটেলে থাকেন অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা বসানোর মতো অভিযোগ বাড়ছে, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এক বড় ধরনের হুমকি। প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় গোপন ক্যামেরা এখন ঘড়ি, স্মোক ডিটেক্টর, চার্জার অ্যাডাপ্টার কিংবা সাজসজ্জার জিনিসের ভেতরে সহজেই লুকিয়ে রাখা যায়। তাই হোটেলে থাকার সময় আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা দ্রুত শনাক্তের কার্যকরী ছয়টি কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো:
গোপন ক্যামেরা শনাক্তের কৌশল
১. কক্ষের চারপাশ পর্যবেক্ষণ: প্রথমেই কক্ষটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্মোক ডিটেক্টর, ঘড়ি, বৈদ্যুতিক সকেট, দেয়ালের সাজসজ্জা, খেলনা বা আয়না—এগুলোর কোনোটি অস্বাভাবিক জায়গায় বসানো থাকলে বা আশপাশের জিনিসের তুলনায় নতুন মনে হলে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।
২. অন্ধকারে টর্চলাইট ব্যবহার: ঘরের সব আলো নিভিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে হোটেলকক্ষের চারপাশ দেখতে হবে। ক্যামেরার লেন্স আলো প্রতিফলিত করে, তাই কোথাও আলোর প্রতিফলন দেখা গেলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্যামেরা রয়েছে। আয়না, ঘরের কোণ বা ছবির ফ্রেমও পরীক্ষা করতে হবে।
৩. ফোনের ক্যামেরায় ইনফ্রারেড শনাক্ত: গোপন ক্যামেরা থেকে নির্গত অতি লাল বা ইনফ্রারেড আলো খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। তবে স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে তা শনাক্ত করা যায়। এর জন্য কক্ষের আলো নিভিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরা চালু থাকা অবস্থায় সন্দেহজনক স্থানগুলো পরীক্ষা করুন। ক্যামেরার পর্দায় ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু বা ঝলক দেখা গেলে, সেটি ইনফ্রারেড আলোর উৎস হতে পারে।
৪. ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কে অচেনা যন্ত্রের সন্ধান: ওয়্যারলেস ক্যামেরা সাধারণত একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকে। স্মার্টফোনের ওয়াই-ফাই সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রগুলোর তালিকা দেখতে হবে। তালিকায় যদি ‘আইপি ক্যামেরা’ বা ‘ক্যামেরা’-এর মতো অপরিচিত বা সন্দেহজনক নামের যন্ত্র দেখা যায়, তবে সতর্ক হতে হবে।
৫. রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার: কম দামের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করে সহজেই ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। কক্ষে এ ধরনের কোনো যন্ত্র চালু থাকলে ডিটেক্টরে আলো জ্বলবে বা শব্দ হবে।
৬. আয়না পরীক্ষা করা: আয়নার পেছনে ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে। তাই আয়নার নির্দিষ্ট স্থানে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি আপনার আঙুল ও তার ছবির মধ্যে কোনো ফাঁক দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে, সেটি সাধারণ আয়না। আর ফাঁকা না থাকলে সতর্ক হতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
পাঠকের মতামত:
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানে সাড়ে ৩৮ লাখ শিশুর টিকা সম্পন্ন
- নতুন মহামারির আশঙ্কা! জাপানে ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব, রোগী বেড়েছে চারগুণ
- সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
- ডিমেনশিয়া শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে নয়, বরং পা থেকে: স্নায়ু বিশেষজ্ঞের চমকপ্রদ তথ্য
- ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
- তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
- ১৫ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সবুজ শিল্পে নতুন মাইলফলক: আরও পাঁচটি কারখানা পেল লিড সার্টিফিকেশন
- আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
- দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
- গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ
- ‘আর যেন মিরপুরের মতো ট্র্যাজেডি না ঘটে’—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল
- সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
- স্বাস্থ্য থেকে ভূমি উন্নয়ন—বিভিন্ন খাতে অনিয়মে দুদকের হানা
- মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
- ২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
- রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস
- সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির
- যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
- নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
- পৃথিবীর মানচিত্রেও যার অস্তিত্ব নেই! তিব্বতের সেই লুকানো জগতের অবিশ্বাস্য রূপ
- শায়খ আহমাদুল্লাহর কণ্ঠে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে স্বচ্ছতার আহ্বান
- এশিয়ান কাপের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
- ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা
- মিরপুরের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের ভিড়
- মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
- শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেব: এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি
- তাওয়া গরম করছি: রাজপথে নেমে সরকারকে হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা