ব্ল্যাকহেড্‌স দূর করার ঘরোয়া উপায়: মাত্র দুটি জিনিস লাগবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ২২:২৮:৪৩
ব্ল্যাকহেড্‌স দূর করার ঘরোয়া উপায়: মাত্র দুটি জিনিস লাগবে
ছবি: সংগৃহীত

নাক, কপাল ও মুখের যেসব জায়গায় অতিরিক্ত সেবাম জমে ত্বকের রন্ধ্র বন্ধ হয়ে যায়, সেসব জায়গাতেই দেখা যায় ব্ল্যাকহেড্‌স। এগুলো ছোট ছোট কালো রোমের মতো দেখতে। ব্ল্যাকহেড্‌স দূর করতে অনেকে পার্লারে গেলেও, সঠিক পদ্ধতি জানা থাকলে ঘরে বসেই এটি পরিষ্কার করা সম্ভব।

ব্ল্যাকহেড্‌স কেন হয়?

ত্বকে থাকা সূক্ষ্ম রন্ধ্রে ময়লা, তেল বা মৃত কোষ জমলে ব্ল্যাকহেড্‌সের সৃষ্টি হয়। রন্ধ্রের মধ্যে এই ময়লা শুকিয়ে কালো বিন্দুর মতো ব্ল্যাকহেড্‌স তৈরি করে।

দূর করার সহজ কৌশল

ব্ল্যাকহেড্‌স দূর করতে আপনার প্রয়োজন হবে পরিষ্কার তোয়ালে এবং গরম পানি।

পদ্ধতি:

১. প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

২. এরপর গরম পানির ভাপ নিতে হবে। একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিন এবং

তা মুখের ওপর বা যেখানে ব্ল্যাকহেড্‌স আছে, সে অংশে চেপে ধরুন।

৩. গরম ভাপের কারণে ত্বকের রন্ধ্রগুলো উন্মুক্ত হবে এবং ব্ল্যাকহেড্‌স নরম হয়ে যাবে।

৪. এবার তোয়ালে দিয়ে আলতো চাপে ঘষাঘষি করলেই ব্ল্যাকহেড্‌স পরিষ্কার হয়ে যাবে। মনে রাখতে

হবে, খুব বেশি জোরে ঘষা যাবে না, এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।

৫. সবশেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে, যাতে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়।

ব্ল্যাকহেড্‌স এড়ানোর উপায়

এক্সফোলিয়েশন: ফেসওয়াশ দিয়ে নিয়মিত মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন স্ক্রাবিং করা জরুরি। এক্সফোলিয়েশন করলে ব্ল্যাকহেড্‌স হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

পরিচ্ছন্নতা: ক্রিম মেখে ধুলোভরা বা অপরিচ্ছন্ন বালিশ ও বিছানায় ঘুমালে এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই বিছানা সবসময় পরিষ্কার রাখা উচিত।

এছাড়াও, তোয়ালে দিয়ে ব্ল্যাকহেড্‌স পরিষ্কারের এই পদ্ধতিটি মাসে সর্বোচ্চ চারবার করা যেতে পারে, এর বেশি নয়।

সূত্র : আনন্দবাজার ডট কম


শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৫২:৫৬
শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত পড়তেই অনেকের মাথা জুড়ে খুশকি এবং চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল উঠে আসে। শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এমন সময় চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে চুল ঝরা ও খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

চুলের যত্ন নেওয়ার ৬টি জরুরি অভ্যাস

১. তেল মালিশ (ময়েশ্চারাইজ়ার): মুখের মতো চুলেরও ময়েশ্চরাইজেশন প্রয়োজন। মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে নারকেল, অলিভ বা কাঠবাদামের তেল নিয়মিত মালিশ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চুলে জেল্লা ফেরে।

২. ঈষদুষ্ণ তেল মালিশ: শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা জোগাতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে ঈষদুষ্ণ তেল মাথার ত্বকে হালকা হাতে মাসাজ বা মালিশ করুন। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এই অভ্যাস বজায় রাখুন।

৩. গরম ভাপ (Steam): তেল মালিশের পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটি নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। তোয়ালে থেকে গরম ভাপ মাথার ত্বকের গভীরে তেল প্রবেশ করাতে সাহায্য করে এবং চুল আর্দ্র রাখে। মিনিট দশেক তোয়ালে জড়িয়ে স্নান বা শ্যাম্পু করে নিন।

৪. গরম জলে স্নান নয়: শীতকালে গরম জলে স্নান করা আরামদায়ক হলেও বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। চুল হয়ে পড়ে জেল্লাহীন। তাই অতিরিক্ত গরম জল এড়িয়ে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন।

৫. চুলকে সুরক্ষা দিন (বর্ম): ধুলো, ধোঁয়া এবং রোদের তাপ থেকে চুল বাঁচাতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপি বা স্কার্ফ পরতে পারেন। চুল খোলা না রেখে সুন্দরভাবে কেশসজ্জা করুন এবং যতটা সম্ভব ধুলো-ময়লা থেকে চুলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

৬. অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়: চুল পরিষ্কার রাখতে অনেকেই প্রতি দিন শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত তেল মাখলেও, সপ্তাহে দু’-তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টি ও সতর্কতা

চুল ঝরার সমস্যা কমাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিনে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটলে, কোনো অসুখ এবং ওষুধের প্রভাবেও চুল ঝরতে পারে। তাই সমস্যার কারণটি খুঁজে বের করে সেইমতো সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৮:৪২:২৫
ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ধরনের অসুস্থতায় ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে লবঙ্গ চা পান করতে পারেন। এই চা শ্বাসনালীতে স্বস্তি দেয় এবং একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

লবঙ্গ চা কেন কার্যকর?

লবঙ্গ চা সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবে কাজ করার প্রধান কারণ হলো এতে থাকা ইউজেনল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান:

কফ নিরোধক ও প্রদাহরোধী: ইউজেনল নামক যৌগ কফ দূর করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে কাশি ও সর্দি-কাশির লক্ষণ উপশম করে।

শ্বাসনালীতে স্বস্তি: লবঙ্গ চায়ের উষ্ণ ও সুগন্ধযুক্ত বাষ্প শ্বাসনালীতে প্রশান্তি দেয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে তোলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

লবঙ্গ চা তৈরির সহজ পদ্ধতি

১. একটি পাত্রে এক কাপ পানি নিয়ে তাতে কয়েকটি লবঙ্গ যোগ করুন।

২. পানি ফুটে উঠলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে চা তৈরি করুন।

৩. চা ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।

৪. প্রয়োজনে স্বাদের জন্য মধু ও অন্যান্য উপকরণ যেমন আদা বা তুলসি পাতা যোগ করতে পারেন।


ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:৩০:৪২
ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

সাফল্য পেতে হলে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে জানতে হবেই। কারণ প্রতিটি সফল মানুষের জীবনে থাকে ব্যর্থতার গল্প। আর সাফল্য মানেই কিন্তু ধনী হওয়া বা ভালো চাকরি করা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যর্থতা আসলে শেখা ও উন্নতির এক নতুন সুযোগ। এই ৭টি কৌশল অবলম্বন করলে আপনি আপনার ব্যর্থতাকেই সাফল্যে পরিণত করতে পারবেন।

ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তরের ৭ পদক্ষেপ

১. পরিবর্তনশীল মানসিকতা গড়ে তুলুন: স্থবির মানসিকতা ব্যর্থতাকে নিজের অযোগ্যতার প্রমাণ মনে করে। কিন্তু বিকাশমান এবং পরিবর্তনশীল মানসিকতা ব্যর্থতার চ্যালেঞ্জকে শেখা ও উন্নতির সুযোগ হিসেবে দেখে।

২. নেতিবাচক চিন্তা বদলান: যখন ব্যর্থ হবেন, তখন নিজের সঙ্গে কথা বলার ধরন বদলান। ‘আমি এটা পারি না’ বলার বদলে বলুন ‘আমি এখনো এটা পারিনি’। এই ছোট পরিবর্তন আপনার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করবে যে পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।

৩. শেখার প্রক্রিয়াকে গ্রহণ করুন: বুঝে নিতে হবে যে আসল শেখা অনেক সময় ভুল থেকেই আসে, আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের পথে একটি প্রয়োজনীয় ও অনিবার্য অংশ।

৪. ব্যর্থতা থেকে বিশ্লেষণ ও শিক্ষা নিন: ব্যর্থতাকে ভুলে যাওয়ার বা উপেক্ষা করার বদলে, সৎ ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করুন এর কারণ ও পর্যায়গুলো, যাতে এর ভেতর লুকানো শিক্ষা পাওয়া যায়।

৫. অনুভূতিকে স্বীকার করুন: ব্যর্থতার পর হতাশা, রাগ বা দুঃখ অনুভব করা স্বাভাবিক। এগুলো চেপে রাখা ভালো নয়। যখন মন শান্ত হবে, তখন বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

৬. মূল কারণ খুঁজে বের করুন: কেন ব্যর্থতা ঘটেছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা বা কাজের ধাপগুলো পর্যালোচনা করুন। কারণটা জানলে ভবিষ্যতে একই ভুল এড়ানো সহজ হবে।

৭. দায়িত্ব নিন: দোষ অন্যের ওপর না চাপিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করুন। এটি দৃঢ় মানুষদের বৈশিষ্ট্য। এই মানসিকতা আপনাকে উন্নতির ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এবং নিজের অগ্রগতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।


গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৬:২৮:১৫
গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা
ছবিঃ সংগৃহীত

গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। অনেকেই মনে করেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই গ্রিন টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলোতে গ্রিন টির থেকেও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদান শরীরের কোষকে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে ধরে রাখে তারুণ্যের দীপ্তি।

‘ম্যাজিকাল’ ৩ চা ও তাদের উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই কাপ এই চাগুলো পান করলে শরীরের ভেতরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং মনও প্রশান্ত থাকে।

১. হোয়াইট টি: এই চা তৈরি হয় সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে, তাই এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরিমাণ গ্রিন টি-র থেকেও বেশি।

উপকারিতা: নিয়মিত পান করলে এটি কোষের বার্ধক্য কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। হোয়াইট টি-র স্বাদ খুবই হালকা এবং দেখতে প্রায় জলের মতো।

২. জবা চা (Hibiscus Tea): রক্তিম এই চা তৈরি হয় জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে। এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্থোসায়ানিন—দুই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

উপকারিতা: এই চা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ায়। এটি গরম বা ঠান্ডা—দুইভাবেই খাওয়া যায়।

৩. মাচা টি (Matcha Tea): সবুজ রঙা মাচা বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে নতুন প্রিয় পানীয়।

উপকারিতা: গবেষণায় দেখা গেছে, মাচা চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও ক্যাটেচিন, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতেও সহায়ক।

কেন এই চাগুলো খাবেন?

পুষ্টিবিদদের মতে, এই চাগুলো একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়:

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দূর করে।

ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে।

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

স্ট্রেস কমায় ও মনকে প্রশান্ত রাখে।


রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৫১:৫০
রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার কাজে অন্যদের প্রশংসা পাবেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে আলোচনায় স্বস্তি পাবেন। কারো সহযোগিতায় উপকার হবে। চাকরিজীবীর পদস্থদের সুনজরে থাকবেন। জীবনের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। প্রত্যাশা পূরণে বাধাবিপত্তি দূর হবে। আয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনুকূল অবস্থা থাকবে। লেনদেনে আবেগ পরিহার করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আলস্যের প্রশ্রয় দেবেন না।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো কাজ করে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন। নিরলসভাবে কাজ করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন। মনের স্থিরতা বজায় রাখুন। ভালো থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যয় চাপ থাকবে। অযথা উৎকণ্ঠা বিরাজ করতে পারে। কারো সাহচর্যে আনন্দ পাবেন। সমস্যা সমাধানে নিজ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান। কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ আপনার মধ্যে উদ্যম ও ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা আপনার চারপাশের মানুষদেরও প্রভাবিত করবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা থাকবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। লক্ষ্য অর্জনের কোনো সুযোগ ছাড়বেন না।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজের ব্যস্ততা থাকবে। ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির সম্ভাবনা। আটকে থাকা টাকা উদ্ধার হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করবেন না। দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আজ আপনি একটি উদার ও সুন্দর মেজাজে নিজেকে খুঁজে পাবেন। উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। লক্ষ্যে স্থির থাকুন। সময় আপনার পক্ষে থাকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কর্মক্ষেত্রে মন্দাভাব কেটে যাবে। ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের শরীর ভালো যাবে না। সন্তানের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ইচ্ছানুসারে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য ধ্যান-ধারণা পেশ করতে পারবেন। সাফল্য লাভের জন্য কুশলী ও ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সুস্থ থাকুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির সম্ভাবনা। কোনো প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন। অন্যরা আপনার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ভালো প্রতিক্রিয়া জানাবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সৃজনশীল প্রকল্পে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।


রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৮:৫৫:০৬
রক্তস্বল্পতা দূর করা থেকে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি—বিট রুটের ১০ উপকারিতা
ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের বাজারে গাঢ় গোলাপি কিংবা লালচে রঙের বিট রুট এখন সহজলভ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, এই রঙিন সবজিটি পুষ্টিগুণ এবং ভেষজ ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় একে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। ডায়েট সচেতন ও স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে এর উপকারিতা ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে।

বিট রুটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ: যারা রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগছেন, তারা খাদ্যতালিকায় বিট রুট রাখতে পারেন। এতে থাকা পর্যাপ্ত আয়রন এবং ফলিসন হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিট রুট অনেক উপকারী। এতে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালী প্রসারিত করে ও রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. ওজন কমানো: বিট রুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, যা ক্ষুধা মন্দা তৈরি করে। ফলে দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪. হজমে সহায়তা: পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ থাকার কারণে বিট রুট কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজমের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৫. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: বিট রুট রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) মাত্রা কমিয়ে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৬. লিভার সুরক্ষা: বিট রুটে থাকা বিটেইন উপাদান লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়, যার ফলে সহজেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করা যায়।

৭. চোখের স্বাস্থ্য: বিটে থাকা লুটেইন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং চোখের স্বাস্থ্য ও চারপাশের স্নায়ু টিস্যুগুলোর শক্তি বৃদ্ধি করে।

৮. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: বিট রুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৯. প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ: বিট রুটে আছে টালাইন নামক প্রদাহ বিরোধী যৌগ, যা প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

১০. তারুণ্য ধরে রাখা (অ্যান্টি এজিং): বিট রুটে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের তারুণ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে বার্ধক্যজনিত যে রিঙ্কেল পড়ে, তার বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।

খাবারের নিয়ম ও সতর্কতা

খাওয়ার উপায়: বিট রুট কাঁচা সালাদে, জুস করে কিংবা গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি ইত্যাদি মিলিয়ে মিক্সড সবজি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য স্মুদি কিংবা মিল্কশেক করেও দেওয়া যেতে পারে। মিষ্টিপ্রিয় ব্যক্তিরা বিট রুটের হালুয়া বা যেকোনো ডেজার্ট তৈরি করেও খেতে পারেন।

কারা খাবেন না:

ডায়াবেটিস রোগী: দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের প্রতিদিন বিট রুট খাওয়া উচিত নয়। কারণ বিট রুটের গ্লাইসিমিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।

কিডনি রোগী: যারা কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের ক্রিয়েটিনিন বেশি, তাদের বিট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

অ্যালার্জি: বিট রুটে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে তা এড়িয়ে চলাই ভালো।

সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী বিট রুট গ্রহণ করা উচিত।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনস্ট অ্যান্ড ডায়েটিশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।


হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:২৯:৩০
হাতে-পায়ে চামড়া উঠছে? এটি শুধু শীত নয়, ৫ ভিটামিনের ঘাটতির লক্ষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত আসার আগেই অনেকের হাত-পা ফেটে চামড়া ওঠা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে এটিকে আবহাওয়ার প্রভাব বা ক্রিমের অভাব মনে করলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটি শুধু শীতের প্রভাব নয়, বরং শরীরের ভেতরের পুষ্টিহীনতা বা ভিটামিনের ঘাটতির সংকেতও হতে পারে। নিয়মিত এমন হলে বিষয়টি অবহেলা না করে এর আসল কারণ ও সমাধান জানা জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকে বলা হয় ‘কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিকা’ (Keratolysis Exfoliativa)।

যে ৫ ভিটামিনের ঘাটতিতে চামড়া ওঠে

চিকিৎসকদের মতে, হাতে-পায়ে চামড়া ওঠার সবচেয়ে বড় কারণ হলো নির্দিষ্ট ভিটামিনের ঘাটতি।

ভিটামিন এ: ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে এবং ত্বককে মসৃণ রাখে।

উৎস: গাজর, পাকা পেঁপে, কুমড়া, দুধ ও ডিম।

ভিটামিন বি১২: রক্তকণিকা ও স্নায়ুর কার্যকারিতায় সাহায্য করে।

উৎস: মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ও দই।

ভিটামিন সি: ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।

উৎস: কমলা, লেবু, পেয়ারা, আমলকী ও টমেটো।

ভিটামিন ডি: ত্বক ও হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; এর ঘাটতিতে ব্যথা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।

উৎস: রোদ, মাছ, ডিমের কুসুম ও দুধ।

ভিটামিন ই: ত্বককে কোমল রাখে এবং মৃত কোষের পুনর্জন্ম ঘটায়।

উৎস: বাদাম, অ্যাভোকাডো, সূর্যমুখী তেল ও অঙ্কুরিত শস্য।

চামড়া ওঠার অন্যান্য কারণ ও করণীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে, চামড়া ওঠার পেছনে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে, যেমন—বংশগত প্রভাব, অতিরিক্ত পানিশূন্যতা, রোদে পোড়া বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগা, ঘন ঘন হাত ধোয়া বা রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা এবং একজিমা বা সংক্রমণ।

চিকিৎসকদের পরামর্শ: নিয়মিত হাতে-পায়ে চামড়া উঠলে প্রথমে খাদ্যাভ্যাস ঠিক করা উচিত। পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার রাখুন দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায়। যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তাহলে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ২০:৫৪:২৭
গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে হার্ভার্ডের চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া ৭ সুপারফুড
ছবিঃ সংগৃহীত

আধুনিক লাইফস্টাইলের কারণে আজকাল ঘরে ঘরে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তরুণ বা বয়স্ক—হাজার হাজার মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। গুরুপাক খেয়ে ফেলতেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যাও নতুন নয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হার্ভার্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. সৌরভ শেঠি ৭টি সুপারফুড খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, যেগুলো নিয়মিত খেলে গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিমেষেই দূর হতে পারে।

গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে যে ৭ সুপারফুড

১. কিউই: এ তালিকায় প্রথমেই থাকবে কিউই। ফাইবার ও অ্যান্টিনিডিন এনজাইমে ভরপুর এই ফলটি পেট ফোলার সমস্যা কমিয়ে দেয় এবং হজমের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

২. মৌরি: গ্যাস কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় মৌরি খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। হার্ভার্ডের ওই চিকিৎসকের মতে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মৌরির বিকল্প নেই। মৌরি খেলে পেটের সব রকমের অস্বস্তি দূর হয়।

৩. পুদিনা পাতা: পুদিনা টি ও পুদিনা তেল—দুটোই গ্যাস-কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার যম। পুদিনার তেল মাংসপেশিতে স্বস্তি আনে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করে দেয়। এ কারণেই গ্যাস হলে পুদিনা পাতার পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক।

৪. পেঁপে: পেঁপেতে থাকা এনজাইম হজমশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। হজমের সমস্যায় পাকা পেঁপে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী মনে করা হয়। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখতেও সহায়ক।

৫. চিয়া সিডস: চিয়া সিডস পাচন প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে এবং মলত্যাগে সাহায্য করে। তবে রক্তচাপ কম থাকলে কিংবা কিডনির অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিডস খাওয়া উচিত নয়।

৬. আদা: আদা খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। আদার রস খেলে পেটব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। এটি পেট ফোলার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে সহায়ক।

৭. শসা: শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করতে সাহায্য করে এই সবজি। শসাকে সুপারফুডের তালিকায় রেখেছেন হার্ভার্ডের চিকিৎসক। এটি পেট ফুলে থাকার সমস্যায় খুবই সহায়ক। দিনে একের অধিক শসা খাওয়া যেতে পারে।

সূত্র : আজতক বাংলা


দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৯:৩৯:৫২
দুশ্চিন্তা-উদ্বেগে ভুগছেন? মন শান্ত করতে মেনে চলুন এই ৫ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে আমাদের মন কখনো অশান্ত হয়, কখনো আবার খারাপ হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তা, ভাবনা, উদ্বেগ—এগুলো জীবনে স্বাভাবিকভাবেই থাকবে। কিন্তু অশান্তি সহজে কাটে না এবং দুর্ভাবনার কারণগুলো সব সময় দ্রুত নির্মূলও করা যায় না। ফলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। অশান্ত মন ও উদ্বেগ নিয়ে যত বেশি ভাবা হয়, ততই তা বাড়তে থাকে। বরং সেই সব সরিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে মন দিলে, মন শান্ত হতে পারে। এই কৌশলগুলো মনের চাঞ্চল্য, রাগ ও অশান্তি কমাতে সহায়ক হতে পারে।

মন শান্ত করার ৫ কৌশল

১. বাগান পরিচর্যা: খোলা আকাশ ও সবুজের মাঝে অনেকেই ভালো লাগা খুঁজে পান। নিজের হাতে বড় করা গাছে ফুল বা ফল এলে—তা দেখেও তৃপ্তি আসে। বাগানের পরিচর্যা মানে চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে খানিক প্রকৃতির স্পর্শ, যা মনকে শান্ত ও হালকা করতে সাহায্য করে।

২. লিখে ফেলা: মান-অভিমানে মন বড় ভার হয়ে থাকলে বা কেউ আপনাকে বুঝতে পারছে না মনে হলে, মনের কষ্ট ও খারাপ লাগাগুলো ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। শুধু খারাপ লাগাই নয়, আনন্দের মুহূর্তও লিখে রাখা যায়। মন হালকা এবং শান্ত করার এটি একটি ভালো উপায়।

৩. শখগুলিকে ঝালিয়ে নিন: কারও শখ আঁকা, কারও রান্না করা, কারও পছন্দ বেকিং, আবার কারও বই পড়া। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, শখের কাজ মনঃসংযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত এমন কোনো কাজ অন্তত ৩০ মিনিট করলে, মন ভালো থাকবে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে।

৪. কথা বলা: কাছের বন্ধু বা বিশ্বাসযোগ্য কারও কাছে মন খুলে কথা বললেও মন খানিক শান্ত হয়। কষ্ট বা সমস্যার কথা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। বন্ধু বা কাছের মানুষের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে কথা বললে, মন হালকা হতে পারে।

৫. প্রাণায়াম: হঠাৎ রাগ বা কোনো কারণে অশান্ত হয়ে উঠলেই প্রথমেই কয়েক বার শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। শান্ত হয়ে কিছু ক্ষণ বসুন। নিয়মিত ২০-৩০ মিনিট প্রাণায়াম করলেও মন শান্ত থাকে এবং দৈনন্দিন সমস্যা শান্ত ভাবে মোকাবিলা করা যায়।

পাঠকের মতামত: