ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার, সতর্ক অবস্থানে স্থানীয়রা

সত্য নিউজ: দেশের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সম্প্রতি যেভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের ‘পুশ ইন’ করছে, তাতে ময়মনসিংহসহ আশপাশের সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নজরদারি ও টহল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজিবির পাশাপাশি স্থানীয় জনগণকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সীমান্তে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা, চাষিরাও দূরে
হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বিজিবি সদস্যদের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা গরু চরাতে সীমান্ত এলাকায় যাচ্ছেন না। বিজিবির তরফে মাইকিং করে এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিএসএফ টহল বাড়িয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির পর আতঙ্ক থাকলেও এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।”
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, “বিজিবি সব সময় টহলে আছে। চাইলেও কেউ এই সীমান্ত পেরোতে পারবে না।” অন্যদিকে, ধোবাউড়ার মাধুপাড়া বিজিবি ক্যাম্পেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের হাতে দা কিংবা কাস্তে দেখা গেলেও তারা জানায়, সেটি জঙ্গল পরিস্কারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিজিবির প্রস্তুতি ও সন্দেহ
বিজিবির ৩১ ও ৩৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সর্তক অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ যখন সীমান্তে সদস্য বাড়াতে শুরু করল, আমরাও সদস্য ও টহল বাড়িয়েছি। পুশ ইন যেন না হয়, সেজন্য সীমান্তে নজরদারি কড়া করা হয়েছে।”
তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের ধারণা, শুধুমাত্র বাংলাদেশি নয়, অন্য জাতীয়তার লোকও বিএসএফ বাংলাদেশে ঢোকানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই পুলিশ, আনসার ও স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে সীমান্ত পাহারা দেওয়া হচ্ছে।”
ক্যাম্প সরানো ও গুগল ম্যাপে ভিন্নতা
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পগুলোর অবস্থান গুগল ম্যাপ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশের ক্যাম্পগুলো এখনো দৃশ্যমান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেন ক্যাম্পগুলো আরও সীমান্তঘেঁষা এলাকায় সরিয়ে নেওয়া যায়।
পুশ ইন চলছে নিয়মিত, ১২ দিনে ঠেলা হয়েছে ৩১৮ জন
তথ্য অনুযায়ী, ৪ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৩১৮ জন বাংলাদেশিকে ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে (১৪৮ জন) ও সাতক্ষীরা দিয়ে (৭৮ জন) পুশ ইন হয়েছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কোনো রকম পূর্বঘোষণা ছাড়াই এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- ডিএসইতে সাধারণ বীমা খাতের প্রান্তিক বিশ্লেষণ:মুনাফা বৃদ্ধির শীর্ষে কারা?
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা