দুরুদ শরীফের ফজিলত ও বরকত: কীভাবে পড়বেন ও লাভ করবেন?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১০:০৪:০৯
দুরুদ শরীফের ফজিলত ও বরকত: কীভাবে পড়বেন ও লাভ করবেন?
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামের আমলসমূহের মধ্যে দুরুদ শরীফের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ। এটি কেবল নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর প্রতি প্রণাম জানানোর একটি মাধ্যম নয়, বরং একটি শক্তিশালী ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহর অসীম রহমত, মাগফিরাত এবং জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব। দুরুদ শরীফের ফজিলত বোঝার জন্য আমরা চারটি মূল বিষয়কে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে পারি, যা আমাদের বিশ্বাস ও আমলকে আরও শক্তিশালী করে।

প্রথমত, দুরুদ শরীফ পাঠ করার সময় আমাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নাম জানেন। হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, যখন আমরা নবীর জন্য দুরুদ পাঠ করি, তখন একজন বিশেষ ফেরেশতা তা সরাসরি নবীর নিকট পৌঁছে দেয় এবং আমাদের নামও উল্লেখ করে। এটি স্পষ্ট করে যে, আমাদের প্রতিটি দুরুদ আল্লাহর প্রিয় নবীর কাছে পৌঁছে যায়। তিনি নিজে বলেন, “তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পৌঁছায়।” (সুনান আবু দাউদ, মুসনাদ আহমদ)। এই সত্য আমাদের দুরুদ পাঠে অন্তর থেকে মনোযোগী হওয়ার প্রেরণা দেয়, কারণ আমাদের নামসহ পাঠানো দুরুদ নবীর কাছে পৌঁছে তার কাছে আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং আত্মিক সমর্পণ প্রকাশ পায়।

দ্বিতীয়ত, আল্লাহ তাআলা একবার দুরুদ পাঠের বিনিময়ে দশগুণ রহমত বর্ষণ করেন, গুনাহ মাফ করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে দশবার রহমত বর্ষণ করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।” (সুনান আন-নাসায়ি, সহিহ ইবনে হিব্বান)। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করে। হে বিশ্বাসীগণ! তোমরাও নবীর প্রতি দরুদ পাঠ করো এবং যথাযথ সালাম প্রেরণ করো।” (আল-আহযাব: ৫৬)। এই আয়াত ও হাদিস আমাদের বোঝায়, দুরুদ শরীফ শুধু একজন নবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকেও এক বিশেষ অনুগ্রহ ও বরকতের কারণ।

তৃতীয়ত, দুরুদ শরীফ জীবনের নানা সমস্যা ও কষ্ট থেকে মুক্তি এবং গুনাহ মাফের জন্য অপরিহার্য। হাদিসে এসেছে, “তোমাদের সমস্যা ও গুনাহ মাফের জন্য দুরুদকে অধিক পরিমাণে পড়ো।” (সুনান তিরমিজি)। একজন সাহাবী নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এসে জানায়, তিনি তার দোয়ার একটি অংশ দুরুদে নির্ধারণ করেছেন। নবী উত্তরে বলেন, “তাহলে তোমার চিন্তা-ভাবনা থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর হবে এবং গুনাহ মাফ হবে।” (সুনান তিরমিজি)। এই বিষয়টি আমাদের শেখায় যে, নিয়মিত ও আন্তরিক দুরুদ শরীফ পাঠ করলে জীবনের কষ্ট ও সমস্যা অনেকাংশেই কমে যায় এবং আল্লাহর মাগফিরাত লাভ হয়।

চতুর্থত, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি অসংখ্য নির্যাতন সত্ত্বেও তাঁর উম্মতের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করেছেন। কিয়ামতের দিনও তিনি তাঁর উম্মতের জন্য দোয়া করবেন এবং বারবার আল্লাহর দরবারে বলবেন, “হে আল্লাহ! আমার উম্মতকে ক্ষমা করো।” (সহিহ মুসলিম)। এই মহান দোয়া ও আন্তরিকতা আমাদের দুরুদ শরীফের প্রতি ভালোবাসা, সম্মান ও গুরুত্ব বৃদ্ধিতে অনুপ্রাণিত করে।

অতিরিক্ত আমল হিসেবে দুরুদের সঙ্গে ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) ও দোয়া ইউনুস পাঠের গুরুত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি দোয়া ইউনুস পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে সমস্ত সংকট থেকে মুক্তি দেবেন।” (সুনান তিরমিজি)। এই আমলগুলো জীবনের বিপদ ও সংকট থেকে মুক্তির শক্তিশালী হাতিয়ার। ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়, আর দুরুদ শরীফ আল্লাহর বিশেষ রহমত লাভের পথ প্রশস্ত করে।

সর্বশেষে বলা যায়, দুরুদ শরীফ শুধুমাত্র একটি আমল নয়, এটি আল্লাহর অসীম রহমত, করুণা এবং জীবনের সকল সমস্যা ও সংকটের সমাধানের মাধ্যম। নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের জন্য সেরা পথ প্রদর্শন করেছেন, যেটা অনুসরণ করলে আমরা জান্নাতের সুন্দর সুফল অর্জন করব এবং দুনিয়ার বিপদ থেকে মুক্তি পাবো। তাই প্রতিদিন অন্তরের গভীরতা থেকে বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পাঠের তাওফিক প্রার্থনা করা উচিৎ, যাতে আল্লাহ আমাদের জীবনের সব দুঃখ ও বিপদ থেকে রক্ষা করেন, আমিন।


আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০৯:৪৫:৫৬
আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য নামাজের নির্ধারিত সময়গুলো নিচে দেওয়া হলো। এই সময়গুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত।

নামাজের নাম সময় (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)
জোহর দুপুর ১২টা ০১ মিনিট
আসর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট
মাগরিব সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিট
এশা সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিট
ফজর (আগামীকাল) ভোর ৫টা ১৭ মিনিট

বিভিন্ন বিভাগের সময় পরিবর্তন

ঢাকার সময়ের সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিচের জেলাগুলোতে সময় যোগ বা বিয়োগ করতে হবে।

সময় বিয়োগ করতে হবে

চট্টগ্রাম : ০৫ মিনিট

সিলেট : ০৬ মিনিট

সময় যোগ করতে হবে

খুলনা : ০৩ মিনিট

বরিশাল : ০১ মিনিট

রাজশাহী : ০৭ মিনিট

রংপুর : ০৮ মিনিট

আজ ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ৪ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ইসলামের রুকনগুলোর মধ্যে নামাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা মানুষকে অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। তাই কর্মব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।


আজ ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ০৯:০৮:৩৮
আজ ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচটি রুকন বা পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম এবং এটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী কিয়ামতের দিন মানুষের কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি ইসলামে ওয়াজিব, সুন্নত এবং নফল নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পার্থিব জীবনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন সঠিক সময়ে বা ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি এবং ঈমানি দায়িত্ব।

আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি (৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা এবং ৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি)। ঢাকা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত নামাজের সময়সূচি অনুযায়ী আজকের জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে। আসর নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে। মাগরিব বা সূর্যাস্তের পরবর্তী নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বিকেল ৫টা ২০ মিনিট এবং এশা নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে। এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঢাকার সময়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। ঢাকার সময়ের সঙ্গে যে সকল বিভাগের সময় বিয়োগ করতে হবে তার মধ্যে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে ৫ মিনিট এবং সিলেটের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ঢাকার চেয়ে এই এলাকাগুলোতে ৫ থেকে ৬ মিনিট আগেই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে।

অন্যদিকে ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময় যোগ করে নামাজ আদায় করতে হবে। যার মধ্যে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট অতিরিক্ত সময় যোগ করতে হবে। অর্থাৎ ঢাকার চেয়ে এই বিভাগগুলোতে ১ থেকে ৮ মিনিট পরে নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে। মুসল্লিদের নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় অনুযায়ী যথাযথভাবে ইবাদত পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।


২৩ ডিসেম্বর ২০২৫: আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৩ ০৯:০৫:১১
২৩ ডিসেম্বর ২০২৫: আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে ইমান বা বিশ্বাসের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। পরকালে হাশরের ময়দানে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে বলে ধর্মীয় বিধানে উল্লেখ রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামাজের গুরুত্বও অপরিসীম। মুসলিম উম্মাহর জন্য ব্যস্ততার মাঝেও নির্দিষ্ট ওয়াক্ত অনুযায়ী ফরজ নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক। আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা এবং ২ রজব ১৪৪৭ হিজরির জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের একটি নির্ভুল সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকার কেন্দ্রীয় সময়ের ওপর ভিত্তি করে আজকের জোহর নামাজের সময় শুরু হবে দুপুর ১২টা ০১ মিনিটে। আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে এবং মাগরিবের আজান হবে সন্ধ্যা ৫টা ২০ মিনিটে। এরপর এশা নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে। আগামীকাল বুধবার পবিত্র ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। এই সময়সূচি মূলত ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে দেশের বিভিন্ন বিভাগে এই সময়ের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

ঢাকার সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরগুলোতে সময় যোগ অথবা বিয়োগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষেত্রে ঢাকার সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেট বিভাগের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দাদের ঢাকার সময়ের সাথে ৭ মিনিট এবং রংপুর বিভাগের ক্ষেত্রে ৮ মিনিট যোগ করে নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হবে। খুলনা বিভাগে ৩ মিনিট এবং বরিশাল বিভাগে ১ মিনিট যোগ করে স্থানীয় সময় অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হবে।

নামাজের এই সময়সূচি পরিবর্তনের বিষয়টি মূলত সূর্যের অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল। তাই নির্ভুলভাবে ইবাদত সম্পন্ন করতে নিজ নিজ এলাকার নির্ধারিত সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। বিউবো বা আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের মতো নামাজের এই সময়সূচিও প্রতিদিন সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরজ নামাজ আদায় করা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই নয় বরং এটি একজন মুমিনের জীবনের শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।


জেনে নিন আজকের নামাজের সঠিক সময়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১০:০৮:২৯
জেনে নিন আজকের নামাজের সঠিক সময়
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এর জন্য নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা। আজ ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ৩০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। নিয়মিত ইবাদত পালনের সুবিধার্থে মুসুল্লিদের জন্য সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুরুর সময়গুলো নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী

আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১২টা ০০ মিনিটে।

আসরের নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৪১ মিনিটে।

আজ সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের আজান ও নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে।

এশার ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে। এছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ২১ মিনিটে।

আজ সোমবার ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৩৭ মিনিটে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে সময়ের এই সূক্ষ্ম পার্থক্যগুলো বিবেচনায় নিয়ে নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসুল্লিদের নিজ নিজ এলাকার মসজিদের জামাতের সময়ের সাথে এই সূচি সমন্বয় করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশের অন্যান্য এলাকায় অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে ঢাকার সময়ের সাথে কয়েক মিনিট কমবেশি হতে পারে।


মরুভূমিতে রহমতের ঝরনা: যেভাবে সৃষ্টি হলো পবিত্র জমজম কূপ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৮:১৫:০৬
মরুভূমিতে রহমতের ঝরনা: যেভাবে সৃষ্টি হলো পবিত্র জমজম কূপ
ছবি : সংগৃহীত

আজ থেকে হাজার বছরেরও বেশি সময় আগের কথা। আল্লাহর বিশেষ নির্দেশে হজরত ইবরাহিম (আ.) তার স্ত্রী হজরত হাজেরা (আ.) এবং দুগ্ধপোষ্য শিশুসন্তান ইসমাঈল (আ.)-কে এক জনমানবহীন নির্জন মরুপ্রান্তরে রেখে আসার সিদ্ধান্ত নেন। আজকের আধুনিক মক্কা নগরী তখন ছিল ধূ-ধূ বালু আর পাথুরে পাহাড়ের এক রুক্ষ ও জনশূন্য ভূমি। এই কঠিন পরীক্ষায় হজরত হাজেরা (আ.) যখন জানতে পারেন যে এটি স্বয়ং আল্লাহর নির্দেশ, তখন তিনি ইমানি দীপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন যে তবে আল্লাহ তাদের কখনোই ধ্বংস হতে দেবেন না।

কয়েক দিনের মাথায় সাথে থাকা সামান্য খাবার ও পানি ফুরিয়ে গেলে শুরু হয় চরম সংকট। তৃষ্ণায় কাতর শিশু ইসমাঈল (আ.)-এর ছটফটানি দেখে মা হাজেরা স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি পানির সন্ধানে ব্যাকুল হয়ে সাফা পাহাড় থেকে মারওয়া পাহাড়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর আল্লাহর ওপর অটল বিশ্বাস নিয়ে তিনি সাতবার এই দুই পাহাড়ের মাঝে দৌড়ান। মরুভূমির প্রখর উত্তাপে ক্লান্ত-শ্রান্ত মা যখন শেষবার মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছান, তখনই ঘটে সেই অলৌকিক ঘটনা।

সপ্তমবার মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছানোর পর তিনি একটি গায়েবি শব্দ শুনতে পান। দ্রুত সন্তানের কাছে ফিরে এসে দেখেন এক বিস্ময়কর দৃশ্য। যেখানে তৃষ্ণার্ত শিশু ইসমাঈল (আ.) পা ছুড়ছিলেন, ঠিক তার পায়ের নিচ থেকেই মাটি চিরে পানির ধারা বেরিয়ে আসছে। আনন্দে আত্মহারা হাজেরা (আ.) সেই পানির অপচয় রোধ করতে চারদিকে বালুর বাঁধ দিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘জমজম জমজম’ অর্থাৎ থামো থামো। পরবর্তীতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন যে উম্মে ইসমাইল যদি পানিটুকু ওভাবে আটকে না দিতেন তবে তা আজ প্রবহমান নদীতে পরিণত হতো।

পৃথিবীর এই শ্রেষ্ঠ কূপের সৃষ্টি ছিল মহান আল্লাহর এক অনন্য কুদরত। যেখানে এক ফোঁটা পানির অস্তিত্ব ছিল না, সেখানে এই চিরস্থায়ী উৎস থেকে আজ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। এই অলৌকিক রহমতের পানিকে কেন্দ্র করেই ধীরে ধীরে মক্কায় জনবসতি গড়ে ওঠে যা আজকের পবিত্র মক্কা মুকাররমা। রাসুলুল্লাহ (সা.) জমজম নিয়ে বলেছেন যে এই পানি যে উদ্দেশ্যে পান করা হবে, আল্লাহ সেই উদ্দেশ্যই পূরণ করবেন। মা হাজেরার সেই ঐতিহাসিক ত্যাগকে সম্মান জানাতেই আজ বিশ্বজুড়ে হাজীদের জন্য সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করা ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।


আজকের নামাজ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তর সময়সূচি প্রকাশ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৭:৪১:৫৮
আজকের নামাজ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তর সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামে নামাজকে পঞ্চম স্তম্ভ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সময়মতো নামাজ আদায় একজন মুসলমানের জন্য অপরিহার্য ইবাদত। হাদিসে এসেছে, যারা নামাজের সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজের অপেক্ষায় থাকেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন। এ কারণেই প্রতিটি মুসলমানের উচিত দৈনন্দিন ব্যস্ততার মধ্যেও নামাজের সময় সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং যথাসময়ে ইবাদত আদায় করা।

আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। এ উপলক্ষে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা অনুসরণ করে মুসল্লিরা সহজেই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আজ ঢাকায় ফজরের নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। দুপুর ১২টা ০০ মিনিটে জোহরের নামাজ আদায় করা যাবে। বিকেল ৩টা ৪১ মিনিটে শুরু হবে আসরের সময়। সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিটে মাগরিবের নামাজ এবং রাত ৬টা ৩৮ মিনিটে ইশার নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবহাওয়া ও জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব অনুযায়ী, আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে। নামাজের সময়সূচি অনুসরণ করে সময়মতো ইবাদত আদায় করলে ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আত্মিক প্রশান্তিও অর্জিত হয়।

-রাফসান


জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৮:১০
জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না
ছবি: সংগৃহীত

কোনো মুসলিম ব্যক্তি ইন্তেকাল করলে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় মরদেহ সামনে রেখে যে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়, সেটিই জানাজার নামাজ। ইসলামী পরিভাষায় ‘জানাজা’ শব্দটি মূলত মরদেহকে নির্দেশ করে। এই নামাজ ফরজে কেফায়া হিসেবে গণ্য, অর্থাৎ সমাজের কিছু মানুষ আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব আদায় হয়ে যায়; তবে কেউ আদায় না করলে এলাকার সবাই গুনাহগার হয়।

জানাজার নামাজ পুরুষদের জন্য আবশ্যিক বিধান হিসেবে বিবেচিত। সাধারণভাবে নারীদের জানাজার নামাজে অংশগ্রহণের বিধান নেই বলে ফিকহি গ্রন্থগুলোতে উল্লেখ রয়েছে। এই নামাজ আদায়ের জন্য অন্যান্য নামাজের মতোই পবিত্রতা শর্ত, অর্থাৎ ওজু ছাড়া জানাজার নামাজ সহিহ হয় না।

জানাজার নামাজের কাঠামো অন্যান্য ফরজ বা নফল নামাজের তুলনায় ভিন্ন। এতে রুকু, সিজদা কিংবা বৈঠক নেই। মরদেহ সামনে রেখে সবাই কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। জানাজার নামাজে মোট চারটি তাকবির দিতে হয় এবং পুরো নামাজ দাঁড়ানো অবস্থাতেই সম্পন্ন করা হয়।

প্রথম তাকবির বলার পর সানা পাঠ করা হয়। দ্বিতীয় তাকবিরের পর দরুদ শরিফ পাঠ করতে হয়। তৃতীয় তাকবিরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। মৃত ব্যক্তি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন, তবে সাধারণ জানাজার দোয়া পড়া হয়; আর শিশু হলে শিশুদের জন্য নির্ধারিত দোয়া পাঠ করা হয়। চতুর্থ তাকবিরের পর ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে জানাজার নামাজ শেষ করা হয়। প্রথম তাকবির ছাড়া অন্য কোনো তাকবিরে হাত তোলা হয় না।

জানাজার নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়; বরং মনে মনে করাই যথেষ্ট। নিয়তের মর্মার্থ হলো চার তাকবিরসহ ফরজে কেফায়া জানাজার নামাজ এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আদায় করছি।

সানার উচ্চারণ হলো: “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।”

এরপর দরুদ শরিফ পাঠ করে তৃতীয় তাকবিরে দোয়া করা হয়। যদি পূর্ণ দোয়া মুখস্থ না থাকে, তবে সংক্ষিপ্তভাবে ‘আল্লাহুম্মাগফির লিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত’ বললেও দোয়া আদায় হয়ে যায়।

ইমাম তাকবিরগুলো উচ্চস্বরে বলবেন, আর মুক্তাদিরা নিচু স্বরে তাকবির ও দোয়া পাঠ করবেন। জানাজার কাতার বিজোড় হওয়া উত্তম বলে আলেমরা উল্লেখ করেছেন।

জানাজার নামাজের মাধ্যমে একদিকে মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত কামনা করা হয়, অন্যদিকে এতে অংশগ্রহণকারীর জন্যও বিপুল সওয়াবের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। তাই ইসলামে জানাজার নামাজকে মানবিক দায়িত্ব ও ইমানি কর্তব্য উভয় হিসেবেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:৪৩:৫৩
মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যু জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী যা থেকে কারোরই পলায়নের পথ নেই। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী যে জন্মেছে তাকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। মায়াময় পৃথিবীর সব রূপ-রঙ পেছনে ফেলে মানুষকে পাড়ি জমাতে হবে পরকালীন জগতে যেখান থেকে আর ফেরার কোনো পথ নেই। সেই জগতে কেউ কারোর বন্ধু বা শত্রু নয় বরং প্রত্যেককে নিজ নিজ আমলের দায়ভার নিজেকেই বহন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, كُلُّ نَفْسٍ ذَآئِقَةُ ٱلْمَوْتِ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫; সুরা আনকাবুত : ৫৭)।

আর সুরা নাহলে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যখন তাদের নির্ধারিত সময় এসে যায়, তখন তারা এক মুহূর্তও বিলম্বিত করতে পারে না, আবার ত্বরান্বিতও করতে পারে না। (আয়াত : ৬১)। মৃত্যুর পর পরকালীন জীবনের প্রথম ধাপ হলো কবর। যারা এই ধাপ সহজে অতিক্রম করতে পারবে তাদের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো হবে শান্তিময়।

হাদিসে এসেছে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার গোসল, কাফন, জানাজা ও দাফনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন— তোমরা মৃত ব্যক্তিকে দ্রুত দাফন করো। যদি সে নেককার হয়, তবে তাকে কল্যাণের দিকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিলে; আর যদি অন্যরকম হয়, তবে সেই বোঝা তোমাদের কাঁধ থেকে নেমে গেল। (সহিহ বোখারি : ১৩১৫)। জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া যা মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমার সুপারিশ হিসেবে গণ্য হয়।

জানাজার নামাজে বালেগ পুরুষ বা নারী হলে এই দোয়া পড়তে হয়—

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا، وَمَيِّتِنَا، وَصَغِيرِنَا، وَكَبِيرِنَا، وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا، وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا، اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِيمَانِ، وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ، وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهُ

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাগফির লি হাইয়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গায়েবিনা ওয়া ছগিরিনা ওয়া কাবিরিনা ওয়া জাকারিনা ওয়া উংছানা, আল্লাহুম্মা মান আহয়াইতাহু মিন্না ফাআহইয়িহি আলাল ইসলাম ওয়া মান তাওয়াফফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফফাহু আলাল ইমান। আল্লাহুম্মা লা তাহরিমনা আঝরাহু ওয়া লা তুদিল্লানা বাদাহু।)

(আবু দাউদ ৩২০১, তিরমিজি ১০২৪)।

মৃত যদি ছেলে শিশু হয় তবে পড়তে হয়—

اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًاً , وَّاجْعَلْهُ لَنَا أَجْرًا وَّذُخْرًا , اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا شَفِيْعًا وَّمُشَفَّعًا

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহু লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহু লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহু লানা শা-ফিআও ওয়া মুশাফ্ফাআ)।

আর মেয়ে শিশু হলে এই দোয়ার শেষ অংশে ‘লাহা’ ও ‘শা-ফিআতাঁও’ শব্দ ব্যবহার করে দোয়া পড়তে হয়।

(উচ্চারণ— আল্লাহুম্মাজআলহা লানা ফারাতঁও ওয়াজআলহা লানা আজরাঁও ওয়া জুখরাঁও ওয়াজআলহা লানা শা-ফিআতাঁও ওয়া মুশাফ্ফাআহ)।

জানাজা আদায়ের জন্য মৃত ব্যক্তিকে কিবলার দিকে রেখে ইমাম তার বুক বরাবর দাঁড়াবেন। প্রথমে তাকবির বলে সানা পড়তে হয় যেখানে ‘ওয়া তায়ালা জাদ্দুকা’-এর পর ‘ওয়া জাল্লা সানাউকা’ যোগ করতে হয়। এরপর দ্বিতীয় তাকবির দিয়ে দরুদে ইব্রাহিম এবং তৃতীয় তাকবিরের পর নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হয়। সর্বশেষ চতুর্থ তাকবির বলে ডানে ও বাঁয়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পন্ন করতে হয়


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ০৯:৩০:১৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। ইমান বা বিশ্বাসের পরেই নামাজের স্থান যা ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী হাশরের ময়দানে বা কিয়ামতের দিন বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। তাই একজন মুমিনের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করা অত্যন্ত আবশ্যক। আজ শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি এবং ৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা তারিখের জন্য ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজকের সূচি অনুযায়ী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়

জোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।

আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে দুপুর ৩টা ৩৯ মিনিটে।

সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজের সময় হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে

এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে।

এছাড়া আগামীকাল রোববার পবিত্র ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৩ মিনিটে।

পরকালের মুক্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য শত ব্যস্ততার মাঝেও সময়মতো নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

উল্লেখ্য যে ঢাকার সময়ের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগের সময়ের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সময় থেকে ৫ মিনিট এবং সিলেটের ক্ষেত্রে ৬ মিনিট সময় বিয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে ঢাকার সময়ের সঙ্গে খুলনার জন্য ৩ মিনিট, রাজশাহীর জন্য ৭ মিনিট, রংপুরের জন্য ৮ মিনিট এবং বরিশালের জন্য ১ মিনিট সময় যোগ করে নামাজের ওয়াক্ত নির্ধারণ করতে হবে। সব ধরনের ফরজ নামাজের পাশাপাশি ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজ আদায়েও মুসল্লিদের যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান কারিগর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের... বিস্তারিত