ড. মইন খান: ২০২৪ সালের বিপ্লব লুটেরাদের জন্য নয়

রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া কলেজ অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মইন খান বলেন, ২০২৪ সালে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, সেটি কোনোভাবেই লুটেরা শ্রেণির দখলে গিয়ে দেশ লুটে ফেলার উদ্দেশ্যে হয়নি। যারা এই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের রক্তের প্রতি কখনোই অবজ্ঞা বা বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। তাই দেশের সব নাগরিককে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ড. মইন খান আরও বলেন, “যদি আমরা অন্যায়, দুর্নীতি বা চাঁদাবাজিতে জড়িত হই, তাহলে শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই আমাদের দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও মর্যাদাকে সর্বোচ্চ সম্মানে রাখা আমাদের কর্তব্য।”
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষকদলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারা একমত হন যে, ২০২৪ সালের গণআন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তি ও গণতন্ত্রের পথে এক গৌরবময় অধ্যায়, যা লুটেরা শ্রেণির দখলে যাওয়া যাবে না।
সব বক্তাই জোর দিয়ে বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে এবং শহীদদের রক্ত যেন কোনোভাবেই অপব্যবহার বা অবমূল্যায়ন না হয়। এ প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে সতর্ক ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানানো হয়।
স্মরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আইনজীবী আমিরুল ইসলাম ইমন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এতে জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
-রফিক
ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
লন্ডনে দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঐতিহাসিক এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক ও জনআবেগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট হয়ে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-এ অবতরণ করে। বিমানবন্দর এলাকায় অপেক্ষমাণ লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারেক রহমান।
এই অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৯ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে চারটি ছবি প্রকাশ করেন। ছবির ক্যাপশনে সংক্ষিপ্ত অথচ তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় তিনি লেখেন “সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।” এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
এর আগে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছালে তারেক রহমানকে প্রথমে বরণ করে নেন তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু। পরে বিএনপির শীর্ষ নেতারা একে একে তাকে অভ্যর্থনা জানান। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা। এ সময় তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে গুলশানের ঐতিহাসিক ১৯৬ নম্বর বাড়ি, যা বিএনপির রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ইতোমধ্যে জুবাইদা রহমান ও জাইমা রহমান সেখানে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তা ও আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শেষে তারেক রহমান বর্তমানে তার জন্য নির্মিত প্রায় ৩০০ ফুট দীর্ঘ সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার পর তিনি তাঁর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া-কে দেখতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় পর মা-ছেলের এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিশেষ আবেগের জন্ম দিয়েছে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।
-রফিক
তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান–এর প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক। তার এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপি ছাড়ার বিষয়টি জানান। ‘একটি বিশেষ ঘোষণা’ শিরোনামে দেওয়া পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তিনি আর এনসিপির সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখছেন না এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে এনসিপির প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
ফেসবুক পোস্টে মীর আরশাদুল হক উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করেই তিনি এই ঘোষণা দিচ্ছেন। তার ভাষায়, এই দিনটি তার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিনি মনে করেন বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের নেতৃত্বই দেশের জন্য সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প।
উল্লেখ্য, এনসিপিতে মীর আরশাদুল হক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিবের পাশাপাশি নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য, মিডিয়া সেল ও শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, পরিবেশ সেলের প্রধান এবং চট্টগ্রাম মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী। একই সঙ্গে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী হিসেবেও দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
এনসিপি নিয়ে নিজের হতাশার কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে তিনি লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে দলটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, বাস্তবে গত ১০ মাসে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তার মতে, দলীয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দিক থেকে এনসিপি সেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনি সেই ভুল পথে আর এগোতে চান না।
তিনি আরও বলেন, দল ছাড়লেও এনসিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং তিনি তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে মীর আরশাদুল হক মন্তব্য করেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ও জোট সরকার গঠন করতে পারলেই দেশ একটি কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পথে এগোতে পারবে। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য, কর্মকৌশল ও রাজনৈতিক অবস্থান তাকে গভীরভাবে আশাবাদী করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, যেখানে অনেক রাজনৈতিক দল ধর্মীয় আবেগ ও পপুলিজমকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, সেখানে তারেক রহমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, কর্মসংস্থান ও সংস্কৃতির মতো সাধারণ মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়গুলোতে একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক রূপরেখা তুলে ধরছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে।
শেষাংশে তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হুজুগ বা আবেগ নয়, বরং দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় রেখে তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক রাজনৈতিক দর্শনকে সমর্থন করা প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি সেই সমর্থন প্রকাশ করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
-রাফসান
ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পরপরই তারেক রহমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে নেমেই তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমান–এর বিজি ২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ।
বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানে এক আবেগঘন মুহূর্তে অপেক্ষারত তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তাকে গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
ভিআইপি লাউঞ্জেই অবস্থানকালে তারেক রহমান মোবাইল ফোনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপকালে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার পুরো প্রক্রিয়ায় গৃহীত নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ ও আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপি সূত্রের মতে, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। পরিবারসহ তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
-রফিক
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে স্বদেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রভাবশালী নেতা সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। সারজিস আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে স্বৈরাচারের পতন এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই সন্ধিক্ষণে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।” তাঁর এই বার্তাটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এনসিপি ও বিএনপির মধ্যকার আগামীর সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল ছিল।
আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে বিএনপির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সারজিস আরও লেখেন, “পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।” সারজিসের এই মন্তব্যকে বিশ্লেষকরা আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের ডাক হিসেবে দেখছেন।
এদিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ইতিমধ্যেই ঢাকার আকাশে অবস্থান করছে। সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজিরবিহীন কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেছে। সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বলয় বিমানবন্দর এলাকাটিকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছে। সাধারণ জনতার প্রবেশাধিকার না থাকলেও বিমানবন্দরের আশপাশে উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। সারজিস আলমের এই স্বাগত বার্তা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও বাড়তি উদ্দীপনা জুগিয়েছে।
ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসে কাটানোর পর অবশেষে নিজ জন্মভূমির মাটিতে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা ‘গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড’ সম্পন্ন করে। লণ্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে এই ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সপরিবারে দেশের উদ্দেশ্যে ডানা মেলেছিলেন তিনি।
তারেক রহমানের ফিরে আসা কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা আজ এক উৎসবমুখর এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ বা বুলেট নিরোধক গাড়ি ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অভ্যর্থনা শেষে তিনি সড়কপথে কুড়িল হয়ে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। সেখানে সমবেত লক্ষ লক্ষ জনতার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারেক রহমান দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সংবর্ধনা স্থলে অবস্থান করবেন। এরপর তিনি সড়কপথে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে যাত্রা করবেন যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৭ বছর পর মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন দেশের রাজনীতিতে এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে এক বিশাল পরিবর্তনের সংকেত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বেবিচক। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সোয়াট টিম এবং র্যাবের বিশেষ ইউনিটগুলোকে পুরো রুট জুড়ে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাঁর সাথে একই ফ্লাইটে বিএনপির আরও প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী স্বদেশে ফিরেছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বাংলাদেশের গত সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসে আজ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির গত ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ যা ঘটতে যাচ্ছে তা সমসাময়িক রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং পুরো দেশবাসী সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে প্রহর গুনছে।
দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চলা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের কথা স্মরণ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন যে ছাত্র জনতার অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি এসেছে। তাঁর মতে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বর্তমানে দেশে যে মুক্তির আবহ বিরাজ করছে তারেক রহমানের ফিরে আসা সেই আবহে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি মনে করেন যে এই প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার ঘরে ফেরা নয় বরং এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এক প্রতীকী বিজয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে সর্তকবার্তা উচ্চারণ করে বলেন যে ফ্যাসিবাদের দোসর এবং তাদের দেশি-বিদেশি মিত্ররা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির সামনে এই ধরণের অপচেষ্টা কেবল তাদের জন্যই ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা দেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে চায় তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা।
ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিএনপি একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন আকাঙ্ক্ষা সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই তা পূর্ণতা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির একঝাঁক সদস্যের উপস্থিতিতে তারেক রহমানকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে আজ এক উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর আজ স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় এক উৎসবমুখর এবং আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বিমানবন্দরে উপস্থিত রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলসহ দলের একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তাঁর এই ফিরে আসাকে বিএনপির রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা 'গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড' শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিমানটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ডানা মেলবে। সব ঠিক থাকলে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন যেখানে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
তারেক রহমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এটি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতার ফিরে আসা নয় বরং এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের দীর্ঘ লড়াইয়ের এক বড় বিজয়। বিকেল নাগাদ তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের মাটিতে তারেক রহমান
দীর্ঘ ১৭ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তিনি স্বদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তাঁর সাথে একই বিমানে দেশে ফিরেছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে এক নজর দেখতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।
সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমান ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় কিছুক্ষণ অবস্থান করবেন। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি আকাশপথে বা সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। ঢাকায় পৌঁছে তিনি কুড়িল হয়ে সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। সেখানে লক্ষ লক্ষ সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন। সূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তিনি সংবর্ধনা স্থলে অবস্থান করবেন এবং এরপর বসুন্ধরা জি ব্লকের গেট দিয়ে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। দীর্ঘ দেড় যুগ পর মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন। তারেক রহমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দর্শনার্থী প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর এবং সংলগ্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সোয়াট (SWAT) টিমকে স্ট্যান্ডবাই বা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন মোড় ঘটাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কোনো সুযোগ তৈরি না হওয়ায় এনসিপি নেতৃত্ব এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে সরাসরি জোট করার চেয়ে ‘আসন সমঝোতা’র বিষয়টিতেই উভয় পক্ষ বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্কার এবং বিচারিক মৌলিক কিছু ইস্যুতেও দুই দল একমত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র অনুযায়ী, এনসিপি অন্তত ৫০টি আসনের নিশ্চয়তা চেয়েছে তবে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন ছাড়ার প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় এনসিপির বর্তমান জোটসঙ্গী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন। এনসিপি এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০-৫০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের আসনেও রদবদল হতে পারে। এমনকি অনেক হেভিওয়েট নেতা ঢাকার আসন ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে অন্য কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতা হলেও এনসিপির প্রার্থীরা কখনোই ‘ধানের শীষ’ বা অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করবেন না। তারা নিজেদের ‘শাপলা কলি’ প্রতীকেই ভোটের মাঠে থাকবেন। এমনকি যেসব দলের নিবন্ধন নেই তারা শাপলা কলিতেই ভরসা রাখতে চাচ্ছেন। এনসিপি নেতাদের মতে, দেশের বড় দলগুলো গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে যা রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পর তরুণ সমাজের মধ্যে এক ধরণের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে যা রুখতে সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।
এদিকে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ এর ব্যানারে এবি পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও নিজেদের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনছে। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানিয়েছেন যে তারা ইতিমধ্যেই ১০৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আগামীতে জোটগতভাবে সমন্বিত প্রার্থী তালিকা এবং রাজনৈতিক ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। তবে বাস্তবতার বিচারে জামায়াতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন জোটের নেতারা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- প্রবাসী ভোটারদের জন্য সুখবর!
- গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি: শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
- ৪৬তম বিসিএস ভাইভার সূচি প্রকাশ
- যাত্রাপথে নিরাপদ থাকার সুন্নাহ দোয়া
- ফেসবুকে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি থেকে পদত্যাগ
- ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- নিকোটিন পাউচ ও ই-সিগারেটের দিন শেষ আসছে নতুন আইন
- কাল মাঠে নামার কথা ছিল চট্টগ্রামের, আজই উধাও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক
- আরবের মরুভূমি কাঁপিয়ে বাংলার সবুজ গালিচায় তাসকিন ও মোস্তাফিজ
- তিল ধারণের জায়গা নেই, ৩০০ ফিট জুড়ে উৎসবের মহোৎসব
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
- ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
- বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
- এক নজরে আজকের খেলা: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- শীতে বাড়ে কর্নিয়ার আলসার: চোখের যত্নে করণীয়
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
- দেশের মাটিতে তারেক রহমান
- নাইজেরিয়ায় রক্তাক্ত মাগরিব: নামাজের সিজদায় থাকা অবস্থায় বিস্ফোরণ
- যিশু খ্রিষ্টের মানবমুক্তির বার্তা সবার অনুপ্রেরণা: উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- আজ ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
- আজ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কামড় দেখল ঢাকাবাসী
- জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
- ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান
- তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে যানজট এড়াতে যেসব রাস্তা পরিহার করবেন
- পাকস্থলীর ধ্বংস করছে আপনার এই ৩টি সাধারণ অভ্যাস
- কম ঘুমে শরীরে বাসা বাঁধছে যেসব মারাত্মক রোগ
- মাত্র ৭ দিনে চুল পড়া কমানোর জাদুকরী ঘরোয়া পদ্ধতি
- সরকারি পদ ছেড়ে ভোটের ময়দানে অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান
- ভারতের 'বাহুবলী' রকেটের কাঁধে চড়ে মহাকাশ জয়
- রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
- হাদি হত্যার রহস্য উন্মোচন: যুবলীগ কর্মী হিমনের বড় স্বীকারোক্তি
- ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন
- আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কড়া বার্তা
- হাদিকে সেলাই করা ব্যাঙের সাথে তুলনা করলেন বিএনপি নেত্রী মনি
- বৈপ্লবিক বিয়ে: বরের সাজে হাদি হত্যার বিচার চাইলেন ফরহাদ
- জোনায়েদ সাকিকে সমর্থন দিয়ে বিএনপির বড় ত্যাগ
- মাহমুদুর রহমান মান্নার ভোটযুদ্ধ শেষ: আদালত দিল বড় রায়
- চুল পড়ার পেছনে লুকানো ৫টি অবহেলিত কারণ
- ৪৬তম বিসিএসের ভাইভার সময়সূচি প্রকাশ, জানুন বিস্তারিত
- মিশ্র লেনদেনে শেষ হলো ডিএসইর আজকের বাজার
- ২৪ ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ২৪ ডিসেম্বরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তারেক রহমানের আগামী ৩ দিনের কর্মসূচি জানালেন সালাহউদ্দিন
- নতুন বছরে কত দিন ছুটি? জানাল সরকার
- উত্থান-পতনের দোলায় ডিএসই–৩০ তালিকা
- স্পট মার্কেটে সীমিত দুই ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ড
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর, একসঙ্গে খুলছে যেসব বন্ড
- পুঁজিবাজারে আলোচনায় টোসরিফার ক্রেডিট রেটিং
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল








