একটি চোখের বিনিময়ে খাবার: গাজার আর্তনাদ বিশ্ব শুনছে কি?

ক্ষুধার্ত ভাইবোনদের জন্য একমুঠো খাবার জোগাড় করতে গিয়ে চোখ হারালো ১৫ বছরের ফিলিস্তিনি কিশোর আবদুর রহমান আবু জাজার। গাজা শহরের আল-মুনতাযাহ পার্ক সংলগ্ন বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের খোঁজে যাওয়া এই কিশোর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আবদুর রহমানের বাঁ চোখে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
ঘটনাটি ঘটে গভীর রাতে, স্থানীয় সময় আনুমানিক ২টার দিকে, যখন আবদুর রহমান প্রথমবারের মতো একটি বিতরণ কেন্দ্রে গিয়েছিল। আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আবদুর রহমান বলেন, “আমার ভাইবোনদের জন্য কিছু খাবার খুঁজতে গিয়েছিলাম। আমাদের ঘরে কিছুই ছিল না।” পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সে যখন আল-মুনতাযাহ পার্কের কাছে পৌঁছায়, তখনই গুলিবর্ষণ শুরু হয়।
“আমি তিনজন বন্ধুর সঙ্গে ছিলাম,” বলে আবদুর রহমান। “ওদের সবাই গুলিতে আহত হয়। আমরা দৌড়াতে শুরু করি, তখনই একটা গুলি আমার মাথায় এসে লাগে। মনে হলো, শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল। সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল।” জ্ঞান ফিরে পেয়ে আবদুর রহমান দেখতে পায় চারপাশে এখনো গুলির শব্দ—আর আহত মানুষদের চিৎকার। আতঙ্কে সে সেখানেই কোরআনের আয়াত পড়তে শুরু করে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবদুর রহমানের চোখে গুলি ঢুকে তা ভেতর দিয়ে পার হয়ে গেছে, যা একটি মারাত্মক ‘পারফোরেটিং আই ইনজুরি’। হাসপাতালে তাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে কিনা তা অনিশ্চিত। একটি মোবাইলের টর্চলাইট চোখের কাছে ধরে চিকিৎসক জিজ্ঞেস করেছিলেন—“তুমি আলো দেখতে পাচ্ছ?”—কিন্তু সে কোনো আলো দেখতে পারেনি।
আবদুর রহমানের হৃদয়বিদারক এই গল্প গাজার জনগণের ওপর চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। যখন শিশু-কিশোররা খাবারের জন্য জীবন ঝুঁকিতে ফেলে রাস্তা পার হচ্ছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই নির্যাতনের চিত্র আর অদৃশ্য থাকতে পারে না। একদিকে বোমার আঘাত, অন্যদিকে জোরপূর্বক অনাহার—এই দ্বৈত আক্রমণের শিকার ফিলিস্তিনিরা এক নিঃশ্বাসে বাঁচার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
আবদুর রহমান আশায় বুক বেঁধে বলেন, “আল্লাহ চাইলে দৃষ্টি ফিরে পাব।” কিন্তু এই কিশোরের চোখ শুধু একটি গুলির শিকার নয়—এটি গোটা গাজার ক্ষুধা, যুদ্ধ ও নিষ্ঠুরতা-নির্ভর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
-হাসানুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক
রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
ইরান তার জ্বালানি উৎপাদনে পরিচ্ছন্ন এবং টেকসই উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে রাশিয়ার সহযোগিতায় ৮টি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার (০২ নভেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) প্রধান মোহাম্মদ এসলামি এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি দেন।
জ্বালানি স্বনির্ভরতার পথে ইরান
এইওআই প্রধান মোহাম্মদ এসলামি জানান, ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্প্রতি নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার অধীনে এই ৮টি পারমাণবিক কেন্দ্র যৌথভাবে নির্মিত হবে। এই বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে ইরান ২০ হাজার মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করতে চায়, যা দেশটির জ্বালানি স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়নের পথে এক বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এসলামির ঘোষণা অনুযায়ী, নতুন এই আটটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে চারটি বুশেহর প্রদেশে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বাকি চারটি কেন্দ্র ইরানের অন্যান্য অঞ্চলে তৈরি করা হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে এসব স্থানের নাম ঘোষণা করা হবে।
ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ
বিভিন্ন এলাকায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে ইরান তার ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য স্থিতিশীল ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। মোহাম্মদ এসলামি আরও জানান যে, ইরানের উত্তর উপকূলীয় অঞ্চলেও একটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে গোলেস্তান প্রদেশে একটি নতুন পারমাণবিক প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং সেখানে কেন্দ্রটি স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থানও নির্ধারণ করা হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে এই সহযোগিতা চুক্তিকে ইরান তার বিদ্যুৎ উৎপাদন কাঠামোতে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্ব বৃদ্ধি এবং জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমানোর একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে দেখছে।
গাজা শান্তি উদ্যোগে মুসলিম ঐক্যের ডাক, ইস্তাম্বুলে ছয় দেশের বৈঠক
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সোমবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ দ্রুত ফিলিস্তিনিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), জর্ডান, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচি হবে গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া, মানবিক সহায়তা, এবং যুদ্ধ-পরবর্তী প্রশাসনিক কাঠামো।
সূত্রটির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, হাকান ফিদান বৈঠকে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ ও যৌথ কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের গুরুত্বের ওপর বিশেষ জোর দেবেন, যাতে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নিতে পারে। তিনি আশা করছেন, মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর অবস্থান গাজায় টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই বৈঠকটি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত-পরবর্তী ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় মুসলিম দেশগুলোর ভূমিকা পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে, এবং আন্তর্জাতিক মহল এখন কার্যকর ও ফিলিস্তিন-কেন্দ্রিক সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।
তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “ফিলিস্তিনিদের হাতে নিজেদের ভূমির নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়াই শান্তির একমাত্র পথ।”
রয়টার্স জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মানবিক করিডোর, পুনর্গঠন পরিকল্পনা এবং যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার বিষয়েও আলোচনা করবে। এর পাশাপাশি, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা কীভাবে নির্ধারিত হবে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তুরস্কের এই উদ্যোগ মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সমন্বিত ফিলিস্তিন নীতি গঠনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন আশার সঞ্চার করবে।
-আল জাজিরা
তালেবান ও আইএসআই: সীমান্ত থেকে কাবুল পর্যন্ত ইতিহাসের প্রথম সংযোগ
প্রায় ৩০ বছর আগে পাকিস্তানের একজন প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল এক ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ, যা পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং আফগানিস্তানের এক সীমিত ক্ষমতাসম্পন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। 당시 সীমান্তের দুই পাশের কেউই কল্পনা করতে পারেনি যে, পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে এই ছোট গোষ্ঠী ‘তালেবান’ নামে পরিচিত হয়ে আফগানিস্তানের প্রায় অধিকাংশ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করবে। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান কেন এই পদক্ষেপ নিয়েছিল, আইএসআই এই সময়ে কী ধারণা পোষণ করছিল এবং এ পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ও ফলাফল কী ছিল। সীমান্তে সংঘর্ষ, হামলা এবং কথার লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকরা এটিকে প্রাচীন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অবসানের সূচনা হিসেবে দেখছেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানকে এ বিষয়ে দায়ী করার অভিযোগ উঠেছে, তবে সম্পর্কের সূচনা ও প্রেক্ষাপট স্পষ্টভাবে ইতিহাসে রেকর্ড করা আছে।
স্টিভ কোলের ‘Ghost Wars’ বইয়ে বেনজির ভুট্টোকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে তিনি একটি সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন, পাকিস্তানের জন্য আফগানিস্তানের মাধ্যমে বাণিজ্য পথ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত লাভজনক হবে। তিনি পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের মাধ্যমে মধ্য এশিয়ায় তুলা, জ্বালানি ও ইলেকট্রনিক পণ্য পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে, সোভিয়েত বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করার পর দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছিল, প্রতিটি শহর ও অঞ্চল কোনো এক পক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বেনজির ভুট্টো আফগানিস্তানে একটি নিরাপদ বাণিজ্য পথ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা বাস্তবায়ন করা মোটেও সহজ ছিল না।
বেনজির ভুট্টো আফগান ইস্যুতে একটি সমন্বিত দল গঠন করেছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন সাবেক মেজর জেনারেল এবং তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিরুল্লাহ খান বাবর। নাসিরুল্লাহ খান বাবর প্রস্তাব দেন কাবুলের মধ্য দিয়ে নয়, বরং দক্ষিণ আফগানিস্তানের কান্দাহার ও হেরাতের মাধ্যমে একটি বিকল্প বাণিজ্য পথ তৈরি করার। বেনজির ভুট্টো এই প্রস্তাব পছন্দ করেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণ আফগানিস্তান হয়ে মধ্য এশিয়ার বাণিজ্য পথ কার্যকর করার উদ্যোগ নেন। তিনি আশা করেছিলেন, পাকিস্তান স্থানীয় আফগান কমান্ডারদের অর্থ প্রদান করে এই পথে বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারবে। আইএসআই এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত ছিল এবং কোনোরূপ দ্বিমত ছিল না।
১৯৯৪ সালের অক্টোবর, নাসিরুল্লাহ খান বাবরের নেতৃত্বে প্রথম বাণিজ্য বহর আফগানিস্তানে পাঠানো হয়। বহরের ট্রাকে পাকিস্তানি টেক্সটাইল পণ্য বহন করা হয় এবং এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বহরটি কান্দাহার হয়ে তুর্কমেনিস্তানে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত ছিল। আইএসআই-এর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাভেদ আশরাফ কাজী ২০২১ সালে সাক্ষাৎকারে জানান, ট্রাকগুলো তুলা বহন করছিল। পাকিস্তানে তুলার ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি, সড়কপথে তুলা আনা ছিল সমুদ্রপথের তুলনায় দ্রুত এবং সস্তা। তবে হেরাত থেকে কান্দাহারের পথে স্থানীয় একজন কমান্ডার ট্রাকগুলো থামিয়ে লুটপাট চালায় এবং বহরের লোকজনকে বন্দি করে।
এ পরিস্থিতিতে নাসিরুল্লাহ খান বাবর আইএসআইকে অবহিত করেন। আইএসআই এবং নাসিরুল্লাহ খান বাবর একযোগে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন, যাতে অপহৃতদের মুক্তি এবং ট্রাকগুলো ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রক্রিয়াটি পাকিস্তান ও তালেবানের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হিসেবে বিবেচিত হয়। তালেবান বিনিময় ছাড়া ট্রাক ও বন্দিদের মুক্তি দেয়। ইসলামাবাদের মার্কিন দূতাবাসের গোপন চিঠি (১৯৯৫, তালেবান ফাইলস) এই ঘটনার আলাদা বিবরণ তুলে ধরে, যেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি বাণিজ্য বহরের ওপর তালেবানের মনোযোগ বৃদ্ধি পায় এবং তারা বাধা সরিয়ে দেয়।
তালেবানের শুরুর গল্পও এ সময়ের মধ্যে শুরু হয়। মোল্লা ওমরের তত্ত্বাবধানে কিছু সশস্ত্র তালেবান মাইওয়ান্দে সক্রিয় হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজি বশির নূরজাই তাদের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করেন। শুরুতে হামিদ কারজাইও তাদের সহায়তা প্রদান করেছিলেন, যিনি পরে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। তালেবান পরবর্তীতে স্পিন বোলদাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে অস্ত্র ও লজিস্টিক সুবিধা সংগ্রহ করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়কাল থেকে কমান্ডারদের সহযোগিতায় ১৭টি সুড়ঙ্গে অস্ত্র মজুদ করা হয়, যা তাদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আইএসআই-এর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে পর্যাপ্ত গোলাবারুদ এবং ১৮,০০০ কালাশনিকভ ছিল।
জাভেদ আশরাফ কাজী জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তারা পাকিস্তানের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার অনুরোধ করেছিলেন। তাদের মূল চাহিদা ছিল খাদ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য সরবরাহ, অস্ত্র বা অর্থ নয়। শুরুতে পাকিস্তান আফগান সংঘাতে মোটাদাগে নিরপেক্ষ ছিল এবং আইএসআই মূলত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। বেনজির ভুট্টোও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার সরকার আফগানিস্তানে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি এবং কোনো গোষ্ঠীকে সমর্থন দেয়নি। ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেন সফরে তিনি একই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তালেবান তখন কাবুলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
বেনজির ভুট্টো উল্লেখ করেছেন, অতীতে পশ্চিমা দেশগুলো পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানে অর্থ ও অস্ত্র পাঠাত। তবে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থার কারণে তারা কোনো গোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র বা সহায়তা দিতে সক্ষম ছিল না। এই প্রক্রিয়ার ফলে তালেবান ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
জেনারেশন জেড থেকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ
মালদ্বীপে জেনারেশন জেড এবং পরবর্তী সকল প্রজন্মের জন্য ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করার একটি ঐতিহাসিক আইন কার্যকর করা হয়েছে।
এই বিধিনিষেধ অনুযায়ী, ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের পর জন্ম নেওয়া এবং জন্ম নেওয়ার পরবর্তী প্রজন্মের সকল নাগরিক তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার থেকে অব্যাহতি পাবেন না।
নিষেধাজ্ঞাটি শুধুমাত্র সিগারেট বা ধূমপান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের ওপর প্রযোজ্য।
খুচরা বিক্রেতাদের জন্য আইনটি বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে, তামাকজাত পণ্য বিক্রি করার আগে ক্রেতার বয়স যাচাই করা বাধ্যতামূলক।
যদি কোনো অপ্রাপ্তবয়স্কের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয়, তবে বিক্রেতাকে প্রায় ৩,২০০ ডলারের জরিমানা করা হবে।
এছাড়া, ২১ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তি তামাক সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
নতুন আইনে ধূমপান সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।আইনের আওতায় সমস্ত বয়সের নাগরিকের জন্য ই-সিগারেট এবং ভ্যাপও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
১ নভেম্বর থেকে এই আইন প্রথমে জেনারেশন জেড প্রজন্মের ওপর প্রযোজ্য হবে। পর্যটনে প্রসিদ্ধ এই দ্বীপশহরেও আইনটি পর্যটকদের জন্য প্রযোজ্য, অর্থাৎ বিদেশি ভ্রমণকারীরাও এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন।
দেশটির ফার্স্ট লেডি সাজিদা মোহাম্মদ এই পদক্ষেপকে “ঐতিহাসিক” হিসেবে অভিহিত করেছেন।তিনি বলেন, এটি একটি সাহসী ও তথ্যভিত্তিক উদ্যোগ, যা মাদকচক্র ভাঙতে সাহায্য করবে, রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখবে এবং তরুণ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও শক্তিশালী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবে।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের মধ্যে অসুস্থতা এবং মৃত্যুর একটি বড় কারণ হলো ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপান।
এই কারণেই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত বছর একটি ব্যাপক ধূমপানবিরোধী কর্মসূচি চালু করেছিলেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ই-সিগারেট এবং ভ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়, পাশাপাশি সিগারেটের ওপর আমদানি শুল্ক এবং কর দ্বিগুণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মালদ্বীপের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আশা করছে, এই আইন জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম গড়তে তরুণদের উৎসাহিত করবে।
জোহরান মামদানির প্রকাশ্যে আরবিতে ভোটের আবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থী হিসেবে নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে জোহরান মামদানি সম্প্রতি একটি নির্বাচনী ভিডিও প্রকাশ করেছেন।ভিডিওটি মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত অভিবাসী জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তিনি আরবিতে কথা বলেছেন।
ভিডিওতে মামদানি সরাসরি ভোটারদের কাছে আবেদন জানান এবং বিভিন্ন জাতিগত সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে তাদের বোঝার চেষ্টা করেছেন।
এ সময় তিনি শহরের নাগরিকদের জীবনমান উন্নত করার জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন, যেমন বাসস্থান, পরিবহন ও সামাজিক সেবা সহজ করা। খবরটি হিন্দুস্তান টাইমস প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) প্রকাশিত ভিডিওতে মামদানি আরবিতে বলেন, “হ্যালো, আমি জোহরান মামদানি, এবং আমি নিউইয়র্ক সিটির পরবর্তী মেয়র হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।”
ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে গিয়ে তিনি হালকাভাবে মন্তব্য করেন, “আমি জানি, আপনারা ভাবছেন, আমি যেন আমার দামেস্ক থেকে আসা কোনো আত্মীয়ের মতো লাগছি, তবে আমার আরবি ভাষার দক্ষতা আরও উন্নত করতে হবে।”
নিজেকে সমাজতান্ত্রিক হিসেবে পরিচয় দেওয়া জোহরান মামদানি মুসলিম ও আরবীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নিউইয়র্ক শহর বর্তমানে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে, যার কারণে এখানে বসবাস অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে।”
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, মেয়র হিসেবে তিনি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করবেন, শহরের পরিবহন ব্যবস্থাকে দ্রুততর করবেন, এবং বিনামূল্যে বিভিন্ন সামাজিক সেবা চালু করবেন। এছাড়াও, তিনি প্রতিটি পরিবারের জন্য সর্বজনীন শিশুসেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
মামদানি বলেন, তিনি জনগণের ছোট ব্যবসাগুলোর বিকাশ, ভাড়া পরিশোধে সহায়তা এবং নিউইয়র্কে ভবিষ্যত গড়ার সুযোগকে সহজ করতে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
ভিডিওর শেষ অংশে তিনি সজাগভাবে বলেন, “আমি আপনারই একজন, এবং আমি আপনার জন্যই নিবেদিত।”
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তার মাতৃহৃদয় রামা সুয়াজি সিরীয় বংশের।নিউইয়র্কের মেয়র পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোর সঙ্গে, যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া, রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ারও এই নির্বাচনে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় নারী ক্রিকেটারদের পুরস্কারে বাজিমাত
ভারতের নারী ক্রিকেট দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে ইতিহাস রচনা করেছে, জয় করে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে দুইবার ফাইনালে উঠলেও ট্রফি ছোঁয়া হয়নি, কিন্তু এবার ভারতীয় মেয়েরা ব্যর্থ হননি এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি দলের কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার যেমন হারমানপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মন্ধান উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন। তাদের আয়ের পরিমাণ ভারতের পুরুষ দলের পুরস্কারের থেকেও বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৩ সালের পুরুষদের একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা যা পেয়েছিল, তার চেয়ে এবার ভারতীয় মেয়েদের উপার্জন বেশি।
বিশ্বকাপ জয়ের পুরস্কার হিসেবে ভারতীয় নারী দল পেয়েছে মোট ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এই অর্থ দলের খেলোয়াড় ও সহায়ক স্টাফদের মধ্যে সমানভাবে বিতরণ করা হবে। তুলনামূলকভাবে, ২০২৩ সালে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারত যখন বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন অস্ট্রেলিয়ার দল পেয়েছিল ৩৫.৫ কোটি টাকা, যা হারমানপ্রীতদের উপার্জনের চেয়ে প্রায় ৪ কোটি কম।
এবারের চ্যাম্পিয়ন দলকে গতবারের মেয়েদের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের তুলনায় ২৩৯ শতাংশ বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে। রানার্সআপ দলও অতীতের তুলনায় ২৭৩ শতাংশ বেশি অর্থ পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, গতবার চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দল যথাক্রমে ১১ কোটি ও ৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। এবার সেমিফাইনাল খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড পেয়েছে ৯.৩ কোটি টাকা করে, যা আগেরবারের ২.৫ কোটি টাকা থেকে অনেক বেশি।
২০২৫ সালের নারী বিশ্বকাপের মোট পুরস্কারমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালের ২৯ কোটি টাকার চেয়ে চার গুণ বেশি। এবার আইসিসি পুরুষ এবং নারী ক্রিকেটারদের জন্য সমান পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গতবারের পুরুষদের বিশ্বকাপের জন্য দেওয়া অর্থ ৮৪ কোটি টাকা, যা এবার নারী ক্রিকেটারদের থেকে কম।
গ্রুপ পর্বে অংশ নেওয়া প্রতিটি দল পেয়েছে ২ কোটি টাকা করে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দল পেয়েছে ৫.৮ কোটি টাকা, আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানের দল পেয়েছে ২.৩ কোটি টাকা করে। পাশাপাশি গ্রুপ পর্বের প্রতিটি জয়িত ম্যাচের জন্য ২৮ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতীয় বোর্ড রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিসহ পুরুষ দলের জন্য ১২৫ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিল। এবার নারী দলের বিশ্বকাপ জয় উপলক্ষে বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া ঘোষণা করেছেন, দলকে ৫১ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। এখান থেকেও জয়ী দলের খেলোয়াড়রা অর্থ পাবেন, যার মধ্যে হারমানপ্রীত কৌর ও স্মৃতি মন্ধান উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবেন।
-রাফসান
মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা! ভারতের রপ্তানি কেন হঠাৎ কমল?
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানিতে সাম্প্রতিক সময়ে ভয়ঙ্কর পতন দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি প্রায় ৩৭.৫ শতাংশ কমে গেছে। তথ্যটি প্রকাশ করেছে থিংক ট্যাঙ্ক ‘গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’ (জিটিআরআই)।
সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ছিল ৮.৮ বিলিয়ন ডলার, যা সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। এই সময়ে ভারতের ওষুধ, স্মার্টফোন, ধাতু ও গাড়ি খাতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ফার্মাসিউটিক্যাল বা ওষুধ রপ্তানি মে মাসের ৭৪৫.৬ মিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমে ৬২৮.৩ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা ১৫.৭ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে। শিল্প ধাতু ও গাড়ির যন্ত্রাংশের রপ্তানিও ১৬.৭ শতাংশ কমে ৬০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব জানান, বিশেষভাবে অ্যালুমিনিয়ামের রপ্তানি ৩৭ শতাংশ, তামা ২৫ শতাংশ, গাড়ির যন্ত্রাংশ ১২ শতাংশ, এবং লোহা-ইস্পাত ৮ শতাংশ কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই হ্রাসের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প খাতের মন্দা, বিশ্বব্যাপী শুল্ক নীতি এবং প্রতিযোগিতার কারণে নয়।
শ্রমনির্ভর খাত যেমন টেক্সটাইল, রত্ন ও গহনা, রাসায়নিক, কৃষিপণ্য এবং যন্ত্রপাতির রপ্তানিও মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৩ শতাংশ কমে ৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। শ্রীবাস্তব বলেন, “এই হ্রাসের প্রভাব গভীর এবং বিস্তৃত।”
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সৌর প্যানেল রপ্তানি। মে মাসে ২০২.৬ মিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি ৭৯.৪ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা ৬০.৮ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করে।
পোশাক ও বস্ত্র খাতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। পাঁচ মাসের মধ্যে রপ্তানি ৯৪৪ মিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৫৯৭ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৪৪ শতাংশ, গৃহসজ্জার টেক্সটাইল ১৬ শতাংশ, এবং সুতা ও ফেব্রিকস ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
সমুদ্রজাত ও সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিতেও প্রায় অর্ধেক হ্রাস হয়েছে। মে মাসে ২২৩ মিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমে ১১৩ মিলিয়ন ডলারে নেমেছে, যা ভারতের শ্রমনির্ভর এই খাতের জন্য বড় আঘাত।
উল্লেখ্য, ২৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বিভিন্ন পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এটি মূলত রাশিয়ার তেল কেনা ও ইউক্রেনে সংঘাত চলাকালীন মস্কোকে অর্থ সাহায্য করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেওয়া পদক্ষেপ।
-রাফসান
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখল ইসরায়েল
গাজা সিটি ও খান ইউনিসে সোমবার (৩ নভেম্বর) আবারও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। বর্তমানে দুই পক্ষই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে রয়েছে। এই নতুন হামলা চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলো আবাসিক এলাকায় গুলি চালিয়েছে। পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিটগুলো বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকটি ভবন ধ্বংস করেছে। তবে এই মুহূর্তে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
ক্ষয়ক্ষতির হিসাব গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৩৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৬০০ জন আহত হয়েছেন।
এই নতুন হামলার মধ্যেই ইসরায়েল আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছ থেকে তিন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিনিময়ের শর্ত চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দেবে।
বর্তমান অবস্থা এখন পর্যন্ত ২২৫টি ফিলিস্তিনি মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি গত ৩০ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়। যুদ্ধবিরতির আগে হামাসের হাতে থাকা ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং প্রায় ১৭ জনের মরদেহ এখনও গাজায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ধাপে ধাপে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়, সামরিক অভিযান স্থগিত রাখা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইসরায়েলের নেতাদের জন্মনাম ও পরিচয় পরিবর্তনের যত কারণ
ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রকৃত জন্মনাম ছিল বেনিয়ামিন মিলেকোভস্কি। তবে তার বাবা ফিলিস্তিনে পুনর্বাসিত হওয়ার পরই তারা নতুন উপাধি গ্রহণ করেন, এবং তখন থেকে পরিবারের সকল সদস্যের সঙ্গে ‘নেতানিয়াহু’ যুক্ত হয়, যার অর্থ ‘সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত’। এ ঘটনা কোনো একক উদাহরণ নয়; ইসরাইলের অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিকদের নামেও একই ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনে আসার পর তারা জায়নবাদী আদর্শ অনুসারে হিব্রু ভাষায় নতুন নাম গ্রহণ করেন।
নেতানিয়াহুর দাদার নাম নাথান মিলেকোভস্কি, যিনি পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং রুশ-ইহুদি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় পরিবারে ছিলেন। তার ছেলে, জন্মসূত্রে বেনজিয়ন মিলেকোভস্কি, ফিলিস্তিনে আসার পর নিজের নাম পরিবর্তন করে বেনজিয়ন নেতানিয়াহু গ্রহণ করেন। একইভাবে ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়নও জন্মনাম ডেবিড গুরিয়ন থেকে হিব্রু নাম গ্রহণ করেন, যার অর্থ ‘সিংহশাবক’। দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী মোশে শারেতের জন্মনাম ছিল মোশে শেরতক, যাকে ১৯৪৯ সালে হিব্রু নাম দেওয়া হয়।
ইসরাইলের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী গোলদা মাইর ইউক্রেনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তার নাম ছিল গোল্ডি মাবোভিচ। বিয়ের পর তিনি গোল্ডি মায়ারসন নাম গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় নাম পরিবর্তন করে গোলদা মাইর হিসেবে পরিচিত হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইজহাক শামির জন্মনাম ছিল ইৎজহাক ইয়াজিরনেস্কি, এবং এহুদ বারাক, অ্যারিয়েল শ্যারন, শিমন পেরেস, লেভি এশকলসহ অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিকও হিব্রু নাম গ্রহণ করেন।
নাম পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া কেবল উচ্চপদস্থ রাজনীতিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি অন্যান্য স্তরের ইহুদি জনগোষ্ঠীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিবর্তন সরকারি ও সামরিক নীতির অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ১৯৪৮-৪৯ সালে প্রায় ১৭ হাজার বসতি স্থাপনকারী নিজেদের জন্মনাম পরিবর্তন করে হিব্রু নাম গ্রহণ করেন। ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেন-গুরিয়ন সরকারি কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের হিব্রু নাম গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং ‘কমিটি ফর হিব্রু নেমস’ গঠন করা হয়, যা নাম পরিবর্তনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে।
হিব্রু ভাষার পুনর্জীবন আধুনিক ইহুদি জাতীয় পরিচয় ও জায়নবাদী আদর্শের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। কথ্য হিব্রু ভাষা প্রায় ১৭০০ বছর আগে ধর্মীয় আচার ও তোরাহ চর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইলিয়েজার বেন ইয়েহুদা ১৮৮১ সালে ফিলিস্তিনে এসে হিব্রু ভাষাকে পুনর্জীবিত করেন। তিনি বাইবেল, তালমুদিক সাহিত্য, জার্মান ও ফরাসি ভাষা থেকে শব্দ সংগ্রহের মাধ্যমে আধুনিক হিব্রু ভাষার মৌলিক কাঠামো গড়ে তোলেন। আরবি থেকে শব্দ গ্রহণও তার কৌশলের অংশ ছিল, কারণ আরবি ও হিব্রু একই সেমিটিক পরিবারের অন্তর্গত। আধুনিক হিব্রু ভাষার পুনর্জীবন শুধুমাত্র ভাষাগত উদ্যোগ নয়; এটি জায়নবাদী জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
পরম লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় পরিচয় থেকে সেক্যুলার জাতীয়তাবাদের দিকে ইহুদি পরিচয় রূপান্তর করা। প্রথাগত ইহুদি পরিচয় ধর্মীয় আচরণ ও তোরাহ চর্চার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জায়নবাদীরা এই পরিচয়কে জাতীয়তাবাদে রূপান্তর করতে হিব্রু ভাষাকে ব্যবহার করেন। এ কারণে আধুনিক ইসরাইলের ৬০ শতাংশ নাগরিক নিজেদের ধর্মহীন হিসেবে পরিচয় দেন। একই সঙ্গে এটি বৈচিত্র্যময় ইহুদি জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়তা করে।
১৯৪০-৫০-এর দশকে ইহুদিরা বিভিন্ন ভাষা ইদিস, লাদিনো, আরবি, জার্মান, রুশ, ফরাসি বলত। তাই জাতীয় পরিচয় স্থাপনের জন্য হিব্রু ভাষার প্রয়োজন ছিল। ইদিস ভাষার সমৃদ্ধ সাহিত্যিক ঐতিহ্য থাকা সত্ত্বেও জায়নবাদীরা হিব্রুকে বেছে নেন। কারণ ইদিস তাদের মুক্তির লক্ষ্য এবং জাতীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করেছিল।
নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি নয়, ভৌগোলিক স্থানের নামও হিব্রু ভাষায় রূপান্তর করা হয়। ফিলিস্তিনে ২,৭৮০টি ঐতিহাসিক স্থানের নাম হিব্রুতে বদলে ফেলা হয়; এর মধ্যে রয়েছে গ্রাম, শহর, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, নদী, উপত্যকা, ঝরনা এবং পাহাড়। অনেক ক্ষেত্রে ধ্বনিগত পরিবর্তন, যেমন সোরা থেকে জোরা, বা বাইবেলিক শব্দ ব্যবহার করে নামকরণ করা হয়। নতুন হিব্রু নামের উদাহরণ উম আল-রাশরাশ থেকে ইলাত, ম্লাবিস থেকে পেতাহ তিকভা।
এই নাম পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুধু সাংস্কৃতিক নয়, বরং স্মৃতিহত্যার কৌশলও। ১৯৪৭-৪৯ সালের মধ্যে প্রায় ৪০০টি ফিলিস্তিনি গ্রাম ধ্বংস করা হয়, এবং সেখানে হিব্রু নামকরণ ও বনভূমি নির্মাণের মাধ্যমে ইতিহাস ও স্মৃতিকে মুছে ফেলা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বসতি, ভূমি ও ভাষা নতুন জাতীয়তাবাদী ন্যারেটিভের সঙ্গে পুনর্গঠিত হয়, যা জায়নবাদী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রজেক্টের অংশ হিসেবে কার্যকর।
পাঠকের মতামত:
- ‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
- রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ইরান
- হালকা গ্যাস্ট্রিকও হতে পারে মারাত্মক ক্যানসারের ইঙ্গিত: প্রাথমিক উপসর্গ চিনুন ও সতর্ক হন
- বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় নতুন উদ্যোগ: প্রতি টন ৩০২ ডলারে মার্কিন গম
- ডিএসই ৩০ শেয়ার সূচক: আজ শেয়ারবাজারে ওঠাপড়ার বিশ্লেষণ
- যে শেয়ারের লেনদেন রেকর্ড ডেটের পর পুনরায় শুরু
- ০৪ ও ০৫ নভেম্বর লেনদেন স্থগিত যে শেয়ারের
- নগদ লভ্যাংশ নিয়ে আজকের বড় সিদ্ধান্ত
- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে অনলাইন কোর্স: দ্রুত আবেদন করুন
- নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
- ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
- ডিএসইতে আজ অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন, বিস্তারিত জানুন ভেতরে
- নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার আদালতে মামলা
- সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও
- গাজা শান্তি উদ্যোগে মুসলিম ঐক্যের ডাক, ইস্তাম্বুলে ছয় দেশের বৈঠক
- জুলাই সনদের আদেশ জারিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নতুন গণমিছিল
- বন্ড মার্কেটে নীরবতা, মাত্র পাঁচ ইস্যুতে লেনদেন কার্যক্রম
- এনসিপি’র সংসদে যাওয়া নির্ভর করবে বিএনপির ওপর: নুরু
- ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ
- সেই কালামের পরিবারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে যা বলল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ
- গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার
- উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং
- তালেবান ও আইএসআই: সীমান্ত থেকে কাবুল পর্যন্ত ইতিহাসের প্রথম সংযোগ
- তওবার সঠিক প্রক্রিয়া: আল্লাহর কাছে ফিরে আসার ৫টি শর্ত
- জেনারেশন জেড থেকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ধূমপান নিষিদ্ধ
- জোহরান মামদানির প্রকাশ্যে আরবিতে ভোটের আবেদন
- ফোন হারালেন? ৫ মিনিটে ব্লক করার সহজ উপায়
- চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় নারী ক্রিকেটারদের পুরস্কারে বাজিমাত
- মার্কিন বাজারে বড় ধাক্কা! ভারতের রপ্তানি কেন হঠাৎ কমল?
- জানুন দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ওষুধ খাওয়ার প্রভাব
- অর্জুন কাপুরের পরে মালাইকার নতুন প্রেম, ভাইরাল ভিডিও
- নিবন্ধিত দলকে অন্য দলের প্রতীকে ভোট দিতে দেওয়া যাবে না: এনসিপি
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- TILIL-এর ২০২৫ সালের Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ইন্টারন্যাশনাল স্পেশালাইজড নিট লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পাবনায় মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন, তিন এসআই আহত
- ঢাকা আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ
- জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি
- গাজায় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখল ইসরায়েল
- খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি-বোমা হামলা, শিক্ষক নিহত
- ঢাকার আজকের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি এক নজরে
- আজ জরুরি বৈঠক, কি হবে জুলাই সনদ গণভোটের ফলাফল
- আজকের আবহাওয়ার খবর
- বিএনপি আজ ঘোষণা করতে পারে শতাধিক আসনের প্রার্থী তালিকা
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ যেসব এলাকায়
- জানুন আজ কোথায় কোন মার্কেট বন্ধ
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা








