ইন্দিরা গান্ধীকে পেছনে ফেললেন মোদি, গড়লেন নতুন রেকর্ড

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ০৯:১১:৩১
ইন্দিরা গান্ধীকে পেছনে ফেললেন মোদি, গড়লেন নতুন রেকর্ড
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড গড়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে পেছনে ফেলে তিনি এখন দেশটির দ্বিতীয় দীর্ঘসময় সেবাদানকারী প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) মোদির দায়িত্ব পালনকাল ৪ হাজার ৭৮ দিনে পৌঁছায়। এর ফলে তিনি ইন্দিরা গান্ধীর ৫ হাজার ৮২ দিনের একটানা মেয়াদকে ছাড়িয়ে যান। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, যিনি টানা ১৬ বছর ২৮৬ দিন এই দায়িত্বে ছিলেন।

নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের মে মাসে ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি ১১ বছর এবং ৬০ দিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

মোদি ভারতের স্বাধীনতার পর জন্ম নেওয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি কংগ্রেসের বাইরে থেকে দীর্ঘ সময় এই পদে রয়েছেন। গুজরাটের মত হিন্দিভাষী রাজ্যের বাইরে থেকে উঠে আসা নেতা হিসেবে এটিও একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সময়কালে একাধিক সংস্কারমূলক কর্মসূচি, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, মেক ইন ইন্ডিয়া, এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিভাজন সত্ত্বেও নেতৃত্বের স্থায়িত্বে মোদির এই রেকর্ড ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়ে থাকল।

/আশিক


চায়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই প্রেমিকের সঙ্গে দুই গৃহবধূর পলায়ন

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৮:৫৫:৪০
চায়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই প্রেমিকের সঙ্গে দুই গৃহবধূর পলায়ন
নাজমা বেগম ও কুলচান বেগম। ছবি : সংগৃহীত

একই পরিবারের দুই গৃহবধূ এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের তিন মেয়েকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে দুজনেই মিলে পালিয়ে যান একই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে। তবে স্বপ্নের ঘর বাঁধার আগেই পুলিশ তাদের আটক করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছেন সেই প্রেমিক। স্থানীয় সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে হঠাৎ করেই ইয়াসিন শেখ এবং তার ভাই আনিসুর শেখের স্ত্রীরা নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাদের কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তারা জানান, তাদের স্ত্রীরা স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে যাননি, বরং প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লা তাদের প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। আরিফের স্ত্রীও পুলিশের কাছে একই দাবি করেন।

পরপর দুটি পরিবার থেকে একই ধরনের অভিযোগ আসায় পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। তারা দুই গৃহবধূর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে। তবে পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই প্রেমিক আরিফ মোল্লা পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।

অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ওই দুই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বুধবার তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করেন, একই প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারা জানান, বাড়ির লোকজন যেন তাদের আটকাতে না পারে, সেজন্য তারা চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন।

পুলিশের প্রশ্নের জবাবে বড় জা কুলচান বেগম অকপটে জানান, “হ্যাঁ, আমরা দুজন একই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছিলাম।” পুলিশের জন্য এটি এক নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ সাধারণত এ ধরনের ঘটনায় একাধিক প্রেমিকের নাম উঠে আসে। কিন্তু এখানে দুই নারীর লক্ষ্য একই ব্যক্তি হওয়ায় তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

এই ঘটনায় পুরো এলাকায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, একই পরিবারের দুই গৃহবধূ যে একই পুরুষের প্রেমে পড়বেন এবং এমন ভয়ংকর পরিকল্পনা করবেন, তা তারা কখনো ভাবেননি। অনেকেই বলছেন, এই ঘটনা সমাজ ও পারিবারিক সম্পর্কের ভাঙন কতটা গভীর হয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝাচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই নারীকে আদালতে তোলা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। একইসঙ্গে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক আরিফ মোল্লাকে ধরতে সর্বাত্মক অভিযান চলছে।


ভারতে ভোট চুরির ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাঁস করবেন রাহুল গান্ধী

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৪:৩৩:০৭
ভারতে ভোট চুরির ‘হাইড্রোজেন বোমা’ ফাঁস করবেন রাহুল গান্ধী
কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী।

ভারতে ভোট চুরি এবং ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত করে তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি দাবি করেছেন, তার হাতে এমন অকাট্য প্রমাণ রয়েছে যা প্রকাশ পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনগণের সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না। রাহুল এই প্রমাণকে 'হাইড্রোজেন বোমা' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্ক্রলডটইন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিহারের পাটনায় ‘ভোটাধিকার যাত্রা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র বিধানসভা এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। তার ভাষ্যমতে, কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকায় কীভাবে ভোট চুরি হয়েছে, সেটির বিস্তারিত প্রমাণ কংগ্রেস ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে।

রাহুলের অভিযোগ ও বিজেপির প্রতিক্রিয়া

রাহুল গান্ধীর দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেস মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা ছয় মাস ধরে পরীক্ষা করে এক লাখেরও বেশি অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, এই অনিয়মগুলোতে নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করেছে। রাহুল যেসব অনিয়মের কথা বলেছেন তার মধ্যে রয়েছে:

ডুপ্লিকেট নাম: ১১,৯৬৫টি

ভুয়া বা অকার্যকর ঠিকানা: ৪০,০৯টি

একই ঠিকানায় একাধিক নিবন্ধন: ১০,৪৫৪টি

অকার্যকর ছবি: ৪,১৩২টি

ফরম-৬-এর অপব্যবহার: ৩৩,৬৯২টি

রাহুলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ তাকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, "নির্বাচনের সঙ্গে পরমাণু বোমা বা হাইড্রোজেন বোমার তুলনা কেন করছেন? বিরোধীদলীয় নেতা হয়ে নিজেকে কেন ছোট করছেন?"

নির্বাচন কমিশনের অবস্থান

কংগ্রেসের এসব অভিযোগ অবশ্য নির্বাচন কমিশন অস্বীকার করেছে। গত ১৪ আগস্ট কমিশন রাহুলের মহাদেবপুরা-সংক্রান্ত অভিযোগকে 'ভুল ও বিভ্রান্তিকর' বলে মন্তব্য করে। এর আগেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কমিশন জানিয়েছিল, ভোটের ফলাফল নিয়ে হতাশ রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ 'সম্পূর্ণ হাস্যকর'। কংগ্রেসের দাবি, শুধু কর্ণাটক নয়, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনেও জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে বিজেপি 'শৈল্পিক কারচুপি' করেছে।


ভারত আমাদের হাত বেঁধে, মুখ ঢেকে বন্দীদের মতো করে নিয়ে যায়—এরপর সমুদ্রে ফেলে দেয়

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ১২:০৪:৩৭
ভারত আমাদের হাত বেঁধে, মুখ ঢেকে বন্দীদের মতো করে নিয়ে যায়—এরপর সমুদ্রে ফেলে দেয়
থাইল্যান্ডের নৌসীমার কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকার পাশে ভিড়েছে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি নৌযানফাইল ছবি: রয়টার্স

নুরুল আমিন তার ভাইয়ের সঙ্গে শেষবার গত ৯ মে কথা বলেছেন। ফোনকলে তিনি জানতে পারেন, তার ভাই কায়রুলসহ ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মিয়ানমারে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। এই ৪০ জন শরণার্থী প্রাণ বাঁচাতে কয়েক বছর আগে মিয়ানমার থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বর্তমানে মিয়ানমারে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ চলছে, যেখানে সামরিক জান্তার অনুগত বাহিনীর সঙ্গে ক্ষুদ্র-জাতিগোষ্ঠীর মিলিশিয়া ও প্রতিরোধ বাহিনীর সংঘাত চলছে। এই পরিস্থিতিতে নুরুলের জন্য তার পরিবারকে আবার দেখার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায়।

বিতাড়নের তিন মাস পর বিবিসি মিয়ানমারে থাকা সেই শরণার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত ‘বা হ্‌তু আর্মি (বিএইচএ)’ প্রতিরোধ দলের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন।

শরণার্থী সৈয়দ নুর ভিডিও কলে বিবিসিকে বলেছেন, “আমরা মিয়ানমারে নিরাপদ বোধ করি না। এখানে পুরো এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রের মতো।” তিনি একটি কাঠের তৈরি আশ্রয়শিবিরে ছিলেন, তার চারপাশে আরও ছয়জন শরণার্থী ছিলেন।

দিল্লিতে থাকা নুরুল আমিন বলেন, “আমি মানতেই পারি না যে আমার মা-বাবা ও যাঁদের বিতাড়ন করা হয়েছে, তাঁরা কী কষ্টে আছেন।” তিনি আরও বলেন, “মানুষকে কীভাবে শুধু সমুদ্রে ফেলা যায়? বিশ্বে মানবিকতা বেঁচে আছে, কিন্তু আমি ভারত সরকারের মধ্যে কোনো মানবিকতা দেখিনি।”

বিতাড়নের প্রক্রিয়া

বিবিসি জানায়, এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রথমে দিল্লি থেকে উড়োজাহাজে করে বঙ্গোপসাগরের একটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নৌযানে করে আন্দামান সাগরে নিয়ে জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট পরিয়ে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। সাঁতরে তাঁরা তীরে পৌঁছান এবং এখন মিয়ানমারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়েছেন।

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার থমাস অ্যান্ড্রু বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের সপক্ষে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’ রয়েছে। তিনি জেনেভায় ভারতের মিশনপ্রধানের কাছে এই তথ্য উপস্থাপন করলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাননি। বিবিসিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো উত্তর পায়নি।

একজন শরণার্থী জন তার ভাইকে ফোনে বলেছেন, “তারা (ভারতীয় কর্তৃপক্ষ) আমাদের হাত বেঁধে, মুখ ঢেকে বন্দীদের মতো করে নিয়ে গেছে। তারপর (নৌকায় উঠিয়ে) সমুদ্রে ফেলে দিয়েছে।”

বিতাড়িত শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন

সৈয়দ নুর বলেন, উড়োজাহাজ থেকে নামার পর তাদের দুটি বাসে ওঠানো হয়, যার পাশে ‘ভারতীয় নৌসেনা’ লেখা ছিল। তিনি আরও বলেন, “আমাদের হাত প্লাস্টিক দিয়ে বাঁধা হয়েছিল এবং মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।” বাসে থাকা লোকজন হিন্দি ভাষায় কথা বলতেন।

নৌকায় হাত খোলা ও মুখের কাপড় সরানোর পর শরণার্থীরা বুঝতে পারেন, তারা একটি বড় যুদ্ধজাহাজে আছেন। অনেকেই টি-শার্ট, কালো প্যান্ট ও কালো সেনা বুট পরা ছিলেন। সৈয়দ নুর বলেন, নৌকায় তারা ১৪ ঘণ্টা ছিলেন। খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল চাল, ডাল ও পনির।

কিছু পুরুষ শরণার্থী অভিযোগ করেছেন, নৌকায় তাদের ওপর নির্যাতন ও অপমান করা হয়েছে। ফয়েজ উল্লাহ নামের একজন তার ডান কনুইয়ে ক্ষত দেখিয়ে বলেন, তাকে বারবার পেটানো, থাপ্পড় মারা ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল, কেন তারা অবৈধভাবে ভারতে আছেন।

মে মাসে বিতাড়িত হওয়া ৪০ জনের মধ্যে ১৫ জন খ্রিস্টান ছিলেন। নুর বলেন, “দিল্লি থেকে যাওয়ার সময় শরণার্থীদের আটক করা ব্যক্তিরা বলতেন, ‘তুমি হিন্দু হওনি কেন? খ্রিস্টান হওয়ার কারণ কী?’” তিনি আরও বলেন, ‘খৎনা হয়েছে কি না দেখার জন্য আমাদের বিবস্ত্র হতে বাধ্য করা হয়েছে।’

এক শরণার্থী ইমান হোসেন বলেন, সেনারা তাকে কাশ্মীরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। এই হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

নৌকা থেকে ফেলে দেওয়া

৮ মে সন্ধ্যায় শরণার্থীদের নৌযানের পাশে থাকা সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসতে বলা হয়। সেখানে কালো রাবারের চারটি ছোট নৌকা দেখতে পান তারা। দুটি নৌকায় ২০ জন করে শরণার্থীকে স্থানান্তর করা হয়। ৭ ঘণ্টার বেশি হাতবাঁধা অবস্থায় ভ্রমণের পর সৈন্যরা তাদের জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট পরিয়ে হাতের বাঁধন খুলে পানিতে ঝাঁপ দিতে বলে। নুর বলেন, “আমরা দড়ি ধরে ১০০ মিটারের বেশি সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছেছি।” এরপর তাদের বলা হয়, তারা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছেন, এবং তারপর সৈন্যরা চলে যায়।

৯ মে ভোরে স্থানীয় জেলেরা তাদের খুঁজে পান এবং জানান, তারা মিয়ানমারে আছেন। এরপর জেলেরা তাদের ফোন ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন যেন তারা ভারতে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

জাতিসংঘ বলেছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যখন এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আন্দামান সাগরে পাঠায়, তখনই তাদের জীবন চূড়ান্ত ঝুঁকিতে ফেলে।

ক্ষতিপূরণের আবেদন ও আতঙ্ক

১৭ মে নুরুল আমিন ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করেছেন। সেখানে তাদের স্বজনদের দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা, বিতাড়ন বন্ধ করা এবং ৪০ জনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কলিন গঞ্জালেস বলেন, “এটি রোহিঙ্গা বিতাড়নের ভয়াবহতার কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরে। যুদ্ধক্ষেত্রে জীবনরক্ষাকারী জ্যাকেট পরিয়ে কেউ মানুষকে সমুদ্রে ফেলে দিতে পারে, তা স্বাভাবিকভাবে বিশ্বাস করা কঠিন।”

তবে পিটিশনের জবাবে দুই সদস্যের বেঞ্চের এক বিচারক এ অভিযোগকে ‘কাল্পনিক ধারণা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এ ঘটনা ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। নুরুল আমিন বলেন, “আমার মনে শুধু এই ভয় যে ভারত সরকার আমাদেরও নিয়ে যাবে ও সমুদ্রে ফেলে দেবে। এখন আমরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাই।”


বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক, আমি কী করব?: মমতা

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৭ ২১:১২:৫৮
বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক, আমি কী করব?: মমতা
ছবিঃ সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও ভাষার ইস্যুকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) আক্রমণ করেছেন। মঙ্গলবার বর্ধমানে একটি প্রশাসনিক সভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক হলে আমি কী করব? বাংলায় কথা বললে কাজ পাওয়া যায় না, হোটেলে জায়গা মেলে না, পড়াশোনার সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এটা আমরা মেনে নেব না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে অনেকের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি একে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) একটি গোপন রূপ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে খেলা হচ্ছে, ভোটার তালিকা থেকে বাঙালিদের বাদ দেওয়ার ফন্দি চলছে।”

মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে আমি প্রণাম করি, কিন্তু বিজেপির ললিপপ হয়ে গেলে চলবে না।” তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন ভোটের সময় বিজেপির একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “তিনি কেন বলবেন, বাংলায় চোর আছে তাই টাকা বন্ধ হয়েছে? যদি চুরি নিয়েই প্রশ্ন থাকে, তাহলে উত্তরপ্রদেশ বা মহারাষ্ট্রে তাকানো হোক।”

মমতা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার বৈষম্যমূলক আচরণের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করছে। আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রীর এই ধারাবাহিক আক্রমণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে তার বার্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে এর আগে শাসক দল দাবি করেছে, মমতা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এই ধরনের প্রচার চালাচ্ছেন।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা


মোদি একজন অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে বিস্ফোরক ট্রাম্প

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৭ ১৭:৪৬:৩৫
মোদি একজন অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে বিস্ফোরক ট্রাম্প
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলাকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, তা কেবল তার একটি ফোন কলের মাধ্যমেই থেমেছিল।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত শুরু হলে আমি মোদিকে ফোন করি। তাকে জিজ্ঞেস করি, পাকিস্তানের সঙ্গে কী চলছে? আমি তাকে একজন অত্যন্ত ভয়ংকর মানুষ মনে করি। ফোনকলে তার রাগ ও ঘৃণা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। দুই দেশের মধ্যে এই বৈরিতা অবশ্য বহু পুরোনো—শত শত বছরের শত্রুতার মতো।”

ট্রাম্প জানান, সেই ফোনকলে তিনি মোদিকে সতর্ক করে বলেছিলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যচুক্তি করতে চাই না। যদি সংঘাত পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়, তাহলে সেটাই আপনাদের পরিণতি হবে। আমি আরও বলেছিলাম, আগামীকাল যদি ফোন না করেন এবং সংঘাত না থামান তাহলে শুধু বাণিজ্যচুক্তিই বাতিল করব না, এমন শুল্ক আরোপ করব যাতে আপনাদের মাথা ঘুরে যাবে।”

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়। এরপর ৪ মে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’, যেখানে লস্কর-ই-তৈয়বা (লেট) এবং জইশ-ই মোহাম্মদ (জেম)-এর ৭০ জনেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ৭ মে শুরু করে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’। পাকিস্তানের দাবি, এই অভিযানে ভারতে ৩১ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছে। টানা পাঁচ দিন সংঘাত চলার পর ৯ মে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ইসলামাবাদ এ জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিলেও নয়াদিল্লি সেই দাবি মানেনি।

সংঘাত-পরবর্তী পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে, যা আজ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

/আশিক


সিংহের গর্জনে রাজনীতিতে থালাপতি বিজয়: মোদির আধিপত্যে কি ফাটল ধরবে?

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৬ ০৯:০১:৫৬
সিংহের গর্জনে রাজনীতিতে থালাপতি বিজয়: মোদির আধিপত্যে কি ফাটল ধরবে?

“জঙ্গলে যত শিয়াল থাকুক না কেন, রাজা সবসময় সিংহই”—এই উক্তি দিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চ কাঁপালেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়। তামিল সিনেমার কিংবদন্তি এই তারকা এবার সরাসরি রাজনীতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তামিলনাড়ুতে নিজের রাজনৈতিক দল গঠন করে তিনি শুরু করলেন এক নতুন অধ্যায়, যা শুধু আঞ্চলিক রাজনীতি নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিতেও আলোড়ন তুলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বিজয়ের এই অভিষেক নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জন্য নতুন সতর্ক সংকেত।

দক্ষিণ ভারতে বিজেপির দুর্বলতা

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে বিজেপির প্রভাব ঐতিহাসিকভাবে সীমিত। বিশেষ করে তামিলনাড়ু রাজ্যে দলটির গ্রহণযোগ্যতা খুবই কম। এখানকার ভোটাররা ঐতিহ্যগতভাবে আঞ্চলিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল—ডিএমকে, এআইএডিএমকে, টিডিপি কিংবা কংগ্রেসই এখানকার ভোটের মূল খেলোয়াড়। এই বাস্তবতায় বিজয়ের মতো জনপ্রিয় তারকার রাজনৈতিক আগমন দক্ষিণ ভারতের ভোটের সমীকরণ আমূল পাল্টে দিতে পারে।

মোদির জনপ্রিয়তার চ্যালেঞ্জ

জাতীয় পর্যায়ে মোদির জনপ্রিয়তা দীর্ঘ সময় ধরে অটুট থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার সরকারের একাধিক বিতর্কিত নীতিমালা সমালোচনার মুখে পড়েছে। নাগরিকত্ব আইন, কৃষক আন্দোলন কিংবা বিরোধী শিবিরের ক্রমবর্ধমান ঐক্য বিজেপির অবস্থানকে নড়বড়ে করেছে। যদি দক্ষিণ থেকে বিজয়ের মতো একজন ক্যারিশম্যাটিক ও তরুণমুখী নেতৃত্ব উঠে আসে, তবে তা মোদির একচ্ছত্র আধিপত্যে বড় ধরনের ধাক্কা হতে পারে।

তরুণ সমাজে বিজয়ের প্রভাব

থালাপতি বিজয় শুধু একজন চলচ্চিত্র তারকা নন; তিনি সামাজিক বার্তা, শিক্ষা ও যুবসমাজকে কেন্দ্র করে কাজের জন্যও জনপ্রিয়। তার রাজনৈতিক দল এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও ইতোমধ্যেই তরুণ প্রজন্মের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই সাড়া তার রাজনৈতিক যাত্রাকে শক্ত ভিত দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে উঠতে পারে, যা আঞ্চলিক সীমা ছাড়িয়ে জাতীয় পরিসরেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।

আঞ্চলিক জোটের নতুন সমীকরণ

দক্ষিণ ভারতে বিজেপির সীমিত অবস্থান বজায় আছে বহুদিন ধরে। কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলো নিজেদের প্রভাব ধরে রেখেছে। এখন যদি বিজয় রাজনীতিতে শক্ত ভিত্তি তৈরি করেন, তবে বিজেপির দক্ষিণমুখী বিস্তার আরও কঠিন হয়ে উঠবে। সম্ভাবনা আছে, তিনি আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোট গড়ে তোলেন, যা বিজেপির বিরুদ্ধে এক শক্তিশালী ব্লক তৈরি করতে পারে।

ভবিষ্যতের রাজনীতি: সতর্ক সংকেত নাকি মোড় ঘোরা?

সব মিলিয়ে বলা যায়, থালাপতি বিজয়ের রাজনীতিতে আগমন ভারতীয় রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এখনই মোদির পতনের ভবিষ্যদ্বাণী করা না গেলেও, বিজয়ের উত্থান বিজেপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। দক্ষিণ ভারতের রাজনীতি যদি বিজয়ের হাত ধরে নতুন গতিপথে হাঁটে, তবে আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতির ভারসাম্যও পাল্টে যেতে পারে।


রাজা কিন্তু একটাই—সিংহ: বিজয়ের মন্তব্যে তোলপাড় ভারতের রাজনীতি

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৪ ১৯:২২:০৬
রাজা কিন্তু একটাই—সিংহ: বিজয়ের মন্তব্যে তোলপাড় ভারতের রাজনীতি
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নবীন রাজনীতিক থালাপতি বিজয়। সম্প্রতি মাদুরাইয়ে পারাপাথিতে দলীয় দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজয়। সেখানে হাজারও সমর্থকের সামনে তিনি বিজেপিকে ‘আদর্শগত শত্রু’ এবং ক্ষমতাসীন ডিএমকেকে ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ হিসেবে ঘোষণা করেন। জনসভায় দেওয়া তার কিছু মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেওয়া ‘হুংকার’ এখন আলোচনার কেন্দ্রে। বিজয় বলেন, “সিংহ সব সময় সিংহই থাকে। সে একবার গর্জন করলে আট কিলোমিটার দূর পর্যন্ত প্রতিধ্বনি শোনা যায়। জঙ্গলে যত শিয়ালই থাকুক, রাজা সব সময় সিংহই থাকে। সিংহ শিকারের জন্য বেরোয়, বিনোদনের জন্য নয়। সিংহ একাই শিকার করে। বনে যতই শেয়াল থাকুক না কেন, রাজা কিন্তু একটাই—সিংহ।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্যের মাধ্যমে বিজয় পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ইঙ্গিত করেছেন এবং নিজের জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট করে তুলেছেন।

এ ছাড়া তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের নির্বাচনে তার দল তামিলগা ভেট্রি কাজগম (টিভিকে) কারো সঙ্গে জোটে যাবে না। বিজয়ের ভাষায়, “আমাদের একমাত্র আদর্শিক শত্রু বিজেপি এবং রাজনৈতিক শত্রু ডিএমকে। টিভিকে কোনো সুবিধাভোগীদের দল নয়। তেমন কারো সঙ্গে আমরা জোটবদ্ধ হবো না।”

বিজয়ের এই স্পষ্ট অবস্থান এবং আত্মবিশ্বাসী ভাষণ তার রাজনীতিতে প্রবেশের মাত্র প্রথম ধাপ হলেও অনেকেই বলছেন, তিনি একটি শক্তিশালী তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে পারেন। ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে থালাপতি বিজয়ের মন্তব্য কতটা প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলে দেবে। তামিল রাজনীতিতে সিনেমার তারকাদের প্রভাব নতুন নয়। এনটি রামা রাও থেকে জয়ললিতা, কমল হাসান থেকে শুরু করে এবার থালাপতি বিজয়—সবাই নিজস্ব ভঙ্গিতে জনমনে জায়গা করে নিয়েছেন।

/আশিক


‘ক্রাশের’ স্বামীকে হত্যা করতে গুগলের সাহায্য নিয়ে বোমা বানালেন প্রেমিক!

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৩ ০৯:৫৪:২৮
‘ক্রাশের’ স্বামীকে হত্যা করতে গুগলের সাহায্য নিয়ে বোমা বানালেন প্রেমিক!
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতের ছত্তিশগড়ে এক অদ্ভুত ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এক প্রেমিক তার 'ক্রাশের' স্বামীকে হত্যা করার জন্য একটি মিউজিক সিস্টেমের মধ্যে বিস্ফোরক বোমা ভরে পার্সেল হিসেবে পাঠান।

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার পেছনে রয়েছে খয়রাগড় গ্রামের ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বিনয় বর্মা। তিনি গুগল সার্চের মাধ্যমে মিউজিক সিস্টেমে বোমা সেট করেছিলেন। তার পরিকল্পনা ছিল আফসার খানের জীবন শেষ করে নিজের পছন্দের নারীকে আপন করে নেওয়া।

ঘটনার দিন আফসার খান নামে ওই ব্যক্তির কাছে একটি বড় পার্সেল আসে। পার্সেলের পোস্ট অফিসের লোগো দেখে তার সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মিউজিক সিস্টেমটি খুলে দেখে স্পিকারের ভেতরে প্রায় ২ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে, যা বিদ্যুতের সংযোগ মাত্রই বিস্ফোরিত হতে পারত।

পুলিশ এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত আরও ছয়জনকে আটক করেছে এবং এর মাধ্যমে একটি অবৈধ বিস্ফোরক পাচার চক্রের তথ্যও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে, তদন্তকারীরা এখনো যাচাই করছেন এর পেছনে আরও বড় কোনো চক্র আছে কি না।


বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত

ভারত ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১১:৪৬:১১
বঙ্গোপসাগরের কাছে দেড় টন পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম মিসাইল পরীক্ষা করল ভারত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত বুধবার (২০ আগস্ট) ওড়িশার চান্দিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (আইটিআর) থেকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মাঝারি-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ‘অগ্নি-৫’ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মিসাইলটির কার্যক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত মানদণ্ড যাচাই করা হয়েছে।

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) নির্মিত এই মিসাইলটি ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং এটি ১.৫ টনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। হালকা পদার্থ ব্যবহার করার কারণে মিসাইলটির নির্ভরযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

অগ্নি-৫ মিসাইলটি মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, যা একটি মিসাইলকে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা দেয়। এটি লক্ষ্যভেদের জন্য রিং লেজার জাইরোস্কোপ-ভিত্তিক ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আরএলজি-আইএনএস) এবং মাইক্রো-ইনার্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (এমআইএনজিএস) ব্যবহার করে। এছাড়া, ভারতের নিজস্ব ন্যাভিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম এবং আমেরিকার জিপিএস সিস্টেমের সমন্বয়ে এর সঠিকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিন ধাপের কঠিন জ্বালানি চালিত প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা এই মিসাইলটি ক্যানিস্টারাইজড প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়, যা দ্রুত মোতায়েন, সহজ সংরক্ষণ এবং উচ্চ গতিশীলতা নিশ্চিত করে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

পাঠকের মতামত: